আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

শেখ রাসেল, অনন্ত বেদনার কাব্য

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তন্ময় আহমেদ

মাত্র দেড় বছরের এক শিশু। কিন্তু তার পেছনেও গোয়েন্দা লেগেছে! অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে, কিন্তু এটাই সত্য। বাঙালি জাতির জাগরণকালে সৌভাগ্যের প্রতীক হয়ে জন্মেছিল যে শিশু, জান্তাদের দানবীয় ষড়যন্ত্র তাকে নিয়ে গেছে ইতিহাসের ভাগ্যহত নক্ষত্রদের কাতারে। সেই দেবশিশুর নাম শেখ রাসেল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র। রাসেলের বয়স তখন দেড় বছর। বাঙালির বাঁচার দাবি 'ছয় দফা' ঘোষণা করেন শেখ মুজিব। এরপর, ১৯৬৬ সালের ৮ মে রাতে, তাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানি শোষকরা। অবশেষে ১৯৬৯ সালে তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তি পান তিনি। হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা।

বন্দি পিতার দীর্ঘ জেলজীবনের সময়টাতে, তার সঙ্গে দেখা করতে, মায়ের কোলে চড়ে নিয়মিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যেত ছোট্ট রাসেল। কিন্তু গোয়েন্দারা কোলের শিশু রাসেলকে নিয়ে জেরার মুখে ফেলতেন বেগম ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিবকে। তাই বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেচ্ছা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, বাপের পেছনে গোয়েন্দা লেগেছিল ২৮ বছর বয়সে, আর ছেলের পেছনে লাগল দেড় বছর বয়সেই।

১৯৭১ সাল, মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ রাসেলের বয়স ছিল মাত্র সাত বছর। পিতা মুজিব পাকিস্তানের কারাগারে, দুই ভাই কামাল ও জামাল রণাঙ্গনে। ধানমন্ডির ১৮ নম্বর সড়কের একটা বাসায় মা ফজিলাতুন্নেচ্ছা এবং দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার সঙ্গে বন্দি জীবন কাটাতে হয়েছে তাকে। বড় বোন শেখ হাসিনাও তখন অন্তঃসত্ত্বা, আকাশে নিয়মিত যুদ্ধবিমানের মহড়া, পিতা ও ভাইদের দীর্ঘকাল অনুপস্থিতি। প্রাণচঞ্চল রাসেল তখন অবসাদে ভেঙে পড়ে। প্রায়শই দুচোখ ভিজে উঠতো হৃদয়ভাঙা নোনা জলে। কিন্তু কাউকে সহজে বুঝতে দিত না সে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন, প্রথমবারের মতো মুক্ত জীবনের স্বাদ পেল ছোট্ট রাসেল। ভর্তি হলো ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে। কচিকাঁচার দলের সঙ্গে ছিল তার অবাধ মেলামেশা। বাড়ি থেকে দেওয়া টিফিন ভাগ করে খেত বন্ধুদের সঙ্গে। সুসম্পর্ক ছিল শিক্ষক থেকে গৃহকর্মী, সবার সঙ্গে। জাতির পিতার সন্তান হিসেবে তার মধ্যে কোনো অহংকার ছিল না। জেলজীবন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থেও তাকে নিয়ে লেখা আছে অনেক দুঃখগাঁথা। ১৯৬৬ সালের ৬ জুলাই বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, বাচ্চারা দেখতে চায় কোথায় থাকি আমি। বললাম, বড় হও, মানুষ হও, দেখতে পারবা। কিন্তু ছোট্ট রাসেলের আর বড় হওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট, কালরাতে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডের ৬৭৭ নম্বর বাড়িতে, বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাকে। মাত্র দশ বছর দশ মাস বয়সের এক নিষ্পাপ শিশু, কী দোষ ছিল রাসেলের!

১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর, জন্মের পরেই চোখ মেলে দেখেছে ক্ষুব্ধ স্বদেশ ভূমি। পাকিস্তানিদের দীর্ঘ শোষণে ক্লান্ত- সাত কোটি বাঙালির মধ্যে ছড়িয়ে পড়া স্বাধীনতার উত্তাপ মেখে- বড় হয়েছে যে শিশু, সে তো স্বাধীনতারই প্রতীক। জয় বাংলা স্লোগানে প্রকম্পিত মিছিল দেখে যার বেড়ে ওঠা, যার হাতে সুশোভিত উড্ডীন বাংলার জাতীয় পতাকা। একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে, সেই ছোট্ট শিশুকেও নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট, সেই বিভিষীকাময় রাতে, ঘাতকরা যখন বিশ্ব ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছিল, প্রাণে বাঁচার জন্য মিনতি জানিয়েছিল ছোট্ট রাসেল। কিন্তু ওই বুনোদল, সীমারদের মনে বিন্দুমাত্র মায়া ছিল না। শিশু রাসেলকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে এক ঘাতক সেনা। ফোটার আগেই সুরভি ছড়াতে শুরু করেছিল যে ফুল, তার অকালে ঝরে যাওয়ার শোকে- আজও প্রতিটি ভোরে বাংলার মাঠে-ঘাটে অজস্র বকুল ঝরে। আজও বাংলার প্রতিটি শিশুর প্রাঞ্জল হাসির শব্দে ভেসে ওঠে- রাসেলের মায়াবী মুখখানি, শিশুদের ভেজা কপোল ছুঁয়ে নামে রাসেলের চোখের পানি।

লেখক: কো-অর্ডিনেটর, সিআরআই এবং এএলবিডি ওয়েব টিম

নিউজ ট্যাগ: শেখ রাসেল

আরও খবর



নাটোরে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

নাটোরের লালপুর উপজেলায় মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার আজিমনগর রেলস্টেশন এলাকার একটি দোকানের সামনে তাকে হত্যা করা হয়।

নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু উপজেলার বাহাদিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে আজিমনগর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন একটি কনফেকশনারী দোকানের সামনে বসেছিলেন মঞ্জু। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে চার থেকে পাঁচজন এসে মাথায় এবং পেটে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মঞ্জুর মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি বলেন, কয়েকজন মুখোশধারী এই হামলা চালিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের কয়েকটি দল মাঠে কাজ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মঞ্জুর প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


আরও খবর



গাজীপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রাকের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১১ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে চারটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, সুনামগঞ্জের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাসেল মিয়া (২৫) ও তার মেয়ের স্বামী আবু সুফিয়ান (২৫)।

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা বেলাল আহমেদ জানান, একটি পিকআপে মিক্সার মেশিন নিয়ে ১৩ জন শ্রমিক ঢালাইয়ের কাজে শ্রীপুর থেকে মাওনার আনসার রোডে যাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে চারটার দিকে পিকআপটিকে শ্রীপুর-মাওনা আঞ্চলিক সড়কে একটি ডাম্পট্রাক পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাসেল মিয়া নিহত ও ১২ জন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু সুফিয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ১১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কুদ্দুস জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাকটি আটক করা গেলে চালক পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



আবারও পেছাল রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অর্থ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ফের পেছালো। আগামী ৯ জুলাই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (৬ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী নতুন দিন ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়ে যায়। ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা। ১৬ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলাটিতে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪ ধারাসহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন, ২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় করা মামলায় সরাসরি কাউকে আসামি করা হয়নি।


আরও খবর



দেশের সব আদালতে চালু হচ্ছে ওয়ান স্টপ সার্ভিস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উচ্চ আদালতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়িত হয়েছে। আগে জামিন আদেশের কপি পেতে অনেক সময় ব্যয় হত। এখন তা সঙ্গে সঙ্গেই আপলোড হয় এবং আদেশ যথাস্থানে পৌঁছে যায়। উচ্চ আদালতের এই সুবিধা দেশের সব পর্যায়ের আদালতে পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। বাংলাদেশ বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরো শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

বুধবার (১ মে) দুপুরে সিলেটে আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে তিনি সিলেট সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

তিনি বলেন, আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের সুবিধাজনক বসার স্থান হিসেবে সিলেটে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করা হলেও আদালতে আসা সব মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। সব মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হলেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সম্মিলিতভাবে কাজ করলে বিচার বিভাগ পূর্ণতা লাভ করে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়। এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা চান তিনি।


আরও খবর



নিজেদের সব করোনা টিকা প্রত্যাহার করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এমন পরস্থিতি বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। দ্য টেলিগ্রাফের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিজেদের করোনা টিকা সারা বিশ্ব থেকে প্রত্যাহার করছে সংস্থাটি। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।

এতে জানানো হয়, বাজারে বর্তমানে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বৈশ্বিকভাবে টিকার আর সেই চাহিদাও নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়ার পর এক বছরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে পৃথিবীজুড়ে। এসব টিকার ডোজ প্রাণ বাঁচিয়েছে বিশ্বের ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষের।  কিন্তু বর্তমানে মূল করোনা ভাইরাসটি প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় এবং এটি থেকে উদ্ভূত অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলোও দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এসব টিকা এখন অতিরিক্ত। তাই সব টিকা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ বলছে, কোভিশিল্ড ও ভ্যাক্সজেভরিয়া নামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার টিকা সরবরাহ করেছে অক্সফোর্ডঅ্যাস্ট্রাজেনেকা। তবে, এই টিকা নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ এসেছে অনেক। এই অভিযোগ মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে অনেক পরিবার।

তেমনই একজন জেমি স্কট। ২০২১ সালের এপ্রিলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা গ্রহণ করেন তিনি। পরে মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দেয়। জমাট বেঁধে যায় রক্ত। এ নিয়ে মামলা করেন তিনি।  একই অভিযোগে ব্রিটিশ হাইকোর্টে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রায় ১০ কোটি পাউন্ড দাবি করে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এরপরই যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করে, করোনার টিকার কারণে খুব বিরল টিটিএসের লক্ষণ দেখা যেতে পারে।


আরও খবর