আজঃ শনিবার ০১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

সিরাজগঞ্জে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি মহড়া অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয় দুর্যোগ প্রস্তুতি সবসময় এই স্লোগান কে সামনে নিয়ে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার  (০৯ মার্চ) সকাল ১০ টায় শহরের ভিক্টেরিয়া হাই স্কুল মাঠে জেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, সিরাজগঞ্জের আয়োজনে এবং মানব মুক্তি সংস্থা বাস্থবায়িত ও কইকার দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস প্রকল্পের সহযোগিতায় এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

মহড়ায় ভূমিকম্পে করণীয়, অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ, নির্বাপণ, উদ্ধার ও জরুরি বহির্গমন বিষয়ে নানা কৌশল প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়াও ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডের সময় কমিউিনিটি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনার বিষয়ে সম্যক ধারণা দেওয়া হয়। মহড়াটি পরিচালনা করেন সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ন সচিব) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ঢাকা, নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সারা বাংলাদেশ ব্যাপি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হচ্ছে তাই সচেতনা বৃদ্ধি করে জনগনের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ রায়হান কবির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ মোঃ নুরুল হক।

অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, ভিক্টোরিয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজেদুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ ফরহাদ হোসনে, মানব মুক্তি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ হাবিব উল্লাহ বাহারসহ বিভিন্নি এনজিও প্রতিনিধি ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আকরুজ্জামান।


আরও খবর



আজীম এমপির লাশ মেলেনি, খুঁজছে ভারতের পুলিশ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। তার মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছে কি না, সেটিও নিশ্চিত করেনি কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২২ মে) বিকেলে নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনস থেকে বেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আইজি সিআইডি অখিলেশ চতুর্বেদী জানান, বাংলাদেশের এমপি আনোয়ারুল আজীম ব্যক্তিগত সফরে এসে এখান থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। ১৮ মে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। সংসদ সদস্যের পরিচিত গোপাল বিশ্বাস এই অভিযোগ দায়ের করেন এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আমরা তদন্ত শুরু করি।

তিনি বলেন, এর জন্য ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট থেকে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। এরপর গত ২০ মে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই কেসটিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার একটি নির্দেশ আসে। এরপর আজ ২২ তারিখে আমাদের কাছে একটি তথ্য আসে যে, তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। এরপরে আমাদের পুলিশ এই ফ্ল্যাটটিকে শনাক্তকরণ করে। কারণ এখানেই তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল। পরবর্তী বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে আরও তদন্ত চলছে। সিআইডি এই তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজি সিআইডি জানান, এখন পর্যন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়নি। আমরা কেসের তদন্ত শুরু করেছি। আমাদের কাছে যা তথ্য রয়েছে, তাতে ১৩ তারিখে তিনি এই ভবনে ঢুকেছিলেন। তবে এর আগে এসেছিলেন কি না সেটি আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন। যদিও বিষয়টি এখনো তদন্তসাপেক্ষ।

মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে সে ব্যাপারে তিনি বলেন, এটি এখনই বলা সম্ভব নয়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফটোগ্রাফি সব টিমেকে এই তদন্তে ইনভাইট করা হয়েছে। তারা খতিয়ে দেখছেন।

অখিলেশ চতুর্বেদী আরও জানান, যে ফ্ল্যাটটিতে ওই সংসদ সদ্য এসে উঠেছিলেন, সেটি সন্দীপ রায় নামে এক ব্যক্তির। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দপ্তরে কাজ করেন। তিনি ভাড়া দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা (প্রবাসী বাংলাদেশি) আখতারুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে।


আরও খবর



মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের

‘ভারত শত্রুরাষ্ট্র হলে সালাহউদ্দিন এতদিন নিরাপদে কীভাবে আছেন’

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় বন্ধুরাষ্ট্রে গিয়ে নিরাপত্তা নাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের বিপরীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন বন্ধুরাষ্ট্রে গিয়ে নিরাপত্তা নাই। আপনাদের কাছে ভারত যদি শত্রুরাষ্ট্র হয়, সেখানে সালাহউদ্দিন এতদিন নিরাপদে কীভাবে আছেন। তাকে তো কেউ হত্যা করেননি। তার জীবনের তো নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি, জীবনের কোনও হানি ঘটেনি। এই ধরনের অপবাদ কেন দিচ্ছে বন্ধুরাষ্ট্রকে?

বুধবার (২২ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় শীর্ষক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আনোয়ারুল আজিমের ঘটনা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কলকাতার নিউটাউনে আমাদের একজন এমপি হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছেন। গত দুই তিনদিন ধরে তাকে নিয়ে একটা ধোঁয়াশা ছিল। তার পরিবারসহ কেউ জানে না। চিকিৎসার জন্য তিনি ভারতে গেছেন। ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। আমাদের একজন এমপি যখন চিকিৎসার জন্য যান, তিনি কিন্তু ভারত সরকারকে জানিয়ে যান না। সেখানকার যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে গেলে নিরাপত্তার ব্যাপারটি তখনই দেখা হয়। এখানে বন্ধু রাষ্ট্রের...।

তিনি বলেন, তাকে (আনোয়ারুল আজীম) যারা হত্যা করেছে যে ফ্ল্যাটটিতে, সেটি বাংলাদেশের কেউ ভিন্ন নামে ক্রয় করেছে। ওখানে যারা হত্যা করেছে পাঁচ-ছয়জনের মতো, এর মধ্যে পাঁচজনই বাংলাদেশের। এই ব্যাপারটি নিয়ে... যার দেখতে নাড়ি, চলন বাঁকা, এই ধরনের উক্তি করা সমীচীন নয়।

সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মঞ্চ সারথি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনিসুল ইসলামসহ অনেকে।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর



২৪ ঘণ্টায়ও শেষ হয়নি সেই ট্রেনের উদ্ধার অভিযান

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশনের এক কিলোমিটার দূরে ছোট দেওড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ওয়াগন ও যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ২৩ ঘণ্টা পার হলেও শেষ হয়নি উদ্ধার অভিযান।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকেও পুরোদমে উদ্ধার অভিযান চলতে দেখা গেছে। তবে ঢাকা-জয়দেবপুর রেলপথের ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এর আগে, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে স্টেশনের দক্ষিণে আউটার সিগন্যালে সংঘর্ষে দুটি ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়। আহত হন দুই ট্রেনের লোকোমাস্টারসহ চারজন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ছোট দেওড়া এলাকায় তেলবাহী ওয়াগন ও যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনার পর জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেন চলাচল ২ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিকেলে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়।

এছাড়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের পেছনের অংশের অক্ষত বগিগুলো বিকল্প ইঞ্জিনের মাধ্যমে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। রাতভর উদ্ধার অভিযানে তেলবাহী ওয়াগনের লাইনচ্যুত পাঁচটি বগির মধ্যে তিনটি বগি অপসারণ করে পার্শ্ববর্তী স্টেশনে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত চারটি বগি রেললাইনের পাশে রাখা হয়েছে। দুটি ইঞ্জিন ও ওয়াগনের দুটি বগি উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী মিয়া জানান, গতকাল পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। রেললাইনের পয়েন্টের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম ছিল। এ কারণে হতাহত মানুষের সংখ্যা কম।


আরও খবর



ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগুন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলার স্টোর রুমে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এসময় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ধোঁয়ায় চারপাশে অন্ধকার হয়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণ ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি টিম কাজ করছে।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা যায়নি। পরবর্তীতে জানানো যাবে।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক দীপক কুমার বলেন, হঠাৎ করে হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলার স্টোর রুমে আগুন লাগে। পরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ধোঁয়ায় অন্ধকার সৃষ্টি হয়। স্টোর রুমটিতে হাসপাতালের ওষুধপত্র, যন্ত্রপাতি, ফ্রিজসহ নানা সরঞ্জাম রয়েছে।


আরও খবর



চিটাগাং চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেছেন, কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ক।

কোরিয়ার ৫ম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হচ্ছে বাংলাদেশ। এখানকার ম্যানুফ্যাকচারার, অটোমোবাইল, মোবাইল ও হোম ইলেক্ট্রনিক্স খাতে বিনিয়োগ রয়েছে কোরিয়ান কোম্পানীর। এছাড়াও বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্পে দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে কোরিয়ান কোম্পানীগুলো।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক সাথে  চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালকদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তোরণ করবে। তাই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে গুণগত অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন। ম্যানুফ্যাকচারিং খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈচিত্রতা আনতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বে পোশাক শিল্পের ৭৫ শতাংশ কটনবেইজড পোশাক রপ্তানি হয়। কিন্তু বিশ্বব্যাপী ম্যান মেইড ফাইবার পোশাকের  কদর রয়েছে। বাংলাদেশে ব্লু ইকোনমি, ট্যুরিজম, এগ্রো ও ফুড প্রসেসিং সেক্টরে অনেক উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে কোরিয়ার। বর্তমানে বাংলাদেশের কোরিয়ান কোম্পানীগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কাঁচামাল আমদানির উপর উচ্চ ট্যারিফ, ভিসা জটিলতা এবং কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স বিলম্বজনিত সমস্যা একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। বিনিয়োগের এসব বাধাসমূহ সমাধান প্রয়োজন।

চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, বাংলাদেশের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার ভৌগোলিক দূরত্ব সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরিপোশাক খাত আজকের এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে কোরিয়ার অবদান। কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নেও রয়েছে কোরিয়ার অবদান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ৮০ শতাংশ হচ্ছে কোরিয়ার বিনিয়োগ। বর্তমানে বৈশ্বিক বাজারে ম্যান মেইড ফাইবার তৈরিপোশাকের চাহিদা বাড়ছে। তাই এই সেক্টরে কোরিয়ার বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি প্রত্যাশা করছি। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানী, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্লু ইকোনমি, শিপ বিল্ডিং ও শিপিং খাতে কোরিয়ান বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনকারী শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে বাংলাদেশে এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য অপচয় হচ্ছে। তাই আধুনিক এগ্রো প্রসেসিং সেক্টরে প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ করতে পারে। বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে কোরিয়ার অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন মেঘনা নদী থেকে পানি সরবরাহ লাইন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড তথা চট্টগ্রাম শহর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে হবে।

চেম্বার সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব বলেন, বাংলাদেশে কোরিয়ান ফুডের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এছাড়া কোরিয়ার কসমেটিক্স, প্রসাধন ও ফুটওয়্যারের কদর রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের বাজার এবং বিদেশের চাহিদা মাথায় রেখে বাংলাদেশের কোরিয়ান ব্যবসায়ীদের একক বা যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

 এসময় চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, আখতার উদ্দিন মাহমুদ ও দূতাবাসের কনসুল কিম জেয়ং কি, চট্টগ্রামে কোরিয়ান এসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট জিন হুক পিক, কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান তাইয়ং প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), বেনাজির চৌধুরী নিশান, আলমগীর পারভেজ, মাহবুবুল হক মিয়া ও মোঃ রেজাউল করিম আজাদ উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর