আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

সাংবাদিক নাদিম হত্যায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

Image

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে আটক করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে পঞ্চগড় থেকে তাকে আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পঞ্চগড়ের চিলাহাটি ১ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জানান, দেবীগঞ্জ উপজেলার ১ নম্বর চিলাহাটি ইউনিয়নের চর তিস্তাপাড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। সেখানে তিনি এক আত্মীয়র বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। গ্রাম পুলিশ সকাল ৯টায় ইউপি চেয়ারম্যানকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যে, র‌্যাব বাবুকে আটক করেছে।

চিলাহাটি থেকে বাবুকে আটক করার বিষয়টি চিলাহাটি ১ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আলিউল ইসলামও নিশ্চিত করেছেন।

চিলাহাটি ১ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য লুৎফর রহমান জানান, বাবুসহ ৩ জন গতকাল সন্ধ্যায় তিস্তাপাড়া গ্রামের ওই বাড়িতে আসেন।

পঞ্চগড় পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে র‌্যাবের টিম গিয়ে তিস্তাপাড়া গ্রাম থেকে মাহমুদুল আলম বাবুসহ তার দুয়েকজন সহযোগীকে আটক করেছে। র‌্যাব ঢাকায় প্রেস ব্রিফিং করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে।

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল হোসেন বলেন, আজ ভোরে তিস্তাপাড়া গ্রাম থেকে র‌্যাবের একটি দল বাবুসহ ৩ জনকে আটক করে নিয়ে গেছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, তিস্তাপাড়া গ্রাম থেকে বাবুকে আটক করা হয়েছে। তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রেস ব্রিফিং করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

গত বুধবার রাতে বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা, জরিমানা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান নেমেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। চট্টগ্রাম জেলা এবং হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিআরটিএর দুটি ইউনিট চট্টগ্রাম-ঢাকা এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের ভ্রাম্যমাণ আদালত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাতুল তামান্না। এসময় বিআরটিএ চট্ট-মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এই অভিযানে ৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। লাইসেন্সবিহীন ৩ জন চালকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ফিটনেসবিহীন ৪টি গাড়ি থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ১৫ হাজার টাকা। অন্য একটি গাড়ি থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রো-ন-১৪-০০৩২ গাড়িকে জব্দ করে ডাম্পিং ইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন কর্ণফুলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী। এ সময় বিআরটিএ চট্টগ্রাম জেলা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ ইকবাল আহমেদ ও বিআরটিএ চট্ট মেট্রো-২ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এই অভিযানে ৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে লাইসেন্সবিহীন দুজন চালকের কাছ থেকে আদায় করা হয় ৬ হাজার টাকা।এতে ফিটনেসবিহীন ৩টি গাড়ি থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা এবং অন্যান্য অপরাধে ৪টি গাড়ি থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত রেজিস্ট্রেশনবিহীন তিনটি ট্রাক ডাম্পিং ইয়ার্ডে পাঠিয়েছে। বৃহৎ দুই মহাসড়কে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিআরটিএ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : চেয়ার দখলের ত্রিমুখী লড়াই

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

শেষ সময়ে জমে উঠেছে ভোটের মাঠ। আগামী মঙ্গলবার (২১মে) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তবে ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপিও অংশ নিয়ে নির্বাচনী মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও ভাগ্য নির্ধারণের দিন হানাহানি শঙ্কা করছেন ভোটাররা। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান মিলে ১২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সইদুল হক (আনারস), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ হোসেন বিপ্লব (ঘোড়া) ও আওয়ামী লীগ সদস্য আব্দুল কাদের (মোটরসাইকেল) প্রতীকে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। তবে তিনজনের এগিয়ে রয়েছেন।

আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে রানীশংকৈল পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী (টিয়া পাখি), সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা (টিউবওয়েল), কৃষক লীগের সভাপতি বাবর আলী (চশমা), যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী (বৈদ্যুতিক বাল্ব), কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক দিগেন্দ্র নাথ রায় (তালা) প্রতীক ও শেফালী বেগম (পদ্ম ফুল), সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম পুতুল (কলস), উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন (ফুটবল) ও শারমিন আক্তার (হাস) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় হাইকমান্ডের নির্দেশে জেলা কমিটি তাকে বহিষ্কার করেছেন।

এব্যাপারে হযরত আলী সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। আর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন বলেন, দলীয় সিন্ধান্ত অমান্য করার অপরাধে হযরত আলীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা, প্রচারণা-সহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। এছাড়া বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে নির্বাচনী গান পরিবেশন ও মাইকিং করছেন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা।

ভোটাররা মনে করছেন রানীশংকৈল উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মূল লড়াই হবে ঘোড়া প্রতীকের আহম্মদ হোসেন বিপ্লব ও মোটরসাইকেল প্রতীকের আব্দুল কাদের। তবে কিছু কিছু ভোট কেন্দ্রে আশঙ্কার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে যেতে পারে সেজন্যে প্রশাসনের আহব্বান জানান তাঁরা।

এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩ ৯১ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ৯৪ হাজার ২৮১ ও মহিলা ৮৯ হাজার ১১০ জন। আর ভোট কেন্দ্রে ৬৬ টি।

এদিকে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠ রাখতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: সোলেমান আলী। তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিস্থিতি যেভাবে ভাল থাকে সে অনুযায়ী আইনশৃংখলা বাহিনী কাজ করবে। প্রশাসন পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে শেষ মুহূর্তে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা ও স্বজনেরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে নির্বাচনে আর মাত্র এক দিন বাকি। শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। প্রথম ধাপের ৮ই মে নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের কাছে ছুটছেন প্রার্থীরা। সভা-সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়।

ভোটারদের মন জয় করতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রতিদিন ব্যবহার করছেন নতুন নতুন কৌশল। চলছে পোস্টার, ফেস্টুন ও লিফলেট বিতরণ। সেই সঙ্গে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।

বিগত নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে কে কি করেছেন, নতুন রা জয়ী হলে কি করবেন, সেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তাদের বিরামহীন প্রচারণায় ইতোমধ্যে জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটারদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে বেশ আগ্রহ। তারাও হিসাবনিকাশ করতে শুরু করছেন-কার হাত ধরে হবে উপজেলা বাসীর ভাগ্য উন্নয়ন। যোগ্য প্রার্থী বেছে নেয়ার পাশাপাশি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চান ভোটাররা। ৮ই মে ভোটাররা ভোট দিয়ে আগামী পাঁচ বছরে জন্য যোগ্য চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।

সাধারণ ভোটাররা জানান, জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিপদে-আপদে পাশে পাওয়া যাবে এমন প্রার্থীকেই ভোট দেবেন তারা। জনবিচ্ছিন্ন কোনো প্রার্থীকে তারা চান না। আগামী ৮ই মে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনবান্ধব ও পছন্দের প্রার্থীর পক্ষেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চান।

জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১২ জন প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। গত ২৩ শে এপ্রিল প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নির্বাচনের মাঠ সরব হয়ে উঠেছে এ উপজেলায়। এর আগে এই উপজেলায় মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় মোট ১০টি ইউনিয়ন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭১ টি। কক্ষের সংখ্যা ১৪২৪, মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ২২২জন।

প্রতিটা কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে ভোটাররা যেন বাড়ি ফিরতে পারে এমন প্রস্তুতি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।


আরও খবর



গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের: মঈন খান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও কথা বলার অধিকার নিয়ে মানুষের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সব দায়দায়িত্ব সরকারের। কারণ, সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় সাধারণ মানুষ বাধা দেয় না, মানুষের কথায় বলায় আরেকজন বাধা দেয় না, বাধা দেয় সরকার।

রবিবার (৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের আদর্শে সৃষ্টি হয়েছিল। আর গণতন্ত্র রক্ষার মূল কবজ হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম। আজকে সেই গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে নতুন করে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করবো। এটাই হোক বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আমাদের শপথ।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কিন্তু বিশ্বে এমনও আলোচনা হয়েছে গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ নয়, প্রথম স্তম্ভ। মিডিয়া একটি রাষ্ট্রের শক্তির চেয়েও বেশি শক্তিশালী। কারণ, সরকার যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন, মিডিয়া অন্যায়কে প্রকাশ করে দিয়ে একটি রাষ্ট্রকে ভাঙতে পারে, নতুনভাবে গড়তেও পারে। এই সত্য আজকের সরকার যতই উপলব্ধি করবে, ততই তাদের জন্য ভালো হবে।

মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকার নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে। সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল গণতন্ত্র। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে, একদলীয় শাসন কায়েম হয়ে থাকে, মুক্ত চিন্তা বিকাশের সুযোগ না থাকে, ১৮ কোটি মানুষকে যদি আওয়ামী লীগের চিন্তা-ভাবনা অনুযায়ী একই লাইনে চলতে বাধ্য করা হয় সেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনিই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন। আজকে আওয়ামী লীগ তাকে সৈনিক বলে সম্বোধন করে। একজন সৈনিক যদি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে আওয়ামী লীগ কেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা দেয়?

সভাপতির বক্তব্যে বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, গত ১৫ বছরে ৬০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। সাগর-রুনির হত্যার আজও বিচার হয়নি। এমপি-মন্ত্রী বা সরকার দলীয় লোকজনের দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ করলেই সাংবাদিকের ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন।  গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীন সর্বপ্রথম নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সহসভাপতি রাশেদুল হক, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব বাছির জামাল প্রমুখ।


আরও খবর



স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম: শাবিপ্রবি উপাচার্য

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক সফলতার অবদান রাখছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তারা এখন নাসা জয় করেছে। এ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।

বুধবার (১৫ মে) জেলা স্টেডিয়ামের মোহাম্মদ আলী জিমনেসিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের আয়োজনে সিলেট বিভাগীয় বিজ্ঞান মেলা ২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ একথা বলেন।

বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, পিপিএম, অতিরিক্ত ডিআইজি হুমায়ুন কবীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হোসাইন মো. আল-জুনায়েদ। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও পরিচালক, স্থানীয় সরকার) দেবজিৎ সিংহ।    

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীর ভবিষ্যৎ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল কারিগর। এজন্য তাদের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে যাতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে অবদান রাখতে পারে। এছাড়াও বর্তমানে সময়ের সাথে টিকে থাকতে হলে বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে তাই শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান চর্চা ও বিজ্ঞানের চর্চার তৃষ্ণা বৃদ্ধি করতে হবে।  

অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষা প্রশাসনের সাথে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা শিশুদের বিজ্ঞান শিক্ষা ও চর্চায় উৎসাহিত করুন। শিক্ষার্থীদের ওপর জোরপুর্বক পড়াশোনা চাপিয়ে দিবেন না। তিনি আরো বলেন, বিভাগীয় বিজ্ঞান মেলা ২০২৪ শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন এক অভিজ্ঞতার সঞ্চার করবে যাতে তারা ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারে উৎসাহিত হবে।


আরও খবর