আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আসিফ নজরুলের বার্তা

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং সুশীল সমাজের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি ফেসবুক লাইভ থেকে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে সোমবার (০৫ আগস্ট) বার্তা দিয়েছেন। 

তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে, আমাদের ছাত্রসমাজ এবং জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা সেনাপ্রধান সেটা বুঝতে পেরেছেন।

তিনি আরও বলেন, ইনশাআল্লাহ আশা করি আপনাদের জন্য অনেক বড় সুসংবাদ আসছে। আমি শুধু আমার ছাত্র, আমার সন্তান সমতুল্য ছাত্র যারা আছ, তরুণ সমাজ, দেশের মানুষ আপনাদের কাছে আমার আকুল অনুরোধ- আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। ইনশাআল্লাহ এখন থেকে আমরা সঠিক পথে অগ্রসর হবো।


আরও খবর



খুলে দেওয়া হল কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

Image

রাঙ্গামাটির কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় স্পিলওয়ে ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় গেটগুলো খুলে দেওয়া হয়।

কনর্ফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) এ টি এম আব্দুজ্জাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হ্রদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। যে পরিমাণে পানি ছাড়া হয়েছে তাতে লোকালয়ে কোনও প্রভাব পড়বে না। এ বিষয়ে কাউকে আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জল কপাট খুলে দেওয়া হয়। প্রত্যাশিত পানির ইনফ্লো না পাওয়ায় গতকাল রাতে খোলা হয়নি কাপ্তাই বাঁধের কোনও গেট।

কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটে সর্বোচ্চ ২১৯ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। প্রতি ইউনিটের মাধ্যমে ৩২ হাজার সিএফএস পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে।


আরও খবর



কর্ণফুলী নদীর জায়গা ফেরত দিতে চট্টগ্রাম বন্দরের ৩ দিনের আল্টিমেটাম

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে শাহ আমানত সেতুর পশ্চিম পাশে অবৈধভাবে ১৮০০ বর্গফুট ভরাট করা জায়গা খালি করতে নির্দেশ দিলো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী ৩ দিনের মধ্যে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে অনুমোদনহীন বার্জ সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন

রোববার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বন্দরের এস্টেস শাখা থেকে কর্ণফুলী উপজেলা প্রশাসন ও অভিযুক্ত মেসার্স নাহার ট্রেডিং কাছে পৌঁছালো হয়েছে৷ মেসার্স নাহার ট্রেডিং এর প্রোপাইটর মোহাম্মদ হাবিব।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মেসার্স নাহার ট্রেডিং নামে প্রতিষ্ঠান শিকলবাহা মৌজাস্থ কর্ণফুলী নদীর বামতীরে কর্ণফুলী ব্রীজের পশ্চিম পাশে অবৈধভাবে নদী তীরে ১৮০০ বর্গফুট জায়গা ভরাটসহ চট্টগ্রাম বন্দরের অনুমতি ব্যতিত ১টি বার্জ স্থাপন করা হয়েছে। যা-প্রচলিত আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। আগামী তিন দিনের মধ্যে ভরাটকৃত নদীভূক্ত জায়গা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া ও অননুমোদিত বার্জ সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো। অন্যথায় জরিমানাসহ বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 চিঠির অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের অথরাইজড অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের ডেপুটি ম্যানেজার (এস্টেট) মুহাম্মদ শিহাব উদ্দিন বলেন, কর্ণফুলী নদীর জায়গায় অবৈধভাবে ১৮০০ বর্গফুট জায়গা ভরাট করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছি। দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে যদি জায়গাটি পরিস্কারে মেশিনারিজ সরঞ্জাম না পেলে সময় বাড়ানো হবে। তবে উক্ত জায়গা খালি করে বন্দরকে বুঝিয়ে দিতে প্রশাসনকে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইটের খোয়া, মাটি ও বালি দিয়ে কর্ণফুলী নদীর বামতীর শাহ আমানত সেতুর (নতুন ব্রিজ) নিচে নদীর জমি ভরাট করার অভিযোগ ছিলো মেসার্স নাহার ট্রেডিং ও মেসার্স আউলিয়া কর্পোরেশন নামক দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। যা স্থানীয়দের অভিযোগ প্রেক্ষিতে কর্ণফুলী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রয়া ত্রিপুরা, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা দেখতে পান।


আরও খবর



আমরা দুজনই কোটা আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম: আদালতে আনিসুল হক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রিমান্ড শুনানি চলাকালে আদালতকে বলেছেন, আমরা দুজনই (আমি ও সালমান এফ রহমান) কোটা আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম। আমি নির্দোষ। ঘটনার বিষয় কিছুই জানি না। আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাই। শুনানি শেষে তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৭টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাড্ডায় ফুজি টাওয়ারের সামনে সুমন সিকদারকে (৩১) গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের দশদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই রেজাউল আলম উল্লেখ করেন, সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক মামলার এজাহারনামীয় ৪ ও ৫ নং আসামি। এজাহারে বর্ণিত সহিংস ঘটনার বিষয়সহ ভিকটিম মো. সুমন সিকদারকে (৩১) হত্যার ঘটনা তারা অবগত আছেন। এছাড়া তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের উস্কানি দেওয়াসহ গুলি করে লোক হত্যার নির্দেশ প্রদান করিয়াছে মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।

এর আগে ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (১৪ আগস্ট) নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তাদের দুজনের দশদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।

প্রথম দফার রিমান্ড শেষে ২৪ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর নিউমার্কেট থানার পৃথক দুই মামলায় দশদিন করে বিশদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক দুই মামলায় পাঁচদিন করে দশদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের উত্তর পাশে প্রগতিস্মরণী রাস্তার উপর আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি করে মো. সুমন সিকদার (৩১)-কে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার মা মাসুমা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৯ জনকে আসামি করা হয়।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




কবির বিন আনোয়ারের যত কুকীর্তি

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকাকালে কবির বিন আনোয়ারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার প্রভাব খাটানো থেকে শুরু করে নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। সরকার ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী আমলা হওয়ায় সেসময় তাকে নিয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পেতেন না। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে থাকাকালে তার পছন্দের ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই ঠিকাদারি কাজ পেতেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন, সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন প্রকল্প, নদী খনন, ব্রিজ নির্মাণ, বেড়িবাঁধ নির্মাণ, বাঁকা অংশ সোজাকরণ এবং বেড়িবাঁধে রাস্তা পাকাকরণসহ সব কাজের বেশির ভাগ টাকা গেছে কবির বিন আনোয়ারের পকেটে। ক্ষমতার পালাবদলের মধ্যে অনেকের মতো আত্মগোপনে রয়েছেন কবির বিন আনোয়ারও। এরই মধ্যে সিরাজগঞ্জে দুই বিএনপি কর্মী ও একজন যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় তিন মামলায় আসামিও হয়েছেন সাবেক এই মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্র জানায়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব থাকাকালে কবির বিন আনোয়ার কক্সবাজারের প্যাঁচার দ্বীপে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নজিরবিহীন প্রতারণা করেছেন। সাগরের উপকূল এলাকার ভাঙন রোধে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জরুরি কাজের আবেদন নিয়ে তিনি নিজের রিসোর্ট রক্ষা করেছেন। এর ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জরুরি বরাদ্দের এই প্রকল্প আবেদন অনুযায়ী স্থানীয় অধিবাসীদের কোনো কাজে আসেনি।

গতকাল সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। সংস্থাটির দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেলের পরিচালক উত্তম কুমার মন্ডলের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়, কবির বিন আনোয়ারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, কবির বিন আনোয়ার ১৯৮৫ ব্যাচে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। ছাত্রজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। গত বছর ৩ জানুয়ারি কবির বিন আনোয়ারকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। তবে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ওই পদে তিনি ছিলেন মাত্র ১৯ দিন। এরপর তাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা করা হয়েছিল।

অভিযোগ রয়েছে, কবির বিন আনোয়ার পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব থাকাবস্থায় ২০২০ সালে ফেনী জেলায় টেকসই মুহুরী বাঁধ ও নদী ড্রেজিংসহ বন্যা প্রতিরোধে ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্প নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন প্রকল্প নামে ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্পটিতে নদী খনন, ব্রিজ নির্মাণ, মুহুরী নদীর বাংলাদেশ (ফেনী) অংশে ৯২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ, বাঁকা অংশ সোজাকরণ, লুফ, বেড়িবাঁধে রাস্তা পাকাকরণসহ সব কাজের জন্য বরাদ্দ নেওয়া হয় ৩৫০ কোটি টাকা। কিন্তু প্রকল্পের কাজ নিজের পছন্দের লোকদের দেন কবির বিন আনোয়ার। কাজ ঠিকমতো না করেই টাকা আত্মসাৎ হয়েছে।

সূত্র জানায়, তৎকালীন পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ারের নির্দেশে রামু উপজেলার রেজু খালের মোহনা এবং প্যাঁচার দ্বীপে সাগরের উপকূল ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও টিউবের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। জরুরি এই কাজের দৈর্ঘ্য ৩৩০ মিটার। ব্যয় হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। কবির বিন আনোয়ার জোরপূর্বক গরিব কৃষকের জমি দখল করে সেখানে তার রিসোর্টের রাস্তা বানান। রিসোর্টটির নাম লাইট হাউজ। কক্সবাজার গেলে তিনি সেখানেই থাকতেন।

দুদক কর্মকর্তারা জানান, কবির বিন আনোয়ার ২০০০ সালের ৩০ নভেম্বর খুনীয়াপালং ইউনিয়নের প্যাঁচার দ্বীপ মৌজায় আরএস ২৬টি দাগ থেকে ২৯৬৬ নম্বর দলিলে ২০ শতক জমি কিনেন মাত্র ৩০ হাজার টাকায়। এরপর সেখানেই তিনি রিসোর্ট বানিয়েছেন। ২০০৯ সালে রামু ভূমি অফিস থেকে এই জমি তার নামে নামজারিও করেন। তার ছেলে সামদ বিন কবিরের নামেও সেখানে জমি কেনা হয়েছে। ২০১৫ সালের ২১ মে ১০৩০ নম্বর দলিলে রামু সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দলিলটি সম্পন্ন হয়। একই মৌজায় ৬৪৪ ও ৬৪৫ দাগে ২৩ লাখ ২৭ হাজার টাকায় প্রায় সাড়ে ১৩ শতক (৫ হাজার ৭৭১ দশমিক ৭০ বর্গফুট) জমি কেনা হয়। জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী সামদ বিন কবিরের বয়স এখন ১৯ বছর। ২০০২ সালের ৯ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া সামদ বিন কবির মাত্র ১২ বছর বয়সে রেজিস্ট্রিমূলে এই জমির মালিক হন। দলিলের চৌহদ্দিতে বলা হয়েছে- পশ্চিমে কবির বিন আনোয়ার। অর্থাৎ পিতা-পুত্র পাশাপাশি জমির মালিক। ২০১৬ সালের ২৬ এপ্রিল জমিটি নামজারি সম্পন্ন হয়। মূলত ছাত্র অবস্থায় সচিবের ছেলে দামি এই সম্পদের মালিক হয়েছেন।


আরও খবর



শেখ হাসিনাসহ ৯১ জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় হত্যা মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (১৭ আগস্ট) মধ্যরাতে রাজধানীর লালবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহর বাবা কামরুল হাসান।

মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্য প্রতিমন্ত্রীসহ ৯১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মতো আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজএর শিক্ষার্থী খালিদ সাইফুল্লাহও অংশ নেয়। গত ১৮ জুলাই, আসামিদের প্রত্যক্ষ মদদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান খালিদ। পরে ২০ জুলাই হাসপাতালে তার মরদেহ শনাক্ত করা হয়।

মামলার বাদীর অভিযোগ, মামলা নিয়ে শুরু থেকেই গড়িমসি করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

পরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় রাত দুটা নাগাদ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মামলার এজাহার গ্রহণ করা হয় বলে জানান বাদী কামরুল হাসান।


আরও খবর