আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

শেরপুরে কলস নদীতে ব্রিজের অভাবে দুর্ভোগে ১৫ গ্রামের মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৫ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

শেরপুর থেকে শাহরিয়ার শাকির

শেরপুর সদর, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী এই তিন উপজেলার সংযোগস্থল নালিতাবাড়ী উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের মালিঝি নদীর শাখা কলস নদী। তিন উপজেলার সীমানা হওয়ায় কারোর দৃষ্টি নেই এ এলাকার মানুষের নানা সমস্যার দিকে। নালিতাবাড়ী উপজেলার কলস নদীর ওপর একটি ব্রীজ না থাকায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হতে হয় এ এলাকার ১৫ গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষের। উৎপাদিত কৃষি পণ্যও আনা নেয়া করতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্রীজ না থাকায় স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মাণ করা একটি বাশেঁর সাকো নির্মাণ করে কোন রকম যাতায়াত করে আসছে এ এলাকার মানুষেরা।

সরজমিনে দেখা যায়, নদীর একপাড়ে নালিতাবাড়ীর কলসপাড় ইউনিয়নের কলসপাড় গ্রামে অবস্থিত পশ্চিম কলসপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলসপাড নঈমি দাখিল মাদ্রাসার, মোহাম্মাদিয়া কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা যাতায়াত করেন এ নদীর ওপরের একটি বাশেঁর সাকোতে। স্বাস্থ্য সেবা নিতেও মানুষের আসতে হয় নদী পাড় হয়ে। আবার অসুস্থদের চিকিৎসা নিতে যেতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। অনেক সময় মূমূর্ষ রোগীদের হাসপাতালে নিতে নিতেই মৃত্যুও হয়।

স্থানীয়দের দাবি, এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে বদলে যাবে এখানকার জীবনযাত্রা। উন্নতি হবে ব্যবসা বাণিজ্যের। আর এ দাবীতে তারা নদীর পারেই মানববন্ধনও করেছেন। জেলা প্রশাসনের আশ্বাস ব্রীজটি করে দেয়ার। 

ঝিনাইগাতীর মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের মো: আরশাদ আলী বলেন, আমি বাড়ি বাড়ি গিয়া কাচাঁমাল (পেয়াজ, মরিচ, আদা, রশুন) এর ব্যবসা করি। নদীর ওপর এডা ব্রিজ ঐইলে (হলে) আমাগর খুব সুবিধা ঐতো। ভার নিয়া আর কত আমরা এই এক পায়ের ব্রিজ দিয়া যামু।  

নালিতাবাড়ীর কলসপাড়ের গ্রামের বাসিন্দা মো: আবু সামা বলেন, এই ব্রিজটা হইলে আমাদের দুই উপজেলার মানুষের যোগসাজশ হইতো। এই ব্রিজের দুই পাশ্বেই পাকা রাস্তা আছে। মাঝখানে এই ব্রিজের জন্য অল্পকিছু কাচাঁরাস্তা। এই ব্রিজটা হলে আমাদের বাজারঘাট করতে খুব সুবিধা হইতো।

মোছা: আবেদা বেগম বলেন, আমরা নদীর এপাড়ের ঝিনাইগাতীর লোক। আমাদের গ্রামেও একটা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র আছে। কিন্তু এইটাতে আমরা চিকিৎসা নিতে পারি না। কারণ ঐদিকে কোন রাস্তা নাই। তার জন্য জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে হলেও নৌকা বা সাকো দিয়া নদী পাড় হয়ে ওপাড়ে চিকিৎসা নিতে হয়। আর এখানে একটা ব্রিজ হইলে নালিতাবাড়ীর কলসপাড় ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া সুবিধা হতো।

