আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

সারা দেশে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে জাতীয় ভিটামিন প্লাস প্রচারাভিযান ও শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এ অভিযানে ২ কোটি ৫৮ লাখের বেশি শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বাংলাদেশের সরকার। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে নিপসম অডিটোরিয়ামে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

অধিদফতর জানিয়েছে, কর্মসূচির আওতায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ জন শিশুকে নীল রঙের এ প্লাস এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ কোটি ৩০ লাখ ২ হাজার শিশুকে  লাল রঙের একটি করে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। দিনব্যাপী কর্মসূচিতে দেশের সব সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভিটামিন প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে শিশুদের ভরা পেটে কেন্দ্রে আনতে হবে। ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের এসব ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। পাঁচ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুদের খাওয়ানো যাবে না। দেশজুড়ে ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ২ লাখ ৪০ হাজার স্বাস্থ্যসেবাকর্মী এবং ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ভিটামিন শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজ করবেন।

ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন চলাকালে এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পাশাপাশি জন্মের পরপর নবজাতককে শালদুধ খাওয়ানো, ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধু মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো; শিশুর ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বার্তাও প্রচার করা হবে বলেও অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে ঢাকা জেলার ৬টি উপজেলা সোয়া ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে মঙ্গলবার। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে ১ হাজার ৯০৪টি স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিনামূল্যে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের এই ভিটামিন খাওয়ানো হবে। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন এলাকায় ৬ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে সংস্থাটি। করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার ১ হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এই কর্মসূচি পালন করবে ডিএসসিসি।


আরও খবর



জব্বারের বলিখেলায় এবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলিখেলার ১১৫তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার শরীফ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে তাকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন রেফারিরা। এবারের আসরে রানার আপ হয়েছেন কুমিল্লার মোহাম্মদ রাশেদ।

বিকেল ৫টা ২৯ মিনিটে দুই বলির চূড়ান্ত কুস্তি শুরু হয়। ১২মিনিট পর শরীফ বলীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এবারের বলিখেলায় ৮৬ জন কুস্তিগির অংশ নিয়েছিলেন। প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে সৃজন চাকমা ও সীতাকুণ্ডে রাশেদ।

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জব্বারের বলিখেলায় প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।

এর আগে বিকেল ৪টার দিকে বলিখেলা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বলিখেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এনএইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর।

বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া শরীফ ট্রফির পাশাপাশি প্রাইজ মানি পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকারীরা ট্রফির সঙ্গে পেয়েছেন যথাক্রমে ২০ হাজার, ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকা। বলীখেলায় সেমিফাইনালে পর্যায়ের আগে মোট ৪৩ রাউন্ড খেলা হয়। প্রাথমিক রাউন্ডে জয়লাভকারী প্রত্যেকে দেড় হাজার টাকা পেয়েছেন।

জব্বারের বলিখেলার ইতিহাস

১৯০৯ সালে বকশিরহাটের স্থানীয় ধনী বণিক বদরপাতি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার সওদাগর এই কুস্তি প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। জানা যায়, এই ব্যবসায়ীর শুধু কুস্তির প্রতি ভালোবাসা ছিল না বরং তার মধ্যে ছিল দেশের প্রতি ভালোবাসা। ওই সময় ভারতে ব্রিটিশ শাসনে অবসানে চট্টগ্রামে দানা বাঁধছিল আন্দোলন। পরে তার নাম অনুসারেই এই আয়োজনের নামকরণ হয়েছে।

আয়োজক কমিটির সেক্রেটারি ও প্রতিযোগিতার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল জব্বারের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, আমার দাদা এই আয়োজনের সূচনা করলেও এটা এখন আর পারিবারিক ঐতিহ্য নয়। এটা চট্টগ্রামের সকল মানুষের এবং তারা এই অনুষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুইজন নারী মারা গেছেন। তারা দুজনই আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বেগুয়ারখাল গ্রামের বাসিন্দা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় স্বামীর জন্য মাঠে ভাত নিয়ে যাওয়ার সময় আশুরা খাতুন (২৫) ও সকাল সাড়ে ১০ টায় আয়েশা বেগম (৭০) মারা যান।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেগুয়ারখাল গ্রামের আনোয়ার হোসেন খুব সকালে না খেয়েই মাঠে ক্ষেতে কাজ করতে যান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার স্ত্রী আশুরা খাতুন মাঠে ভাত নিয়ে যাচ্ছিলেন। স্বামীর ক্ষেত পর্যন্ত পৌঁছার আগেই জমির আইলে পা বেঁধে আশুরা খাতুন মাটিতে পড়ে যান। মাঠের কৃষকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশুরাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে তোড়জোড় করার সময়ই তিনি মারা যান। আশুরা-আনোয়ার দম্পত্তির ৭ বছরের এক মেয়ে আছে।

এর এক ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় একই গ্রামের আক্কাস আলীর স্ত্রী আয়েশা বেগম মারা যান। ক'দিনের তীব্র গরমে তিনি হাঁসফাঁস করছিলেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত গ্রাম্য চিকিৎসক রাশেদুল ইসলাম বলেন, কয়দিনের তীব্র গরমে আয়েশা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুজনই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এর আগে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহে গত দুদিনে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হিট স্ট্রক ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অনেকেই। আজ চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



বাংলাদেশের জলসীমায় এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছেছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে কুতুবদিয়া পৌঁছাবে জাহাজটি। সেখানে কিছু চুনাপাথর খালাস করা হবে। এর দুদিন পর (১৫ মে) জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস করা হবে।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) এটি বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছে।

কার্গো নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেন। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেন। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

আজ সোমবার (১৩ মে) দুপুরে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সচিবালয়স্থ দপ্তরে হাইকমিশনারের নেতৃত্বে ২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুপ্রতীম দুটি দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। প্রতিমন্ত্রী পানি সম্পদ খাতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতেও এসব সহযোগিতা অব্যাহত রাখারও অনুরোধ করেন।

ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ভারত কাজ করছে। শীঘ্রই দুই দেশের সচিব পর্যায়ে এবং ভারতে নির্বাচনের পরে মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এ মর্মে ভারতীয় হাইকমিশনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



রেড ক্রিসেন্ট স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবসেবার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি দেশ বিনির্মাণে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভবিষ্যতের পথচলায় আমাদের দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবসেবার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।

স্কুল জীবনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও জুনিয়র রেড ক্রসের সদস্য ছিলেন উল্লেখ করে বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ও ক্যাম্পে গিয়ে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। আমি মনে করি জীবনের বহুপথ পাড়ি দিয়ে বহু প্রবিন্ধকতাকে ডিঙ্গিয়ে আজকের এই পর্যায়ে আসার ক্ষেত্রে রেড ক্রিসেন্ট ও বয়েজ স্কাউটিং আমার জীবনে বড় ভূমিকা পালন করেছে। দেশের মানব উন্নয়ন সূচক ও স্বাস্থ্য সূচকের উন্নয়নে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সমগ্র বাংলাদেশে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে কাজ করে চলেছে।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক, বিডিআরসিএস ব্যবস্থাপনা পরিষদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও বিশ্ব রেড ক্রস, রেড ক্রিসেন্ট দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লায় রেড ক্রিসেন্ট মাঠে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আসলাম খান। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রেড ক্রিসেন্ট জেলা ইউনিটের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংবর্ধেয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম ইউ কবির চৌধুরী, সম্মানিত অতিথি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান চৌধুরী হেলাল, ট্রেজারার এম এ ছালাম।

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পরিষদ সদস্য মুন্সি কামরুজ্জামান কাজল, এডভোকেট তাহমিনা সোহানা, রবিন্দ্র মোহন সাহা রবি, এডভোকেট মাহবুবুর রহমান তালুকদার, আবদুল হামিদ রাজিয়া সুলতানা লুনা, গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু, এডভোকেট শিহাব শাহীন, শিকদার নূর মোহাম্মদ দুলু, কার্যকরী পর্ষদ সদস্য রাইসুল ইসলাম চৌধুরী এমিল, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম পিন্টু, মোঃ ইসমাইল হক চৌধুরী, সুগ্রীব কুমার মজুমদার (দোলন), মোঃ সাবেদুর রহমান সুমু, ডাঃ আইরিন সুলতানা, মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন চৌধুরী রুমেল।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চট্টগ্রাম জেনা রেড ক্রিসেন্ট নতুন নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো: দিদারুল আলম।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সেবাকে আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সবার আগে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। সরকারি হাসপাতালে সরকার কিনে দিয়েছে মেশিন, কিন্তু সেই মেশিনের বাক্স খোলা হয় না। আবার মেশিন খোলা হয় ঠিক, কিছুদিন পরে নষ্ট হয়ে যায়, মেরামতের আর উদ্যোগ নেয়া হয় না, যাতে করে মানুষ প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হয়। এগুলো যারা করেন, তারা আসলে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়ান, জনগণের বিপক্ষে কাজ করেন। এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যসেবাকে আরো উন্নত করার ক্ষেত্রে এবং সহজ-সুলভে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়।

তিনি বলেন, যখন জনগণ এগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে তখন যারা এই কাজগুলো তাদের পক্ষে করা আর সম্ভবপর হবেনা। সরকার কোনো যন্ত্র নয়, সরকারও কিন্তু মানুষ দিয়েই চলে। সুতরাং জনগণ যখন এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলবে সরকারের পক্ষেও এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজতর হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ব্যাঙ প্রাণী হিসেবে অনেক ছোট হলেও আওয়াজ অনেক বড়। রাজনীতিতেও কিছু পরিত্যক্ত মানুষ আছে, যারা ঘুরে সব দল করে। রাজনীতিতে পরিত্যক্ত মানুষগুলোরও ব্যাঙের মত আওয়াজ বড়।  মাহমুদুর রহমান মান্না ভাইয়ের একটা বক্তব্য পত্রিকায় পড়লাম এবং রাতে টেলিভিশনে শুনলাম। সরকারের নাকি একদম ভিত নাই। সরকারের ভিত নাই বিধায় পরপর চারবার আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায়। তারা তো টেনে ফেলে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু টান দিতে গিয়ে তারাই ধপাস করে পড়ে গেছে। এখন কোমর যে ভেঙে গেছে সে অবস্থা থেকে আস্তে আস্তে একটু দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। গত বছর ২৮ অক্টোবর কার আগে কারা দৌড় দেয় সেই প্রতিযোগিতা আমরা দেখেছি নয়াপল্টনের সামনে। মাহমুদুর রহমান মান্না ভাইসহ আরো কিছু দল ও ব্যক্তি বিশেষ আছে, যাদের নিজের দলের কোনো ভিত্তি নাই, ঘুরে ঘুরে দল করে। মান্না ভাই এই পর্যন্ত মাত্র সাতটি দলবদল করেছেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সমগ্র পৃথিবী আজকে সেটির প্রশংসা করছে। জাতিসংঘের মহাসচিব প্রশংসা করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রশংসা করেন, ভারতের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেন, জার্মান চ্যান্সেলর প্রশংসা করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট প্রশংসা করেন, সমগ্র পৃথিবী প্রশংসা করে, কিন্তু বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা এটির প্রশংসা করতে পাওে না। আমাদের রাজনীতিতে প্রত্যাখ্যান আর সংঘাতের সংস্কৃতি না থাকলে দেশ আরো বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতো।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্হাপনা পর্ষদ সদস্যবৃন্দ, জেলা রেড ক্রিসেন্টের কার্যকরী পর্ষদ সদস্যবৃন্দ, চট্টগ্রাম জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য, যুব রেড ক্রিসেন্ট, চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট এর আওতাধীন স্কুল-কলেজ যুব সদস্য, ব্রাঞ্চ সেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর