আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

শহীদ ইশমামের নামে সড়ক ও পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেয়া হবে: চট্টগ্রাম ডিসি

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পরলোকগত লোহাগড়ার কৃতি সন্তান শহীদ ইশমামের স্মরণে তার বাড়ির সন্নিকটে কাঁচাসড়কটি যা অনেকদিন ধরে ইশমামের পরিবারসহ এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কারণ, সেখানে পাকা সড়ক নির্মাণ করা হবে এবং এটি শহীদ ইশমামের নামে নামকরণ করা হবে।

সোমবার (১২ আগস্ট) বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলা পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক এ প্রতিশ্রুতি দেন।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিসহ আন্দোলনের অন্যান্য প্রতিনিধিগণ।

লোহাগাড়া পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আন্দোলনে শহীদ ইশমামের কবর জিয়ারত করেন এবং পরবর্তীতে তার বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এসময় জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে শহীদ ইশমামের পরিবারকে এক লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। পাশাপাশি জেলা প্রশাসক দ্রুত শহীদ ইশমামের বড় ভাইকে একটি চাকরিতে নিয়োগের আশ্বাস দেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে আরও সহায়তা আনয়নে সচেষ্ট থাকবেন বলে জানান।

পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া লোহাগাড়া থানা ও ক্ষতিগ্রস্ত লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ এবং সাতকানিয়া থানা পরিদর্শন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, জনজীবন স্বাভাবিক করতে চাইলে থানাগুলো সচল না করার বিকল্প নেই, এবং এজন্য আমাদের শিক্ষার্থীরাই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এগিয়ে এসে থানার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সাহায্য করবে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে জেলা প্রশাসনের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমার দৃঢ বিশ্বাস শিক্ষার্থীদের সহায়তায় আমার পুলিশ বাহিনীর ভীতি অনেকটা দূরীভূত হবে এবং জনমনে স্বস্তি ফিরে আসবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম  সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন,  আমাদের আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে একটি কুচক্রী গোষ্ঠী হামলা গুলো চালিয়েছে; এ কাজ শিক্ষার্থীদের হতে পারে না। আমি সবাইকে অনুরোধ করব ছাত্র আন্দোলনের নামে কেউ যেন আপনাদের দিকভ্রান্ত করতে না পারে। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম জেলাকে তিনটি ভাগে উত্তর জেলা, দক্ষিণ জেলা ও মহানগরে আমাদের তিনটি প্রতিনিধি দল নিয়োজিত রয়েছে। জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে আমাদের এই প্রতিনিধিরা জনজীবন স্বাভাবিক করতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছে এবং করবে। এসময় তিনি শহীদ ইশমামের পরিবারের জন্য এগিয়ে আসায় এবং শিক্ষার্থীদের সাথে সমন্বয় করে এরূপ অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রমের জন্য জেলা প্রশাসককে সাধুবাদ জানান।

পরিদর্শনের পাশাপাশি জেলা প্রশাসক স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে আলাপচারিতায় তাদের অভয় বাণী দেন এবং দেশ গঠনে সচেষ্ট শিক্ষার্থীদের পাশে এগিয়ে আসার আহবান জানান। দিনব্যাপী এই পরিদর্শনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইনামুল হাছান, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন বিশ্বাস সহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও এনএসআই কর্মকর্তাগণ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদ

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মইন ইউ আহমেদ।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থানরত মইন ইউ আহমেদ গত বৃহস্পতিবার তার ইউটিউব চ্যানেলে ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিজের ভাষ্য তুলে ধরেন।

রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ২০০৯ সালে ঘটেছিল দেশের ইতিহাসের নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড। বিডিআরের বিদ্রোহে ওই সময় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়।

মইন ইউ আহমেদ ২৫ আগস্ট ইউটিউব চ্যানেলটি খোলেন। সেখানে ২৯ মিনিটের ভিডিও বার্তায় তিনি সেদিনের ঘটনা তুলে ধরেন।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সেনাবাহিনী ও তৎকালীন সেনাপ্রধানের ভূমিকা অনেকের জানা নেই। অনেকে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করছেন। ভূমিকা কী ছিল, তা তিনি জানাতে চান।

মইন ইউ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনীর অব্যবহৃত কিছু অস্ত্র বিডিআরকে দেওয়া নিয়ে বাহিনীটির তৎকালীন মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের (হত্যাকাণ্ডে নিহত) সঙ্গে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে তার কথা হয়। তিনি অস্ত্রগুলো নিতে রাজি হন। তখন পর্যন্ত বিদ্রোহ সম্পর্কে তিনি (বিডিআরের ডিজি) কিছুই জানতেন না বলেই সাবেক সেনাপ্রধানের বিশ্বাস।

একটি বৈঠকে থাকার সময় ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পিলখানায় কিছু একটা ঘটার তথ্য জানতে পারেন বলে উল্লেখ করেন মইন ইউ আহমেদ। তিনি বলেন, আমার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি কর্নেল ফিরোজ রুমে প্রবেশ করেন এবং আমাকে কানে কানে বলেন, পিলখানায় গন্ডগোল হচ্ছে। আপনার দিকনির্দেশনা প্রয়োজন।

মইন ইউ আহমেদ জানান, তিনি তখন ওই সভা স্থগিত করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বিডিআরের ডিজির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তাদের ফোন ধারাবাহিক ব্যস্ত ছিল। সামরিক গোয়েন্দারা তখন তাকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান। ভয়াবহতা উপলব্ধি করে তিনি তখন সময় বাঁচাতে কারও নির্দেশ ছাড়াই সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডকে অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশ দেন। তারা তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধপ্রস্তুতি শুরু করে, যার নামকরণ করা হয় অপারেশন রি-স্টোর অর্ডার

সকাল ৯টা ৪৭ মিনিটে বিডিআরের ডিজিকে ফোনে পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করেন মইন ইউ আহমেদ। তিনি বলেন, বিডিআর ডিজি এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। তিনি (মহাপরিচালক) বলেন, দরবার চলাকালীন দুজন সশস্ত্র সৈনিক দরবার হলে প্রবেশ করে। একজন ডিজির পেছনে এসে দাঁড়ায়, অপরজন দরবার হল অতিক্রম করে বাইরে চলে যায়। তার পরপরই বাইরে থেকে গুলির শব্দ আসে। গুলির শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে দরবার হলে উপস্থিত সৈনিকেরা গন্ডগোল শুরু করে দেয়। তারা দাঁড়িয়ে যায়। দরবার হল থেকে বের হয়ে যায়।

মইন ইউ আহমেদ বলেন, মনে হলো সব পরিকল্পনার অংশ। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হচ্ছে।

মইন ইউ আহমেদ বলেন, অনেকে মনে করে, বিডিআর ডিজি সাহায্যের জন্য আমাকে কল করেছিলেন। এটা সত্য নয়। আমি বিডিআর ডিজিকে ফোন করি এবং আমরা কী ব্যবস্থা নিচ্ছি, তা ওনাকে জানিয়ে দিই।

ওই দিন সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় বলে উল্লেখ করেন মইন ইউ আহমেদ। তিনি বলেন, এর মধ্যেই তিনি (শেখ হাসিনা) বিডিআর বিদ্রোহ সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়ে গিয়েছিলেন। এ সময় আমি তাকে অপারেশনের কথা জানালে তিনি জানতে চান, কতক্ষণ সময় লাগবে ব্রিগেডকে তৈরি করতে? আমি বললাম, সাধারণত ছয় ঘণ্টা লাগে। তবে তাড়াতাড়ি করে দুই ঘণ্টার মধ্যে তৈরি করা যায়।

৪৬ ব্রিগেডকে পিলখানায় যাওয়ার অনুমতি শেখ হাসিনা দিয়েছিলেন বলে জানান মইন ইউ আহমেদ। ব্রিগেডটি এক ঘণ্টার মধ্যে যাত্রা শুরু করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৪৬ ব্রিগেডের তৎকালীন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাকিমের নেতৃত্বে ১০ জন কর্মকর্তা ও ৬৫৫ জন সৈনিক পিলখানার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রিগেডের অগ্রবর্তী দল জাহাঙ্গীর গেট অতিক্রম করে।

ওদিকে বিদ্রোহীরা বিডিআর গেটগুলোর সামনে আক্রমণ প্রতিহত করতে বিভিন্ন অস্ত্র মোতায়েন করে বলে উল্লেখ করেন মইন ইউ আহমেদ। তিনি বলেন, বেলা ১১টায় ৪৬ ব্রিগেডের প্রথম গাড়িটি পিলখানার মেইন গেটের কাছাকাছি পৌঁছালে বিদ্রোহীরা একটি পিকআপ লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালায়। এতে চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান। চালকের পাশে বসা একজন গুরুতর আহত হন।

সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে তার অফিস থেকে বিডিআরের মহাপরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তবে তা সম্ভব হয়নি। হয়তো এর আগেই তাকে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি তৎকালীন লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসের বরাত দিয়ে বলেন, শামসের ধারণা অনুযায়ী, সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যেই অনেক অফিসারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেনাবাহিনীর ব্রিগেড পৌঁছায় ১১টার পরে।