পশ্চিম কলসপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোছা: বাছিরুন নাহার বলেন, আমি নদীর ওপাড়ে স্কুলে পড়ি। কিন্তু আমগর অসুবিধা হয় স্কুলও আইতে। স্কুলে আবার ধরলে নদীত পইরা জাইগা। নদীত পরে গেলে তো বই গুলাও ভিজে যাই। আর বই নষ্ট হয়ে গেলে তো আর পাওয়া যাই না। আমরা চাই আমাদের এলাকায় একটা ব্রিজ হোক।

নালিতাবাড়ীর কলসপাড নঈমি দাখিল মাদ্রাসা সুপার আব্দুস সামাদ বলেন, আমাদের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী আসে নদীর ওপার থেকে, তাই শিক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে হলেও দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণ করা দরকার।

স্থানীয়দের অভিযোগ ভোটের সময় হলেই চেয়ারম্যান মেম্বারগণ এ সমস্যার আশ্বাস দিলেও নির্বাচনের পরে কোন খবর থাকেনা জন প্রতিনিধিদের। তাই প্রতি বছর এলাকাবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের সাকো তৈরি করে ঝুকি নিয়ে পারপার করে থাকে।

মো: করিম মিয়া বলেন, আমার বয়স ৬০ বছর। জন্মের পর থাইক্কাতো দেখাতাছি এনো সাকো আর সাকো। আমগর এলাকা কৃষি এলাকা। নদীর ওপাড়ে বাজার আছে। বাজরে আমরা তো মালামাল পারাপার কইরা নিতে  পারি না। আমরা মেম্বার, চেয়ারম্যানদের কাছে মেলা গেছি কোন কাম হয় নাই। তাদের কাছে গেলে বলে আমাদের হাত নেই। আমরা মরার আগে ব্রিজ দেইক্কা যাবার পামু কিনা জানিনা।

এদিকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস নবনির্বাচিত নালিতাবাড়ী কলসপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের। তিনি বলেন, আমাদের এই ইউনিয়নের মানুষের দূর্ভোগের কারণ কলস নদী। নদীর ওপারের যে লোকগুলো আছে। তাদের সাথে আমাদের নিবিড় সম্পর্ক। এ নদীতে একটি ব্রিজ জুরুরি দরকার। আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।

এদিকে শেরপুর জেলা প্রশাসক মো: মোমিনুর রশিদ জানান, বিষয়টি কেউ আমাদের নজরে আনেননি। আপনাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেলাম। আমরা এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে নিদের্শনা প্রদান করা হবে।

কলসপাড় ইউনিয়ন, কলসপাড় গ্রাম, মালিঝি নদী প্রবাহিত হয়ে এখানে এসে কলস নদী হয়েছে। এই নদীর ওপর ১শ ৫০ ফুট দীর্ঘ একটি ব্রিজ হলে বদলে যাবে এখানকার জীবনযাত্রা, উন্নয়ন হবে ব্যবসা বাণিজ্যের, নতুন করে স্বপ্ন দেখবেন এলাকার মানুষ। তাই আশ্বাস নয়, দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণ হবে, এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

নিউজ ট্যাগ: শেরপুর দুর্ভোগ

আরও খবর



বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নাশকতার অভিযোগে পল্টন থানার মামলায় ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন রোববার এ আদেশ দেন।

এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। এদিন আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি নাশকতার ১২ মামলায় ইশরাক হোসেন হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান।

আসামিপক্ষের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ জানান, ১২ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন ইশরাক। শুনানি শেষে ১১ মামলায় তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। তবে পল্টন থানার একটি মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

গত বছরের ২৮ অক্টোবরে বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় নাশকতার অভিযোগে ১২টি মামলা করা হয়।

নিউজ ট্যাগ: বিএনপি আদালত

আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিক-মাধ্যমিকে অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।

তবে তাপপ্রবাহ না কমায় এ ছুটি বাড়ছে নাকি ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। অভিভাবকদের একটি অংশ এবং অভিভাবক ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন অনলাইনে ক্লাস চালু রাখার দাবি তুলেছে। অনেকে আবার আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবছে শিক্ষা প্রশাসন? এমন প্রশ্নের অবশ্য সরাসরি জবাব মেলেনি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া এবং বিকল্প উপায় নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালানোর কথা জানিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারককারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা।

শিক্ষা প্রশাসন বলছে, তীব্র গরমে ছুটি বাড়ানো কিংবা অনলাইনে ক্লাস নেওয়া নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী বিদেশ সফরে থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এ নিয়ে আলোচনা করেনি। আলোচনা চললেও প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও।

তবে মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদরাসা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে অনলাইনে ক্লাস চালুর বিষয়ে জোর আলোচনা রয়েছে। হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে ক্লাস চালু করতেও মত দিচ্ছেন অনেকে। পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্টসহ ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা করতে পারেএমন কাজ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন তারা।

তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে শিশু শিক্ষার্থীরা। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা বা খোলা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াত।

তিনি বলেন, ছুটি বাড়ানো, ক্লাস কমিয়ে হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে নেওয়া কিংবা অনলাইনে ক্লাস চালু করাসব বিষয় সামনে রেখেই আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। যে সিদ্ধান্তই আসুক, তা শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক হবে। নেতিবাচক সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না।

অন্যদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি আর বাড়ছে না বলেই জানিয়েছেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাপপ্রবাহ যদি না কমে, সেক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাস চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে। শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে অ্যাকটিভ (সক্রিয়) রাখার জন্যও শিক্ষকদের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। আলাপ-আলোচনা চলছে। ক্লাস একেবারে বন্ধ রাখার চেয়ে অনলাইন ক্লাস কিংবা বাড়ির কাজ (অ্যাসাইনমেন্ট) দিয়ে শিক্ষার্থীদের কীভাবে পড়ালেখার মধ্যে রাখা যায় সেটা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তবে কোনো ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




লিচুতে অনেক উপকার, তবে যে কারণে আছে ক্ষতির ঝুকি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বাজারে এখন ফলের সমাহার। হরেক রকম দেশি ফলের ঘ্রাণে সুরভিত আশপাশ। পাকা আমের সঙ্গে রসালো টসটসে লিচু আমাদেরকে আকৃষ্ট করে। এসব দেশি ফল যেমন মুখরোচক সঙ্গে রয়েছে নানা গুণে সমৃদ্ধ। লিচু আমাদের শরীরের হাজারো উপকার করে। তবে এর যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তা নয়।

লিচুতে যত উপকার

লিচুতে রয়েছে ভিটামিন এ ও সি, নানা খনিজ উপাদান যেমন ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, কপার, ফলেট যেগুলো রক্তের উপাদান তৈরিতে সহযোগিতা করে। রয়েছে এনটিঅক্সিডেনট যা আমাদের ত্বকের উজ্জল্য বৃদ্ধি করে।

লিচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যেটি আমাদের রক্ত ও নালীর চাপ কমিয়ে রক্তের স্বাভাবিক গতি বৃদ্ধি করে। তাই লিচু সেবনের একটি উপকার হল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকা।

ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকায় এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ফলে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস থেকে আমরা রক্ষা পাই।

মাত্রাতিরিক্ত লিচু খেলে যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে

১) রক্তের গ্লুকোজ কমে যায়। লিচু আমাদের রক্তের গ্লুকোজ কমাতে সহায়তা করে। তাই পরিমাণে বেশি খেয়ে ফেললে তা হাইপোগ্লাইসেমিয়া করতে পারে বিশেষত ইফতারের সময় এমনটি করলে। যাদের ডায়াবেটিস আছে, যারা ওষুধের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করেন, তারা লিচু গ্রহণে সাবধান থাকা উচিত। কারণ ওষুধ এমনিতেই রক্তে গ্লুকোজ কমিয়ে রাখে সঙ্গে লিচুও যদি একই কাজ করে তাহলে যেকোনো বিপত্তি ঘটতে পারে। ছোট বাচ্চারা লিচু গ্রহণ করলে কোনও অবস্থাতেই খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়। পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে এতে।

২) রক্তচাপ পড়ে যাওয়া- মাত্রাতিরিক্ত লিচু খেলে রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে। লক্ষণ হিসাবে শ্বাসকষ্ট হওয়া, বুক ধড়ফড় করা, মাতাহ ঘুরানো, বমি ভাব ইত্যাদি হতে পারে।

৩) লিচু একটি গরম ফল- গরম ফল হওয়াতে বেশি পরিমাণে লিচু খেলে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার ব্যালেন্স নষ্ট হয় ফলে গলা ব্যাথা হওয়া, মুখের ভিতরে ক্ষত হওয়া এমন কি নাক দিয়ে রক্তপাতও হতে পারে বিশেষ করে আমাদের দেশের বর্তমান আবহাওয়ার কারণে।

৪) লিচু খেলে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যেতে পারে- লিচু একটানা বেশ কয়েকদিন পরিমানের বেশি লিচু খেলে নানা রোগ যেমন রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরসিস, লুপাস ইত্যাদি রোগ থাকলে তা বেড়ে যেতে পারে অতিমাত্রায় আমাদের ইমিউনিটি বেড়ে যাওয়ার ফলে।

৫) সার্জারির রোগীদের অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ঝুঁকি: রক্তচাপ এবং রক্তের গ্লুকোজের ওপর সরাসরি প্রভাব থাকাতে যাদের সার্জারির প্রয়োজন তারা সার্জারির পূর্বের দুই সপ্তাহ এবং পরের দুই সপ্তাহ লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

৬) লিচু ওজন বৃদ্ধি করে- প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ৬৬ ক্যালোরি রয়েছে। পরিমাণে বেশি লিচু খেলে তাই যে পরিমাণ ক্যালোরি জমা হয় তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে তাতে আমাদের ওজন বেশ ভালোভাবেই বৃদ্ধি পায়।

৭) অন্যন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি- লিচুতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, জরুরি ফ্যাটি এসিড নেই। ফলে বেশি পরিমাণে লিচু খেলে তা শরীরের স্বাভাবিক ব্যালেন্স নষ্ট করে।


আরও খবর



ধর্ষণ মামলায় জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিউটন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। শনিবার (১৮ মে) র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বহুল আলোচিত একজন নারী জুজুৎসু ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো.রফিকুল ইসলাম নিউটনসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাওরান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।


আরও খবর



ফের বাড়ছে হিট অ্যালার্টের মেয়াদ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সারাদেশে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে তাপদাহ। অতীতে এপ্রিল মাসে দেশে এত দীর্ঘ সময় টানা চরম উষ্ণতার বিস্তার দেখা যায়নি। কখনো তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশকিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে। টানা এতদিনের তাপপ্রবাহ আগে কখনো দেখেনি বাংলাদেশ। এ অবস্থায় চলতি বছর দেশে গত ৭৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে তাপপ্রবাহ। গতকাল বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এটিই।

দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের প্রেক্ষিতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা হিট অ্যালার্ট বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়ছে। অধিদপ্তর বলছে, দেশে চলমান তাপপ্রবাহের ব্যপ্তি বেড়েছে, অন্তত ৩৫ জেলার ওপর দিয়ে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আরও দুই-তিনদিন অব্যাহত থাকবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়া ও ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. শামীম হাসান মিয়া গণমাধ্যমকে এই তথ্য দেন। শামীম হাসান বলেন, এ দফায় হিট অ্যালার্ট থেকে বাদ পড়তে পারে সিলেট। কারণ সেখানে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টির আভাস থাকছে। গরমের তীব্রতা না কমায় রোববার থেকে চতুর্থ দফায় নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করতে যাচ্ছে আবহাওয়া অফিস।

টানা অন্তত দুদিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