আজঃ শনিবার ০১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

সকালে খালি পেটে ঘি খেলে কী হয়?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

রান্নায় স্বাদ বাড়াতে ঘিয়ের জুড়ি নেই। অনেকে গরম ভাতে এক চামচ ঘি খেতে পছন্দ করেন।  কিন্তু কখনও খালি পেটে ঘি খাওয়ার কথা ভেবেছেন?অনেকের হয়তো জানা নেই, সকালে খালি পেটে এক চামচ ঘি খেলে মিলবে নানা উপকারিতা। প্রতিদিন এক চামচ ঘি খেলে হৃৎপিণ্ড থেকে ত্বক সব সুস্থ ও সুন্দর থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘিয়ের উপকারিতা পেতে গেলে এটি সকালে খালি পেটেই খাওয়া উচিত।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, ঘিয়ের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট নেই। তাই এটি সকালে খেলে সারাদিন শক্তিতে ভরপুর থাকা যায়। তাছাড়া ঘি সহজপাচ্য এবং দ্রুত বিপাক হয়। তাই খালি পেটে ঘি খেলে হজমের গোলমাল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

ঘিয়ের মধ্যে এ, ই এবং ডি-এর মতো ভিটামিন রয়েছে। এসব পুষ্টি সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এতে যেমন রোগের ঝুঁকি কমে, তেমনই হাড় শক্তিশালী হয় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

সকালবেলা খালি পেটে ঘি খেলে, এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডনেট দেহের অক্সিডেটিভ চাপ কমায় এবং ফ্রি র‍্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখে। শুধু তাই নয়, এভাবে ঘি খেলে শারীরিক প্রদাহ এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমে।

ঘিয়ের গ্লাইসেমিক সূচক কম। তাই সকালে খালি পেটে ঘি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং, সারাদিন এনার্জিতে ভরপুর থাকতে পারবেন। পাশাপাশি এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখে। এতে হজমজনিত সমস্যা দূর হয়।

ঘিয়ের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তাছাড়া এক চামচ করে ঘি খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়ে না। কিন্তু এতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। তাই ১ চামচের বেশি না খাওয়াই ভাল।

সকালবেলা খালি পেটে ঘি খেলে এর পুষ্টিগুণ সবচেয়ে ভাল মাত্রায় পাওয়া যায়। আপনি টোস্টে মাখন বা জ্যামের বদলে ঘি ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি ওটমিলেও ঘি মিশিয়ে খেতে পারেন। 

নিউজ ট্যাগ: খালি পেটে ঘি

আরও খবর



বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে নারীদের তাড়া করে গুলি ছুড়লো বিএসএফ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। তবে এতে কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও গুলিতে বাংলাদেশি এক নাগরিকের বসতভিটার ঘরের চাল ফুটো হয়েছে।

রবিবার (১২ মে) বিকালে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলারকুটি সীমান্তের আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৯৩১-এর পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে বিজিবির কড়া প্রতিবাদের পর সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম মিয়া ও আব্দুল কুদ্দুসসহ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রবিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা কয়েকজন নারী কেটে নেওয়া ধান গাছের আড়া  (গোড়ায় অবশিষ্ট খড়) সংগ্রহের জন্য নো-ম্যানসল্যান্ডে প্রবেশ করেন। এ সময় ভারতীয় নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের টহলরত এক বিএসএফ সদস্য তাদের ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে ওই নারীরা দৌড়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে বিএসএফ সদস্যও তাদের পিছু নেয়। বাংলাদেশ ভূখণ্ডের প্রায় ২০ থেকে ৩০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন ভারতীয় ওই সীমান্তরক্ষী। একপর্যায়ে রাইফেল উঁচিয়ে বাংলাদেশি নারীদের লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি করে দ্রুত ভারতের অভ্যন্তরে চলে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, গুলিতে কারও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও তা লক্ষ্যচ্যুত হয়ে ধুলারকুটি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা নুর আলম বাচ্চুর বাড়ির রান্নাঘরের চালে আঘাত করে। এতে ঘরের চালের টিন ফুটো হয়ে গুলিটি মেঝেতে পড়ে। সে সময় রান্না ঘরে বাচ্চুর পুত্রবধূ থাকলেও ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। গুলির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

নুর আলম বাচ্চু বলেন, ওই সময় আমার পুত্রবধূ রান্নাঘরেই ছিল। ভাগ্যিস গুলিটা তার গায়ে লাগেনি। মাঝেমধ্যেই বিএসএফ এভাবে বাংলাদেশে ঢুকে নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর অত্যাচার চালায়। আমরা আতঙ্কে থাকি।’

খবর পেয়ে বিজিবি গোরকমন্ডল ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার নজরুল ইসলামসহ বিজিবির একটি দল রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই নুর আলম বাচ্চুর বাড়ি পরিদর্শন করে গুলিটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় সোমবার সকালে বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। পরে সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের শিমুলবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নরেশ চন্দ্র রায় এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৯০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নারায়ণগঞ্জ কোম্পানি কমান্ডার ইন্সপেক্টর রমন সিং। বৈঠকে বিনা উসকানিতে সীমান্তে গুলিবর্ষণের কারণ জানতে চেয়ে কড়া প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। তবে এ ব্যাপারে পরিষ্কার কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি বিএসএফ।

এ ব্যাপারে জানতে মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের দাফতরিক মোবাইল নম্বরে ফোন ও খুদেবার্তা দিয়ে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। পরে ব্যাটালিয়নের দায়িত্বশীল অফিসার মেজর আসিফকে ফোন ও খুদেবার্তা দিলে তিনিও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।


আরও খবর



দুর্যোগে সহযোগিতার নামে ফটোসেশন করে বিএনপি : কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুর্যোগে সহযোগিতার নামে বিএনপির নেতাকর্মীরা ফটোসেশন করে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে জনপ্রতিনিধিসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে এখনো পুরোপুরি বিবরণ জানা যায়নি। তবে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহতদের স্বজনদের প্রতি শোক জানিয়ে তিনি বলেন, দলের সংশ্লিষ্ট সাংগঠনিক ইউনিটগুলো ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে যাবে।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির কথা বলি, একটি বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্ব পালনে তারা বারবার ব্যর্থ হয়েছে। তারা সহযোগিতার নামে ফটোসেশন করে। তারা কোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ায় না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রোজার মাসেও আমরা সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করেছি আর তারা ইফতার পার্টি করেছে। বিএনপির সঙ্গে আমাদের নীতিগতভাবেই অনেক পার্থক্য আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলবর্তী এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হয়েছে অনেক বেশি। বেড়িবাঁধ ভেঙেছে। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বৈদ্যুতিক লাইন, রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক এলাকা এখনো পানির নিচে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নগদ অর্থ দিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আরও খবর



আগামী ৭ জুন শেষ কর্মদিবস

গেটস ফাউন্ডেশনে আর থাকছেন না মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গেটস ফাউন্ডেশনের থেকে বিদায় নিচ্ছেন মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। দাতব্য সংস্থাটির কোচেয়ারের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তিনি। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিশ্বের একসময়ের শীর্ষ ধনী বিল গেটসের সাবেক স্ত্রী মেলিন্ডা সোমবার তার এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন সোমবার এক্সে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, এটা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নয়, যেটা আমি হালকাভাবে নিয়েছি।

ফ্রেঞ্চ গেটস বলেছেন, আগামী ৭ জুন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে শেষ কর্মদিবস কাটাবেন মেলিন্ডা। তারপর থেকে ঐ সংস্থার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থাকবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

মেলিন্ডা বলেছেন, তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চুক্তি অনুসারে, তিনি অতিরিক্ত ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার পাবেন। এই অর্থ তিনি নারী এবং চাহিদা সম্পন্ন পরিবারের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে ব্যবহার করবেন।

তবে এ ব্যাপারে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

এদিকে বিল গেটস এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে বলেছেন, মেলিন্ডার চলে যাওয়া দেখে আমি দুঃখিত। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে সে তার ভবিষ্যতের জনহিতকর কাজে বিশাল প্রভাব ফেলবে।

মেলিন্ডা গেটস ২০০০ সালে তার তৎকালীন স্বামী বিশ্বের অতি ধনী বিল গেটসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। বিয়ের ২৭ বছর পর ২০২১ সালে বিল-মেলিন্ডা জুটি তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়। তবে তারা যৌথ জনল্যাণমূলক কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। এ ফাউন্ডেশন থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে।


আরও খবর



ঢাকায় মঙ্গলবারও থাকতে পারে নিম্নচাপের প্রভাব

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঘূর্ণিঝড় রেমাল বৃষ্টি ঝড়িয়ে দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর বিস্তার লাভ করেছে। ফলে রাজধানীসহ দেশের সব বিভাগেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নিম্নচাপে প্রভাব মঙ্গলবারও (২৮ মে) থাকতে পারে।

সোমবার (২৭ মে) এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, স্থল নিম্নচাপ স্থায়ী কিছু নয়। এটার নির্দিষ্ট কোনো কেন্দ্র বলতে তেমন কিছু নেই। তবে সাগরে নিম্নচাপ হলে সুনির্দিষ্ট কেন্দ্র থাকে। রেমাল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এটি ছড়িয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, যশোর থেকে মাদারীপুর, ফরিদপুর, ঢাকা, কুমিল্লা হয়ে এটি ভারতের দিকে গিয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। এর ফলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রাতেও বৃষ্টি হবে। মঙ্গলবারও কিছুটা প্রভাব থাকতে পারে। তারপর থেকে তাপমাত্রা বাড়বে।

রেমাল ও রেমাল পরবর্তী ঝড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীতেও দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কয়েকটি সড়কে গাছ পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। রাজধানীতে বড় দুর্ঘটনার খবর না মিললেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে।

নিউজ ট্যাগ: ঘূর্ণিঝড় রেমাল

আরও খবর



ঈদুল আজহায় চলবে ২০টি বিশেষ ট্রেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এবারও ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঘরমুখো যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে আগামী ২ জুন থেকে ঈদ যাত্রায় ১০ দিন আগের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শতভাগ টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে। তবে আগামী রবিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ে ঈদুল আজহা-২০২৪ উপলক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঈদ যাত্রার ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু করতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সভাতেই অগ্রিম টিকিট বিক্রির দিন নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়। গত ঈদুল ফিতরের আগে একই রকম বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু গণমাধ্যমে টিকিট বিক্রির আগাম তারিখ রেলওয়ের সংবাদ সম্মেলনের আগেই প্রকাশ হওয়ায় দিনক্ষণ পরিবর্তন করা হয়।

রেলের কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী, পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলরত আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচলা করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে বিক্রি করা হবে। আগামী ২ জুন বিক্রি হতে পারে ১২ জুনের অগ্রিম টিকিট। একই ভাবে ৩ জুন দেওয়া হবে ১৩ জুনের, ৪ জুন দেওয়া হতে পারে ১৪ জুনের, ৫ জুন দেওয়া হতে পারে ১৫ জুনের এবং ৬ জুন দেওয়া হতে পারে ১৬ জুনের অগ্রিম টিকিট। বাড়তি যাত্রীর চাপ সামাল দিতে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল মিলে মোট ২০টি বিশেষ ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ছুটির কথা বিবেচনা করে আগাম টিকিট বিক্রির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করবে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী আমাদের সময়কে বলেন, বৈঠকে যাত্রী নিরাপত্তা ও ঈদ যাত্রায় রেলের প্রস্তুতি নিয়ে কথা হয়েছে।

জানা গেছে, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সুবিধার্থে আন্তঃনগর ট্রেনের সব আসন বিক্রয় শেষে মোট আসনের ২৫ শতাংশ দাঁড়িয়ে যাওয়ার (স্ট্যান্ডিং) টিকিট বিক্রি করা হবে। যাত্রার দিন ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে স্টেশনের কাউন্টার থেকে এসব টিকিট পাওয়া যাবে।

ঈদের আগের পাঁচ দিনে ১০ লাখ মানুষ ট্রেনে ভ্রমণ করবে। ট্রেনে ঈদ যাত্রা এবং ঈদের অগ্রিম টিকিটসহ সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে আগামী সোমবার সংবাদ সম্মেলন করা হতে পারে।

ফেরিতে ৭ দিন বন্ধ থাকবে পণ্য পরিবহন: ঈদুল আজহা উপলক্ষে নৌরুটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী ১৩ থেকে ২৩ জুন মোট ১১ দিন সব নৌরুটে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। আগের মতোই কাজীরহাট, পাটুরিয়াঘাটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। কিছু রুটে বাড়ানো হবে লঞ্চের সংখ্যাও। ঈদের আগে ৩ দিন ও পরের ৩ দিনসহ মোট ৭ দিন পশুবাহী ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত পবিত্র ঈদুল আজহা-২০২৪ উপলক্ষে নৌপথে ফেরি, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্মপন্থা গ্রহণ সংক্রান্ত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, গতবার (ঈদুল ফিতর) ঈদযাত্রা নিরাপদ হয়েছে। এবারও যাতে ঈদ আনন্দময় ও নিরাপদ হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীসহ নৌপথে কোরবানির পশু পরিবহন নিরাপদ করার জন্য সবাই একযোগে কাজ করছে। আবহাওয়া অফিস থেকে জানিয়েছে, এবারের ঈদ মৌসুমে আবহাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে। যারা যাত্রী পারাপার ও পণ্য পারাপার করবেন, তারা আবহাওয়া বার্তাগুলো সঠিকভাবে পালন করবেন।


আরও খবর