মইন ইউ আহমেদ বলেন, ক্যাপ্টেন শফিক তার নেতৃত্বে ৩৫৫ জন র‍্যাব সদস্য নিয়ে পিলখানায় পৌঁছান ১০টার আগেই। এ সময় তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পিলখানায় প্রবেশের অনুমতি চাইলেও তা পাননি। তিনি অনুমতি পেলে হয়তো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সুবিধা হতো এবং এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না।

সাবেক সেনাপ্রধান জানান, ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে পিএসও এএফডি (প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারসশস্ত্র বাহিনী বিভাগ) তাকে জানান, সরকার রাজনৈতিকভাবে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। বিদ্রোহীরা দাবি করেছে যে, কোনো আলোচনার আগে সেনাবাহিনীকে এই এলাকা থেকে চলে যেতে হবে। তাই সরকার আদেশ করেছিল, সেনাবাহিনীর সদস্যদের দৃষ্টির আড়ালে চলে যেতে হবে। অন্তত দুই কিলোমিটার উত্তরে চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়। সমঝোতা না হলে তখন সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে।

আনুমানিক দুপুর ১২টায় পিএসও ফোন করে জরুরি ভিত্তিতে মইন ইউ আহমেদকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যমুনায় যেতে বলেন। তিনি সেখানে যান। মইন ইউ আহমেদ বলেন, বেলা একটার দিকে সাদা পতাকা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম আলোচনার জন্য পিলখানায় যান। এরই মধ্যে সরকার থেকে বলা হলো, সেনাবাহিনী পিলখানার প্রধান ফটক এলাকায় থাকবে। র‍্যাব ও পুলিশ আরও দুটি এলাকায়। ডেইরি গেট এলাকাটি অরক্ষিত ছিল।

মইন ইউ আহমেদ বলেন, যমুনায় গিয়ে তিনি অনেক লোককে দেখেন, যাদের কোনো কাজ ছিল না। কৌতূহলবশত এসেছিলেন। মন্ত্রিসভা বৈঠক করছিল। কোনো সিদ্ধান্ত আসছিল না। ওই সময় পিলখানা থেকে পালিয়ে আসা একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, সেখানে অনেককে হত্যা করা হয়েছে।

মন্ত্রিসভার পর আরেকটি ছোট বৈঠক করে তিন বাহিনীর প্রধানদের শেখ হাসিনা ডাকেন বলে উল্লেখ করে মইন ইউ আহমেদ বলেন, তিনি যাওয়ার দেড় ঘণ্টা পরে বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধান সেখানে যান। শেখ হাসিনা তাদের জানান, রাজনৈতিকভাবে সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে। শেখ ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম বিদ্রোহীদের একটি দলকে নিয়ে যমুনায় আসছেন এবং তারা (বিদ্রোহীরা) সাধারণ ক্ষমা চায়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) বলেন, বিদ্রোহীদের কিছু বলার থাকলে তিন বাহিনীর প্রধান যেন তাদের বলেন।

মইন ইউ আহমেদ বলেন, তখন আমি তাকে (শেখ হাসিনা) বলি, অনেকে নিহত হয়েছেন। তাদের কোনো দাবি মানা যাবে না। আপনি তাদের বলবেন, প্রথমত, অফিসার হত্যা এই মুহূর্তে বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের সবাইকে এখনই মুক্তি দিতে হবে। তৃতীয়ত, অস্ত্রসহ বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণ করতে হবে এবং চতুর্থত, সাধারণ ক্ষমা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

একটা পর্যায়ে শেখ হাসিনা বিদ্রোহীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বলে উল্লেখ করেন মইন ইউ আহমেদ।

তিনি বলেন, বৈঠকে শেখ ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম ছিলেন। প্রথম পর্যায়ে আলোচনা তার (মইন) জানা নেই। পরের পর্যায়ে তাকে ডাকা হয়। সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের জন্য বলেন। বিদ্রোহীরা ৬টা ৩৭ মিনিটে যমুনা থেকে পিলখানার উদ্দেশে রওনা দেয়। সেখানে গিয়ে তারা ঘোষণা দেয়, সাধারণ ক্ষমার প্রজ্ঞাপন না হলে তারা আত্মসমর্পণ করবে না। তারা গোলাগুলিও শুরু করে। কর্মকর্তাদের খুঁজতে থাকে।

মইন ইউ আহমেদ আরও বলেন, রাত ১২টায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, শেখ ফজলে নূর তাপস ও তৎকালীন আইজিপি পিলখানায় যান আলোচনার জন্য।

একপর্যায়ে বিদ্রোহীরা কিছু অস্ত্র সমর্পণ করে এবং আটটি পরিবারকে মুক্তি দেয়। শুধু তিনটি পরিবার ছিল সেনা অফিসারদের। সাহারা খাতুন জানতেন অফিসারদের বন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি তাদের মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগ নেননি, কোনো খোঁজও নেননি।

২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আবার গোলাগুলি শুরু করে বিদ্রোহীরা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে ডেকে নেন জানিয়ে মইন ইউ আহমেদ বলেন, তাকে জানানো হয় বিদ্রোহীরা আত্মসমর্পণ না করলে সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি সাভার থেকে ট্যাংক আনার অনুমতি চান। সেটা দেওয়া হয়। তিনি ট্যাংক রওনা দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দেন। অন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হয়।

মইন ইউ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি ও ট্যাংক আসার কথা শুনে বিদ্রোহীরা কোনো শর্ত ছাড়া আত্মসমর্পণে রাজি হয়। শেখ হাসিনা বেলা দুইটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের সময়সীমা বেঁধে দেন। সেই পরামর্শ তিনি (মইন) দিয়েছিলেন।

সেনাবাহিনীর আক্রমণ প্রস্তুতি দেখে বিদ্রোহীরা আলোচনা ও আত্মসমর্পণের জন্য উদ্‌গ্রীব হয় এবং সাদা পতাকা টানিয়ে দেয়। রাতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি দল পিলখানায় প্রবেশ করে এবং বিদ্রোহীরা আত্মসমর্পণ করে। এর মাধ্যমে ৩৩ ঘণ্টার বিদ্রোহের অবসান হয়। প্রাণ হারান ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা, যারা সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড ছিলেন।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত নিয়েও কথা বলেন মইন ইউ আহমেদ। তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় আমি যখন তদন্তের আদেশ দিই, তখন আমাকে বলা হয়; যখন সরকার এই বিষয়ে তদন্ত করছে, তখন আমাদের এর প্রয়োজনটা কী?

মইন ইউ আহমেদ বলেন, প্রতিউত্তরে তিনি বলেছিলেন, এত সেনা অফিসার হত্যার কারণ তাকে বের করতে হবে। তারপর সরকার আর উচ্চবাচ্য করেনি। তবে তদন্তে সরকার তেমন সহায়তা করেনি। সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা)।

মইন ইউ আহমেদ বলেন, তিনি আশা করেন, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তদন্ত কমিটি পুনর্গঠিত করে জড়িত ব্যক্তিদের বের করতে সক্ষম হবেন। তিনি নতুন সরকার গঠনের পর মুঠোফোনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছেন।

বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে মইন ইউ আহমেদ বই লিখেছেন এবং তা শিগগিরই প্রকাশিত হবে বলে ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করেন।


আরও খবর



এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচিত ব্যবসায়ী এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআরের আয়কর বিভাগের রাজধানীর কর অঞ্চল-১৫ থেকে আজ বৃহস্পতিবার এসংক্রান্ত চিঠি সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।

এস আলম শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে। সদ্য বিদায়ী সরকারের আমলে সুবিধাভোগী অন্যতম বড় শিল্পগোষ্ঠী ছিল এস আলম গ্রুপ।

কর অঞ্চল-১৫ সূত্রে জানা গেছে, এস আলমের (সাইফুল আলম) স্ত্রী ফারজানা পারভীন, মা চেমন আরা বেগম এবং ভাই আবদুল্লাহ হাসানের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের পিতা-মাতা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে বা বোনের যৌথ নামে অথবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের তথ্যও তলব করা হয়েছে। এর মানে, এস আলমসহ তার পুরো পরিবারের সদস্যদের যাবতীয় ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে এনবিআর।

এ ছাড়া তাদের নামে থাকা ক্রেডিট কার্ডের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ও ডাক বিভাগের কাছে থাকা হিসাবের তথ্য চেয়েছে কর অঞ্চল-১৫।

এস আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ভাই আবদুল্লাহ হাসান হলেন এস আলম লাক্সারি চেয়ার কোচ সার্ভিস, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল লিমিটেডের পরিচালক। আর এস আলমের মা চেমন আরা বেগম এস আলম লাক্সারি চেয়ার কোচ সার্ভিসের পরিচালক।

এস আলম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে গত এক দশকে ব্যাংক দখল, অর্থ পাচারসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের নানা অভিযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয়ে তিনি এসব কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর কর্মকর্তা জানান, এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের কর নথির সঙ্গে বাস্তব সম্পদের তথ্য যাচাইবাছাই করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ইয়েমেনে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা, নিহত ৮৪

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের আল হুদায়দা প্রদেশে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের জেরে বন্যা দেখা দিয়েছে। আকস্মিক এই বন্যায় ইতোমধ্যে প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮৪ জনের এবং আহত হয়েছেন আরও অনেক।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ক্ষমতাসীন হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম সাবা নিউজ এজেন্সি গতকাল ৩০ আগস্ট এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রাদেশিক রাজধানী আল হুদায়দা সিটির প্রবেশমুখও বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া প্রদেশের বিভিন্ন গ্রাম-শহরে হাজার হাজার বাড়িঘর ডুবে গেছে, অবকাঠামো এবং কৃষির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং বহু এলাকার পথ-ঘাট ও সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ধ্বংস হয়ে গেছে।

চলতি মাসের শুরু থেকে আল হুদায়দায় শুরু হয়েছে বন্যা। এখন পর্যন্ত পানি নেমে যাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

অতি বর্ষণের কারণে গত জুলাই মাস থেকে ইয়েমেনের বিভিন্ন অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা শুরু হয়েছে। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, আকস্মিক বন্যার কারণে গত জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশটিতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

২০১৫ সালে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের উত্থান ঘটে। এই পরিস্থিতিতে ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। তারপর থেকেই সংঘাত শুরু হয়েছে সরকার সমর্থক এবং হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে।

গত ১০ বছরের গৃহযুদ্ধে ইয়েমেনের অবকাঠামো এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে দেশটিতে দেখা দিয়েছে গুরুতর মানবিক বিপর্যয়।


আরও খবর
জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিবের দুর্নীতি তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

একটি দুর্নীতির মামলায় সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কয়েক দফা শুনানী শেষে মহানগর দায়রা জজ আদালত গত গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) মামলাটি গ্রহণ করে দুর্নীতি দমন কমিশন সিলেট কার্যালয়ের উপ পরিচালককে তদন্তের নিদের্শ দেন। উক্ত তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৩ নভেম্বর আদালতে দাখিলের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন।

লাগামহীন দূর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেটের চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে গত ৫ মে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সিলেট শিক্ষা বোর্ডের বরখাস্তকৃত সেকশন অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান (গত ৫ আগষ্ট থেকে আত্মগোপনে) প্রফেসর ডঃ রমা বিজয় সরকার গত ২০২০ সালের শেষের দিকে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে যোগদান করেই কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের সাথে বিশেষ সখ্যতা গড়ে তোলেন। বোর্ডের সচিব প্রফেসর মোঃ কবির আহমদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন চন্দ্র পালের সহযোগিতায় জেলা পেশাজীবি লীগ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে শিক্ষা বোর্ডের অর্থ আত্মসাৎ করেন।

জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর বিধি-বিধান লংঘন করে শিক্ষা ভাতা খাতে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, কাল্পনিক প্রজেক্ট তৈরী করে নিজেদের লোক দিয়ে কমিটি করে তহবিল তছরুপ, দেড় লক্ষ টাকা ব্যয়ে শেখ মুজিবের ম্যুরাল তৈরী করে ত্রিশ লক্ষ টাকা খরচ দেখানো, মাষ্টার রোলে লোক নিয়োগ এবং ভূয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন।

বিদায়ী চেয়ারম্যান প্রফেসর ডঃ রমা বিজয় সরকার, প্রাক্তন সচিব প্রফেসর মোঃ কবির আহমদের ব্যক্তিগত ফৌজদারী মামলার ব্যয় শিক্ষা বোর্ড তহবিল হতে খরচ করেন। সেকশন অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম এ সকল অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে তাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা ও পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়। শেষ পর্যন্ত তাকে পদ থেকে চুড়ান্ত বরখাস্ত করেন বলেও মামলায় উল্লেখ করেন তিনি।


আরও খবর



পদত্যাগ করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

এবার পদত্যাগ করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম। ই-মেইলের মাধ্যমে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠনের ডিটিও বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সং‌শ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এ তথ‌্য নি‌শ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, মাহবুবুল আলম সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখান থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

এদিকে বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ এর ১৭ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য (অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমানকে বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক বাণিজ্য সংগঠন) ড.নাজনীন কাউসার চৌধুরি স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২০২৩ সালের ২ আগস্ট ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) পরিচালনা পর্ষদের ২০২৩-২৫ মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধি মাহবুবুল আলম।

এ ছাড়া সেদিন জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন মো. আমিন হেলালী। তিনি বাংলাদেশ পাঠ্যপ্রস্তুক মুদ্রক ও বিপণন সমিতির প্রতিনিধি। রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনে নির্বাচিত ও মনোনীত পরিচালকদের ভোটে তারা নির্বাচিত হন।


আরও খবর