আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

সবুজ অর্থায়নে এগোতে চায় সোনালী ব্যাংক

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রিন ফিন্যান্স নামে প্রচলিত পরিবেশবান্ধব ব্যবসায় উদ্যোগে পর্যাপ্ত তহবিল থাকলেও যোগ্য উদ্যোক্তা পাচ্ছে না রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক।

সবুজ অর্থায়ন বলে পরিবেশবান্ধব উপায়ে ব্যাবসায়িক অবকাঠামোর জন্য ঋণকে বোঝানো হয়। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে শুরু করে সূর্যের আলোর ব্যবহার বাড়ানো, বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা এবং কাগজের তুলনামূলক কম ব্যবহারসহ বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তিতে স্থাপিত অবকাঠামোকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে ধরা হয়।

বিশ্বায়নের যুগে পরিবেশবান্ধব কারখানা তৈরির ধারণা থেকে ২০১১ সালে গ্রিন বা সবুজ ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সবুজ অর্থায়নের গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশ খারাপের দিকে যাচ্ছে, ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্জ্য ফেলার মাধ্যমে পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠছে। এ জন্য সবুজ অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত আইলা কিংবা ঘূর্ণিঝড় হিসেবে প্রতিবছরই আমাদের কাছে আসছে। আমরা অনেক খরচ করি। খরচটা পরিবেশবান্ধব হওয়া আবশ্যক।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে গোষ্ঠীভিত্তিক সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার পরামর্শ দেন পল্লী কর্মসংস্থান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।

পরিবেশদূষণ প্রতিরোধ, কারখানার শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা, জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলার জন্যই এ ধরনের কারখানা স্থাপনকে বিশ্বব্যাপী অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। গ্রিন ফ্যাক্টরি হলে একদিকে যেমন পরিচালন ব্যয় কমে যায়, তেমনি বিদেশি ক্রেতারা আকৃষ্ট হয় বেশি। ফলে রপ্তানির পরিমাণ বেড়ে যায়।

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিকে ঋণঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন ঋণমঞ্জুরি ও নবায়নের সময় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রকল্পের ঋণঝুঁকি নিরূপণের পাশাপাশি পরিবেশগত ঝুঁকি নিরূপণ করা হচ্ছে।

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউর রহমান প্রধান মনে করেন, দেশে গ্রিন ফিন্যান্স এখন লিমিটেড স্কেলে আছে। কারণ এখানে মুনাফা কম, তাই উদ্যোক্তারাও আসছেন না।

তিনি বলেন, ফান্ড নিয়ে বসে আছি। উদ্যোক্তা আসছে না। যদি উদ্যোক্তা আসে, কনসেপ্টটা যেহেতু কাজ করছে, এটার পরিধি বাড়বে।

আতাউর রহমান বলেন, সরকারের তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু ইনসেনটিভও আছে। তার পরও গ্রিন ফিনান্স করতে ফান্ড আছে, পিপল শুড কাম ফরওয়ার্ড। আসতে হবে উদ্যোক্তাদের।

সোনালী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বলেন, গ্রিন ব্যাংকিংয়ে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা আছে। আপনি ওভারনাইট কাউকে গ্রিন করতে পারবেন না। ধরুন আপনি একটি টেক্সটাইলে ইনভেস্ট করেছেন। এখানে ইএফটি, পরিবেশবান্ধব বিষয়গুলো মানা হচ্ছে কি না, সেটা দেখতে হবে।

জানা গেছে, পরিবেশবান্ধব পণ্য ও সেবা উদ্ভাবন, উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণের বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে সোনালী ব্যাংক। ব্যাংক কর্তৃক অর্থায়নকৃত ও অর্থায়নযোগ্য প্রকল্পে পরিবেশগত দিক থেকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত পণ্য উৎপাদন, বিপণন, বাজারজাতকরণ সুনিশ্চিত করা হচ্ছে।

বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক পেপারলেস ব্যাংকিং নিয়ে কাজ করছে বলে জানান এটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি বলেন, যদি পেপার না থাকে, তবে আলটিমেটলি বাঁশ লাগবে না, কাঠ লাগবে না। সেভ হবে। দিস ইজ অলসো এ গ্রিন ফিন্যান্স। আমরা আলো সেভ করে যাতে কাজ করতে পারি, সোলারে কাজ করতে পারি। সে জন্য আমরা সোলারে ইনভেস্ট করছি।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের গ্রিন ব্যাংকিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্ত কার্যালয় ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্দেশনাসংবলিত ইশতেহার জারি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে এই ব্যাংকের সব অফিস ও শাখা পর্যায়ে কাগজের ব্যবহার কমানো, পানির ব্যবহার পরিমিতকরণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মিতব্যয়িতার প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে রিডিউস, রিফিউজ এবং রিসাইকল চর্চার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব বা সাশ্রয়ী ব্যাংকিং নিশ্চিতকরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গ্রিন স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং প্রণয়ন করে ব্যাংকের সর্বস্তরে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ই-মেইলের মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে।

পরিবেশ আইনের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যাংকার, গ্রাহক ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং পরিবেশ রক্ষার কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করার জন্য প্রেষণা সৃষ্টির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। গ্রিন ব্যাংকিং বিষয়ে ব্যাংকের স্টাফ কলেজ ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটগুলোতে প্রশিক্ষণ/কর্মশালা চলমান রয়েছে।

সময় ও অর্থের সাশ্রয় এবং কাগজবিহীন ব্যাংকিং চালুকরণের নিমিত্ত সার্কুলার ইস্যুকরণসহ যাবতীয় পত্রযোগাযোগ ব্যাংকের ওয়েবসাইট ও ই-মেইলের মাধ্যমে সম্পাদনের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: সোনালী ব্যাংক

আরও খবর



টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচার বন্ধে কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে গত (২ মে) তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীরাই সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে।

২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।

৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।

৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিংয়ের অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫) বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

৬) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত অন্য কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতীত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৭) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোনও ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত নিজস্ব কোনও অনুষ্ঠান যেমন- ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোনও উপায়ে কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনও চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৮) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনও ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী ব্যতীত অন্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটররা এ সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে।

১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



হাসপাতালের লিফটে আটকে রোগীর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়ে মমতাজ বেগম নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১২ মে) সকালে হাসপাতালের লিফট হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানে এ ঘটনা ঘটেছে।

মমতাজের মামা শাহাদাত হোসেন সেলিম গণমাধ্যমকে বলেন, আজ ভোরে মমতাজকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন স্বজনরা। শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালের ১১তলা থেকে লিফটে চতুর্থ তলায় নামার সময় হঠাৎ সেটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৪৫ মিনিট আটকে থাকার পর হাসপাতালের লোকজন নয় তলা দিয়ে তাদের বের করে আনেন। তবে এর আগেই মমতাজ মারা যান।

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হাসনিন জাহান জানান, লিফটের ভেতর একজন রোগী মারা গেছেন। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।


আরও খবর



২ বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল বাফেলো শহর

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ২ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় উত্তাল নায়াগ্রা ফলসখ্যাত বাফেলো শহর। রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিক্ষুব্ধ প্রবাসীদের তোপের মুখে পড়েন বাফেলো শহরের মেয়র ও পুলিশ কমিশনার।

স্থানীয় সময় দুপুরে নামাজের পর হাজারো মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে জড়ো হন বাফেলো মুসলিম সেন্টারে। বিক্ষুব্ধ প্রবাসীরা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

এ সময় স্থানীয় বাফেলো শহরের মেয়র বায়রন ব্রাউন ও পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রামাগলিয়া জনতার তোপের মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা প্রতিবাদ সমাবেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন।

ঘটনার একদিন পর সন্দেহভাজন বন্দুকধারী দুর্বৃত্তের ছবি প্রকাশ করলেও তার নাম পরিচয় জানাতে পারেনি বাফেলো পুলিশ। অপরাধীকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

এদিকে নিহত বাবুল মিয়ার পাঁচ মাসের অন্তস্বত্ত্বা স্ত্রীর আহাজারিতে নিউইয়র্কের বাফেলো শহরের আকাশ-বাতাস যেন ভারী হয়ে ওঠেছে। অভিবাসন নিয়ে বছর খানেক আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন নুসরাত জাহান। স্বামীকে হারিয়ে তিনি এখন দিশেহারা। এই পৃথিবীতে নিকট আত্মীয় বলে তার আর কেউ রইল না। কিভাবে সন্তানকে মানুষ করবেন তিনি? গর্ভের সন্তানের ভবিষ্যত-ই বা কী হবে?

