পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম পার হলেও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতিবাজ ভিসি জামাল পদত্যাগ না করায় দুর্নীতিবাজ ভিসির পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা ভিসির কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে।
আজ সোমবার সকালে দুর্নীতিবাজ ভিসির দোসর রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েবের নেতৃত্বে নিয়োগ বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির সাথে জড়িতরা ক্যাম্পাসে আসলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা তাদের ক্যাম্পাস ত্যাগে বাধ্য করে।
এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা তাদের ধাওয়া দিলে শোয়েব এবং তার সহযোগীরা ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় আন্দোলনরত ছাত্ররা বলেন বিগত দিনে ভিসির সাথে যোগসাজসে রেজিস্ট্রার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির আখড়া গঠে তোলেন। তার রেজিস্ট্রার পদে যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়ে টেন্ডারবাজির মাধ্যমে নিজের লোকদের ঠিকাদারী কাজ দেয়া ছাড়াও বিভিন্ন পদে যোগ্যতাছাড়াই নিয়োগ দিয়ে সমালোচিত হওয়ার খরব দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়।
এক পর্যায়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা প্রশাসন ভবন ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় তারা দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বরপুত্র জামালের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।
পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ড. মো. ছিদ্দিকুল ইসলামের কাছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সিলেটের সমন্বয়ক গোলাম মুর্তজা ও সিকৃবির সমন্বয়ক আজিজুল হক আজাদের নেতৃত্বে ৭ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।
১. ক্যাম্পাসে লেজুরভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।
২. অনতিবিলম্বে ক্যাম্পাসের সকল কার্যক্রম চালু করা, আবাসিক হল সমূহ খুলে দেওয়া এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৩. দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ চালু করা।
৪. শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।
৫. বৈধ ছাত্রদের হলে সিট প্রদানের ব্যবস্থা করা।
৬. অছাত্রদের দ্রুত নোটিশের মাধ্যমে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া।
৭. যে সকল ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী দ্বারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা হুমকি, মারধর ও হয়রানির শিকার হয়েছে তাদেরকে পদত্যাগ ও ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা। এ সময় বৈষম্যরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল যৌক্তিক দাবীসমূহ অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান আন্দোলনরত সাধারন ছাত্ররা।