আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

সোমবার থেকে রাজধানীতে ৩৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পেঁয়াজ বিক্রি হবে ৩৫ টাকা দরে। আগামীকাল সোমবার থেকে এই পেঁয়াজ বিক্রয় করা হবে।

কার্ডধারী এক কোটি দরিদ্র পরিবারের কাছে প্রতি মাসে ভর্তুকি মূল্যে দুই কেজি করে পেঁয়াজ বিক্রি করবে সংস্থাটি। রোববার টিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন>> ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা

এতে বলা হয়, বিগত কয়েক বছর ধরে ঢাল সময় বিবেচনা করে আগামীকাল সোমবার থেকে পর্যায়ক্রমে ঢাকা মহানগরীর কার্ডধারী ভোক্তার কাছে পেঁয়াজ বিক্রি হবে। প্রতি কেজির মূল্য ধরা হয়েছে ৩৫ টাকা। তবে এই পেঁয়াজ দেশে আসার পর সরবরাহ করা হবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাস থেকেই চাল, ডাল ও তেলের সঙ্গে পেঁয়াজ পাবেন ক্রেতারা। এর বাইরে ঢাকায় খোলাবাজারে ট্রাকের মাধ্যমেও পেঁয়াজ বিক্রির পরিকল্পনা আছে টিসিবির।


আরও খবর
শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল!

মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪




যৌন নিপীড়ন করে হত্যা করা হয় ইরানি কিশোরী নিকা শাকারামিকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

২০২২ সালে ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে নিখোঁজ হয় ১৬ বছরের নিকা শাকারামি। এক সপ্তাহ পরে একটি মর্গে তার মরদেহ খুঁজে পায় পরিবার। এ ঘটনার পর ইরান সরকার একটি তদন্ত করে। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে সে আত্মহত্যা করেছে বলে জানানো হয়। কিন্তু পরিবারের দাবি বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ইরান সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।  খবর বিবিসি

ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর ফাঁস হওয়া এক গোপন নথিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর তিনজন ওই কিশোরীকে যৌন হয়রানির পর হত্যা করে।

যে গোপন নথি ফাঁস হয়েছে তার একটি শুনানির সারাংশ উল্লেখ করা হয়েছে। ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) ওই শুনানি করেছিল। ওই নথিতে নিকার হত্যাকারীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যে জ্যেষ্ঠ কমান্ডাররা সত্য লুকাতে চেয়েছিলেন, তাদের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

গোপন নথির তথ্য বলছে, ওই কিশোরী বিক্ষোভ করার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি গোয়েন্দা দল তাকে নজরে রেখেছিল। এর একটি হলো টিম টুয়েলভ। তারা ওই কিশোরীর ওপর সন্দেহে করে বিক্ষোভকারী সেজে বিক্ষোভে অংশ নেয়। পরে তাদের ওই কিশোরীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু সে পালিয়ে যায়।

ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, পালিয়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর তাকে খুঁজে বের করা হয়। তাকে আটকের পর ওই দলটির গাড়িতে তোলা হয়। এটি ছিল একটি ফ্রিজার ভ্যান। তবে তাতে বাহিনীর কোনো চিহ্ন ছিল না।

টিম টুয়েলভের তিন সদস্য নিকার সঙ্গে ফ্রিজার ভ্যানের পেছনে বসেছিলেন। তারা হলেন আরশ কালহর, সাদেগ মনজাজি এবং বেহরুজ সাদেগি। আর ওই দলের নেতা মোর্তেজা জলিল সামনে চালকের পাশে বসেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিকাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া যায়, তা খোঁজার চেষ্টা করছিল দলটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মোর্তেজা জলিল পরামর্শ নেয়ার জন্য আইআরজিসির সদর দপ্তরে ফোন করেন। তাকে কুখ্যাত এভিন কারাগারে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। পথে মোর্তেজা ফ্রিজার ভ্যানের পেছন থেকে ধস্তাধস্তির আওয়াজ পান।

বেহরুজ সাদেগি তার জবানবন্দিতে বলেছেন, আটককেন্দ্র থেকে নিকা শাকারামিকে গাড়িতে তোলার পর সে অন্ধকারের মধ্যে চিৎকার করছিল এবং স্লোগান দিচ্ছিল। তখন আরশ কালহর তার মোজা দিয়ে নিকার মুখ চেপে ধরেন। নিকাও তখন ধস্তাধস্তি শুরু করে। আরশ কালহর জানান, এরপর তিনি মুঠোফোনে টর্চের আলো জ্বালিয়ে দেখতে পান, সাদেগ নিকার ওপর যৌন নিপীড়ন চালাচ্ছেন এবং পরে তারাও তাতে শামিল হন।

একপর্যায়ে গাড়ির সামনে বসা মোর্তেজা চালককে গাড়ি থামাতে বলেন। পরে গাড়ির পেছনের দরজা খুলে দেখা যায় নিকার মৃতদেহ পড়ে আছে। তার মুখ ও মাথা থেকে রক্ত ঝরছিল।

২০২২ সালের অক্টোবরে বিবিসির ফারসি সংস্করণ নিকার মৃত্যুসনদ সংগ্রহ করে। সেখানে বলা হয়েছিল নিকাকে শক্ত কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। এদিকে বিবিসির পক্ষ থেকে ইরান সরকার ও রেভল্যুশনারি গার্ডকে প্রতিবেদনে পাওয়া তথ্যগুলো জানানো হয়েছিল। তবে সাড়া পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



ভারতীয় তিন কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিসহ এক ডজনেরও বেশি সংস্থা, ব্যক্তি এবং জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে অবৈধ বাণিজ্য থাকা এবং ড্রোন সরবরাহের কারণে ওই তিনটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে যেসব ড্রোন পেয়েছে তা গোপনে বিক্রিতে সহায়তা করেছে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কোম্পানিগুলো। ইরানের এ বাণিজ্যিক কাজকে সামনে থেকে সমর্থন দিয়েছে ইরানি কোম্পানি সাহারা থান্ডার। এর সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

এ কোম্পানিগুলো হলো জেন শিপিং, পোর্ট ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং সি আর্ট শিপ ম্যানেজমেন্ট (ওপিসি) প্রাইভেট লিমিটেড। সাহারা থান্ডার ইরানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আর্মড ফোর্সেস লজিস্টিকসের পক্ষ থেকে চীন, রাশিয়াসহ একাধিক দেশে ইরানি পণ্য বিক্রয় এবং চালান করে থাকে।

চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তিনশত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ড্রোন প্রযুক্তি ও উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কোম্পানিকে লক্ষ্য করে ১৯ এপ্রিল এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৩ এপ্রিল ইসরাইলে হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে, ইরানের এমন ইউএভি বা ড্রোন উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৬ ব্যক্তি ও দুটি সংস্থাকে লক্ষ্য করে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।


আরও খবর



পাইলট আসিম জাওয়াদের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবুল হোসেন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের তৃতীয় জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মানিকগঞ্জ শহরের সেওতা কবরস্থানে এই বীর সৈনিককে সমাহিত করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে সেওতা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে, সকালে জন্মভিটা মানিকগঞ্জে পাইলট আসিমের নিষ্প্রাণ দেহ ফিরে। বাবা-মার একমাত্র সন্তান এই বৈমানিকের মরদেহ পৌঁছানোর খবরে এক নজর দেখার জন্য পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন। ছাত্রজীবনের তুখোড় মেধাবী এ বীর সৈনিকের মরদেহ দেখে সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

স্থানীয়রা জানান, আসিম জাওয়াদ তাদের গর্ব, তাদের অহংকার। তিনি ছাত্রজীবনে নানান স্তরে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। কর্মজীবনেও ছিলেন অকুতোভয় সৈনিক। তার এ চলে যাওয়া আমাদের জন্য, দেশের জন্য বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

এর আগে সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম থেকে বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে আসিম জাওয়াদের মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর দ্বিতীয় জানাজা ও ফিউনারেল প্যারেডের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশারের প্যারেড গ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।

সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বিকেলে মানিকগঞ্জ শহরের সেওতা কবরস্থানে সমাহিত করা হবে বীর সৈনিক স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটি থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়নের পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানটি কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হয়ে গুরুতর আহত হন উইং কমান্ডার সোহান ও স্কোয়াড্রন লিডার আসিম। পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে মারা যান স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ।

আসিম জাওয়াদ মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার গোপালপুর গ্রামের ড. আমান উল্লাহ ও নীলুফা আক্তারের ছেলে।

তিনি ২০০৭ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি, ২০০৯ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ২০১০ সালের  ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার প্রাপ্তিসহ জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন। ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ থেকে বিএসসি (এ্যারো) পাস করেন আসিম।

চাকরিকালে আসিম বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটি ও ইউনিটে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি পেশাদারী দক্ষতা ও সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ মফিজ ট্রফি’, বিমান বাহিনী প্রধান ট্রফি’ ও বিমান বাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র লাভ করেন। এ ছাড়াও ভারতীয় বিমান বাহিনীর কোর্সে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ Chief of Air Staffs Trophy for Best in Flying (Indian Air Force)  অর্জন করেন।


আরও খবর



‘খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি বিক্ষোভ মিছিলও করতে পারেনি’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দলটি নেতাকর্মীরা একটা বিক্ষোভ মিছিল করতে পারেনি বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বেগম জিয়া আটকে আছে আইনের ফাঁদে। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কোনো মামলা করেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলায় তিনি গ্রেপ্তার ও বন্দী হয়েছেন। বিএনপি নেতাদের অবহেলায় বেগম জিয়ার এক বছরের বিচার ১০ বছরেও শেষ হয়নি। এটার জন্য বিএনপির নেতারাই দায়ী। তারা বেগম জিয়ার জন্য আইনি পথে ব্যর্থ হয়েছে, রাজপথে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথে দেখার মতো বিক্ষোভ মিছিলও করতে পারেনি। 

আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতার জন্যই বেগম জিয়ার শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এমনকি বিদেশি চিকিৎসক এসে তাকে চিকিৎসা দিচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, বিএনপি নিজেরাই এখন বিভক্ত। তাদের দলে বহুদিন ধরে কাউন্সিল নেই। তাদের ঘরোয়া রাজনীতি ঝিমিয়ে পড়েছে। নেতায় নেতায় মিল নেই। দল ক্ষমতায় আসবে এমন আশা নেতারা করলেও তা কর্মীরা দেখছে না৷ কর্মীরা এখন হতাশ হয়ে পড়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা পজিটিভ রাজনীতি করতে চাই। আজ বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতি সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকট থেকে আমাদের জনগণকে কিভাবে মুক্তি দেওয়া যায় তার জন্য কিছু বাস্তবমুখী কর্মসূচি নিতে হবে। দেশে বেকার সমস্যা সমাধানে আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন সম্পর্কে বিগত সময়ে আমি যে বক্তব্য রেখেছি, তা নিয়ে অনেকে ভেবে ছিল এটা মনে হয় আমি নিজ থেকে নেত্রীর নামে বলে বেড়াচ্ছি। কিন্তু গতকাল আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনের বিষয়ে খোলাসা করেছেন। স্বজন বলতে তিনি সুনির্দিষ্টভাবে স্ত্রী-সন্তান বুঝিয়েছেন। তিনি এমপিদের বলে দিয়েছেন। নির্বাচনে কোনো প্রকার প্রভাব বিস্তার করা যাবে না। প্রশাসন ও নির্বাচনকে প্রভাবিত করা যাবে না। নেত্রীর সেই গাইড লাইন অনুযায়ী আমরা আমাদের পার্টির কর্মকাণ্ড পরিচালিত করব। উপজেলা নির্বাচনে নেত্রীর গাইড লাইন পালন করব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য আনিসুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা প্রমুখ।


আরও খবর



জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় জিসান আহম্মেদ নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-বেরুনী হলের কর্মচারী মো. নজরুল ইসলামের মেজো ছেলে৷

সোমবার (৬ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সালাম বরকত ও তাজউদ্দিন হলগামী সড়কের পার্শ্ববর্তী একটি গাছে একজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পথচারীরা। পরে পুলিশে খবর দিলে আশুলিয়া থানার পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।

আল-বেরুনী হলের কর্মচারীদের সূত্রে জানা গেছে, জিসান পরিবারের সঙ্গে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী কলাবাগান এলাকায় আনসার ক্যাম্পের পেছনে থাকতেন। তাদের পৈত্রিক নিবাস শেরপুর জেলার সদর থানায়। স্থানীয় একটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা শেষে তিনি একটা গরুর খামার দেখাশুনা করতেন। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মৃতের পিতা নজরুল ইসলাম বলেন, সে সন্ধ্যার সময় বাসা থেকে বেরিয়েছিল এবং আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসায় ফেরে। তার মা তাকে বলছিল, এতো রাতে কোথায় ছিলি, গরুগুলোকে এখনো পানি খাওয়ানো হয়নি। এনিয়ে তার মায়ের সঙ্গে একটু রাগারাগি হয় এবং সে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে রাতে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হলেও কোথাও পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ ছেলে কোনো ধরনের অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল না, নেহাত ভদ্র ছেলে। কিন্তু এ রকম কেনো করলো, তারা বুঝতে পারছে না।

ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, এই ছেলেকে আমি ব্যাক্তিগতভাবে চিনি। সে খুবই ভদ্র ছেলে। মায়ের সঙ্গে একটু কথা কাটাকাটি হলে সে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। পরে তার খোঁজ করেও পাওয়া যায় নি। এখানে তার পরিবারের কারো কোনো অভিযোগ নেই। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়ে লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, আনসার ক্যাম্পের পিছনে ঘটনাস্থল হওয়ায় তাদের এখানে থেকে সরাসরি দেখা যায়। আমি এসে দেখে পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাছ থেকে মরদেহ নামায়।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিএম আসলামুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে। পরিবার ও এলাকাবাসীর কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর