আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

সিলেটের নতুন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী

প্রকাশিত:বুধবার ২১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

বেসরকারিভাবে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৬১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩২১ ভোট।

বুধবার (২১ জুন) রাতে এই ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা।

বুধবার সকাল ৮টায় সিলেট সিটি নির্বাচন শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে লড়েছেন সাত জন। আগেই নির্বাচন বর্জন করে মাঠ ছেড়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান।

দলীয় মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল ও জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম। এছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মো. আবদুল হানিফ (কুটু), মো. ছালাহ উদ্দিন (রিমন), মো. শাহ্ জামান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।

অপরদিকে কাউন্সিলর পদে ৩৬০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে ২৭৩ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন নারী প্রার্থী।

আরও পড়ুন>> দেশের ভাগ্য নিয়ে কাউকে খেলতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী

এর আগে, নির্বাচন কমিশনের মনিটরিং সেল থেকে কোনো অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মিলনায়তনে সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে সিলেট সিটিতে নির্বাচন। সিসিক নির্বাচনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। মোট ৪২ ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্র ছিল ১৯০টি। এর মধ্যে স্থায়ী মোট ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৬৭টি এবং অস্থায়ী ছিল ৯৫টি। ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সিসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ মনিটরিং করা হয়।

দুই সিটির নির্বাচনে ঢাকার ইসি ভবনে মোট ২৩টি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে একই সঙ্গে ৩৬৮টি সিসি ক্যামেরায় ২৫২০টি ভোটকক্ষ পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রতি ডিসপ্লে দশ সেকেন্ড পরপর অটো রোটেড করে ৩৪৫টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে আর কেন্দ্রপ্রতি দুটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ চলে।

সর্বশেষ বরিশাল, খুলনা, গাজীপুর, রংপুর ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, ঝিনাইদহ পৌরসভা, গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনার ধারাবাহিকতায় রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সিসি ক্যামেরায় চলে ভোটের মনিটরিং।


আরও খবর



যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সরকারের বিরোধী ষড়যন্ত্র, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে মিথ্যাচার এবং ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্ত ও সরকারকে বিব্রত করার অভিযোগে বেসরকারি সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর মূখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে এই মামলা করেন।

সিএমএমের পক্ষে মহানগর হাকিম (শাহবাগ আমলী আদালত) বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ ও অভিযোগের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পুলিশ ব‍্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের তথ্য প্রকাশ করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সেখানে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গত ২০ বছর মন্ত্রী থেকেও ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন খাতের উন্নয়নে ও দুর্ঘটনা রোধে কিছুই করতে পারেননি। তিনি চাইলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারেন।

বাদী হানিফ খোকন মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন, ওবায়দুল কাদের ২০ বছর মন্ত্রীত্ব করছেন না। তিনি ১৪ বছর সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন এবং তার আমলে সড়ক যোগাযোগ খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা উল্লেখ না করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই সংখ্যা বাড়িয়ে বলেছেন।

বাদী অভিযোগ করেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতি মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং পরিবার ও সমাজে ব্যাপকভাবে সম্মানহানী করেছে। যা পেনাল কোড ৫০০/৫০১/৫০৬ ধারায় অপরাধ। জনগণকে বিভ্রান্ত ও সরকারকে বিব্রত করতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি এসব মিথ্যাচার করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বাদী হানিফ খোকনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোহাম্মদ মুশতাক আহমেদ। এর আগে একই অভিযোগে ২৩ এপ্রিল শাহবাগ থানায় জিডি করা হয়েছে।


আরও খবর



মুক্তি পেতে যাচ্ছেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মুক্তি পেতে যাচ্ছেন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর অন্তত ১১টিতে জামিন পেয়েছেন তিনি। বাকি মামলাগুলোতেও জামিন আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে। মামুনুল হক যেন এসব মামলায় জামিন পান সে বিষয়ে সহযোগিতা করতে সরকারও ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই মামুনুল হক মুক্তি পাবেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, ঈদের আগে আগে মাওলানা মামুনুল হকের জামিন ও মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু এবার যদি এই আশ্বাস বাস্তবায়ন না হয় তাহলে আমরা কর্মসূচি দেব বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি।

এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই মামলায় জামিন পান তিনি। তার আগে ২০২৩ সালের ৩ মে পাঁচ মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পান মামুনুল হক। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সব মিলিয়ে বর্তমানে অন্তত ১১টি মামলায় জামিনে আছে হেফাজতের এ নেতা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক।

১৫ দিন পর ওই মাদ্রাসা থেকে মোবাইল ও মানিব্যাগ চুরির একটি মামলায় মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে এসব মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। অর্থাৎ ২০২১ সালের ১৮ গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কারাগারেই রয়েছেন মামুনুল হক।


আরও খবর



৫ ড্রিংকস নিষিদ্ধ চেয়ে মামলা, মালিকদের তলব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিককে তলব করেছেন আদালত।ড্রিংকগুলো হলো- এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো।

আজ মঙ্গলবার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে পাঁচটি কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ এবং ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো- এগুলো ওষুধ নাকি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দিবেন।

এর আগে সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এ সময় নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বলেন, এগুলোর একটিরও অনুমোদন নেই।

তিনি আরও বলেন, ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারেনা এগুলো ওষুধ না ড্রিংকস। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামীম ইকবাল। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছি, শোনেনি কোনো কোম্পানি। কাজেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।


আরও খবর



কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে ডিবিতে তলব

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তথ্য-উপাত্ত পেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোড ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গতকাল চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে ওএসডি করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে ডিবি অফিসে ডাকা হয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এতে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় যাদের নাম এসেছে সবাইকে পর্যায়ক্রমে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথমে গ্রেপ্তার হন সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে একে একে উঠে আসে এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ড সংশ্লিষ্ট অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তা ও দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান আর অধ্যক্ষদের নাম।

সবশেষ গত শনিবার শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পরদিন রোববার চেয়ারম্যানকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে, শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে শেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে। এছাড়া গত ৪ এপ্রিল এক সংবাদ সন্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বলেন, সনদ বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়ায় তার কাছে গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপালরা।

যেসব প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল মধ্যস্থতা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাদের নামের দীর্ঘ তালিকা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে এসেছে। এছাড়া বোর্ডের ছোট-বড় সব কর্তারাই সনদ বাণিজ্যের বিষয়ে জানতেন।


আরও খবর



গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুর শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচ তলার এক কক্ষ থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. ইসরাফিল (১৭) শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার হলদি গ্রামের মো. মফিজুল হকের ছেলে ও মোছা. রোকেয়া খাতুন (১৫) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।

জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গত ৭/৮ মাস আগে তারা পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক হোসেনের বহুতল ভবনে ভাড়া থেকে ইসরাফিল স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে ও রোকেয়া স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন।

নিহত রোকেয়ার ভাই মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ৭-৮ মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করে। তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। সম্প্রতি ইসরাফিল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়েছিল। সকালে তাদের মৃত্যুর খবর পাই।

নিহত ইসরাফিলের বাবা মফিজুল হক জানান, পাশাপাশি ফ্লাটে বসবাস করতেন তারা। পরিবারের রান্নার কাজ তারা ইসরাফিলের ফ্লাটে করতেন। শুক্রবার সকালে ইসরাফিলের ফ্লাটের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে যান এবং ইসরাফিলকে ওড়নায় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রোকেয়ার মৃতদেহ খাটের ওপর বিছানায় দেখতে পান। পরে পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।

চিরকুটে লেখা ছিল, মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিও, আমি তোমাদের সাথে থাকতে পারলাম না। আমার জান আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলেছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষারোপ করি না। কারও কোনো দোষ নাই। আমার জান আমার জন্য অপেক্ষা করতাছে। সবাই ভালো থাকবা। মো. ইসরাফিল।

মা আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিও মা। মা আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁস দিল। তার জন্য সম্পন্ন আমি দায়ী। এতে কারও কোনো দোষ নাই।’

শ্রীপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রথমে স্ত্রী আত্মহত্যা করে। স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি স্বামী সইতে না পেরে তিনিও আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর