রান্নায় স্বাদ
বাড়াতে ঘি’য়ের জুড়ি নেই। অনেকে গরম ভাতে এক চামচ ঘি খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু কখনও খালি পেটে ঘি খাওয়ার কথা ভেবেছেন?অনেকের
হয়তো জানা নেই, সকালে খালি পেটে এক চামচ ঘি খেলে মিলবে নানা উপকারিতা। প্রতিদিন এক
চামচ ঘি খেলে হৃৎপিণ্ড থেকে ত্বক সব সুস্থ ও সুন্দর থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘিয়ের উপকারিতা
পেতে গেলে এটি সকালে খালি পেটেই খাওয়া উচিত।
পুষ্টিবিদরা
বলছেন, ঘিয়ের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট নেই। তাই এটি সকালে খেলে সারাদিন শক্তিতে ভরপুর
থাকা যায়। তাছাড়া ঘি সহজপাচ্য এবং দ্রুত বিপাক হয়। তাই খালি পেটে ঘি খেলে হজমের গোলমাল
হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
ঘিয়ের মধ্যে
এ, ই এবং ডি-এর মতো ভিটামিন রয়েছে। এসব পুষ্টি সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এতে যেমন রোগের ঝুঁকি কমে, তেমনই হাড়
শক্তিশালী হয় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
সকালবেলা খালি
পেটে ঘি খেলে, এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডনেট দেহের অক্সিডেটিভ চাপ কমায় এবং ফ্রি র্যাডিকেলের
সঙ্গে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখে। শুধু তাই নয়, এভাবে ঘি খেলে শারীরিক প্রদাহ এবং
দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমে।
ঘিয়ের গ্লাইসেমিক
সূচক কম। তাই সকালে খালি পেটে ঘি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা
নেই। বরং, সারাদিন এনার্জিতে ভরপুর থাকতে পারবেন। পাশাপাশি এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে
ভাল রাখে। এতে হজমজনিত সমস্যা দূর হয়।
ঘিয়ের মধ্যে
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তাছাড়া এক চামচ করে ঘি খেলে
কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়ে না। কিন্তু এতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। তাই ১ চামচের বেশি
না খাওয়াই ভাল।
সকালবেলা খালি
পেটে ঘি খেলে এর পুষ্টিগুণ সবচেয়ে ভাল মাত্রায় পাওয়া যায়। আপনি টোস্টে মাখন বা জ্যামের
বদলে ঘি ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি ওটমিলেও ঘি মিশিয়ে খেতে পারেন।