আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

শেরপুরের হত্যামামলা থেকে বাঁচতে সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডজন খানিক মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

শেরপুর প্রতিনিধি:

শেরপুর সদর উপজেলার চাঞ্চল্যকর শ্রীমত হত্যা মামলাকে ভিন্নখাতে নিতে এবং হত্যামামলা থেকে বাঁচতে হত্যামামলার আসামী ও তাদের আত্মীয় স্বজন দিয়ে একেরপর এক মিথ্যা মামলা দায়ের অব্যহত রেখেছে। শ্রীমত হত্যামামলার বাদী উকিল মিয়া, স্বাক্ষী শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, সাংবাদিক শাহরিয়ার শাকির ও তাদের আত্মীয় স্বজনদের আসামী করে এ পর্যন্ত ১২টি মিথ্যা, হয়রানিমূলক ও ভিত্তিহীন মামলা কোর্টে দাখিল করেছে বলে শ্রীমত হত্যা মামলার বাদী অভিযোগ করেছেন।

মামলা সূত্রে জানাযায়, শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: মেরাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের হেরুয়া বালুরঘাটে বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান মডেল একাডেমী নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে স্থানীয় বালুরঘাট মডেল স্কুলের পরিচালক রেজাউল করিম সাদাসহ একটি উশৃংখল গ্রুপ। তারা শুরু থেকেই স্কুলটি প্রতিষ্ঠায় নানা ষড়যন্ত্র করে আসছিলো। এক পর্যায়ে তারা একাধিক বৈঠক করে শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: মেরাজ উদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। বিগত ২০ ফেব্রুয়ারী বিকেলে আতিউর রহমান মডেল একাডেমীর সংস্কার কাজ দেখে বালুরঘাট গ্রামের বাড়িতে গেলে রেজাউল করিম সাদা, আক্রাম হোসেন আঙ্গুর তার ভাই কাশেম ও জামান মেম্বারের নেতৃত্বে চারদিক থেকে হামলা চালায় ও ভাংচুর এবং লুটপাট করে। এ সময় সদর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু ইতিমধ্যে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে অন্তত ১২জনকে আহত করে সন্ত্রাসী ওই গ্রুপটি। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান সাংবাদিক মেরাজ। সাংবাদিক মেরাজের চাচা শ্রীমত আলী (৫৫) আহত হয়ে প্রথমে শেরপুর জেলা হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর থেকেই পৌনে দুই মাস ওই গ্রামে সার্বক্ষনিক পুলিশ মোতায়েন থাকে। ফলে ওখানে আর কোন প্রকার ঘটনাই ঘটেনি। পরবর্তীতে শেরপুর সদর থানার পুলিশ দীর্ঘ তদন্তশেষে আদালতে রেজাউল করিম সাদা, আক্রাম হোসেন আঙ্গুর, কাশেম, ও জামান মেম্বারসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। 

কিন্তু আসামীপক্ষ এ হত্যাকান্ড ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে বাঁচতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আসামীদের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্য দিয়ে একেরপর এক মিথ্যা অভিযোগ আদালতে দাখিল করেই চলেছে। এ পর্যন্ত ১২টি হয়রানিমূলক ও মিথ্যা এজাহার তারা দাখিল করেছে। আসামীদের বাড়িঘরের মালামাল নিজেরাই সরিয়ে রেখে হত্যা মামলার বাদী উকিল মিয়া, স্বাক্ষী ও শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক মো: মেরাজ উদ্দিন, তার ছেলে নিউজ বাংলা২৪ ডটকম ও আজকের দর্পনের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক শাহরিয়ার শাকিরসহ হত্যা মামলার অন্যান্য স্বাক্ষী এবং আত্মীয় স্বজন, গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অপরদিকে গত ১মার্চ ৮০ বছরের বৃদ্ধ সাজ উদ্দিন মামুন শারিরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার দুই মেয়ে তাকে শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩মার্চ রাতে মারা যায় অসুস্থ মামুন। এ ঘটনায়ও তারা স্বাভাবিক মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে চালানোর জন্য চেষ্টা করে। পরে এ বিষয়ে থানা পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরী করে মৃত মামুনের লাশ ময়নাতদন্ত করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও তার শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন পায়নি ময়নাতদন্ত করা ৩ সদস্যের ডাক্তারের টিম। অসুস্থতা জনিত কারণেই তার মৃত্যু বলে ময়না তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু আসামীরা আদালত থেকে সাময়িক জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসে প্রথমে শ্রীমত হত্যা মামলার বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয় এবং পরে ওই মামুনের স্বাভাবিক মৃত্যুকে হত্যা বলে শ্রীমত হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ফারুক মিয়া আদালতে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: মেরাজ উদ্দিন, তার ছেলে সাংবাদিক শাহরিয়ার শাকিরসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক অভিযোগ দায়ের করে। এ বিষয়টি শেরপুর সদর থানা পুলিশ তদন্ত করছে। এসব মামলার মধ্যে ৩টি সি আইডিতে, ৪টি পিবিআইয়ে ও ৪টি সদর থানায় তদন্তের জন্য দেয়া হয়েছে।

