আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সেই উপস্থাপিকার কাছে ক্ষমা চাইলেন বিচারপতি মানিক

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যু নিয়ে টকশোতে উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীকে রাজাকারের বাচ্চা বলে সম্বোধন ও অশালীন আচরণের ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। একই সঙ্গে তিনি জনগণের কাছেও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

সোমবার (১২ আগস্ট) তাকে (বিচারপতি মানিক) লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজের কাছে লিখিতভাবে এ ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

আইনি নোটিশের জবাবে সাবেক বিচারেতি মানিক লিখেছেন, তিনি একজন হাইপারটেনশন ও ডায়াবেটিসের রোগী। টক শোর দিন তাকে অনেক লম্বা পথ হেঁটে প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হয়েছিল। ফলে তার ব্লাড সুগার নেমে যায় ও ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায় এবং একই সঙ্গে তিনি প্রচুর ক্লান্ত বোধ করছিলেন। যার কারণে তিনি তার নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি তার এরূপ আচরণের জন্যে উপস্থাপিকার কাছে গভীরভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সিনিয়র অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজকে তার পাঠানো আইনি নোটিশের জবাব দিয়েছেন। সেখানে তিনি উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী এবং জনগণের কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

বিচারপতি মানিকের ক্ষমা প্রার্থনার কথা জানিয়ে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটে অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিমকে এই মেসেজ পাঠান এবং সঙ্গে সঙ্গে তার হাতে লিখা দুই পাতার একটি চিঠিও সংযুক্ত করেন।

এর আগে রোববার উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে সাবেক বিচারপতি মানিককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে তাকে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি উপস্থাপিকার কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে বলা হয়।

‘‌ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ এ নোটিশ পাঠান। প্রকাশ্য ও লিখিতভাবে ক্ষমা না চাইলে সাবেক বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

কোটা আন্দোলন ইস্যুতে সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে আয়োজিত টকশোতে আলোচক হিসেবে হিসেবে অংশ নেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। কিন্তু আলোচনার একপর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে সঞ্চালক দীপ্তি চৌধুরীর ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। পুরো অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকবার উপস্থাপিকার ওপর নিজের ক্ষোভ ঝাড়েন এবং উচ্চবাচ্য করেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি অনুষ্ঠান শেষে স্টুডিও ছাড়ার আগে উপস্থাপিকাকে রাজাকারের বাচ্চা বলে আখ্যা দেন। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, আলোচনা শেষে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করার আগ মুহূর্তে বিচারপতি মানিক বলে ওঠেন, সে তো রাজাকারের বাচ্চা। তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে সঞ্চালক দীপ্তি বলেন, আপনার কোনো অধিকার নেই আমাকে রাজাকারের বাচ্চা বলার। আমি একটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। তখন বিচারপতি মানিক বলেন, অবশ্যই। একশবার অধিকার আছে। আপনি রাজাকারের বাচ্চা।

সঞ্চালক দীপ্তি বলেন, আমি একটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আপনি কোন সাহসে আমাকে রাজাকারের বাচ্চা বলেন? তখন বিচারপতি মানিক বলেন, আপনার ব্যবহার দেখে বলেছি আমি। আপনি রাজাকারের বাচ্চা।

পরে সঞ্চালক চিৎকার করে বলতে থাকেন, আমি একটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমি একটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমি একটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান।

তখন বিচারপতি মানিক আরও বলেন, কিসের আপনি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান? আপনি রাজাকারের সন্তান। এরপর অনুষ্ঠানের অপর আলোচক গোলাম মাওলা রনি বিচারপতি মানিককে অনুরোধ করে অনুষ্ঠানস্থল থেকে সরিয়ে নিতে দেখা যায়।

টকশোটি প্রচারের পর থেকে বিচারপতি মানিকের ব্যবহার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর মধ্যেই নতুন করে অনুষ্ঠানের পরের বাগ্বিতণ্ডার ভিডিও আবার সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার পারদ চূড়ায় পৌঁছে। নেটিজেনরা বিচারপতি মানিকের সমালোচনার পাশাপাশি সঞ্চালক দীপ্তি চৌধুরীর ধৈর্যের প্রশংসাও করেন।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী ও কবির আহাম্মদ

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

জাকির হোসেন চৌধুরী ও ড. কবির আহম্মদকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।আজ রবিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জাকির হোসেন চৌধুরী এবং ড. মো. কবির আহাম্মদকে বাংলাদেশ ব্যাংক-এর ডেপুটি গভর্নর পদে তাদের যোগদানের তারিখ থেকে ৩ (তিন) বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।


আরও খবর



বিলিয়নিয়ার তারকাদের দলে সেলেনা গোমেজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গায়িকা, অভিনেত্রী, বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তা সেলেনা গোমেজ এখন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম কনিষ্ঠ স্বনির্ভর বিলিয়নিয়ার। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, ৩২ বছর বয়সি সেলেনার মোট সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে ১.৩ বিলিয়ন ডলার।

ছোটবেলায় বার্নি এবং ডিজনি চ্যানেলের তারকা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করা সেলেনা গোমেজের বিপুল সম্পদের বেশিরভাগই এসেছে তার রেয়ার বিউটি নামক মেকআপ কোম্পানি থেকে, যা তিনি পাঁচ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, বর্তমানে এই কোম্পানিতে তার শেয়ার মূল্য ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এই ব্র্যান্ডের সাফল্য তাকে টেইলর সুইফট এবং রিহানার মতো কনিষ্ঠ স্বনির্ভর নারী ধনীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

এছাড়াও, তিনি মানসিক স্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্ম ওয়ান্ডারমাইন্ড-এ বিনিয়োগ করার পাশাপাশি সংগীত, অভিনয়, সম্পত্তি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং পার্টনারশিপ থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করেন।

ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, লুই ভিতোঁ, কোচ এবং পুমার মতো ব্র্যান্ডের সঙ্গে এন্ডোর্সমেন্ট চুক্তি থেকে গোমেজ মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। তিনি হুলুর জনপ্রিয় সিরিজ 'অনলি মার্ডার্স ইন দ্য বিল্ডিং'-এ অভিনয়ের জন্য প্রতি সিজনে কমপক্ষে ৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। এই সিরিজটি সম্প্রতি পঞ্চম সিজনের জন্য নবায়ন করা হয়েছে।

টেক্সাসে জন্ম নেওয়া গোমেজ প্রায় তিন দশক ধরে জনসমক্ষে রয়েছেন। গত বছর এই গায়িকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অনুসরণকারী নারী হয়েছিলেন। ইনস্টাগ্রামে তার ৪২৪ মিলিয়নেরও বেশি অনুসরণকারী রয়েছে, যা টেইলর সুইফট এবং কাইলি জেনারের চেয়েও বেশি।

২০২০ সালে গোমেজ জানান, তার বাইপোলার ডিসঅর্ডার ধরা পড়েছে এবং পরবর্তীতে এন্ট্রাপ্রেনিউর ম্যাগাজিনকে কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, তার সঙ্গে করা যেকোনো চুক্তিতে অবশ্যই চ্যারিটি বা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু থাকতে হবে।

তিনি সেসময় 'রেয়ার ইম্প্যাক্ট ফান্ড' শুরু করেন, যার লক্ষ্য ছিল ১০০ মিলিয়ন ডলার তোলা যাতে মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় প্রবেশাধিকার পেতে পারে।

সিএনএন মন্তব্যের জন্য গোমেজের প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি তৎক্ষণাৎ সাড়া দেননি।

নিউজ ট্যাগ: সেলেনা গোমেজ

আরও খবর
কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানালেন টেলর সুইফট

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকটের প্রধান তিনটি কারণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে লোডশেডিং বেড়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই বিদ্যুৎ সংকট দেশের মানুষের জীবনযাত্রাকে অসহনীয় করে তুলেছে। বেশি লোডশেডিং দেখা দিয়েছে গ্রামাঞ্চলে। ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি সরবরাহ না থাকায় উৎপাদন কমেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে। একইসঙ্গে জ্বালানির আমদানি নির্ভর এ খাতে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছে সরকারের বকেয়াও বাড়ছে। ফলে চাহিদা মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না।

দেশে বর্তমানে উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি হলেও চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াটের কম।

শেখ হাসিনা সরকার গত পনের বছরে দেশে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করে অপরিকল্পিতভাবে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অনেক ক্ষেত্রে চাহিদাও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেখ হাসিনার সরকার অর্থনৈতিক যে বিপর্যয় রেখে গেছে তারই ফলশ্রুতিতে এই পুরো খাত মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই খাতে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। সম্পূর্ণ টাকা দেওয়া সম্ভব না হলেও যতটুকু টাকা দিয়ে সরবরাহ বজায় রাখা যায় ততটুকু দিতে হবে।

এদিকে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, সাময়িক সংকট সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডলার পেমেন্ট করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকটের মূল সমস্যা ডলার সংকট। একে কেন্দ্র করেই অন্য সমস্যাগুলো প্রকট আকার ধারণ করেছে এই মুহূর্তে। একইসঙ্গে বিগত সরকারের অপরিকল্পিত প্রকল্প বাস্তবায়নের খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে।

ডলার সংকট

দেশে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ আসে গ্যাস-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা আছে প্রায় বারো হাজার মেগাওয়াট। আগে সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। অথচ এখন পাঁচ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ খাত দিনে ১২০ থেকে ১৩০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে। এখন ৮০ থেকে ৮৫ কোটি ঘনফুট সরবরাহ হচ্ছে বলে জানিয়েছে পিডিবি।

কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে দিনে গ্যাস আসে একশ দশ কোটি ঘনফুট। সামিটের এলএনজি টার্মিনাল গত ২৭শে মে থেকে বন্ধ। ফলে এখন সরবরাহ হচ্ছে ৬০ কোটি ঘনফুট। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব ইউনিট। ফলে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) তিন হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি লোডশেডিং ছিল।

ভারতের ঝাড়খণ্ডে নির্মিত আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। দিনে দেড় হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল। কিন্তু বকেয়া পরিশোধ না করায় এখন এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে তারা। শেখ হাসিনার সরকার ব্যাংক থেকে বন্ড ছেড়ে বেসরকারি খাতের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল কিছুটা কমাতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের এখনও অনেক বকেয়া রয়েছে।

গ্যাস বিল, সরকারিবেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিল, ভারতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিল সব কিছু মিলিয়ে পিডিবির বকেয়া টাকার পরিমাণ ৩৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বকেয়া অর্থ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি।

ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, এখন অন্যতম প্রধান সমস্যাই অর্থ সংকট। তাই অন্য খাতে কমিয়ে এখানে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে হবে। তেল-চালিত কেন্দ্রগুলো বেশি চালাতে হবে। ডলার জোগাড় করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হবে। ১৫ শতাংশ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য গ্যাস রেশনিং করতে হবে। তবেই লোডশেডিং এর সংকট সমাধান হতে পারে।

জ্বালানিতে আমদানি নির্ভরতা 

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ খাতে পলিসিগত যে ভুল সবচেয়ে ভয়াবহ হয়েছে সেটা হলো পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থা শক্তিশালী অর্থনীতির বিবেচনায় আমদানি নির্ভর করা হয়েছিল। শেখ হাসিনার সরকার অর্থনীতির একটি ভ্রান্ত ধারণার উপর ভিত্তি করে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে। এসব কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গ্যাসের পাশাপাশি তেল ও কয়লার ব্যবহার বেড়েছে।

এই জ্বালানির বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এর আগে সরকার কখনো নিজেরা প্রাথমিক জ্বালানির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। অথবা বিকল্প জ্বালানি হিসেবে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের দিকে গুরুত্ব দেয়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জ্বালানির এই আমদানি নির্ভরতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। যা সরাসরি ডলারের ওপর চাপ তৈরি করেছে। আমদানি নির্ভরতার সংকটের দৃষ্টান্ত হিসেবে ২০২২-২৩ সালকে উল্লেখ করছেন বিশ্লেষকরা। জ্বালানি আমদানির জন্য অতিরিক্ত ১৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হয় ওই বছর।

এ খাতের সংকট নিরসনে সরকারকে অগ্রাধিকার-ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। যতটুকু অর্থ দিয়ে সরবরাহ বজায় রাখা যায় তা দিতে হবে। 

অপরিকল্পিত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও সরবরাহ লাইন না থাকা

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা এ খাতকে চরম অব্যবস্থাপনার খাত হিসেবে অভিহিত করেন।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের হিড়িক পড়ে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন পাস করে এগুলোকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়। এ আইনের অধীনে দরপত্র ছাড়াই একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। ব্যবসায়ীরা ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতারাও বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা নেন।

অনেক পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করা হলেও সেগুলো থেকে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ অর্থের অভাবে গ্যাস ও তেল কেনা যাচ্ছে না। এরকম বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর চুক্তি স্থগিত বা রিনিউ করা হয়নি।

দেশের দক্ষিণে চারটি বড় বড় কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এগুলো হলো পায়রা, রামপাল, এস আলম এবং মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এগুলোর মোট উৎপাদন সক্ষমতা পাঁচ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ লাইন না থাকার কারণে এগুলো থেকে বিদ্যুৎ ঢাকার দিকে আনা যাচ্ছে না। অথচ তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয়।

তারা বলছেন, এখন ক্যাপাসিটির অসুবিধা নেই। কিন্তু সরবরাহ লাইনের সীমাবদ্ধতা আছে। ফলে উৎপাদন সক্ষমতা থাকলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ৬০ শতাংশ জ্বালানি আমদানি করার কারণে এই সেক্টর বেশি প্রভাবিত বলে জানান জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।


আরও খবর



সচিবালয়ে ঢুকে পড়েছেন আনসারদের একাংশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সচিবালয়ে ঢুকে পড়েছেন বিক্ষোভকারী আনসারদের একাংশ। রোববার দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে তারা বিদ্যুৎ ভবনের দিকের ‌সচিবালয়ে তিন নম্বর গেট দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে ঢুকে পড়েন। চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে দুপুর ১২টার পর থেকে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন তারা।

অর্ধশতাধিক আনসার ঢুকে পড়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গেটটি দ্রুত বন্ধ করে দেয়। আনসাররা ভেতরে ঢুকে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। সচিবালয়ে ঢুকে পড়া আনসাররা তিন নম্বর গেটের আশেপাশে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করে স্লোগান দিচ্ছেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তারা বলছেন, হয় আমাদের চাকরি জাতীয়করণ করেন না হয় আমাদের মেরে ফেলেন।

চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে গত দুদিন ধরে আন্দোলন করছেন আনসাররা। তাদের দাবি, তারা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার। তাদের আশ্বাস দেওয়ার পরও চাকরি জাতীয়করণ করা হয়নি।

দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত সচিবালয় থেকে কাউকে বের হতে দেবেন না এবং কাউকে প্রবেশ করতে দেবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী আনসাররা।

সচিবালয়ের সবগুলো গেট বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অনেক দর্শণার্থীকে বের হতে না পেরে সচিবালয়ের ভেতরর গেটগুলোর সামনে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির দিনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। সেদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর গঠিত হয় অন্তবর্তী সরকার।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন খাতের বঞ্চিতরা সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে আসছেন। এজন্য বিভিন্ন সময়ে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ থাকতে হয়েছে।


আরও খবর



সাবেক মন্ত্রী তাজুল ও প্রতিমন্ত্রী মহিববুরের ব্যাংক হিসাব জব্দ

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের সদস্যের ব্যাংক হিসাব স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। সোমবার বিএফআইইউর সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হিসাব জব্দ করাদের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সব লেনদেন বন্ধ থাকবে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবে না। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে। 

লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে মো. তাজুল ইসলাম ও মহিববুর রহমানসহ তাদের স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের সদস্যের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।

বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোনো হিসাব স্থগিত করা হলে হিসাবসংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কাছে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।

 


আরও খবর