রোববার রাত পৌনে
১০টার দিকে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাটের সহ-মহাব্যবস্থাপক মো. সফিকুল ইসলাম জানান,
ওই নৌরুটের জাজিরা সেনাবাহিনীর জেডির কাছে ঘূর্ণিস্রোত অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায়
দুর্ঘটনা এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, শিমুলিয়া
প্রান্তে ১৪০ যান ও মাঝিরকান্দিতে ১৫০টি যান পারাপারের অপেক্ষায় ছিল। দু’পাড়ের ঘাটেই মাইকিং করে ফেরি বন্ধের ঘোষণা
দেয়া হয়। অপেক্ষামান যানগুলোকে বিকল্প পথে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। আকস্মিক
এ ঘোষণায় ঘাটে অপেক্ষমান যানবাহন ও যাত্রীরা পড়ে বিপাকে।
এর আগে স্রোতের
কারণে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ২৬ মে থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ
হয়ে যায়। এখন শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি দুটি নৌপথেই ফেরি চলাচল বন্ধ
থাকায় দুর্ভোগে পড়বে মানুষ। তবে এ নৌপথেই ৮৭ টি লঞ্চ ও ১৫৫ টি স্পিডবোট চলাচল স্বাভাবিক
রয়েছে।
এদিকে শনিবার
গভীর রাতে একই এলাকায় যাত্রীবাহী ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল ও ফেরি বেগম রোকেয়ার মুখোমুখি
সংঘর্ষে এক গাড়ি চালক নিহত ও আরেক চালক ছিটকে পড়ে পদ্মায় নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ১০
জন আহত হন। দুটি ফেরিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় দুই ফেরিই দায়িত্বরত মাস্টারকে সাময়িক
বরখাস্ত এবং ঘটনার উদঘাটনে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিসি।