আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট বাজেট পেশ আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোভিড অভিঘাতের পর চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতি এবং মূল্যস্ফীতির মতো চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাজেট পেশ করবেন।

আরও পড়ুন: অর্থনীতি প্রাণবন্ত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

এবার বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এটি দেশের ৫২তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৪তম বাজেট। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের আগে আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরের আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা অনুমোদন করে নেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার (৩১ মে) প্রধানমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, আগামী অর্থবছরের বাজেট পরিকল্পনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রতা সাধন অব্যাহত রাখা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং এক্সটার্নাল সেক্টরের বিদ্যমান অস্থিরতা কাটিয়ে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: তিন দিনের মধ্যে বেসরকারি হজযাত্রীদের ভিসা করানোর নির্দেশ

সূত্র জানিয়েছে, দেশে চলমান মূল্যস্ফীতিকে আগামী অর্থবছরের বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বাড়ানোর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উন্নয়ন, আইএমএফ-এর শর্ত অনুযায়ী ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও ০.৫০ শতাংশ বাড়ানো, এক লাখ কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি এবং সরকারি ঋণের সুদব্যয় যোগান নিশ্চিত করাকে আগামী অর্থবছরের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: স্বাধীনতার পর থেকে কে কত বাজেট দিয়েছেন?

৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ থাকবে ২.৬৩ লাখ কোটি টাকা। বাকি অর্থ সরকারের পরিচালন ব্যয়খাতে বরাদ্দ হবে। উন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে বরাদ্দ থাকবে ১.৬৯ লাখ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ব্যয় হবে ৯৪ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের বাকি ৫ লাখ কোটি টাকা ব্যয় হবে পরিচালন খাতে। পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতায় ৭৭ হাজার কোটি টাকা, পণ্য ও সেবা ক্রয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকা, ঋণের সুদ পরিশোধে ১.১০ লাখ কোটি টাকা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ১.১৮ লাখ কোটি টাকা এবং ভর্তুকি ও প্রণোদনায় ১.০৫ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।


আরও খবর



ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় কেন্দ্রে ভোটার কম এসেছে: সিইসি

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বৃষ্টি ও ধান কাটার মৌসুম হওয়ার কারণে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেছেন, প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। বর্ষা ও ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় অপেক্ষাকৃত কম ভোট পড়েছে।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে সিইসি বলেন, বর্ষার কারণে অনেকে ভোট সেন্টারে আসতে পারেননি। এছাড়া এখন ধান কাটার মৌসুম চলছে। এ কারণেও ভোট কম পড়েছে। আমাদের কাছে এটাই মনে হয়।

তিনি বলেন, কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। তেমন কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মোটামুটিভাবে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।


আরও খবর



খারকিভে ‘কঠিন লড়াই’ চলছে: জেলেনস্কি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন দেশটির খারকিভ শহর ঘিরে কঠিন লড়াই চলছে। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন, তবে তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) খারকিভের শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের পর জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।

এর আগে গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ সীমান্তে আকস্মিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইতোমধ্যে তারা বেশকিছু এলাকা নিজেদের দখলে নিয়েছে, যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বলছে, বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে জেলেনস্কি লিখেছেন, ইউক্রেনের সেনারা রুশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। এলাকাটির বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেখানে আমাদের আরও সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।

মূলত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার শুরুতেই খারকিভ শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে যায় রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে তারা আবারও সীমান্তে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। নতুন করে খারকিভ সীমান্তে রাশিয়ার আকস্মিক হামলায় কিছুটা হকচকিত হয়ে পড়ে সেনা ও অস্ত্র সংকটে ভুগতে থাকা ইউক্রেনীয় বাহিনী।

২০২২ সালের মধ্য ডিসেম্বরের পর এই প্রথম ভূখণ্ড দখলে বড় সাফল্য পেয়েছে রুশ বাহিনী। বুধবারও খারকিভের দুটি গ্রাম দখলে নেয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ারের তথ্য বিশ্লেষণ করে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ৯ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ইউক্রেনের ২৭৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখলে নিয়েছে রাশিয়া।

তবে ইউক্রেনের দাবি, কিছু কিছু স্থানে রুশ বাহিনীকে তারা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজার ভলোশিন বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, তাদের সেনারা রুশ দখলদার বাহিনীর তৎপরতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে। তবে শত্রুরা অগ্রসর হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহ চলবে আরও কয়েকদিন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দেশের বেশিরভাগ জেলায় বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। অসহনীয় গরমে নাকাল মানুষ। তাপমাত্রা কিছুটা কমবেশি হলেও বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে বেশি। এ অবস্থা থেকে সহজে মুক্তিও মিলছে না। আগামী কয়েকদিনও চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার (২১ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। তবে তা আগের দিন শনিবারের চেয়ে ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও আজ কিছুটা কমেছে। আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সেখানে ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। ঢাকায় আজ ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল ছিল ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এ আবহাওয়াবিদ বলেন, বাতাসের কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। কিন্তু হিটওয়েভ কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েকদিন চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

এছাড়া, আবাহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।


আরও খবর



স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গুলি, অবস্থা শঙ্কাজনক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো গতকাল বুধবার আততায়ীর গুলিতে মারাত্মক আহত হয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। খবর বিবিসি।

খবরে বলা হয়, রাজধানীর উত্তর-পূর্বে হ্যান্ডলোভা শহরে একটি সাংস্কৃতিক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে সরকারি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে- পেট, হাত ও পায়ে গুলি লেগেছে ফিকোর। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি তিনটি গুলির শব্দ শুনেছেন।

ফিকোর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে, প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়া হয়েছে এবং তার জীবন আশঙ্কাজনক। তাকে হেলিকপ্টারে করে বাঙ্কসা বায়াসত্রিকাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঘটনার সময় দেশটির পার্লামেন্টে অধিবেশন চলছিল। প্রধানমন্ত্রী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শোনার পর বিষয়টি সংসদ সদস্যদের অবহিত করেন ডেপুটি স্পিকার লুবোস ব্লাহা।

গুলির ঘটনায় দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জুজানা ক্যাপুতোভা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ওপর নৃশংস ও নির্মম হামলার ঘটনায় তিনি হতবাক। হামলার নিন্দা জানিয়ে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, আমাদের সমাজে এমন সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এটা গণতন্ত্রকে হেয় করে।


আরও খবর



অতিরিক্ত গরমে বিশ্বে বছরে ১৯ হাজার শ্রমজীবীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অতিরিক্ত গরমে কারণে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১৮ হাজার ৯৭০ জন শ্রমজীবী মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সোমবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রকাশিত এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এনশিউরিং সেফটি অ্যান্ড হেলথ অ্যাট ওয়ার্ক ইন আ চেঞ্জিং ক্লাইমেট (জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা) শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সব অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা যাচ্ছে। ৩৪০ কোটি শ্রমশক্তির মধ্যে ২৪০ কোটি মানুষই কোনো না কোনোভাবে অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন। অর্থাৎ, বৈশ্বিক শ্রমশক্তির ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন।

আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হয়, অতিরিক্ত গরমজনিত প্রায় সোয়া দুই কোটি পেশাগত দুর্ঘটনায় ২০ লাখের বেশি মানুষকে নানা প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বাস করতে হচ্ছে। কৃষি, নির্মাণ, পরিবহন খাতের মতো বাইরে কাজ করা কর্মীরা অতিরিক্ত গরমের কারণে মৃত্যু ও প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে পড়ছেন। তাঁরা হিটস্ট্রেস, হিটস্ট্রোক, হিটক্র্যাম্পস, র‍্যাশ, ত্বকে ক্যানসার, হৃদ্‌রোগ, শ্বাসজনিত অসুস্থতা, কিডনির রোগ ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন। অন্তঃসত্ত্বা নারীরা নানা জটিলতায় পড়ছেন।

প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের আরও নানা কারণে কর্মক্ষেত্রসংক্রান্ত মৃত্যুর তথ্য উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে ১৬০ কোটি মানুষ আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশনের ঝুঁকিতে পড়ে। এ কারণে ত্বক ক্যানসারে বছরে মৃত্যু হয় ১৮ হাজার ৯৬০ জনের। বাইরে বা রাস্তাঘাটে কাজ করা ১৬০ কোটি মানুষ বায়ুদূষণের শিকার হয়। এর ফলে ৮ লাখ ৬০ হাজার কর্মীর মৃত্যু হয়। ৮৭ কোটির বেশি মানুষ কৃষিকাজ করেন। এই কাজ করতে গিয়ে তাঁরা বিভিন্ন কীটনাশকের সংস্পর্শে আসেন। বছরে ৩ লাখের বেশি কর্মী কীটনাশকের বিষাক্ততার কারণে মারা যান। পরজীবী, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসবাহিত রোগের সংস্পর্শে এসে (ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ সৃষ্টিকারী) বছরে ১৫ হাজার কর্মী মারা যান। চরম আবহাওয়ায় ভূমির পরিবর্তন, খাদ্যসংকট ও বিশুদ্ধ পানির অভাবের মধ্যে কাজের নিশ্চয়তা কমে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে হতাশা শুরু হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চরম আবহাওয়ায় বাংলাদেশ, ভারত, লাওসসহ অনেক অঞ্চলে গত বছরের এপ্রিলে রেকর্ড পরিমাণ উচ্চ তাপমাত্রা দেখা গেছে। এ ধরনের আবহাওয়াকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, চরম আবহাওয়ায় বাংলাদেশ, ফিলিপাইন ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, হতাশা, মাদকাসক্তি, আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে।

২০২০ সালের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এই হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন বলা হয়, ২০০০ সালের তুলনায় ২০২০ সালে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি কর্মী অতিরিক্ত তাপের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছেন। তাপমাত্রা ও শ্রমশক্তি বাড়ার কারণে এ সংখ্যা বেড়েছে বলে ধারণা প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে অতিরিক্ত তাপ, আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন, চরম আবহাওয়া, কর্মক্ষেত্রে বায়ুদূষণ, পরজীবী-ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাসবাহিত রোগ এবং অ্যাগ্রোকেমিক্যাল (কৃষি খাতে ব্যবহার করা রাসায়নিক)এ ছয় ক্ষেত্রে কর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, অতিরিক্ত তাপের পাশাপাশি বন্যা, খরার মতো চরম আবহাওয়ায় বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে হতাশা, উদ্বেগ, সব বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা, পোস্টট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (পিটিএসডি) বা মানসিক আঘাতজনিত দুশ্চিন্তা ও মাদকাসক্তি বাড়ছে। দুর্যোগের মধ্যে জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, জেলে, কৃষি ও নির্মাণশ্রমিকদের মধ্যেও নাজুক মানসিক অবস্থা দেখা যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা যা আছে, তা যথেষ্ট নয়। অনেক দেশ তাপ থেকে সৃষ্ট রোগকে পেশাগত রোগ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। ঝুঁকির ক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবীরা। ঝুঁকি থাকলেও আর্থিক কারণে তাঁরা অতিরিক্ত গরমের মধ্যেও কাজ করেন।

প্রতিবেদন প্রসঙ্গে আইএলওর অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ (ওএসএইচ) দলের প্রধান মানাল আজি বলেন, এটা এখন স্পষ্ট যে জলবায়ু পরিবর্তন কর্মীদের উল্লেখযোগ্য হারে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এই ঝুঁকিগুলোর বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া দরকার। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় নীতি গ্রহণ ও কার্যকলাপবিষয়ক যা যা করা হয়, তার মধ্যে অবশ্যই পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।


আরও খবর