আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সিএমপির ১১ থানায় কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ আগস্ট ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ১৬ থানার মধ্যে ১১ থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে এসব থানায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়াও মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের অভিযানের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও কর্মকর্তারা অফিস করছেন।

কার্যক্রম শুরু হওয়া থানাগুলো হচ্ছে- চান্দগাঁও, বায়েজিদ বোস্তামী, খুলশী, পাঁচলাইশ, সদরঘাট, চকবাজার, বাকলিয়া, পাহাড়তলী, আকবরশাহ, কর্ণফুলী ও বন্দর।

এদিকে যেসব থানায় হামলা হয়নি বা কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আর যেসব থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, সেসব থানায় পুলিশ সদস্যরা এলেও সেখানে পুলিশের বসার মতো অবস্থা ছিল না। তাই সিএমপির ৫ থানায় এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত সোমবার বিকেল থেকে বন্দরনগরী অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা-পুলিশের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট হয়। এরপর পুলিশি ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে।

সিএমপি কমিশনার মো.সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ১৬ থানার মধ্যে ১১ থানার কার্যক্রম শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়েছে। সিএমপির ৫ থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, সেসব থানায় পুলিশ সদস্যরা এলেও সেখানে পুলিশের বসার মতো অবস্থা ছিল না। তাই সিএমপির ৫ থানায় এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।

তিনি বলেন, আমাদের ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, পুলিশে লেজুড়বৃত্তি চান না। স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করার দাবি তাঁদের। 

সিএমপি উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোখলেসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন,  আমার অধীনে চার থানা রয়েছে। চার থানার কার্যক্রম সকাল থেকে শুরু হয়েছে।

সিএমপি গোয়েন্দা (উত্তর ও দক্ষিণ) উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাদিরা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে অফিসে জয়েন্ট করেছি। আমাদের অভিযান বন্ধ রয়েছে।

সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বাংলানিউজকে বলেন, আগামীকাল শনিবার থেকে হালিশহর, ডবলমুরিং ও কোতোয়ালী (থানা প্রাঙ্গণে) থানার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু হবে। একইদিন ইপিজেড থানার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে নিউমুরিং ফাঁড়িতে শুরু হবে। এছাড়াও পতেঙ্গা থানার কার্যক্রম শুরু করার জন্য নতুন ভবন খোঁজা হচ্ছে।

চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোমিনুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের থানায় পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই সাদাপোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা ও জিডি হয়নি।


আরও খবর



যেসব রাস্তা দিয়ে যাবে ‘শহীদি মার্চ’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাস পূর্ণ হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর)। দিনটি ঘিরে শহীদি মার্চ কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শহীদি মার্চ শুরু হবে। এরপর নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, কলাবাগান, মিরপুর রোড হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ও রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত হবে।

এদিকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে সারাদেশে বিভাগীয় ও জেলা শহরে সফর কর্মসূচি শুরু করা হবে বলেও জানা গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে সারজিস আলম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে শহীদি মার্চ হবে। সারাদেশে ইউনিয়ন থেকে মহানগর সব পর্যায়ে শহীদদের স্মৃতি ধারণ করে, আহত ভাইবোন যারা হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন, যে ভাইবোনেরা হাত-পা-চোখ হারিয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে শিশু-কিশোর-যুবক নারীসহ অন্তত ১ হাজার জনের প্রাণহানি ও কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা-নির্যাতনে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর রাষ্ট্রপতি সরকার ভেঙে দিলে আওয়ামী লীগের টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনে নেতিবাচক অবসান হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ শপথ গ্রহণ করেন।


আরও খবর



স্কুলে ইসরায়েলের বোমা হামলা, জাতিসংঘের ৬ কর্মী নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী মধ্য গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত আল-জাউনি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছয়জন জাতিসংঘের কর্মী। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) আলজাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুলটিতে হামলায় নিহতদের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থাপকসহ ছয়জন ইউএনআরডব্লিউএ-এর কর্মী। সংস্থাটি বলেছে, ১১ মাসের যুদ্ধে একক ঘটনায় এটিই তার কর্মীদের জন্য সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলায় নারী ও শিশুদের দেহ টুকরো টুকরো হয়ে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় মানুষ সেসব কুড়িয়ে এক স্থানে জড়ো করেন।

স্কুলটি জাতিসংঘ পরিচালনা করছিল। সেখানে বেসামরিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। স্কুলে ইসরায়েলের হামলার পরের ফুটেজে দেখা গেছে, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পড়ে থাকা ইউএনআরডব্লিউএ-এর লোগো পড়ে আছে। উদ্ধারকারীরা টুকরো মরদেহ খাবারের ব্যাগে করে সরিয়ে নিচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। দেশটির এ হামলার জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে এ যুদ্ধ শুরু হয়। ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর রূপ নেয় যুদ্ধ। এরপর থেকে গাজার ওপর বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এমনকি তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদসহ ধর্মীয় স্থাপনাও।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার ২০ লাখ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। দেশটির হামলার কারণে ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, ইসরায়েলে হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন গাজার ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি আর ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা। এ ছাড়া ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক আদালতে গাজায় গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে দেশটি।


আরও খবর
জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




চট্টগ্রামের নতুন জেলা পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিনের যোগদান

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দিয়েছেন রায়হান উদ্দিন খান।  রোববার (১ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের দায়িত্বগ্রহণ করেন তিনি।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নবনিযুক্ত পুলিশ সুপারকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে নগরের পাঁচলাইশ থানার চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশের একটি চৌকস দল সশস্ত্র সালাম প্রদান করেন।

এ সময় সুপারের কার্যালয়ের কর্মরত অফিসার ফোর্সদের সবাইকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রদান করেন চট্টগ্রাম জেলা নবাগত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান। তিনি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের বিভিন্ন সেকশন পরিদর্শন করেন।

এ সময় চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এ.এন.এম ওয়াসিম ফিরোজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) সুদীপ্ত সরকার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



বাঁশখালীতে পৌর মেয়রসহ অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণ আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র তোফাইল বিন হোছাইনসহ বাঁশখালীর অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধি এখন লাপাত্তা। আত্মগোপনে চলে গেছেন অনেকে। তাদের অফিস ফাঁকা পড়ে আছে। এই নেতৃত্বহীনতার কারণে সাধারণ মানুষ, যারা পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে প্রয়োজনীয় সেবা নিতে যান, তারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে বাঁশখালীর আওয়ামী লীগ নেতা এবং নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত পৌরসভার মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানরা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন।

তাদের মধ্যে স্বতন্ত্রভাবে বিজয়ী পুইছড়ির তারেকুর রহমান, সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কে এম সালাহউদ্দিন কামাল, পুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিন, শেখেরখীল ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল ইসলাম ফারুকী এবং বাহারছড়ার রেজাউল করিম ইউনুস নিয়মিত অফিস করছেন। তাছাড়া গন্ডামারা ইউপি চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী কারাগার থেকে মুক্ত হলেও তার ইউনিয়ন গন্ডামারায় এখনো ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রয়ে গেছে। লেয়াকত আলী গত বছর প্রথমবার গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই মেম্বার ওসমান গণি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর অন্যান্য রাজবন্দিদের মত চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীও মুক্তি পান।

 এছাড়া বাঁশখালীর অন্যান্য সকল ইউপি চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এমনকি সাবেক দুইবারের এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীও লাপাত্তা। গত জুন মাসে সাংবাদিক ও তার প্রতিপক্ষ কয়েকজনকে সাবেক এমপির গালাগালি ও হুমকি ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আইসিটি আইনে একটি এবং হুমকির বিষয়ে পৃথক পৃথক মামলা হওয়ার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন মোস্তাফিজ। সরকার পরিবর্তনের পর সাবেক এই এমপির চাচা চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ এমনকি তার মেয়ে যুব মহিলালীগ নেত্রী রওকত নুর প্রিয়তারও কোন হদিস নেই।

বাঁশখালীতে বর্তমানে আত্মগোপনে থাকা জনপ্রতিনিধিরা হলেন, পৌরসভার মেয়র তোফাইল বিন হোছাইন, ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ, চাম্বলের মুজিবুল হক চৌধুরী, শীলকূপের কায়েস সরওয়ার সুমন, বৈলছড়ির কফিল উদ্দিন, সরলের রশীদ আহমদ চৌধুরী, খানখানাবাদের জসীম উদ্দিন হায়দার, কালীপুরের শাহাদাত আলম এবং কাথরিয়ার ইবনে আমিন।

ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ সম্পর্কে মোজাম্বিকে পালানোর গুঞ্জন থাকলেও তিনি বাড়িতেই আছেন। যদিও ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত। অন্যদিকে, গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা লেয়াকত আলী জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় ফিরেছেন। তিনি স্বৈরাচার হাসিনাকে হুমকি দেওয়ার অপবাদে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন এবং একাধিক মামলায় জেলে ছিলেন বলে দাবি করেন। এখন তিনি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পেতে আইনি লড়াই করছেন এবং আবার জনগণের সেবায় ফিরতে আশাবাদী।

গত ৫ আগস্ট বাঁশখালী আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। একই সময়ে চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীর বাড়িতেও আগুন দেয়া হয়। মুজিবের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তার এবং তার ভাইয়ের বাড়িসহ পার্শবর্তি মাওলানা খালেদুর রহমানের বাড়িটিও সম্পুর্ণরূপে পুড়ে যায়। তিনি চট্টগ্রাম শহরের পতেঙ্গায় একটি মসজিদের ইমাম এবং জলদী বড় মাদরাসার সাবেক শিক্ষক। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইনের পিতাকে মারধর এবং তার বাড়িও জ্বালিয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

মুজিবুল হক চৌধুরী পিটার হাসকে হুমকি দেওয়ার জন্য আলোচনায় ছিলেন। এর আগে ৪ আগস্ট জামায়াত নিয়ন্ত্রিত চাম্বল জেনারেল হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ ও ছাত্রদের মারধরের অভিযোগ ওঠে মুজিবুলের বিরুদ্ধে। গতকাল এই রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোছাইন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরীমন আক্তারও অফিসে অনুপস্থিত রয়েছেন। এই বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেছেন, তিনি এলাকাতেই আছেন। পরিবেশ পরিস্থিতি আরেকটু উন্নতি হলে নিয়মিত অফিস করবেন তিনি।

চাম্বল ইউনিয়নের মুন্সীখীল এলাকার বাসিন্দা আরাফাত সানি বলেন, চাকরির আবেদনের জন্য চেয়ারম্যান সনদ নিতে গত তিনদিন ধরে পরিষদে ঘুরঘুর করছি। কিন্তু চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে সেটি তিনি পাচ্ছি না। চেয়ারম্যান সনদ না পেলে আমার চাকরির আবেদন করা হবে না।

একই এলাকার আবদুল মজিদ নামের এক শিক্ষার্থী জানান, স্থায়ী বাসিন্দা সনদ ছাড়া ছাত্রাবাসে সিট বরাদ্দ পেতে আবেদন করতে পারছি না। এ কাজে কয়েকদিন ধরে পরিষদে ঘুরছি। প্রতিদিন যাতায়াতে অর্থ ও শ্রম ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।

অন্যদিকে, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপি, এর অঙ্গসংগঠন, ইসলামী আন্দোলন, হেফাজত ও আলেম ওলামারা এবং জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন টিম তৈরি করে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, থানা, মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি পাহারা দিচ্ছেন। গত শনিবার থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী এবং সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে থানার কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে।

বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ জানান, আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জনসাধারণকে থানায় সেবা নিতে আসার জন্য বলেছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।


আরও খবর



বন্যায় ব্যাহত মোবাইল নেটওয়ার্ক, ১২ জেলায় ২০২৫ টাওয়ার অচল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১৫টির অধিক জেলা। যার প্রভাব পড়েছে টেলিযোগাযোগ খাতে। ১২টি জেলায় বন্যার পানিতে অচল হয়ে গেছে ৫টি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির প্রায় ২ হাজার ২৫টি টাওয়ার। ফলে এসব এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিভাগটির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বিকের ৫টা পর্যন্ত হালনাগাদ করা তথ্যের ভিত্তিতে জানান, বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলো হচ্ছে, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ এবং রাঙ্গামাটি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুমিল্লা এলাকার মোবাইল অপারেটর কোম্পানির টাওয়ার। এখানে প্রায় ৬০৯টি টাওয়ার অচল হয়ে গেছে।

এছাড়া নোয়াখালী জেলায় ৩৪৪টি, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৮৪টি, ফেনী জেলায় ৪৬৬টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৩২টি, চাঁদপুরে ১২১টি, চট্টগ্রাম জেলায় ১৯৪টি, খাগড়াছড়ি জেলায় ৯৪টি, হবিগঞ্জ জেলায় ৬টি, মৌলভীবাজার জেলায় ৪২টি, সুনামগঞ্জ জেলায় ২৪টি এবং রাঙ্গামাটি জেলায় ৯টি টাওয়ার অচল হয়ে গেছে।

সব মিলিয়ে আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ টাওয়ার অচল হয়েছে। ১২ হাজার ১৭৯টি টাওয়ারের মধ্যে এখনও সচল রয়েছে ১০ হাজার ১৫৪টি।

অপরদিকে, বন্যা কবলিত এলাকার জনগণের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার জন্য বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় ১০টি ভি-স্যাট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আর এরই মধ্যে ৫টি ভি-স্যাট ফেনীতে পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বন্যা কবলিত এলাকার জনগণের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার জন্য বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় ১০টি ভি-স্যাট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারমধ্যে ৫টি ভি-স্যাট ফেনীর জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর