আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

শেখ হাসিনা না এলে ইতিহাসের স্বপ্ন ভঙ্গ হতো

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মে ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইতিহাসের গতি-প্রকৃতির বিবর্তনের ধারা বিশ্লেষণ দেখা যায়, কাঙ্ক্ষিত একটি লক্ষ্য নিয়েই সময় ও কাল এগিয়ে চলে। পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যায় সময়ের সাহসী নেতৃত্ব। অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে স্বীকার করতে হয় বিপুল ত্যাগের। কিন্তু যার বা যাদের ত্যাগের সিঁড়ি বেয়ে গতিময় হয়ে ওঠে পরিবর্তনের ধারা, তারা অনেকেই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য দেখার সুযোগ পান না। তাদের ত্যাগের সিঁড়ি বেয়ে অভীষ্ট সাফল্য অর্জিত না হলে সেটাই হয় ইতিহাসের স্বপ্ন ভঙ্গ। বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ তার থেকে ব্যতিক্রম নয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট এ দেশের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা পাকিস্তানপন্থী দালাল চক্র, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী ও প্রতিক্রিয়াশীল মহল সুপরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রতিটি নাগরিকের মনে শঙ্কা জন্মেছিল যে, তাদের লালিত স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে কার্যত বাংলাদেশকে পূর্ব পাকিস্তানে পরিণত করা হয়, কেবলমাত্র নামটি রাখা হয় বাংলাদেশ। হতবিহ্বল আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কিছুটা দিশেহারা হয়ে পড়েন। এমন একটি সময়ে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে প্রবাসী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ঐক্যের প্রতিক হিসেবে সভাপতি নির্বাচন করা হয়। কোনো কোনো বিশ্লেষক শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, তার পিতার সপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরে তিনি হয়তো নিজেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিরে না-ও আসতে পারেন। কিন্তু সেই আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে আসেন। প্রচণ্ড বৈরী আবহাওয়া, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের লক্ষ লক্ষ মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সাদর সম্ভাষণ জানাতে দাঁড়িয়েছিল। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান তাকে দেশে আসার অনুমতি দিতে চাননি, পরিস্থিতি বিপাকে তিনি বাধ্য হয়েছিলেন। রাস্তায় লোকজনের ভিড় না করার জন্য ফর্মান জারি করা হয়েছিল। সব ফর্মান উপেক্ষা করে শেখ হাসিনাকে বাঙালি জাতি সেদিন তাদের প্রিয় নেত্রীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে গ্রহণ করেছিল। তার ফিরে আসাটা ছিল প্রচণ্ড ঝুঁকিপূর্ণ। নিজ বাড়িতে তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি, রাস্তায় দাঁড়িয়ে চরম অসহায় অবস্থায় পরিবারের নিহত সদস্যদের জন্য দোয়া করতে হয়েছে তাকে। হাত তুলে আল্লাহর কাছে বিচার প্রার্থনা করেছিলেন। দেশবাসীর উদ্দেশে বলেছিলেন, আমি সব হারিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি, আপনাদের মাঝেই খুঁজে পেতে চাই আমার হারানো স্বজনদের। এরপর শুরু হয় তার কণ্টকাকীর্ণ দুর্গম পথের অভিযাত্রা। দলের অভ্যন্তরেও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয় তাকে। দলের বাইরে প্রায় সব রাজনৈতিক সংগঠন ছিল বৈরী অবস্থানে। সেনাশাসক, বঙ্গবন্ধুর খুনি, স্বাধীনতাবিরোধী মহল, প্রতিক্রিয়াশীল চক্র, বিদেশি শক্তিসহ অসংখ্য প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয় তাকে। গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে পায়ে হেঁটে, রিকশা, ভ্যান, নৌকায় চড়ে পিতার মতো বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে নিরলসভাবে লড়াই করতে থাকেন।

