আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনার তীর রক্ষা বাঁধে ধস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

আপাতত জিও ব্যাগ ফেলে ধস ঠেকানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী। পানি বৃদ্ধির ফলে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীর তীর রক্ষায় করা সলিড স্পার বাঁধের অন্তত ৩০ মিটার এলাকা ধসে গেছে।

শুক্রবার (৭ জুলাই) ভোরে উপজেলার মেঘাই ১ নম্বর সলিড স্পার এলাকায় এ ধস দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন কাজিপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বিপ্লব।

এ বাঁধটি পুরোপুরি ধসে গেলে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনার তীর রক্ষা বাঁধে ধস ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বিপ্লব জানান, যমুনা নদীতে গত কয়েকদিন ধরে পানি বাড়ছে। পানি বাড়ার ফলে শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে মেঘাই ১ নম্বর সলিড স্পার এলাকায় ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে ধসে যেতে শুরু করে। অল্প সময়ের ব্যবধানে স্পারের প্রায় ৩০-৩৫ মিটার নদীগর্ভে চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, এ স্পারটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে কাজিপুর থানা, খাদ্য গুদাম, রেজিস্ট্রি অফিস, কাজিপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন>> শেরপুরে পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান সংঘর্ষ, চালক নিহত

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনার তীর রক্ষা বাঁধে ধস কাজিপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. অনিক ইসলাম বলেন, স্পার ধসে যাওয়ার বিষয়টি জানার পর বিষয়টি দ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেছি। এর মধ্যে পাউবোর লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে এসেছি। সলিড স্পারের অন্তত ৩০ মিটার এলাকা ধসে গেছে। আপাতত জিও ব্যাগ ফেলে ধস ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনার তীর রক্ষা বাঁধে ধস যমুনা নদীর ভাঙন থেকে কাজিপুর উপজেলা রক্ষায় ১৯৯৭ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের প্রচেষ্টায় মেঘাই খেয়াঘাট এলাকায় এই ৩০০ মিটার সলিড স্পারটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

২০১২ ও ২০১৩ সালে স্পারটির মূল অংশের ১৫০ মিটার এলাকা ধসে যায়। পরবর্তীতে স্পারের মাটির অংশটুকু রক্ষায় সিসি ব্লক দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর



সিভাসুতে দিনব্যাপী ফুড ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ফুড ফেস্টিভ্যাল ও বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বের করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।

শোভাযাত্রায় ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান, ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসী আকতার, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমদ-আল-নাহিদ, বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর মো: সফিকুল ইসলাম খান, রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মো: আশরাফ আলি বিশ্বাস, পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. একেএম সাইফুদ্দিনসহ অনুষদের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় ফুড ফেস্টিভ্যাল। দিনব্যাপী ফুড ফেস্টিভ্যালে স্থান পায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু পিঠা ও হরেক রকমের উপাদানের খাবার। ফুড ফেস্টিভ্যালে মোট ১১টি স্টল ছিল। সন্ধ্যায় সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।


আরও খবর



মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পরোয়া করে না আ. লীগ: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এর সফর ও মার্কিন স্যাংশন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পরোয়া করি না। এসব ভিসানীতিতে আওয়ামী লীগ পাত্তা দেয় না।’

আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা দাওয়াত করে কাউকে আনি নাই, তাদের এজেন্ডা আছে; তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি (ডোনাল্ড লু) একটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও না। একজন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে এত মাতামাতি কেন!

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপি কি করে তারাই ভালো জানে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, গরম কমে গেলে আন্দোলন, কিছুদিন পরে বলবে কোরবানির ঈদের পরে আন্দোলন শুরু করবে। বিএনপির কর্মীরা নেতাদের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। ফলে তাদের আন্দোলনে কর্মী সমাবেশ হয় না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাঁচতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?

তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ি-কাপড় আসবে, এ ছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আসবেই।’


আরও খবর



হিটস্ট্রোকে যে ফল ভুলেও খাওয়া যাবে না

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

হিটস্ট্রোক মানে হলো অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ -১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে ওঠা, যা সাধারণত প্রচণ্ড জ্বরে হয়। হিটস্ট্রোকের ফলে অস্বাভাবিক মানসিক আচরণ দেখা দিতে পারে। যেমন কনফিউশান, বিড় বিড় করা, অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা, হ্যালুসিনেশন, মাথাব্যথা হওয়া, ঝিম ঝিম করা, হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেরা।

হিটস্ট্রোকে মূলত শরীরের কুলিং সিস্টেম ফেইল করে। এতে ঘাম কমে গিয়ে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়, বমি বমি ভাব হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, ডিহাইড্রেশনের ফলে ইলেকট্রোলাইটস ইম ব্যালেন্স হয়, মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়। এমনকি শুরু হতে পারে খিচুনি। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ফল কি হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী : ফল খাওয়া হিট স্ট্রোকের জন্য উপকারী হলেও কিছু ফল হিটস্ট্রোকে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই হিট স্ট্রোকে কোন ফল উপকারী এবং কোন ফল অপকারী এটা না জেনে ফল খেলে হতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোকে এড়াতে উপকারী ফল : কম ক্যালরি যুক্ত এবং কম চিনিযুক্ত রসাল ফল হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে শসা, জাম্বুরা, আনারস, তরমুজ। এ ছাড়া নাশপাতি, কাঁচাআম (সবুজ আম), কাঁচা পেঁপে (সবুজ পেঁপে) , আপেল, স্ট্রবেরি, গোলাপ, জাম্বুরা, লেবুও কম ক্যালরি যুক্ত ফল। এসব ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের জন্য খুবই  উপকারী।

হিটস্ট্রোকের জন্য অপকারী বা ক্ষতিকর ফল : সাধারণত প্রচুর চিনিযুক্ত ফল এবং উচ্চ ক্যালরি উৎপন্নকারী ফল যেমন পাকা কাঁঠাল, পেয়ারা, পাকা আম, আঙুর, লংগান, লিচু, পাকা কলা, পাকা পেঁপে (হলুদ পেঁপে), প্যাশন ফল, লাল ডালিম, মিষ্টি তেঁতুল, পেয়ারা। মনে রাখবেন পাকা পেঁপে ও পাঁকা কাঁঠাল হিট স্ট্রোকের বিপত্তি বাড়িয়ে দেবে এবং গরম পানীয় যেমন চা ও কফি পান করা যাবে না।

হিটস্ট্রোকে করণীয় : শরীরকে ঠান্ডা করা অর্থাৎ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুছে দেওয়া বারবার, ছায়া ও বাতাসযুক্ত স্থানে বসা, ঠান্ডা পানি দিয়ে তোয়ালে বা গামছা ভিজিয়ে ঘাড় মাথা, উরু স্পঞ্জিং করা। ঘাড়ে ঠান্ডা পানিতে ভিজানো রুমাল রাখা যেতে পারে। ডিহাইড্রেশন ও পিপাসা কমাতে নরমাল ঠান্ডা পানি, লেবুর শরবত এবং খাবার স্যালাইন খুবই উপকারী। তবে খাবার স্যালাইন নিয়মমতো বানাতে হবে।


আরও খবর



‘রাজধানীতে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না’

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে ব্যাটারি বা যন্ত্রচালিত কোনো রিকশা চলতে না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভায় এই নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।

সভায় মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এটা আগে কার্যকর করুন। এ ছাড়া ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেটা বাস্তবায়ন করুন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ঢাকা সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা যাতে না চলে, সেই বিষয়ে শুধু নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়, এগুলো চলতে যাতে না পারে, সেটার ব্যবস্থা করুন।

সারাদেশে মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের কারণে দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে বলে জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি স্ক্র্যাপ (ধ্বংস) করতে হবে। উচ্চ হর্নের বিষয়ে আমাদের সর্তক থাকতে হবে। রাজধানীতে হুটার বাজানো বন্ধ করা দরকার। জরুরি সেবা ছাড়া হুটার বাজানো যাবে না।

এর আগে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র শহরের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোরিকশা বন্ধে সম্মতি জানান।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার, যখন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকেরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে চালায়। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন, যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন, তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা, ইজিবাইক চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারসহ আরও অনেকে।


আরও খবর



রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : চেয়ার দখলের ত্রিমুখী লড়াই

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

শেষ সময়ে জমে উঠেছে ভোটের মাঠ। আগামী মঙ্গলবার (২১মে) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তবে ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপিও অংশ নিয়ে নির্বাচনী মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও ভাগ্য নির্ধারণের দিন হানাহানি শঙ্কা করছেন ভোটাররা। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান মিলে ১২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সইদুল হক (আনারস), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ হোসেন বিপ্লব (ঘোড়া) ও আওয়ামী লীগ সদস্য আব্দুল কাদের (মোটরসাইকেল) প্রতীকে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। তবে তিনজনের এগিয়ে রয়েছেন।

আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে রানীশংকৈল পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী (টিয়া পাখি), সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা (টিউবওয়েল), কৃষক লীগের সভাপতি বাবর আলী (চশমা), যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী (বৈদ্যুতিক বাল্ব), কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক দিগেন্দ্র নাথ রায় (তালা) প্রতীক ও শেফালী বেগম (পদ্ম ফুল), সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম পুতুল (কলস), উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন (ফুটবল) ও শারমিন আক্তার (হাস) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় হাইকমান্ডের নির্দেশে জেলা কমিটি তাকে বহিষ্কার করেছেন।

এব্যাপারে হযরত আলী সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। আর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন বলেন, দলীয় সিন্ধান্ত অমান্য করার অপরাধে হযরত আলীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা, প্রচারণা-সহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। এছাড়া বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে নির্বাচনী গান পরিবেশন ও মাইকিং করছেন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা।

ভোটাররা মনে করছেন রানীশংকৈল উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মূল লড়াই হবে ঘোড়া প্রতীকের আহম্মদ হোসেন বিপ্লব ও মোটরসাইকেল প্রতীকের আব্দুল কাদের। তবে কিছু কিছু ভোট কেন্দ্রে আশঙ্কার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে যেতে পারে সেজন্যে প্রশাসনের আহব্বান জানান তাঁরা।

এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩ ৯১ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ৯৪ হাজার ২৮১ ও মহিলা ৮৯ হাজার ১১০ জন। আর ভোট কেন্দ্রে ৬৬ টি।

এদিকে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠ রাখতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: সোলেমান আলী। তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিস্থিতি যেভাবে ভাল থাকে সে অনুযায়ী আইনশৃংখলা বাহিনী কাজ করবে। প্রশাসন পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।


আরও খবর