ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের
প্রভাবে সারাদেশেই বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়েছে। রয়েছে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের আভাস।
আর মৌসুমের রেকর্ড
পরিমাণ বর্ষণ হয়েছে সন্দ্বীপে ১৩০ মিলিমিটার। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী দু-দিন বৃষ্টিপাতের
প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। এরপর হ্রাস পাবে।
আবহাওয়াবিদ ড.
মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’উত্তরপশ্চিম দিকে
অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় সকাল ৯টায় উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন
এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। লঘুচাপের
বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
এ অবস্থায় আগামী
বুধবার (২৬ মে) সকাল নাগাদ ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ
জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো
হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে
ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে রংপুর,
রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু
থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, সেটাও প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিনের
তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস
পেতে পারে। এ সময় ঢাকায় দক্ষিণ-পূর্ব/পূর্ব দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায়
১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার থাকতে পারে।