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের খুনি ও তাদের পৃষ্ঠপোষকেরা বুঝতে পারেন যে, শেখ মুজিব বিনাশ হয়নি। তার প্রতিচ্ছবি হয়ে সশরীরে আবির্ভূত হয়েছে তারই সুযোগ্য উত্তরসূরি। তাই তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। অন্তত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়। সর্বশেষ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার ও সরকার সম্মিলিতভাবে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালায়। আল্লাহর অসীম রহমতে প্রতিটি আক্রমণ থেকে তিনি রক্ষা পান। ২১ বছর রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে থাকা আওয়ামী লীগকে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এনে সরকার গঠন করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটা সম্ভব হয়েছিল কেবলমাত্র শেখ হাসিনার মতো যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই। ক্ষমতায় এসেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের জন্য জেনারেল জিয়ার করা ইনডেমনিটি আইন বাতিল করেন। এই বাতিল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খুনিরা হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে মামলা করে। সেখানেও আইনি লড়াই করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের প্রতিবন্ধকতা দূর করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ২১ বছর প্রশাসনে, রাজনীতিতে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, বিভিন্ন বাহিনীতে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্র। দীর্ঘদিনের জমে থাকা জঞ্জাল রাতারাতি দূর করার অসম্ভবকে তিনি সম্ভব করে তোলেন। পদে পদে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয় তাকে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে সুকৌশলে আওয়ামী লীগকে পরাজিত দেখানো হয়। ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এগোতে থাকেন সামনের দিকে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের চূড়ান্ত বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের বিচারের পথ প্রশস্ত করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিচার সম্পন্ন করে গোটা জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেন। ক্ষমতায় আসার স্বল্প সময়ের মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহের ভয়াবহ ঘটনা সংঘটিত হয়। নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে সেনাবাহিনীকে উসকানি দেবার চেষ্টা করা হয়। অসীম ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার বিচার সম্পন্ন করেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেন। বড় বড় রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, দুর্নীতির মামলাসহ সব অপরাধীকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসেন। অবসান হয় দায়মুক্তির সংস্কৃতির। দুর্নীতির দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের কারাদণ্ড হয়। ২১ আগস্টের বর্বর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তারেক রহমানসহ বিএনপি সরকারের একাধিক মন্ত্রী, গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীর প্রধানরাসহ অন্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা পরিবর্তনের সাংবিধানিক বিধানকে সমুন্নত করেন। অবৈধ শক্তি এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যাতে মাথাচড়া দিয়ে উঠতে না পারে, তার জন্য গোটা জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রস্তুত করেন। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষিত হয়। সর্বোচ্চ আদালত জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদকে তস্কর, অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধী হিসেবে উল্লেখ করে ওই রায়ে। শুধু তা-ই নয়, তারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন, তাই তাদের কৃতকর্মকেও আদালত অবৈধ ঘোষণা করেন। এভাবে সামরিক বাহিনীর উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তাদের ক্ষমতা দখলকে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অবৈধ ঘোষণা করার দ্বারা ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচিত হয়। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা ধাম্ভিকতার সঙ্গে বলতেন, তাদের কেউ কিছু করার ক্ষমতা রাখে না। সেই ধাম্ভিকতাকে চূর্ণ করে দিয়ে ইতিহাসে অনন্য নজির স্থাপন করেন শেখ হাসিনা। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইনে পরিণত করে সংবিধানে সংযুক্ত করেন এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকরি দেন। অভিযোগ রয়েছে যে, ক্ষমতাকে নির্বিঘ্ন করতে খালেদা জিয়া জেনারেল জিয়া হত্যার বিচার করা থেকে বিরত থাকেন। শেখ হাসিনা রাজনীতিতে হঠাৎ করে আবির্ভূত হননি। পারিবারিকভাবেই রাজনীতিতে শিশুকাল থেকেই তার হাতেখড়ি। পিতার রাজনীতির ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য ছিল তার, বাসায়, সভা-সমাবেশে, রাজপথে এবং কারাগারের গেটে। ছাত্রজীবনে ইডেন কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। বিশ্বাসে, বাস্তবতায় ও ধমনিতে ধারণ করেছেন যোগ্য পিতার শুধু রক্তের উত্তরসূরি নন, আদর্শেরও উত্তরসূরি। তাইতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে অগ্রযাত্রার অপ্রতিরোধ্য গতি নিয়ে বিধ্বস্ত ও দরিদ্রপীড়িত বাঙালি জাতিকে উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত করতে অনন্য উচ্চতার নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত করেছেন নিজেকে।

নারীর ক্ষমতায়ন, অসহায়দের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, আমার বাড়ি আমার খামার, পরিবেশ সুরক্ষা, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের মতো অসংখ্য কর্মসূচি গ্রহণ ও সাফল্যের মধ্য দিয়ে দেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। ৬৭ বছরের ঝুলে থাকা ছিটমহল সমস্যা সমাধান করেছেন শান্তিপূর্ণ উপায়ে। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের প্রায় সমপরিমাণ এলাকায় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছেন সেরা কূটনীতির মধ্য দিয়ে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা মেট্রোরেল, সোনাদিয়া গভীর সমুন্দ্রবন্দর নির্মাণ, পায়রা সমুন্দ্রবন্দর নির্মাণ। ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিটি জেলায় একটি করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, পর্যায়ক্রমে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা তার অনন্য অসাধারণ সাফল্যের পরিচয় বহন করে। অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, মাথাপিছু গড় আয় বৃদ্ধি, গড় আয়ু বৃদ্ধি, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে আনা, গড় প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করা, জিডিপির আনুপাতিক হার প্রতিবেশী অনেক দেশের চেয়ে অনেক বেশি বৃদ্ধি করাসহ সাফল্যের সংখ্যা ও পরিমাণ বিপুল পর্যায়ে পৌঁছেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আকাশে উৎক্ষেপণ, যা ছিল অকল্পনীয়, তা বাস্তবতায় পরিণত করেছেন। বিশ্বপরিমণ্ডলে তিনি মানবতার জননী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করায় তাকে উন্নয়নের জাদুকর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সততা ও পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে বিশ্বের তিনজন সেরা রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে অন্যতম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। বিভিন্ন কর্মে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন অব দা আর্থ, স্টেটম্যান, ইস্টার অব ইস্ট, মাদার অব হিউম্যানিটি, ভ্যাকসিন হিরোসহ ৪০টির বেশি পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন মর্যাদাপূর্ণ দেশ ও সংগঠন থেকে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক তহবিলে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান ও ৫টি বাস্তবতাসম্মত প্রস্তাব তাকে বিশ্বে নতুন উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা ও আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার সব সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করে জাতির জনকের অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। যারা তার পিতার খুনিদের প্রশ্রয় দিয়েছিল, এমনকি তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল, তেমন একজন প্রতিপক্ষকে উচ্চ আদালত কর্তৃক কারাদণ্ড দেয়ার পরও নিজ বাসায় মুক্ত জীবনে থাকার সুযোগ করে দিয়ে যে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন, তা ইতিহাসে বিরল। তিনি দলীয় নেতা, সরকারের প্রধানমন্ত্রী এসব পরিচয়ের ঊর্ধ্বে এখন আন্তর্জাতিক পরিসরে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, দূরদৃষ্টি, সততা, নিষ্ঠা, পরিশ্রম মহানুভবতায় অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাওয়া শেখ হাসিনা আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ৭৪ বছরে পা রাখবেন। স্বজন হারানোর বেদনা এবং বয়সের ভার কোনোভাবেই তাকে দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পাদনে কখনো ক্লান্ত করতে পারে না। দলের নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি অনন্য অসাধারণ নেত্রী, সরকারে তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের আশা-আকাঙ্ক্ষার একমাত্র আশ্রয়স্থল। বিশ্বপরিমণ্ডলে তিনি সফল রাষ্ট্রনায়ক এবং দেশবাসীর কাছে তিনি মমতাময়ী মায়ের আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত। শেখ হাসিনা ফিরে না এলে ইতিহাসের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হতো না, ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায় ইতিহাসের স্বপ্ন ভঙ্গ হতো। শেখ হাসিনাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, শেখ হাসিনাই বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি, শেখ হাসিনাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আশা-আকাঙ্ক্ষার একমাত্র ভরসাস্থল। বয়সের হিসাবে ৭৪-এ পৌঁছালেও কর্মস্পৃহা, দায়িত্ববোধ, নিষ্ঠা, সততা ও দেশপ্রেমের মন্ত্রে দীক্ষিত শেখ হাসিনা পৃথিবীর অন্যতম সেরা পরিশ্রমী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রমাণ করেছেন যে, বয়স তাকে স্পর্শ করতে পারে না। অদম্য সাহসী ও শক্তির আধার শেখ হাসিনারই বাঙালি জাতির সব অন্ধকারের আলোকবর্তিকাবাহী দুঃসাহসী অভিযাত্রী। দীর্ঘজীবী হোন শেখ হাসিনা।

লেখক : শ ম রেজাউল করিম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী


নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর



সবসময় আস্থা রাখায় ধোনিকে ধন্যবাদ জানালেন মোস্তাফিজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। যেখানে তার সতীর্থ ছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও জিম্বাবুয়ে সিরিজের কারণেই মাঝপথে আইপিএলকে বিদায় জানাতে হয়েছে এ টাইগার পেসারকে।

বিদায় বেলায় মুস্তাফিজকে নিজের অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি জার্সি উপহার দেন ধোনি। যেখানে লেখা ছিল, ফিজের প্রতি ভালোবাসা। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাটার মাস্টার।

নিজের অফিশিয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঁহাতি এই পেসার লিখেছেন, সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ মাহি (ধোনি) ভাই। আপনার মতো কিংবদন্তির সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করে নেয়াটা ছিল বিশেষ এক অনুভূতি। সবসময় আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ, আমি সেগুলো মনে রাখব। আপনার সঙ্গে শিগগিরই আবারও খেলতে এবং দেখা করতে মুখিয়ে আছি।

বিসিবির দেওয়া অনাপত্তিপত্র অনুযায়ী, গত ১ মে পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজ। এই আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি।

মুস্তাফিজের বিদায় নিয়ে আগেই মন খারাপের কথা জানিয়েছেন চেন্নাইয়ের হেড কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং ও ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।


আরও খবর



আরসার আস্তানায় অভিযান, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গ্রেনেডসহ গ্রেফতার ২

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন গহিন পাহাড়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) আস্তানায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অভিযান চলছে। তবে এরই মধ্যে আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট শেল উদ্ধারসহ আরসার দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) ভোররাত থেকে উখিয়ার গহিন পাহাড়ে লাল পাহাড়ে এ অভিযান চালানো হয়।

র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পে হেড মাঝিসহ কয়েক রোহিঙ্গাকে গুলি ও গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটছে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব ক্যাম্পে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। তারই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়ার ক্যাম্পসংলগ্ন গহিন পাহাড়ে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার আস্তানা অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ২টা থেকে অভিযান শুরু হয় এবং পুরো লাল পাহাড় ঘিরে ফেলা হয়। এক পর্যায়ে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। এরপর র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

এ পর্যন্ত একটি আস্তানা থেকে দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট সেল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলমান রয়েছে বলে জানায় র‌্যাবের ওই অধিনায়ক।


আরও খবর



পঞ্চম বারের মতো প্রেসিডেন্টের শপথ নিলেন পুতিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

টানা পঞ্চম বারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার (৭ মে) স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রিউ হলে শপথ নেন তিনি।

গত মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হওয়ার পর মঙ্গলবারের শপথ গ্রহণের মধ্যে দিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন ৭১ বছর বয়সী এই নেতা।

সরকারি-বেসরকারি সব টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছে।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে রুশ সরকারের সব উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিদেশি কূটনীতিকদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। মস্কোতে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে লেভিকেও নিমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল এবং তিনি উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ঘিরে ব্যাপক তিক্ততা চলছে প্যারিস এবং মস্কোর মধ্যে।

তবে পোল্যান্ড, জার্মানি এবং চেক রিপাবলিকের রাষ্ট্রদূতদের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। তিন দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অন্যায়’ অভিযানের প্রতিবাদ হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নিজ নিজ রাষ্ট্রদূতদের না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

১৯৯৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন ভ্লাদিমির পুতিন । পরে তৎকালীন রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলেৎসিনের বদন্যতায় ১৯৯৯ সালে প্রথমাবরের মতো রাশিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হন তিনি। ওই বছর পুতিনের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে রাজনীতি থেকে অবসরে গিয়েছিলেন ইয়েলেৎসিন।

পরে ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতেন পুতিন। ২০০৪ সালের নির্বাচনে ৭১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের প্রেসিডেন্ট হন।

যুক্তরাষ্ট্রের মতো রাশিয়ার সংবিধানেও কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকার অনুমতি ছিল না। তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিজের বিশ্বস্ত অনুসারী দিমিত্রি মেদভেদেভকে তিনি প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করান এবং নিজে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হন। সেই নির্বাচনে মেদভেদেভ এবং পুতিন—উভয়ই জয়ী হয়েছিলেন।

কিন্তু ২০১২ সালের নির্বাচনে ফের জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্টের মেয়াদকাল ৪ বছর থেকে ৬ বছরে উন্নীত করেন এবং দুই বারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীতা না করার যে বাধ্যবাধকতা ছিল— তা বাতিল করেন। পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনেও জয়ী হন তিনি।

রাশিয়ায় এ পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রেসিডেন্টের পদে থাকার রেকর্ডের মালিক সাবেক সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিন। টানা ২৮ বছর ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। শপথগ্রহণের পর এবারের মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারলে স্ট্যালিনকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হবেন পুতিন।

ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে ইউক্রেন স্বীকৃতি না দেওয়ায় প্রায় ৪-৫ বছর দেশটির সঙ্গে টানাপোড়েন শেষে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন পুতিন।

সেই অভিযান এখনও চলছে। এদিকে অভিযান শুরুর পরপরই রাশিয়ার ওপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা। এসব নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়া।

যদি সত্যিই এ উদ্দেশ্য সফল হতো, তাহলে পুতিনের পক্ষে এই নির্বাচনে জেতা খুবই কঠিন হতো। কিন্তু  দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বিভিন্ন নীতি গ্রহণের মাধ্যমে সম্ভাব্য সেই অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়াতে সক্ষম হয়েছে রাশিয়া। আর এই ব্যাপারটিই পুতিনের জয়ের পথে সবচেয়ে বড় পাথেয় হিসেবে কাজ করেছে।


আরও খবর



আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল: বাইডেন প্রশাসন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়ে গাজায় হামলার ক্ষেত্রে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে বাইডেন প্রশাসন। স্থানীয় সময় শুক্রবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়। কংগ্রেসে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া পর এমন তথ্য সামনে এসেছে।

হোয়াইট হাউসের নির্দেশিত পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্র ইসরায়েল কীভাবে ব্যবহার করেছে। যদিও ওই প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানের তীরষ্কার করা হয়। তবে এটা স্পষ্ট করে বলা হয়নি যে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজায় হামলার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে কি-না।

এতে আরও বলা হয়, গাজায় হামলার ক্ষেত্রে ইসরায়েল সেনাবাহিনীকে হামাসের বিরুদ্ধে একটি কঠিন সামরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইসরায়েল যেভাবে আশস্ত করেছে এজন্য তাদের আরও অস্ত্র পাঠানো যেতে পারে।

আরও বলা হয়, সামরিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য হামাস যেভাবে বেসরকারি অবকাঠামোতে হামলা এবং মানব ঢলকে যেভাবে ব্যবহার করেছে তাতে বৈধ প্রক্রিয়ায় স্থলভাগে নির্দিষ্ট বস্তুকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো কঠিন ছিল।

এদিকে সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জো বাইডেন বলেছেন, ওই বোমার আঘাতে এবং অন্যভাবে গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন। ইসরাইলের প্রতিরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়বদ্ধ। তাই তারা আয়রন ডোম রকেট ইন্টারসেপটার দেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র একটা বিভাজনরেখাও তৈরি করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইসরাইল যদি রাফাতে আক্রমণ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেবে না।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই সময়ে তারা ১২০০ মানুষকে হত্যা এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।

এ হামলার প্রতিবাদে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। কিন্তু হামলায় দেশটি কোনো নিয়মের তোয়াক্কা করেনি। ফলে ৩৪ হাজারের বেশি নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।


আরও খবর



রিকশাচালকে মারধর করে ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর নিলেন ইউপি সদস্য

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসাইন, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

Image

ভোলার চরফ্যাশনে নোঙ্গর চুরির অপবাদ দিয়ে হানিফ নামের এক রিকশাচালককে হাত-পা বেধে মারধর করে দেড় লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করে ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদারের বিরুদ্ধে।

রোববার (১২ মে) দুপুরে চরফ্যাশন সদরের একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রিকশা চালক মো. হানিফ।

রিকশাচালক হানিফ অভিযোগ করেন, গত ৫ এপ্রিল রোজ শনিবার সকালে তিনি রিকশা চালিয়ে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার পৌছলে স্থানীয় প্রভাবশালী দুলাল দালালের মাধ্যমে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার খেজুর গাছিয়া বাজারে তার গদি ঘরে ডেকে নেন এবং  ইউপি সদস্য মোঃ ইউছুফ সিকদার আমাকে আটকিয়ে মারধর করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও আমার ছেলের কাছ থেকে ফাঁকা স্টাম্পে টিপ স্বাক্ষর রাখেন।

তিনি অরোও অভিযোগ করেন, আমি একজন রিক্সা চালক অনেক যাত্রী আমার রিকশায় যাত্রী বহন করি এবং বিভিন্ন মামামাল পরিবহন করে থাকি। গত রমজানের ঈদের আগে একদিন সকালে হাসান নামের এক ব্যাক্তি খেজুর গাছিয়া বাজার থেকে আমার রিকশায় একটি নোঙ্গর নিয়ে আসেন চেয়ারম্যান বাজারে। ওই নোঙ্গরটি তিনি বিক্রি করবেন বলে তিনি আমাকে জানিয়েছেন তবে কোথায় বিক্রি করবেন তা আমার জানা নাই। ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার প্রকৃত নোঙ্গর বিক্রেতাকে ছেড়ে দিয়ে ওই নোঙ্গরটি বিক্রির সাথে আমি জড়িত এমন সন্দেহে ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার আমাকে ধরে নিয়ে আটক করে নোঙ্গর চুরির অপবাদ দিয়ে আমাকে হাত-পা বেধে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করেন। খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধারে আমার ছেলে মো. কবির  খেজুরগাছিয়া গেলে ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার জোরপূর্বক আমার ছেলে কবিরকেও আটক করেন। এবং আমার জরিমানা বাবদ তার কাছ থেকে ফাঁকা স্টাম্পে টিপ স্বাক্ষর রেখে দেন।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার জানান, স্থানীয় ঘাটের আড়ৎ মালিক ও জেলেদের সিদ্ধান্ত মতে তাকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। টাকা পরিশোধ শর্তে তার ছেলের কাছ থেকে একটি স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। মারধরের বিষয়টি সঠিক নয়।


আরও খবর