আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

সাকরাইনের ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই : মেয়র তাপস

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাকরাইন তথা ঘুড়ি উৎসবের ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

রবিবার বিকালে রাজধানীর ধুপখোলা মাঠে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন/ঘুড়ি উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাদসিক মেয়র এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ঘুড়ি উৎসব বা সাকরাইন উৎসব ঢাকার প্রাচীনতম ঐতিহ্য। এই উৎসব উদযাপনে আজ আমরা গেন্ডারিয়ার ঐতিহ্যবাহী ধুপখোলা মাঠে সমবেত হয়েছি। আপনারা লক্ষ্য করছেন, গেন্ডারিয়াসহ ঢাকার আকাশ আজ ঘুড়িতে ছেঁয়ে গেছে। আমরা চাই, আমাদের তরুণেরা, আমাদের সন্তানেরা ঐতিহ্যকে ধারণ করবে। তারা সারা বছর ঘুড়ি ওড়াবে এবং ছাদ-মাঠসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা ঘুড়ি উড়িয়ে আমাদের সংস্কৃতিকে ধারণ করবে। আমরা আমাদের প্রতিটি ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই, ঢাকাবাসীর মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই, নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। যাতে করে নতুন প্রজন্ম সকল সাম্প্রদায়িক শক্তির বিপরীতে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় নিজেদের ঐতিহ্যকে লালন করতে পারে। 

আরও পড়ুন>> ‘যারা জ্বালাও-পোড়াও করেছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না’

আয়োজন সম্পর্কে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র বলেন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ৩০শে (২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি) পৌষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয়ভাবে সাকরাইন উৎসবের আয়োজন শুরু করি। পরবর্তীতে আমরা প্রতি বছর এটা আয়োজন করে চলেছি। করোনার প্রকোপের জন্য শুধু ১৪২৮ বঙ্গাব্দে আয়োজন করতে পারিনি। গত বছরও আয়োজন করা হয়েছে। আর এবারকার আয়োজন আমাদের তৃতীয় আয়োজন। এবারও ৭৫টি ওয়ার্ডে আমাদের কাউন্সিলরবৃন্দের নেতৃত্বে আমরা সাকরাইন উৎসব উদযাপন করছি। তারই অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে ধুপখোলা আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার মাঠে আজকে আমরা এই আয়োজন করেছি।

পরে ঢাদসিক মেয়র নিজেই ঘুড়ি উড়ান। সে সময় তার ঘুড়িতে অন্য দু'জনের ঘুড়ি ধরাশয়ী (সুতা কেটে যায়) হয়।

কর্পোরেশনের অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শামসুজ্জোহা এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর সাথী আক্তার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আওলাদ হোসেন, ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মশিউর রহমান মোল্লা সজল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

আরও পড়ুন>> ‘নিরবিচ্ছন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে দায়িত্বশীল অবদানের আহ্বান’

উল্লেখ যে, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডেই একযোগে এই আয়োজন করা হচ্ছে। সেজন্য কাউন্সিলরদের মাধ্যমে ১৫ হাজার ঘুড়ি বিতরণ করা হয়েছে। কর্পোরেশনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক কমিটির তত্ত্বাবধানে ২০২১ সাল হতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সাকরাইন উৎসব আয়োজন করে আসছে। 


আরও খবর



ভারতে পাচার হচ্ছে রাজধানীর নিম্নবিত্ত মানুষের কিডনি (ভিডিও)

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

কিডনি কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত আন্তঃদেশীয় দালালচক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। শনিবার (১১ মে) রাজধানী ধানমন্ডি ২/এ রোডের ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার (১২ মে) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির ক্রাইম এবং অপারেশন বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহিদ উদ্দিন এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজু হাওলাদার (৩২), শাহেদ উদ্দীন (২২) ও আতাউর হোসেন বাপ্পী (২৮)।

রবিন খান নামে এক ভুক্তভোগীর দেওয়া এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে মিরপুর-১০ নম্বরের শাহ আলী মার্কেটের পেছনে বসে এক বন্ধুর সঙ্গে চা খেতে খেতে সাংসারিক অভাব-অনটন নিয়ে কথা বলছিলেন তিনি। তাদের পাশে বসে থাকা মাছুম এসব কথা শুনে জানান, তিনি সাহায্য করতে পারবেন। ভারতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ দিন রবিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ রেখে তাকে ভারত যেতে রাজি করান সে।

পরবর্তীতে রবিনকে ধানমণ্ডির ল্যাবএইডে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান মাছুম। সেখানে মামলার গ্রেপ্তার হওয়া অন্য আসামি রাজু, শাহেদ ও আতাউরের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। পাসপোর্ট-ভিসা কার্যক্রম শেষে গত বছর ২২ ডিসেম্বর রবিন ইন্ডিগো এয়ারলাইনের একটি বিমানে ভারতের দিল্লি পৌঁছান। সেখনে একই চক্রের দুই সদস্য শাহীন ও মোস্তফা রবিনকে দিল্লির ফরিদাবাদে নিয়ে যান। সেখানে একটি বাসায় ২০-২৫ দিন আটকে রেখে কিডনি বিক্রির জন্য রবিনের ওপর নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন তারা।

রবিনকে তারা বোঝান, মানুষ একটি লিভার, একটি হার্ট দিয়ে বাঁচতে পারলে একইভাবে একটি কিডনি দিয়েও বাঁচতে পারে। একদিকে মানসিক চাপ, অন্যদিকে টাকা-পয়সার প্রলোভন দেখিয়ে অবশেষে এক রকমের বাধ্য করে ভারতের গুজরাটের মুক্তিনগরের একটি হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে স্থানীয় ডাক্তারের সাহায্যে রবিনের কিডনি বিক্রি করে দেয় চক্রটি।

এর চারদিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে রবিন জানতে পারে তার কিডনি ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে চক্রটি। প্রায় অর্ধকোটি টাকায় কিডনি বিক্রি করলেও রবিনকে দেয়া হয় মাত্র ৩ লাখ টাকা। পরে দেশে ফিরে রবিন জানতে পারে, একই চক্রটি তার পরিচিত একজনকে এভাবে ফুসলিয়ে ভারত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। নিজের যে ক্ষতি হয়েছে, তা যেন অন্য কারও না হয় সেজন্য রবিন ধানমন্ডি থানায় চক্রটির বিরুদ্ধে মামলা করে।

বর্তমানে কিডনি হারিয়ে কর্মক্ষমতাহীন অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছেন রবিন। কিডনি অপারেশনের ফলে তার পেটে ৫ ইঞ্চি পরিমাণ একটি কাটা দাগ আছে। একটি কিডনি হারিয়ে বর্তমানে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় দিন কাটছে তার।

কালোবাজারে কিডনির দাম প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে- যখন যেমন দাম পায় তার ওপরেই ভিত্তি করে বেচাকেনা হয়। তবে বর্তমানে এক একটি কিডনির সর্বনিম্ন মূল্য ২৫ লাখ টাকা। অনেক ক্ষেত্রে প্রাপ্যতার ওপর ভিত্তি করে এ দাম ৫০ লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত উঠানামা করে।

কারা কিডনি পাচারের শিকার হোন এমন প্রশ্নে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষ এ চক্রটির প্রধান টার্গেট। এদের লাখখানেক টাকা দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ চক্রটি। এটি একটি আন্তঃদেশীয় দালালচক্র। ভারতের কলকাতা ও গুজরাটে এদের সংঘবদ্ধ সদস্যরা আছে।

কিডনি বিক্রির এ চক্রটির সঙ্গে হাসপাতালের কর্মকর্তা ও ডাক্তার জড়িত কি-না এ নিয়ে এখন পর্যন্ত তদন্ত চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ চক্রের বিস্তার বহুদূর বলে জানায় পুলিশ।

ডিএমপির পক্ষ থেকে জানা যায়, পাচার হওয়া কিডনি ভারতীয় আইন অনুযায়ী ভারতের কোনো নাগরিককে দেওয়া হয় না। এসব কিডনি বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে চিকিৎসা নিতে যান, তাদের শরীরেই প্রতিস্থাপিত হয়।


আরও খবর



এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয় প্রার্থী হওয়া নিয়ে আইনে কোনো বাধা নেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়দের প্রার্থী হওয়া নিয়ে আইনে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমির হল রুমে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

আনিছুর রহমান বলেন, আইনে বলা আছে যিনি প্রাপ্তবয়ষ্ক, যিনি ভোটে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন এমন যে কেউই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। আমরা জেনেছি অনেক স্থানে এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয় প্রার্থী হয়েছেন। তবে গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী আমরা কোথাও কোনো সমস্যা দেখছি না। তবে যেসব উপজেলায় সমস্যা সৃষ্টি হবে, আমাদের কাছে আইন আছে, আমরা ভোট স্থগিত রাখতে পারি। আইন অমান্য করলে প্রার্থিতা বাতিল করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেশি ভোটার উপস্থিতি আশা করছে নির্বাচন কমিশন। সেজন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কঠোর হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন খান প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় ইসি আনিছুর রহমান কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার সকল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বক্তব্য শোনেন। এরপর তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

প্রসঙ্গত, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রার্থী হতে দলীয়ভাবে নিষেধ করা হয়েছে। দলীয় কোন্দল নিরসন এবং নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কেউ যাতে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট না করে- সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদনের রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এবার লবণের উৎপাদন ৬৩ বছরের আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। মৌসুম শেষ হওয়ার সপ্তাহ দুয়েক বাকি থাকতেই এখন পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছিল।

বিসিক সূত্র জানায়, রোববার ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, পটিয়া, কক্সবাজার, খুলনা, ঝালকাঠি ও চাঁদপুর এই আটটি জোনে উৎপাদন হয় ৩৮ হাজার ৯৭০ টন লবণ। গত বছরের একই দিনে উৎপাদন ছিল ৩০ হাজার ৮৯৫ টন। এবার এক লাখ টন লবণ উৎপাদন হওয়ার আশা করছে সংস্থাটি। মে মাসের মাঝামাঝি সময়কে চলতি মৌসুমের শেষ ধরে এই হিসাব করা হয়েছে।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা লবণ চাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শফিক মিয়া বলেন, জানুয়ারির অর্ধেক পর্যন্ত লবণ উৎপাদন তেমন হয়নি; কিন্তু এখন বেশি হচ্ছে। কারণ খরা খুব বেশি। আরও ১০ থেকে ১৫ দিন এমন খরা থাকলে লবণ উৎপাদন বাড়বে।

বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া বলেন, মৌসুমজুড়ে দাবদাহ, ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমির শতভাগে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তিতে চাষাবাদ এবং অতিরিক্ত ১ হাজার ৯৩৩ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষের কারণে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে।

জানা যায়, দেশের আটটি লবণ জোনে এবার চাষ করেছেন ৪০ হাজার ৬৯৫ জন, যা গত বছরের ৩৯ হাজার ৪৬৭ জনের চেয়ে ১ হাজার ২২৮ জন বেশি। একই সঙ্গে বেড়েছে লবণের আবাদি জমির পরিমাণও। এবার চাষ হয়েছে ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমিতে, যা গতবারের ৬৬ হাজার ৪২৪ একরের তুলনায় ১ হাজার ৯৩৩ একর বেশি।


আরও খবর



বাড়ছে লবণাক্ততা, কয়রায় সুপেয় পানির সংকট

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
তারিক লিটু, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

Image

সুন্দরবন ঘেষা কয়রা উপজেলার চারিদিকে নদ-নদীতে অথৈ পানি থাকার পরেও বিশুদ্ধ পানির তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে এই এলাকার জনসাধারণ বাধ্য হয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে অনেকেই অতিমাত্রায় লবণ ও কাঁদাযুক্ত পুকুরের পানি পান করে আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত জটিল রোগে।

লোনা পানিতে উপকূলের মানুষের জীবনটাই যেন লোনা হয়ে গেছে। পানি যখন সুপেয় না হয়, তখন তা হয়ে ওঠে নানা অসুখ, নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যাসহ মরণেরও কারণ। এখানে শুধু সুপেয় পানির অভাব এমনটাই নয়, পানিশূন্যতা, লবণাক্তসহ নানা চর্মরোগসহ দূর থেকে পানি আনায় শারীরিক বিভিন্ন ঝুঁকিও আছে, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে।

কয়রা উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, এসব জনপদের চারদিকে পানি থাকলেও তা লবণাক্ত। বেশির ভাগ নারী লবণ পানিতে গোসল ও গৃহস্থালির কাজ সারছেন। এক কলসি পানি সংগ্রহের জন্যে নারী-পুরুষ আর শিশুদের ছুটতে হয় সেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত।

মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের তেঁতুলতলা গ্রামের বাসিন্দা সেলিম হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় কোনো টিউবওয়েল বসানো যায় না। তারপরও যা আছে তা দিয়ে লবণ পানি ওঠে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি পানিও ধরে রাখা যায় না, পানি নষ্ট হয়ে যায়। এসব পানি খেলে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পরে।

২০২১ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এক জরিপে দেশের উপকূলীয় মানুষের নিরাপদ খাওয়ার পানির দুর্দশার কথা তুলে ধরা হয়। জরিপে দেখা যায়, উপকূলীয় এলাকার ৭৩ শতাংশ মানুষকে অনিরাপদ লবণাক্ত পানি পান করতে হয়।

কয়রা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, উপজেলার অধিকাংশ মানুষ বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে। চলতি মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে পুকুর ও জলাধার শুকিয়ে গেছে। এতে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অধিকাংশ নলকূপে পানি কম উঠছে। ফলে সংকট বেড়েছে।

কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বাধ্য হয়ে উপকূলের মানুষ পুকুরের পানি পান করে এ কারণে ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটের পীড়া ও চর্মরোগ নিয়ে অনেকে হাসপাতালে আসে। লবণাক্ত পানি পানের মাধ্যমে অতিরিক্ত সোডিয়াম ক্লোরাইড গ্রহণ করছে উপকূলের মানুষ, যা তাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করছে। লবণাক্ত পানি পানের কারণে গর্ভবতী নারীদের কিডনি ও যকৃৎ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

খুলনার কয়রা-পাইকগাছার সংসদ সদস্য রশীদুজ্জামান বলেন, বছরের পর বছর লোনাপানি আটকে চিংড়ি চাষের কারণে মিঠাপানির পুকুরগুলোর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ মোতাসিম বিল্লাহ মনে করেন, উপকূলের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও অপরিকল্পিত আর দায়সারা কাজে দীর্ঘমেয়াদি সুফল মিলছে না।


আরও খবর



বাবার চিকিৎসায় কিডনি বিক্রি করতে চান জবি শিক্ষার্থী!

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বাবার চিকিৎসার জন্য কিডনি বিক্রি করতে চায় ছেলে ফাতেহ আলী খান আকাশ। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের (১১ ব্যাচ) শিক্ষার্থী। বাবা হায়দার আলী খান বর্তমানে হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে জীবনের সঙ্গে লড়ছেন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে এ শিক্ষার্থী নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কিডনি বিক্রি করার জন্য সহযোগিতা চেয়ে একটি পোস্ট দেন। পোস্টটি দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'আব্বুর হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে। অক্সিজেন মিটার ৩৫% এ নেমে আসছে। জরুরি ভর্তি করাতে হবে। ডাক্তার বলছে পেইসমেকার লাগাতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। কিন্তু এই মুহুর্তে পেইসমেকার লাগানোর মত এত টাকা আমার কাছে নাই। তাই আমি আমার একটা কিডনি বিক্রি করে দিতে চাচ্ছি। ঢাকায় কোথায় কিডনি বিক্রি হয়? এক কিডনি নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো, আব্বুকেও বাঁচাতে পারবো।'

এ বিষয়ে ফাতেহ আলী খানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আজ (বুধবার) সকালে বাবাকে শেরে বাংলায় হৃদ্‌রোগ হাসপাতালে ভর্তি করাবো। সেখানে বাবার চিকিৎসা শুরু হবে। বাবার শরীরে পেসমেকার লাগানোর কথা বলছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু এ মুহূর্তে পেসমেকার লাগানোর মতো টাকা আমার কাছে নেই। সেজন্যই কিডনি বিক্রি করার জন্য ফেসবুকে আমার পোস্ট দেওয়া। আমার কিডনি বিক্রি করে হলেও বাবার চিকিৎসা করাতে চাই।

এবিষয়ে ফাতেহ আলীর বন্ধু মহিউদ্দিন রিফাত বলেন, গান পাগল ছেলে বন্ধু ফাতেহ আলী খান আকাশ। সারাদিন গান নিয়ে মেতে থাকে। পড়াশোনা করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগে। কতটা অসহায় পরিস্থিতির স্বীকার হলে ছেলে তাঁর বাবার জন্য নিজের কিডনি বিক্রি করতে চায়? আকাশের বাবা (হায়দার আলী খান) আঙ্কেলের জীবন বাঁচতে সবাইকে মানবিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছি।

তিনি আরও বলেন, সাহায্য পাঠানোর জন্য ফাতেহ আলী খানের বিকাশ: 01799510783, নগদ: 01603581638, ডিবিবিএল: 7017341975820 এ নাম্বারগুলো ব্যবহার করা যাবে।

উল্লেখ্য, ফাতেহ আলী খান ক্যাম্পাসে গানের জন্য জনপ্রিয় এছাড়া তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিভিন্ন ব্যান্ড দলের সমন্বয়ে গঠিত ব্যান্ড মিউজিক এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