সিরিয়ার বিদ্রোহী
নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ইদলিব প্রদেশে রাশিয়ার বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন নিহত
হয়েছে। গতকাল রোববার (২৫ জুন) এ হামলা চালানো হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে চলতি বছর এটি
সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা। একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংগঠন এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বার্তা
সংস্থা এএফপির।
খবরে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে দুই শিশুসহ অন্তত ৯ জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে। তাদের অধিকাংশই ইদলিব অঞ্চলের জিসর আল-শুঘুরের ফল ও সবজির বাজারে নিহত হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে দুইবাসের সংঘর্ষ, এক পরিবারের ৭ জনসহ নিহত ১২
ব্রিটেন ভিত্তিক
মানবাধিকারবিষয়ক সিরিয়ার পর্যবেক্ষণ গ্রুপের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেন, ‘সিরিয়ায় চলতি বছর রাশিয়ার চালানো
এটি সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা এবং বড় ধরনের হত্যাকাণ্ড।’
ওই পর্যবেক্ষক
গ্রুপ আরও জানায়, গত সপ্তাহে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসন ব্যবস্থাকে
সমর্থন করা রাশিয়ার বাহিনী বিদ্রোহীদের ড্রোন হামলার পাল্টা জবাব দেয়। এতে দুই শিশুসহ
চার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।
জিসর আল-শুঘুরের ওই বাজারে চালানো হামলায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া ৩৫ বছর বয়সী সাদ ফাতো নামের এক শ্রমিক এএফপিকে বলেন, তিনি আহতদের উদ্ধার প্রচেষ্টায় সাহায্য করেন। তিনি বলেন, সেখানে ‘রাশিয়ার বাহিনী আমাদের ওপর গোলা বর্ষণ করে।’
আরও পড়ুন: হন্ডুরাসে সহিংসতায় ২৪ জনের মৃত্যু, কারফিউ জারি
সাদ ফাতো আরও
বলেন, ‘হামলার পর হতাহতরা সেখানে যেভাবে পড়ে ছিল, তা অবর্ণনীয়।’ তার হাতে এখানও হতাহতদের রক্ত
লেগে আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এএফপির এক সংবাদদাতা
ঘটনাস্থল থেকে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখেন। তিনি জানান, অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের বাজার
থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আবদেল রহমান
বলেন, ‘রাশিয়ার বিমান হামলায় জিসর আল-শুঘুরে ছয় বেসামরিক নাগরিক এবং এর কাছেই
তিন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।’
আবদেল রহমান আরও বলেন, ‘ইদলিব শহরের উপকণ্ঠে এক হামলায় দুই শিশুসহ আরও তিনজন বেসামরিক নাগরিক এবং একজন বিদ্রোহী যোদ্ধা নিহত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ওয়াগনারের বিদ্রোহে ৩৯ পাইলট-ক্রু হারিয়েছে রাশিয়া
আবেদল আরও বলেন,
‘রোববারের
হামলায় কমপক্ষে ৩০ বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।’