এদিকে আসামীরা জামিনে বের হয়ে শ্রীমত হত্যা মামলার বাদী, স্বাক্ষী ও তার আত্মীয়স্বজনদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। মিথ্যা মামলা, লুটপাট করাসহ নানা হুমকি দেয়ায় তারা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় একাধিক জিডিও করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: মেরাজ উদ্দিন জানান, ঘটনার পর থেকে আমি এবং আমার ছেলে শাহরিয়ার শাকির একদিনও গ্রামের বাড়িতে যায়নি। অথচ আমাকে এবং আমার ছেলের বিরুদ্ধেও মিথ্যা সাজানো ও কাল্পনিক মামলা দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় হাসপাতালে ভর্তি রোগী, ঢাকায় কোম্পানীতে চাকুরীজীবি ও অবস্থানরত আমার আত্মীয়স্বজন, স্থানীয় মসজিদ মাদ্রাসার সভাপতিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধীদেরও মামলায় বিবাদী করা হয়েছে। এ গুলো শুধু মাত্র হত্যামামলা থেকে বাচাঁর জন্যই করা হচ্ছে।

হত্যা মামলার বাদী উকিল মিয়া জানান, আমাকে প্রায়ই হুমকি দিচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আসামী জামান মিয়ার অবৈধ ও সুদের লগ্নি করা কোটি কোটি টাকা আছে, প্রধান আসামী সাদা ও তার ভাগ্নেদের অনেক টাকা আছে। টাকার জোরে আমাদেরকে ঠিক করবে বলে হুমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে শেরপুর জেরা হাসপাতালের আরএমও ডা: খায়রুল কবির সুমন জানান, আমরা একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করে সাজ উদ্দিনের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বা আঘাত জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়নি।   

এ ব্যাপারে শেরপুরের পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী বলেন, আমরা সব কিছু জানি। আমরা ন্যায় ও সঠিক ব্যবস্থাই গ্রহণ করবো।


আরও খবর



রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসের ধাক্কায় নিহত ২

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে বাসের ধাক্কায় পিকআপভ্যানের চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- বাবুল চিশতা (৪৫) ও অপরজনের নাম কবির হোসেন। তার বয়স আনুমানিক (৫০) বছর।

রবিবার (৫ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সায়েম জানান, মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতালের সামনের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাত পৌনে ২টার দিকে একটি পিকআপভ্যান ইউটার্ন নিচ্ছিল। তুহিন পরিবহনের একটি বাস তখন পিকআপভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপ ভ্যানটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং বাসটি পাশে খাদের পানিতে পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয়রা পিকআপভ্যানের ভেতর থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় দুজনকে বের করে রাস্তায় রাখেন। তখন তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এসআই আরও জানান, দুর্ঘটনার সময় ওই বাসটিতেও কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। তবে তারা সামান্য আহত হওয়ায় স্থানীয় হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে যে যার বাসায় চলে গেছেন। নিহত বাবুল চিশতি পিকআপভ্যানটির চালক। মরদেহ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত বাবুল চিশতির স্ত্রী নার্গিস আক্তার জানান, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার সামন্তশা গ্রামে বাবুলের বাড়ি। বাবার নাম আব্দুর রশিদ আকন। পরিবার নিয়ে যাত্রাবাড়ীর মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকেন। ভাড়ায় পিকআপভ্যান চালাতেন তিনি। সোমরাত রাত ১টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। বের হওয়ার সময় জানিয়েছিলেন, যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তে যাবেন। সেখান থেকে পিকআপভ্যানে করে মাছ নিয়ে কোথাও যাওয়ার কথা ছিল তার।


আরও খবর



চসিকের নগর ভবনের নির্মাণকাজের উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

নতুন নগর ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এর মধ্য দিয়ে ১৪ বছর ধরে লালিত চসিকের আইকনিক' নগর ভবন নির্মাণ হতে চলেছে।

আজ সোমবার দুপুরে নগরীর আন্দরকিল্লায় চসিকের নিজস্ব জমির উপর এই ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, পুরাতন নগর ভবনের স্থানে পার্শ্ববর্তী আরো দু'টি ভবনের স্থান সংযুক্ত করে এই আইকনিক নগর ভবন নির্মাণ করা হবে। তিনটি বেইসমেন্টসহ পুরো নগর ভবন হবে ২১ তলা। এ ভবনের প্রথম ধাপের কাজ উদ্বোধন করা হলো। আমাদের লক্ষ্য ২৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ের প্রথম ধাপের কাজের অংশ হিসেবে ৫-৬ তলা আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করে টাইগারপাস থেকে আন্দরকিল্লায় চলে আসা বাকী অংশ ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে।

তিনি বলেন, স্থায়ী নগর ভবন না থাকায় বিদেশি অতিথিরা আসলে আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হত, নাগরিকদেরও সেবা প্রদান বিঘ্নিত হত৷ এজন্য নিজস্ব ফান্ডে নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি৷ এ ভবনে নাগরিকরা স্বাচ্ছন্দে সেবা নিতে পারবেন৷ এছাড়া এ ভবনের একটি ফ্লোরে চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে গড়ে তোলা হবে জাদুঘর।

চসিকের প্রকৌশল বিভাগ জানায়, ৩৮ হাজার ৪৯০ বর্গফুট বা ৫৩ দশমিক ৪৫ কাঠা জায়গায় নগর ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রণয়ন নামে একটি কনসালটেন্ট ফার্ম আইকনিক এ ভবনের নকশা করেছে। ভবনের উপরে থাকবে সিটি ক্লক। ভবনের তিন পাশে সাজানো বাগান থাকবে। নির্মাণ করা হবে ফোয়ারা। থাকবে মাল্টিপারপাস হল, কনফারেন্স হল ও ব্যাংকুয়েট হল। তবে পুরো নগর ভবন নির্মাণ করা হবে ধাপে ধাপে। শুরুতে বেইসমেন্টসহ তিনটি ফ্লোর নির্মাণ করা হবে।

জানা গেছে, নগরীর আন্দরকিল্লায় ১৯৬৪ সালে নির্মিত একটি ভবন চসিকের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হতো। ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে উঠায় ২০১০ সালের ১১ মার্চ নতুন নগর ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তবে নানা জটিলতায় এই কাজ আটকে যায়। এরপর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ মনজুর আলম ও আ জ ম নাছির উদ্দীনও নতুন নগর ভবন নির্মাণকাজ শুরুর উদ্যোগ নেন। এরই অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ২০ জুন চসিকের প্রধান কার্যালয় টাইগারপাসের অস্থায়ী কার্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। তবে অর্থছাড় না পাওয়ায় নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি।

বর্তমান মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর ফের নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন। জটিলতা এড়াতে তিনি চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে নতুন নগর ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে বহুতল নগর ভবন নির্মাণ হচ্ছে। চসিকের একসাথে ৩০ কোটি টাকার বেশি কাজ করার সুযোগ নেই। তাই ধাপে ধাপে নগর ভবন নির্মাণকাজ শেষ করব। প্রথমে তিনটি ফ্লোর করব।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ আবদুস সালাম মাসুম, আতাউল্লা চৌধুরী, রুমকি সেনগুপ্ত, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন-উল ইসলাম চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, ফরহাদুল আলম, জসিম উদ্দিন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এস্টেট অফিসার মোঃ রেজাউল করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফারজানা মুক্তা, রেজাউল বারী ভূইঁয়া, মীর্জা ফজলুল কাদের, আশিকুল ইসলাম, রিফাতুল করিম, তাসমিয়া তাহসীন, তৌহিদুল ইসলাম, সালমা খাতুন, সহকারী প্রকৌশলী আসীর হামীম।


আরও খবর



সৌদি পৌঁছেছেন ১৫ হাজার ৫১৫ হজযাত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ৫১৫ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। অপরদিকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৩৫০ জনের ভিসা হয়নি। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে হজ পোর্টালে আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সোমবার পর্যন্ত সর্বমোট ১৫ হাজার ৫১৫ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ১১ হাজার ৭৬৮ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৩৯টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

এখন পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৮৯৭ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এবার বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ১০ হাজার ৩৫০ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর সময় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ভিসা আবেদন করার সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। সেই সময়ের মধ্যেও সকল হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়নি। পরে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে ভিসা আবেদনের সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়। এখনো ভিসা কার্যক্রম চলছে।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।


আরও খবর



মানিকগঞ্জে পৌঁছেছে পাইলট আসিম জাওয়াদের মৃতদেহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবুল হোসেন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের মৃতদেহ মানিকগঞ্জে পৌঁছেছে। নিহত ছেলের বহনকারী হেলিকপ্টার দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মা নিলুফা আক্তারসহ স্বজনরা।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুর ১২টার দিকে তাকে বহনকারী বিমানবাহিনীর-২১৯ হেলিকপ্টার মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে অবতরণ করে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে অসীম জাওয়াদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জেলা শহরের সেওতা কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন তিনি।

বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার আন্নু গণমাধ্যমকে বলেন, পাইলট আসিম জাওয়াদের মৃতদেহ মানিকগঞ্জে পৌঁছানোর পর গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে তার মৃতদেহের কফিনটি একটি ফ্রিজিং গাড়িতে রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক শিক্ষক নিলুফা আক্তার খানম ও চিকিৎসক আমানুল্লাহর একমাত্র সন্তান ছিলেন আসিম জাওয়াদ রিফাত। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে কান্না করতে করতে মূর্ছা যাচ্ছেন মা নিলুফা।

নিহত জাওয়াদের বড় মামা সুরুজ খান জানান, অত্যন্ত মেধাবী ছিল জাওয়াদ। স্কুল ও কলেজজীবনে সব সময় প্রথম হয়েছে। ছোটবেলা থেকে জাওয়াদের স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়ার। কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ হয়ে পাইলটও হয়েছিল। কিন্তু সেটি ছিল মাত্র অল্প সময়ের জন্য। শুক্রবার জাওয়াদের মৃতদেহ মানিকগঞ্জে আনা হবে বলে জানান তিনি।

জাওয়াদের খালাতো ভাই মশিউর রহমান শিমুল জানান, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে (বাফা) যোগদান করে ২০১১ সালে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন জাওয়াদ। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে আসিম চট্টগ্রাম বিমানবাহিনীর ঘাঁটি জহরুল হকের অফিসার্স আবাসিক এলাকার নীলিমাতে বসবাস করতেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান ইয়াক-১৩০ বিধ্বস্ত হয়। বেলা পৌনে ১১টার দিকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।

বিমানের পাইলট উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খাঁন এবং স্কোয়াড্রন লিডার ছিলেন মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ। এ সময় পাইলটরা বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে সক্ষম না হওয়ায় দুই পাইলট প্যারাস্যুটের মাধ্যমে অবতরণ করেন। বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে বোট ক্লাবের পাশে নদীতে পড়ে। এতে গুরুতর আহত হন বিমানের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।


আরও খবর



পাইকগাছায় নতুন রাস্তা হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে খুশির আমেজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

পাইকগাছায় দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পরে নতুন একটি বিকল্প রাস্তা হওয়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে।

শনিবার সরজমিন ঘুরে ও প্রাপ্ত সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী গড়ুইখালী ইউনিয়নের ফকিরাবাদ গ্রামে অত্র ইউনিয়নের ইউপি পরিষদ অবস্থিত। এদিকে ইউপি পরিষদের পিছনে দান কৃত জায়গায় একটি কবরস্থান রয়েছে। এছাড়াও উক্ত কবরস্থানের পার্শ্বে প্রায় ত্রিশটা পরিবারের বসবাস। এমতাবস্থায় উক্ত পরিবারগুলোর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম উল্লেখিত কবরস্থানের রাস্তা। সেকারণে এলাকাবাসী অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম (কেরু) বরাবর একটি বিকল্প রাস্তার জন্য গন সাক্ষরিত দরখাস্ত করেন।

চেয়ারম্যান গাজী আব্দুস সালাম কেরু গণসাক্ষরিত দরখাস্ত বিবেচনা ও জনস্বার্থে বিকল্প একটি রাস্তা করার পরিকল্পনা করেন। তারই ফলশ্রুতিতে গত বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান গাজী আব্দুস সালাম কেরু, ইউপি সদস্য বৃন্দ ও স্থানীয় এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ পার্শ্ব দিয়ে ৮ ফুট চওড়া ও ৪শ ফুট লম্বা একটি বিকল্প রাস্তার উদ্বোধন করেন। রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে।

এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান গাউসুল করিম সরদার, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য শিউলি মনি, ইউপি সদস্য সরত চন্দ্র মন্ডল, আঃ মমিন গাজী সহ স্থানীয় সচেতন মহল।

উক্ত বিকল্প রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসী চেয়ারম্যান গাজী আব্দুস সালাম কেরু'র প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সাধুবাদ জানিয়েছেন।

এম জালাল উদ্দীন, পাইকগাছা প্রতিনিধি

নিউজ ট্যাগ: পাইকগাছা

আরও খবর