বাবুল মিয়ার স্ত্রী নুসরাত জাহান বলেন, আজকে আমি এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি যেখানে আমি আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ দেখতে পাই না। আমার স্বামীকে যারা এই নৃশংসভাবে বিদায় করে দিল তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

থমথমে পরিবেশ গুলিতে নিহত অপর বাংলাদেশি আবু সালেহ ইউসূফের বাড়িতে। জনশূন্য মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য ছেড়ে বাংলাদেশিদের সঙ্গে থাকবেন বলে মাত্র সাত মাস আগে ইউসূফও এসেছিলেন নিউইয়র্কের বাফেলোতে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হতে হলো তাকে। ইউসূফের স্ত্রী এখন সন্তানদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। স্বপ্নের যুক্তরাষ্ট্র যেন দিনদিন দু:স্বপ্ন হয়ে উঠছে অভিবাসীদের জন্য।

নিহত আবু সালে ইউসূফের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী কোনো অপরাধ করেনি। যারা আমার সন্তানদের এতিম করলো আমি তাদের বিচার চাই। আমেরিকান সরকারের কাছে আমারদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাই।


আরও খবর



শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় চামেলীকে অব্যাহতি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের স্বাক্ষর করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।


আরও খবর



পশ্চিমের সাথে সরাসরি সংঘাতের হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের জন্য মার্কিন, ব্রিটিশ এবং ফরাসি সামরিক সহায়তা বিশ্বকে বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর মাঝে সরাসরি সংঘর্ষের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। আর এই সংঘাতের অবসান ঘটতে পারে বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে। সোমবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ মস্কোতে এক সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রুশ ও মার্কিন কূটনীতিকদের মতে, ১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর ২০২২ সালে ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আক্রমণ রাশিয়ার সাথে পশ্চিমের সম্পর্ককে একেবারে তলানিতে নিয়ে গেছে।

মার্কিন আইনপ্রণেতারা ইউক্রেনে বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা বিলে অনুমোদন দেওয়ার দুদিন পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, রাশিয়ার ‘‘কৌশলগত পরাজয়’’ ঘটানোর ধারণা নিয়ে মগ্ন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো।

তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমাদের সমর্থন রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সাথে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। রাশিয়ার এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমারা বিপজ্জনকভাবে পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর মাঝে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষের বিষয়ে উসকানি দিচ্ছে; যা বিপর্যয়কর পরিণতিতে পরিপূর্ণ।

ল্যাভরভ বলেন, বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হলো, পশ্চিমা পারমাণবিক শক্তিধর ট্রোইকা। যারা বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক পদক্ষেপের প্রধান উদ্যোক্তা। আর ট্রোইকাই অপরাধী কিয়েভের শাসকগোষ্ঠীর মূল পৃষ্ঠপোষক।’’ ট্রোইকা বলতে পশ্চিমা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়া তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে বোঝানো হয়। আমরা তাদের এই ধরনের কার্যক্রমে গুরুতর কৌশলগত ঝুঁকি দেখতে পাই। যার ফলে পারমাণবিক বিপদের মাত্রা বাড়ছে।

ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া বারবার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে আসছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, মস্কোর এই সতর্কতাকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা রাশিয়ার পারমাণবিক হুমকিতে কোনও পরিবর্তন দেখতে পায়নি।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমের ক্ষয়িষ্ণু পশ্চিমের সাথে শতাব্দীর পুরোনো যুদ্ধের অংশ হিসাবে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর পতনের পর ন্যাটোর বিস্তার রাশিয়ার ঐতিহাসিক প্রভাব বলয় গুঁড়িয়ে দিয়ে মস্কোকে অপমানিত করেছে।

নিউজ ট্যাগ: ভ্লাদিমির পুতিন

আরও খবর