আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

শাবির ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারারের পদত্যাগের আল্টিমেটাম

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ আগস্ট ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
এস এ শফি, সিলেট

Image

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ প্রশাসনিক বডির সকলকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক টিম।

বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাবিপ্রবির সমন্বয়ক ফয়সাল হোসেন।

তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা স্বৈরাচার সরকারকে সহায়তা করে শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন করেছে। এসব স্বৈরশাসকের সমর্থক ও সহায়তাকারীরা কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হতে পারেনা। যদি তারা এই ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিজেরা পদত্যাগ না করে; তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তাদেরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।

উল্লেখ্য, সরকারের পতনের পর থেকে শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন লাপাত্তা হয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। দেশের প্রতিকূল পরিস্থিতি দেখে উপাচার্য গত একসপ্তাহ আগে থেকেই রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক।

রাষ্ট্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম চলমান থাকলেও আজও অফিসে উপস্থিত হননি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টর।

সরকারের পতনের পর থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন লাপাত্তা হয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। তবে এরআগে থেকেই ক্যাম্পাসে তাদের কোন সক্রিয় কার্যক্রম দেখা যায়নি বলে জানান কর্মকর্তারা।

দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সোমবার (৫ আগস্ট) দেশত্যাগের তিনদিন আগে থেকেই তারা অফিস কার্যক্রমে অনুপস্থিত বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মচারী। এদিকে প্রতিকূল পরিস্থিতি দেখে উপাচার্য গত একসপ্তাহ আগে থেকেই রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সরকার পতনের একদফা দাবির পর থেকে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য। তবে তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আস্থাভাজনদের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানা যায়।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরসহ যেসব শিক্ষক প্রশাসনিক দায়িত্বে থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করছেন; সেসব শিক্ষকদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির দাবি করছে বলে দেখা যায়।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো. কবির হোসেন বলেন, এখন তো জানো, দেশের পরিস্থিতি ভালো না। আমি আজ অফিসে আসব না। কবে আসব, সেটা আসলে তোমাকে জানাব।

এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে কয়েক দফা মুঠোফোনে কল দিলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।


আরও খবর
ইউজিসিতে দুই সদস্য নিয়োগ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




টানা বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুরের পরিস্থিতির অবনতি: বিশুদ্ধ পানির সংকট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

কনক মজুমদার, রামগঞ্জ

লক্ষ্মীপুরে জলাবদ্ধতার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। টানা ও ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটছে। জেলার পাঁচটি উপজেলায় জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। চার দিন ধরে বেশির ভাগ ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে আছে। চরাঞ্চলের বেশিরভাগ নলকূপ ডুবে যাওয়ায় বর্তমানে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকেই রান্না বান্না করতে না পেরে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন জেলার কয়েক লাখ মানুষ। কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও মেঘনার জোয়ারের পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে কয়েক হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। তলিয়ে গেছে আমন ধানের খেতসহ শত শত হেক্টর জমি শাকসবজি। এছাড়া মহিষ, গরু ও হাঁস-মুরগীর খামারে পানি ঢুকে ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হয়েছে শত শত খামারি।

রামগতি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সোহরাব হোসেন বলেন, গত চার দিনে লক্ষ্মীপুরে ৩১২ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে রামগতি ও কমলনগর উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, চরাঞ্চলের বেশিরভাগ ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে আছে। বসতঘরের ভিতরে হাঁটু পানি। বিশেষত চরাঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির সংকট বেশি। অনেকে কোমর পানি ভেঙে, নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় দূর থেকে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি সংগ্রহ করছেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন জানান, চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে জেলায় ১৭ হাজার ৫০০ পুকুর-জলাশয় ভেসে গেছে, চাষিদের বিভিন্ন প্রকার ছোট বড় ৪/৫হাজার মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি না কমলে তা বেড়ে দ্বিগুণ হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর হোসেন জানান, বন্যায় আমন ধানের বীজ তলা ১৪৮৬ হেক্টর, আমন ধান ধান ২৬১৮ হেক্টর, আউশ ধান ২৯৬৩ হেক্টর ও শরৎকালীন ৪৪৩ হেক্টরের সবজি আক্রান্ত হয়েছে। পানি আরও বেড়ে ২ দিন থাকলে এসব নষ্ট হয়ে যাবে।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান বলেন, মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এত পানি আগে কখনো দেখা যায়নি।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ সাধারণ মানুষদের নিয়ে কাজ করছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন খালের বাঁধ কেটে দেওয়া হয়েছে। খাল-নালা পরিষ্কারের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। বন্যার্তদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর মধ্যে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।


আরও খবর



কক্সবাজারে পাহাড়ধসে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় পাহাড়ধসে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঝিলংজার ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডিককুলে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- দক্ষিণ ডিককুলের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আখি মনি এবং তার দুই শিশুকন্যা মিহা জান্নাত নাঈমা ও লতিফা ইসলাম।

স্বজনরা জানায়, রাতে ২টা দিকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সময় মিজানের বাড়ির দিক থেকে একটি পাহাড়ধসের বিকট শব্দ শুনতে পায় তারা। পরে সেখানে গিয়ে দেখেন সপরিবারে মাটিচাপা পড়েছে মিজান। তাৎক্ষণিকভাবে মিজানকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। পরে দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে স্ত্রী ও দুই শিশু মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তারা আরও জানায়, মিজানের বাড়িটি পাহাড়ের পাদদেশে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে যায়। পরে মধ্যরাতে ওপর থেকে পাহাড়ধসে তার বাড়িতে পড়ে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, কক্সবাজারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড।


আরও খবর



গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে সভা শনিবার, ব্যয় ৫ কোটি টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে সভা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) জানিয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এই স্মরণসভার খরচ ধরা হয়েছে ৫ কোটি টাকা। আজ মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এটি অনুমোদন হয়েছে বলে জানান তিনি।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সব শহিদের স্মরণে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর স্মরণসভার আয়োজনের সিদ্ধান্ত  হয়েছে। স্মরণসভার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করবেন মো. নাহিদ ইসলাম। স্মরণসভা সম্পর্কিত সব কর্মকাণ্ড সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানান, শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সব শহিদদের স্মরণে একটি স্মরণসভার আয়োজন করা হবে।

তিনি বলেন, সরকার স্মরণসভায় শহিদদের পরিবারকে সর্বোচ্চ সম্মাননা দেবে। বাংলা ব্লকেড, কমপ্লিট শাটডাউন এবং লংমার্চ টু  ঢাকা ঘটনাগুলোকে অবশ্যই তুলে ধরতে হবে। কারণ এই শব্দগুলো গণআন্দোলনে টনিক হিসেবে কাজ করেছে।

তিনি আরও বলেন, স্মরণসভাটি এভাবেই আয়োজন করা হবে যাতে এটি জুলাইয়ের গণআন্দোলনের আবহ তৈরি করতে পারে।


আরও খবর



শেখ হাসিনার পালানোর বিষয় জানতেন না সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আগে থেকে জানা ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

তিনি জানান, ৫ আগস্ট পরিস্থিতি দেখে তিনি যখন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, ঠিক তখন তাকে জানানো হয় শেখ হাসিনা চলে যাচ্ছেন।

সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। সেনাপ্রধান বলেন, শেখ হাসিনা দেশে থাকলে তার জীবনের ঝুঁকি ছিল। পরিস্থিতি খুবই উত্তপ্ত ছিল। 

শেখ হাসিনাকে সেফ এক্সিট দেয়া ঠিক ছিল নাকি তাকে দেশে রেখে বিচার করা উচিত ছিল-এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই সময়ে একটি উত্তপ্ত মুহূর্তে তাকে ওখানে রেখে দিলে সমস্যা হতো। আর প্রথম কথা হচ্ছে, আমিতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছিলাম। তখন আমাকে কিছু ব্যক্তি বলেছে যে, উনিতো চলে যাচ্ছেন। উনি অলরেডি রান। এটা আমি জানতাম না যে, তিনি দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন। তারপরও আমি মনে করি যে, উনি দেশে থাকলে উনার জীবন ঝুঁকি হতে পারত। কেউ চাইবে না যে একজনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হোক। এটা মোটেই কাম্য নয়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সেনাবাহিনী সহযোগিতা করছে বলেও জানান সেনাপ্রধান।

১৬ বছরের জঞ্জাল ১৬ দিনে তো মিটবে সেনাবাহিনীর মধ্যে এখনো অনেকে স্বপদে রয়েছেন তাদের সরানো হচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনেক ইস্যু আছে। যেগুলো তদন্ত হচ্ছে। এজন্য আমরা সময় নিচ্ছি, প্রমাণ লাগবে, প্রমাণিত না হলে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। সেনাবাহিনী এখনো কেন ব্যারাকে ফিরে যাচ্ছে না, তাদের এখন মাঠে থাকা উচিত কিনা এ প্রশ্নের জবাবে জেনারেল ওয়াকার বলেন, আমরা তো যেতে চাই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেতে চাই। তবে সম্ভবত আমাদের আরও কিছুকাল থাকতে হবে। কারণ পুলিশ এখনো তাদের দায়িত্ব নেয়ার মতো অবস্থায় নেই। পুলিশ প্রায় অকার্যকর হয়ে গিয়েছিল। এখনো দায়িত্ব নেওয়ার মতো হয়নি। তারা দায়িত্ব নেয়ার মতো হলে অবশ্যই আমরা ফেরত চলে যাব।

তিনি বলেন, আমি আশাবাদী সবাই একসঙ্গে যদি কাজ করি তাহলে দেশ সংস্কার করা সম্ভব হবে। এবং আমরা একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে পারবো। আমি এ সরকারকে সাহায্য করছি। এখান থেকে ফেরত যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। জনগণকে ধৈর্য ধরতে হবে।


আরও খবর



নৌপথে কন্টেনার পরিবহনে বন্দর কর্তৃপক্ষের সুযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চলমান বন্যার পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক ও রেলপথে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার পরিবহনে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি সচল রাখতে নৌপথে কনটেইনার পরিবহনের সুযোগ দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সার্বিক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে আমদানি রপ্তানিকারকরা চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক বা রেলপথে পণ্যবাহী কনটেইনার পরিবহন অনেকক্ষেত্রেই শ্লথ/বন্ধ রাখতে বাধ্য হতে হচ্ছেন। উদ্ভূত কারণে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বিষয়টি বিবেচনায় এনে চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম নৌপথ ব্যবহার করে দেশের আমদানি-রপ্তানি বেগবান করতে পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে এনবিআর সার্বিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

আমদানি-রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার পরিবহনে পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন জাহাজ কোম্পানির পর্যাপ্ত ইনল্যান্ড জাহাজ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের সব ধরনের লজিস্টিকস সুবিধাদি এ কার্যক্রমের জন্য সার্বিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এমতাবস্থায় বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ সব আমদানি-রপ্তানিকারকদের আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার পানগাঁও আইসিটির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সংগ্রহ বা জাহাজীকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়।


আরও খবর