সাতক্ষীরা থেকে দিলীপ কুমার দেব
সাতক্ষীরা জেলায় ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে অব্যাহত লকডাউনের কারণে প্রতি রাতে চুরি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। অব্যাহত লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নতুন করে মাদকাশক্ত হয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা এসব অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন এলাকার মানুষ।
জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী, ব্রক্ষ্মরাজপুর ও ধুলিহর ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে প্রায় দণন সপ্তাহ ধরে চোরেরা বিভিন্ন বাড়িতে চুরি করে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। এসব মালামালের মধ্যে রয়েছে, নিজস্ব খাবার জন্য রাখা ধান, মটর, মটর চালিত ভ্যান, বাই সাইকেল, মাছসহ এমনকি চোরেরা কবুতর চুরি করছে। চোরেরা চুরির সময় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বল করছে। গত শুক্রবার ব্রক্ষ্মরাজপুর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুস সোবহান সরদারের বাড়িতে চেতনা নাশক দ্রব্য স্প্রে করে বাড়ির সবাইকে অজ্ঞান করে বাড়ির সব মালামাল নিয়ে গেছে।
একইভাবে ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান (হবির) বাড়িতে, ব্রক্ষ্মরাজপুর বড়খামার গ্রামের মোঃ আবদুল্লা মুহুরির বাড়ি থেকে সকল মালামাল চুরি হয়েছে। ব্রক্ষ্মরাজপুর গ্রামের মোঃ আব্দূল ওহিদের বাড়ি থেকে ব্যাটারি চালিত ভ্যান চুরি হয়েছে।
ব্রক্ষ্মরাজপুর দহাখোলা মোঃ ইনছাফ আলীর মাছের ঘেরে বিশ দিয়ে মাছ চুরি হয়েছে। একই এলাকার মোঃ রনির বাড়ি থেকে ইজি বাইকের ব্যাটারি চুরি হয়েছে। ধুলিহর ইউনিয়নের মোঃ আরশাদ আলীর বাড়ি থেকে ৬ বস্তা ধান, মোঃ লিটন মিস্ত্রীর বাড়ি থেকে মটর, মোঃ ইমরানের বাড়ি থেকে এক জোড়া কবুতর, মিন্টুর বাড়ি থেকে ব্যাটারি চালিত ভ্যান চুরি হয়েছে।
চোরেরা মসজিদুল আকসা মসজিদের মটর চুরি করেছে। ফিংড়ী ইউনিয়নের বালিথা গ্রামের যবুলীগ নেতা মোঃ আব্দুর রাজাকের বাড়ি থেকে ব্যাটারি চালিত ভ্যান চুরি ও বালিথা আলমগীরের বাড়ি থেকে বাই সাইকেল চুরি হয়েছে। এই তিন ইউনিয়নের মানুষ এখন রাত হলেই চুরি ও ছিনতাই আতংকে ভুগছেন।
এলাকার সচেতন মানুষদের ধারণা, পেশাদার চোর ছাড়াও জেলায় ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে অব্যাহত লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষ ও স্কুল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নতুন করে মাদকাশক্ত হয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে এসব চুরির সাথে জড়িয়ে পড়তে পারে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রক্ষ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মি. তন্ময় জানান, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ চিহ্নিত চোর ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত ও গ্রাম পুলিশদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।