আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

শেখ হাসিনাই বারবার টার্গেটে কেনো?

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
শ ম রেজাউল করিম

Image

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালনকারী সরকারপ্রধান। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী এ ব্যক্তিত্ব একটানা তিন মেয়াদসহ মোট চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন।

একই সঙ্গে তিনি উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্ণধার। বর্তমানে তিনি অন্যতম একজন বিশ্বনেতাও বটে।

সম্প্রতি রাজশাহী মহানগর বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া ধৃষ্টতাপূর্ণ, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও কুরুচিকর। হুমকিদাতার বক্তব্য যেমন নিন্দনীয়, তেমনি এরকম নেতার পৃষ্ঠপোষক দল বিএনপিও অবশ্যই বর্জনীয়। বিএনপি নেতার এ বক্তব্য থেকে এটি বুঝতে আর বাকি থাকে না যে, বিএনপি অবৈধ উপায়ে ক্ষমতা দখলের যে দুরভিসন্ধি করছে, তারা এক্ষেত্রে একমাত্র বাধা মনে করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে।

যে দলটির জন্ম অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী একজন সামরিক শাসকের উর্দির পকেট থেকে, যে দলটি স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে পুনর্বাসন করেছিল, যে দলের প্রতিষ্ঠাতা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে জাতির ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছিল, সে দলের নেতার কাছ থেকে এরকম রাজনৈতিক শিষ্টাচারহীন বক্তব্য ব্যতীত ভালো কিছু আশা করা যায় না। বিএনপি অবৈধ পন্থায়, অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলে বিশ্বাসী। গণতন্ত্রে তাদের আস্থা নেই। দলটির রাজনৈতিক ইতিহাসও তাই বলে। দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সারা দেশ এখন উত্তাল।

সাধারণ মানুষের নিন্দা আর ঘৃণা আবারও প্রমাণ করছে, বিএনপির প্রতি গণমাণুষের কোনো আস্থা নেই। এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিএনপি নেতার এ ধরনের গর্হিত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির ঘটনায় সম্প্রতি নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স প্রধান শন জে. ম্যাকিনটোশ বলেছেন, মার্কিন দূতাবাস যে কোনো ধরনের উত্তেজক ভাষা, ভীতি প্রদর্শন বা সহিংসতার হুমকির নিন্দা জানাচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, সহিংসতা উসকে দেওয়ার যে কোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান দৃঢ়।

বিশ্বনেতারা যখন শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন, তখনই বিএনপি ও তার দোসর রাজনৈতিক দলগুলোর গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তাই তারা আবার নতুন করে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিএনপি নেতার এ বক্তব্য মূলত তারই বহিঃপ্রকাশ। রাজনীতিতে পরাস্ত হয়ে দেশে-বিদেশে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রলাপ বকছে দলটির অধিকাংশ নেতাকর্মী।

কখনো ২৭ দফা, কখনো ১০ দফা আর কখনো ১ দফার নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টার তারা লিপ্ত। এসব দফা অবৈধ, অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেশকে আবার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করার অপকৌশল মাত্র। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে দেশের মানুষকে অন্ধকারে নিপতিত করাই যার চূড়ান্ত পরিণতি।

শেখ হাসিনাই কেন বারবার ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেট? ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যার পর দীর্ঘ ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালে দেশের মানুষের আলোর দিশারী হয়ে পিতা-মাতা, ভাই, আত্মীয়-পরিজনহারা শোকে বিহ্বল বঙ্গবন্ধুকন্যা স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। যে ঘাতক বুলেট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ জাতির পিতাকে কেড়ে নিয়েছিল, সেই বুলেটই জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার পিছু নেয় দেশের মাটিতে পা রাখার পর থেকেই।

অন্তত ২০ বার মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। তার ওপর প্রথম আক্রমণ হয় ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি। ওই দিন চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানের খুব কাছে আট দলীয় জোটের মিছিলে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পুলিশ ও বিডিআর গুলি ছোড়ে। পরের বছর ১৯৮৯ সালের ১১ আগস্ট বাড়িতে থাকা অবস্থায় বুলেট-গ্রেনেড ছোড়া হয় ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে।

১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে রাজধানীর গ্রিন রোডে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমাবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের গুলি তার গাড়িতে লাগলেও অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী ও নাটোর রেলস্টেশনে বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়ে তার ওপর হামলা করা হয়। ১৯৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে এবং ১৯৯৬ সালের ৭ মার্চ একই কায়দায় তার ওপর হামলা চালানো হয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে।

নিজ নির্বাচনি এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ২০০০ সালের ২০ জুলাই ভয়াবহ হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন তিনি। জনসভাস্থলের অদূরে ও হ্যালিপ্যাডে ৮৪ কেজি ও ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিগোষ্ঠী হরকাতুল জিহাদ। পরের বছর ২০০১ সালের ২৯ মে খুলনার রূপসা সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধনস্থলে বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে। ওই বছরই ২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচনি প্রচারে সিলেটে গেলে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জনসভার মঞ্চের পাশেই ঘটে বোমা হামলা।

২০০২ সালের ৪ মার্চ নওগাঁয় বিএমসি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে তার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। একই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা সাতক্ষীরার কলারোয়ার রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা চালায়। ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল বরিশালের গৌরনদীতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে গুলিবর্ষণ করে বিএনপি-জামায়াতের ঘাতকচক্র। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের সমাবেশস্থলে নারকীয় ও ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ইতিহাস সবার জানা।

সেদিন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। যে হামলায় প্রাণ হারান আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী। ২০১১ সালে শ্রীলংকার একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্র সুইসাইড স্কোয়াড গঠন করেছিল শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য। ২০১৪ সালের শেষদিকে প্রশিক্ষিত নারী জঙ্গিদের মাধ্যমে মানববোমায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

২০১৫ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার পথে কারওরান বাজারে তার গাড়িবহরে বোমা হামলা চালানোর চেষ্টা চালায় জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। ২০১৬ সালের জুনে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে বহনকারী বিমান হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়েতে ধাতব পদার্থের উপস্থিতি থাকায় নামতে গিয়ে আবার ওপরে উঠে যায়। ধারণা করা হয়েছিল, ওই বস্তুর আঘাতে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যেত তাকে বহনকারী বিমান। এরপর ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর সরকারি সফরে হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে বিমানের নাট ঢিল করে রাখা হয়েছিল, তাকে হত্যার পরিকল্পনায়।

সবশেষ ২০১৭ সালেও শোকের মাস আগস্টে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা। বারবার বর্বরোচিত হামলা-হত্যাচেষ্টা এবং দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের ব্যূহ ভেদ করে শেখ হাসিনা তলাবিহীন ঝুড়ি আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সিম্বলিক দেশ হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশকে নিয়ে এসেছেন সমৃদ্ধির পথে। আজ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে এসব ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে হবে দৃঢ়ভাবে। ইস্পাতকঠিন ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনাই বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার শেষ আশ্রয়স্থল। দেশ ও জাতির স্বার্থে তাকে বড় বেশি প্রয়োজন। তিনি ভালো থাকলে, নিরাপদ থাকলে, বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকবে।

লেখক: শ ম রেজাউল করিম এমপি

মন্ত্রী , মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ।


আরও খবর



জনবহুল পয়েন্টে খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ নগরজীবন। প্রকৃতি পুড়ছে গ্রীষ্মের খরতাপে। দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে নগরজীবন। তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠেছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অসহনীয় গরম আর দাবদাহে বিমর্ষ এখন প্রাণ-প্রকৃতি।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করছে ঢাকা ওয়াসা।

ঢাকা ওয়াসার উপ-প্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার গ্রাহকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে বর্তমানে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বা শরীরে পানি শূন্যতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ঢাকা মহানগরীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। গ্রাহকদের প্রয়োজনে পানি সেবা নিয়ে পাশে থাকছে ঢাকা ওয়াসা। আর এ সেবা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চালু থাকবে।


আরও খবর



ইরানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এবার ইরানের ভূখণ্ডে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুটি মার্কিন সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এই ঘটনার পর বেশ কয়েকটি শহরে বিমান চলাচল বাতিল করার কথা জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

এর আগে, গত শনিবার ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকেই উচ্চ সতর্কতায় ছিলো ইরান।

ইরানের ইসফাহান শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে এই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

ফার্স নিউজ স্থানীয় বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণের খবর দিলেও কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়নি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ইরানি প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করার খবর দিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা।


আরও খবর



রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাজবাড়ীতে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে সাতটায় ২নং রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে রাজবাড়ীর ২নং রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। আপাতত এই রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পোড়াদহগামী লোকাল সাটল ট্রেন পাচুরিয়া রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। রাজবাড়ীতেই উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন রয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করা যাবে।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখ : পথের বাঁকে বাঁকে নিরাপত্তার আঁচ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতেই শুরু হয়েছে বর্ষবরণ। এদিন ভোর থেকে রমনার বটমূল থেকে গান, কবিতায় বরণ করা শুরু হয় বাংলা নতুন বছর ১৪৩১।

এদিকে সকালে সোয়া ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে বেরোয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পথের বাঁকে বাঁকে নিরাপত্তার আঁচ তৈরি করেছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের প্রথম দিন সকালে রাজধানী শাহবাগ মোড়কে কেন্দ্র করে বাংলামোটর, মৎস ভবন মোড়, টিএসসি রোড এবং কাটাবনের দিকে যাওয়ার প্রতিটি প্রধান সড়কের বাইরে পাশের রোডগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ রোডগুলোতে দৃশ্যমান আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা দিতে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন। র‍্যাবকেও দৃশ্যমান টহল দিতে দেখা গেছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ শাহবাগ মোড়ে প্রায় শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তৈরি করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য বলেন, সার্বিক বিষয় নিরাপত্তা দিতেই বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার (১৩ এপ্রিল) রমনা বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতিসত্তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রকাশ। এ কারণে বার বার এ আয়োজনে আঘাত হানা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। তাই সবকিছু মাথায় রেখেই আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো হামলার শঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দিনটি সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় পালিত হবে। প্রধান অনুষ্ঠান ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা বটমূল, সংসদ ভবন এলাকা, হাতিরঝিল, রবীন্দ্র সরোবরসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ডিএমপির পক্ষ থেকে সব অনুষ্ঠান ঘিরেই ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

যেসব জায়গায় অনুষ্ঠান হবে সিসিটিভি দিয়ে পুরো এলাকার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া, ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোনের মাধ্যমে আশে-পাশের এলাকায় নজরদারি করা হবে। পুরো এলাকা এসবির ইক্যুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে, এরইমধ্যে এসব কাজ শুরু হয়েছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে।


আরও খবর



মুক্তিপণের বিষয়ে কথা না বলতে অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে : জাহাজের মালিকপক্ষ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নানা উৎকণ্ঠার পর অবশেষে মুক্ত হয়েছেন সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক। বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের একটি বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

এদিকে উদ্ধারের পরপরই জাহাজ মুক্ত করতে দস্যুদের কত টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে এবং কীভাবে এসব টাকা দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন ওঠে। এ বিষয়ে রোববার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় কেএসআরএমের কর্পোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয় মালিকপক্ষকে।

এ বিষয়ে কেএসআরমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, আমি উদ্ধার প্রক্রিয়া হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে মনোনীত প্রতিনিধি। আমাদের সঙ্গে ওদের কনফারেন্সিয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে মুক্তিপণের বিষয়ে আলোচনা না করার জন্য। সেই অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী আমি আপনাদের সঙ্গে কিছু শেয়ার করতে পারব না। কারণ এটা আমি সই করেছি। উদ্ধার প্রক্রিয়ায় আমরা আমেরিকান নিয়ম মেনেছি এবং ইউকে (যুক্তরাজ্য) ও সোমালিয়ার নিয়ম মেনেছি। ফাইনালি কেনিয়ার নিয়মও মেনেছি। সবার সঙ্গে আমাদের অ্যাগ্রিমেন্ট করা আছে এ বিষয়ে আলোচনা না করার জন্য। তবে আমি আবার বলি, আমরা সবকিছু আইন মেনে করেছি।

তবে এ বিষয়ে জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর উড়োজাহাজ থেকে ডলারভর্তি ৩টি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে ওঠে দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে তারা আশেপাশে কেউ আটক করছে কি না সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজটি থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর