আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

সিপিবির কমিটির সমালোচনা করে বক্তব্য, মঞ্জুরুল আহসানকে অব্যাহতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খানকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ছয় মাসের জন্য দলীয় সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে দলটির সাবেক এই সভাপতির। আজ সোমবার দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লুনা নূর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি সভায় পার্টির শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মনজুরুল আহসান খানকে উপদেষ্টার পদ থেকে স্থায়ী অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর সদস্যপদ আগামী ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। সদস্যপদ স্থগিত থাকাকালীন তাঁর কার্যকলাপ সম্পর্কে নতুন কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে সেক্ষেত্রে পুনরায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সভায় পার্টির শৃঙ্খলা, রীতিনীতি ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি গণমাধ্যমে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সমালোচনা করে মনজুরুল আহসান বলেন, বর্তমান সিপিবির নেতৃত্বে রয়েছে একটা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী। এরা অতীতেও কোনো আন্দোলন করেনি, বর্তমানেও করে না।

তিনি আরও বলেন, তাল মিলিয়ে চলতে তো পারছেই না, উল্টো আরও পিছিয়ে এসেছে। এই কমিটিকে আমরা সরিয়ে দেব। সেন্ট্রাল কমিটিতে তাঁদের একজনের মেজরিটি। সারা দেশের সদস্যদের মধ্যে আমাদের মেজরিটি বেশি। বেশিরভাগ জেলা আমাদের সমর্থন করবে। আমরা একটা রিকুইজিশন সম্মেলন ডেকে তাদের সরিয়ে দেব।


আরও খবর



শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। ইতিহাসের এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। দিবসটি উপলক্ষ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বিপথগামী একদল সেনা কর্মকর্তা নির্মম বুলেটের আঘাতে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এসময় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতক গোষ্ঠী।

বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অন্ধকার। ঠিক তেমনি এক ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব অর্পণ করা হয় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বকে ভয় পায় ঘাতক গোষ্ঠী। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে না দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে।

দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।

সেদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় আকাশে যখন শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি দেখা যায় তখন সব নিয়ন্ত্রণ আর অনুরোধ আবেদন অগ্রাহ্য করে হাজার হাজার মানুষ বিমান বন্দরের ভেতরে ঢুকে পড়ে। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই বিমানটি অবতরণ করে। জনতা একেবারেই বিমানের কাছে চলে যায়। বহু চেষ্টার পর জনতার স্রোতকে কিছুটা সরিয়ে ট্রাকটি ককপিটের দরজার একেবারে সামনে নেওয়া হয়। এসময় শেখ হাসিনা ভেতর থেকে জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন।

বেলা ৪টা ৩২ মিনিটে শেখ হাসিনা বিমান থেকে সিঁড়ি দিয়ে ট্রাকে নেমে আসেন। কুর্মিটোলা থেকে শেখ হাসিনার শেরেবাংলা নগরে এসে পৌঁছতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা। এসময় ঝড় বৃষ্টিতে নগরজীবন প্রায় বিপন্ন। রাস্তাঘাট, স্বাভাবিক জীবন যখন ব্যাহত তখন সেখানে অপেক্ষায় কয়েক লাখ মানুষ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি গণসংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হন।

১৯৮১ সালের ১৭ মে ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দ অশ্রুতে অবগাহন করে শেরেবাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।

তিনি আরও বলেছিলেন, আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেলসহ সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ১৯৭৫র ১৫ আগস্টের পর যখন ঘাতক গোষ্ঠী প্রিয় মাতৃভূমিকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলেছিল জাতীয় জীবন, তখন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল শ্রাবণের বারিধারার মতো পাহাড় সমান বাঁধা জয়ের অনন্ত অনুপ্রেরণা। সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অশ্রু-বারিসিক্ত জন্মভূমিতে সঙ্কটজয়ের বীজ রোপিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রদীপ্ত অগ্নিশপথের রৌদ্রালোকে উদ্ভাসিত হয়েছিল বাঙালি জাতি।

ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘ সংগ্রাম শুরু হয়। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সামরিক শাসক ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তার অকুতোভয় সংগ্রাম। জেল-জুলম, অত্যাচার কোনও কিছুই তাকে তার পথ থেকে টলাতে পারেনি একবিন্দু। শত প্রতিকূলতাতেও হতোদ্যম হননি কখনও। বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বারবার স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেছেন। আবির্ভূত হয়েছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা রূপে।

আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ ৪৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের নরঘাতক মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে একসময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতো সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তালাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

আজ ১৭ মে সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময়, বিকেল সাড়ে ৩টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় জাতীয় নেতা ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা বক্তব্য রাখবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

এছাড়া মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।


আরও খবর



ঝিনাইদহে উপ-নির্বাচনে লড়বেন হিরো আলম

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম এবার উপ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি ঝিনাইদহ-১ আসনে ভোট করবেন। আজ সকালে তিনি এ কথা জানান।

হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী মানুষ। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে সবার কথা বলি। সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নেব। সেইভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।’

ঝিনাইদহবাসী তাকে স্বাগত জানিয়েছেন জানিয়ে হিরো আলম বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচার চালাতে যাচ্ছি। আমি ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা আমাকে বলেছে তারা সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেছেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য সহযোগিতা করবে। আমি আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও তাদের আশ্বাস দিয়েছি, তাদের পাশে সব সময় থাকব।’

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচন। ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

এর আগে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। তারপর চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। এই আসনটি রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাষানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত।


আরও খবর



জলাবদ্ধতা নিরসনে কুইক রেসপন্স টিম গঠনের প্রস্তাব চসিক মেয়রের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিক, সিডিএ, ওয়াসা, পাউবো, বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাদের নিয়ে একটি শক্তিশালী কুইক রেসপন্স টিম গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। 

সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিকের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

চসিক মেয়র বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে জলাবদ্ধতা এখন বিশ্বব্যাপী সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এমনকি দুবাই, নিউ ইয়র্কের মতো আধুনিক শহরও ডুবে যাচ্ছে। এজন্য চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহ দ্রুত শেষ করতে হবে এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে তা দ্রুত নিরসণে চসিক, সিডিএ, ওয়াসা, পাউবো, বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিয়ে একটি শক্তিশালী কুইক রেসপন্স টিম গঠন করতে হবে।

সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, চসিক-সিডিএ মধ্যে আগে যে দূরত্ব ছিল এখন তা আর নেই। সিটি মেয়র এবং আমি মিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জলাবদ্ধতামুক্ত, বসবাসযোগ্য চট্টগ্রাম গড়তে একসাথে কাজ করব। আমি ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসণে নালাগুলোতে থাকা ওয়াসার পাইপসহ বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করতে সিডিএর প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছি। আশা করি সবাই একসাথে কাজ করে চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে পারব।   

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, সিডিএ খাল খননের প্রকল্প শেষ হওয়ার পর তা চসিককে বুঝিয়ে দিবে শুনছি। কিন্তু এ প্রকল্প পরবর্তীতে ব্যবস্থাপনার জন্য চসিককে আলাদাভাবে ফাণ্ড দিতে হবে এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। অন্যথায় এ প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাবেনা।

সভায় চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, প্লাস্টিক, পলিথিন, বোতলসহ বিভিন্ন অপচনশীল দ্রব্য খাল-নালায় গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। এজন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সমূহ যাতে প্লাস্টিক-পলিথিন ইত্যাদি রিসাইক্লিংএ যাতে এগিয়ে আসে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে।

কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্থাগুলোর মধ্যে কর্মবন্টন নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিকল্পিত নগরায়ণের উপর জোর দেন।

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি বলেন, প্লাস্টিক-পলিথিন এখন জলাবদ্ধতা নিরসণের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা বিভিন্ন খাল-নালা পরিস্কার করার পর দেখা যাচ্ছে ১০ দিনের মধ্যে আবারো প্লাস্টিক-পলিথিনে সে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর নাব্যতাও এখন পলিথিনের কারণে হুমকির মুখে। এজন্য পলিথিন বন্ধে ব্যাপক অভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রয়োজন।

সভায় বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্পের পরিচালক ফরহাদুল আলম প্রকল্পের অগ্রগতি এবং জলাবদ্ধতা নিরসণে চসিকের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলরবৃন্দসহ নগরীর বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন। বিভিন্ন সংস্থা জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি এবং করণীয় সম্পর্কে মতামত তুলে ধরে।


আরও খবর



আমদানির খবরে হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে এক দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ হিলির খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। যা গতকালকে বিক্রি হয়েছিল ৭০ টাকায়। ভারত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে যার ফলে মোকামে কমেছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।

রোববার (৫ মে) দুপুরে হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আবু মুসা বলেন, গতকাল পেঁয়াজ কিনলাম এক কেজি, দাম ছিল ৭০ টাকা। আর সেই পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা কেজি। ভারত সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে যার ফলে হিলির খুচরা বাজারে কমেছে দাম। আমদানির খবরে দাম কমেছে এইটা কেমন কথা? তার মানে দেশের কৃষক, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করেছে এটাই তার প্রমাণ। এসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

হিলির পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে হিলিতে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবুও আগের থেকে ক্রেতা অনেক কম। কারণ, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে আরও দাম কমে যাবে।


আরও খবর



মেহেরপুর স্বামীর হসোয়ার কোপে স্ত্রী নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

মেহেরপুর সদর উপজেলা গোভিপুর গ্রামে স্বামীর হসোয়ার কোপে স্ত্রী সালেহা খাতুন নিহত হয়েছে।

শুক্রবার ভোরে গ্রামের স্কুলপাড়ায় তাদের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে নিজেদের মধ্যে কলহের জেরে স্ত্রীকে কুপিয়েছে স্বামী এলাহি বক্স।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাহী বক্স ও তার স্ত্রী সালেহা খাতুন নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় ভোরে নামাজ পড়তে উঠতেন সালেহা খাতুন। এ সময় স্ত্রীর সাথে কোন কারণে কথা কাটাকাটি হলে ঘরে থাকা হাসোয়া দিয়ে কোপ মারেন স্বামী এলাহি বক্স। স্ত্রী সালেহা খাতুন আহত অবস্থায় শব্দ করলে পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এলাহি বক্স মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানাচ্ছে পরিবারের সদস্যরা। তাকে আটক করা হয়েছে। 

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার শফিকুল ইসলাম বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় সালেহা খাতুনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

মেহেরপুর সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশ এলাহি বক্সকে আটক করেছে। এ ঘটনায় সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। আরও তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর