আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

শ ম রেজাউল করিমকে ‘বিতর্কিত’ করতে নিহত স্বেচ্ছাসেবকদল নেতাকে আ.লীগ কর্মী হিসেবে অপপ্রচারের রহস্য কী?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পিরোজপুর-১ আসনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। কিন্তু আসনটিতে সাবেক সমালোচিত সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল সম্পূর্ণ পারিবারিক সিদ্ধান্তে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এরপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম সমর্থকদের প্রকাশ্যে হুমকি ধমকির মাধ্যমে ভোটের মাঠে অবৈধ প্রভাব বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠেছে আউয়ালের লোকজন। এমনকি নৌকা প্রতীকের পক্ষে মাঠে নামলে হাত পা কেটে ফেলা হবে বলেও নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে বলেও বলাবলি হচ্ছে।

শুধু তাই নয়, ভাঙচুর করার পাশাপাশি তান্ডব চালানো হয়েছে পিরোজপুরের শাড়ির তলা ডুমরিতলা নামক ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর অফিস। বাদ যায়নি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শ ম রেজাউল করিমের ছবিও।


সন্ত্রাসী কায়দায় এসব অপকর্ম করেছেন আউয়ালের অনুসারী স্বেচ্ছাসেবক দলের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক লালন ফকির, এমন অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ নৌকা সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা লালন ফকির। আলাপচারিতা চলছে, মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে বিতর্কিত করতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার মৃত্যুকে আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে অপপ্রচারের মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চলছে পুরোদমে। স্থানীয়ভাবে পিস্তল লালন হিসেবে পরিচিত বিএনপির একজন ক্যাডারের জন্য মহল বিশেষের বাড়বাড়ন্ত অপকৌশল জনমনে ঘৃণা-ক্ষোভ ও তীব্র অসন্তোষ তৈরি করেছে। সেই ক্ষোভের অনল ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল আইর প্রতিনিধি ফসিউল ইসলাম বাচ্চু এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা লালন ফকিরের জন্য আওয়ামী লীগের মিছিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সামাজিক মাধ্যমে এমন আরো স্ট্যাটাস ছড়িয়ে পড়েছে।

শ ম রেজাউল করিম ও আউয়ালের বিরোধের সূত্রপাত যেভাবে:

দীর্ঘদিন পিরোজপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতির একক নিয়ন্ত্রক ছিলেন স্থানীয় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল ওরফে সাইদুর রহমান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। কিন্তু নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারণে গত সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন হারান। নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা শ ম রেজাউল করিম। এরপর তিনি প্রথমে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও পরবর্তীতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি এ কে এম এ আউয়াল। সেই থেকে শুরু বিরোধের। কিন্তু সংসদ সদস্য হিসেবে গত ৫ বছর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যান শ ম রেজাউল করিম। অমায়িক বিনয়ী আচরণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে স্থানীয় ভোটারদের মন জয় করেন। এক সময় আউয়ালের ভাই পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক মন্ত্রীর বলয়ে চলে আসেন। যদিও পরবর্তীতে তাদের পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তি হয়ে যায়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শ ম রেজাউল করিমের নৌকার মনোনয়ন ঠেকাতে আদাজল খেয়ে মাঠে নামে আউয়াল পরিবার। কিন্তু দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা পুনরায় তাঁর ওপর আস্থা রাখায় মাথায় হাত পড়ে তাদের। দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে ভাবমূর্তি তলানিতে থাকা আউয়াল এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। ২০২১ সালের বুধবার (২০ জানুয়ারি) সরকারি খাস জমি দখলের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে করা তিন মামলায় অভিযোগপত্র দায়ের করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব মামলার বিচারও চলছে।

জানা যায়, দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে পারিবারিক সিদ্ধান্তেই সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। এ সময় স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকসহ বিভিন্ন মামলা আসামিদের জার্সি বদলের মাধ্যমে রাতারাতি আওয়ামী লীগ বনে যাওয়ার সুযোগ করে দেন বলেও মাঠে নানান কথা শোনা যাচ্ছে। বেপরোয়া পক্ষটি উস্কানিমূলক কথাবার্তার মাধ্যমে ভোটের মাঠকে অশান্ত করে তুলেছেন।

মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন গত ৩০ নভেম্বর নাজিরপুরে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় এ কে এম এ আউয়ালের ভাই পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেন, তাদের কর্মীদের দিকে কেউ গরম চোখে তাকালে তিনি তাদের চোখ উপড়ে ফেলবেন। তাঁর আক্রমণাত্মক বক্তব্যে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। পিরোজপুর পৌর এলাকায় আউয়ালের সমর্থনে একটি সভায় জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম সুমন প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন- নৌকার কোন অফিস এবং কোন এজেন্ট পিরোজপুরে দিতে দেয়া হবে না। ইন্দুরকানী উপজেলায় আউয়াল সমর্থক কর্মী সাঈদ মহরি প্রকাশ্যে বলেন, ইন্দুরকানি উপজেলায় আউয়াল পরিবারের বাইরে কাউকে নির্বাচনে আসতে বা ভোট নিতে অথবা দিতে দেয়া হবে না। এছাড়া শহরে বিভিন্ন স্থানের জনসভায় আউয়াল পরিবারের সমর্থক পৌর কাউন্সিলর সাদুল্লাহ লিটন, রাজু, রেজাউল করিম মন্টু, শ্রমিক লীগ কর্মী সাঈদ নৌকার প্রার্থী শ‌ ম রেজাউল করিমকে বিভিন্নভাবে অশ্লীল আশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি দেন। এসব বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে নৌকা সমর্থকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

অভিযোগ রয়েছে, শ ম রেজাউল করিমের সমর্থকদেরকে পিরোজপুরের পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক এবং এ কে এম এ আউয়াল ফোন করে নৌকা প্রতীকের পক্ষে মাঠে নামলে হাত পা কেটে ফেলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের সংগঠক ইন্দুরকানি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মৃধা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল লতিফ নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি, পিরোজপুরে রিটার্নিং অফিসারসহ বিভিন্ন পর্যায়ে লিখিত আবেদন করে জীবনের নিরাপত্তা চান। তাদের এই অভিযোগের তদন্ত করেন অনুসন্ধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত পিরোজপুরের যুগ্ম জেলা জজ। সাক্ষ্য প্রমাণে এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। অপরদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শ ম রেজাউল করিম বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ করে তার কর্মীদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সহিংস হুমকি, মারধরসহ বিভিন্ন রকম নির্বাচনী আচরণ বিধি পরিপন্থী কর্মকান্ড অবহিত করেন। প্রতিকার দাবি করেন তিনি। তবে এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের রহস্যময় নীরবতা জনমনে প্রশ্নবোধক।


একাধিক মামলার আসামি ছিলেন পিস্তল লালন:

পিরোজপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন লালন ফকির। এই কমিটির কাগজ ঘুরছে ফেসবুকের ওয়ালে ওয়ালে। গত ১০ ডিসেম্বর নৌকার অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় দুপক্ষের সংঘর্ষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লালন।

স্থানীয়ভাবে পিস্তল লালন নামে পরিচিত লালন ফকির:

অবরোধকালীন সময়ে গত ১৯ জুলাই পিরোজপুরে বিএনপির সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ১৩/১৬৪ নং মামলার এজাহারভুক্ত ৭৪ নম্বর আসামি। এই মামলার বাদি পিরোজপুর সদর থানার এসআই মাকসুদুর রহমান। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাসী ঘটনায় লালন ফকির ও নিজাম ফকিরের নেতৃত্বে শারিকতলা ডুমুরিতলা এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল বলে বিশেষ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল পিরোজপুরে ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ গ্রেফতার হয়েছিল লালন। দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে জামিনে মুক্তির পর তিনি দলীয় জার্সি বদল করে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আওয়ালের ভাই পিরোজপুরের পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেকের অনুসারী বনে যান। লালন ডাইং ডিক্লারেশন/মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে ৩ থেকে ৪ জন ব্যক্তি দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে তাকে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে চালিয়ে দেয়ার মাধ্যমে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে নতুন করে হেনস্থা করার অপপ্রয়াসের মাধ্যমে ঘৃণ্য রাজনীতির ধারাবাহিকতা চলছে বলেও অভিযোগ করেছেন মন্ত্রীর অনুসারীরা।

 


আরও খবর



হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তীব্র তাপমাত্রায় থাকে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই একে হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। এই গরমে সবাইকেই থাকতে হবে সতর্ক। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এড়িয়ে চলতে হবে সব ধরনের ঝুঁকি। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে সচেতন ও সতর্ক থাকার বিকল্প নেই। সেজন্য নিজে জানার পাশাপাশি অপরকেও এর লক্ষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে জানানো জরুরি। কারও হিট স্ট্রোক হয়েছে মনে হলে তাকে দ্রুত কিছু সেবা দিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

শ্বাস এবং সঞ্চালন পর্যবেক্ষণ : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস এবং সঞ্চালনের উপর কড়া নজর রাখুন। যদি তিনি অজ্ঞান হয়ে যান বা শ্বাস নেওয়া বন্ধ করে দেন, তবে অবিলম্বে সিপিআর শুরু করুন এবং জরুরি চিকিৎসা সহায়তা না পাওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যান। সেজন্য আপনাকে সিপিআর জেনে রাখতে হবে। এটি অনেক জরুরি অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে।

ঠান্ডা পানীয় পান : হিট স্ট্রোকের প্রভাব এড়াতে ঠান্ডা পানি বা ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় পান করাতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় বা খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা কিছু খেলে তা কাঁপুনির কারণ হতে পারে, যা শরীরের তাপ উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ভেজা কাপড় বা আইস প্যাক : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাবে। এমন অবস্থায় তার শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য শীতল ও ভেজা কাপড় বা আইস প্যাক ব্যবহার করুন। আক্রান্ত ব্যক্তির মাথা, ঘাড়, বগল এবং কুঁচকির দিকে এটি বেশি ব্যবহার করুন। কারণ এসব স্থান শরীরের প্রধান তাপ-বিনিময় অঞ্চল।

শীতল ও ছায়াযুক্ত পরিবেশে রাখুন : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত রোদ থেকে সরিয়ে শীতল ও ছায়াযুক্ত পরিবেশে নিয়ে যান। সবচেয়ে ভালো হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নিয়ে যেতে পারলে। এমন পরিবেশ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।

পোশাক ঢিলে করে দিন : এই গরমে ভারী বা আঁটসাঁট পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন। অন্যদেরও একই পরামর্শ দিন। যতটা সম্ভব হালকা ও প্রশান্তিদায়ক রং বেছে নিন। এই গরমে কালো রঙের পোশাক পরা এড়িয়ে চলুন। আবার কেউ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে মনে হলে তার পরনের পোশাক ঢিলে করে দিন।


আরও খবর



সব রেকর্ড ভেঙে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৪৩.৭ ডিগ্রি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় সোমবার (৩০ এপ্রিল) ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা ১৯৮৯ সালের পর দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে রোববার (২৯ এপ্রিল) ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়।

এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগে ২০০৫ সালে ২ জুন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ২০১২ সালে ৪ জুন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জানা গেছে, চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরু থেকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়ে আসছে চুয়াডাঙ্গায়। টানা ১৯ দিন তীব্র থেকে অতি তীব্র দাবদাহে হাসপাতালগুলোতে বেড়েই চলেছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস প্রতিষ্ঠার পর সর্বোচ্চ।

তিনি আরও বলেন, আপাতত দু-একদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বা একইরকম থাকবে।


আরও খবর



রাজধানীতে রাত ১১টার পর চা-সিগারেটের দোকান বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে রাত ১১টার পর পাড়া-মহল্লার সকল চায়ের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেন তিনি।

দ্রুত এটি কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় এসব অস্থায়ী দোকানে অপরাধীরা সারা রাত আড্ডা দেয়, আর সুযোগ পেলেই ছিনতাই করে। রাস্তার পাশের সিগারেট, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ করে দিতে হবে।

তিনি বলেন, কোনো সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠী যেন কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর থাকারও নির্দেশ দেন ডিএমপি কমিশনার।

এবার রমজানে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে ক্রাইম বিভাগও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে বলে জানান তিনি।

হাবিবুর রহমান বলেন, রাস্তায় পুলিশের স্টিকার লেখা কোনো গাড়ি দেখলে ডিউটিরত পুলিশ অবশ্যই যাচাই করে দেখতে হবে যে, সেটা আসলেই কোনো পুলিশ অফিসারের গাড়ি কি না। কারণ, গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে বা ডিএমপির লোগো লাগিয়ে সন্ত্রাসীদের চলাফেরার তথ্য পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, যদি যাচাই করে দেখা যায় সেটা পুলিশের গাড়ি নয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ডিএমপির ক্রাইম ও ট্রাফিক বিভাগ এ বিষয়টি নজর রাখবে।


আরও খবর



ঠিকাদারের হাতে জিম্মি রোগীরা, দেওয়া হয় বাসি-পঁচা খাবার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:

দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে একজন ঠিকাদার ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহ করে আসছেন। একটানা ১৭ বছর একই ঠিকাদার খাবার সরবরাহের কারণে ঠিকাদারের কাছে জিম্মি রোগীরা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ খাবারের মান ও পরিমাপ নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠলেও উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি বরাদ্দে যে খাবার সরবরাহ করার তালিকা রয়েছে, সেসব খাবার কখনো পূরণ না করে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এখানকার রোগীরা।

সরকার নির্ধারিত বরাদ্দে (২০২২-২০২৩) অর্থছরের তালিকা অনুয়ায়ী প্রতিটি রোগীর জন্য সকালের নাস্তা রুটি, কলা, ডিম- ৩৯ টাকা, দুপুরে ও রাতে মাছ, সবজি, ডাল ও সাপ্তাহে ৩ দিন মাংস- ১৩৬ টাকা। দিন প্রতিজন রোগীর জন্য ১৭৫ টাকা বরাদ্ধ থাকলেও যে ধরনের খাবার এবং যে পরিমাণ খাবার সরবরাহ করার কথা, রোগীরা সে পরিমাণ খাবার পাচ্ছেন না। পরিমাপে কম ও  পরিবেশন করা সকল খাবারই নিম্নমানের।

মাংস তো দুরের কথা মোটা চালের ভাত, নামে মাত্র মাছ, পঁচা-বাসি তরকারিসহ নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও পরিমাণে কম সরবরাহ করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী রোগীরা।

রোগীর স্বজন ও রোগীরা জানান, প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে যে পরিমান খাবার দেওয়া হয় তা অতি সামান্য ও নিম্নমানের যা অনেকে খেতে পারেন না। অনেকে খাবার নেন না। আবার কেউ কেউ খাবার নিলেও রোগীরা খান না। নির্ধারিত পরিমানে মানসম্মত খাবার সরবরাহের দাবি তাদের।

মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, বর্তমান সরকার সেবাখাতকে জনকল্যাণমূলক করতে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। হাসপাতালে যারা ভর্তি থাকেন তাদের বেশিরভাগই গরীব রোগী। তাদের চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্য সরবরাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাবারের মান নিয়ে যেহেতু রোগীদের অভিযোগ রয়েছে, তাই এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদার মো.হাচান আলী বলেন, টেন্ডারের খাবার তালিকা অনুযায়ী প্রতিজন রোগীর জন্য ১৭৫ টাকা বরাদ্ধ থাকলেও শতকরা ২৫% ভ্যাটসহ অন্যদিকের খরচ বাদ দিয়ে কত টাকা থাকে আপনি বলেন? তারপরও বাজারের যে অবস্থা এর চাইতে রোগীদেরকে আর কি খাওয়াবো? 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী বলেন, নামে মাত্র কাগজে কলমে খাবারের তালিকা থাকলেও আজ পর্যন্ত কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খাবারের তালিকা অনুযায়ী রোগীদেরকে খাবার দেয়নি। তারা আরও বলেন এনিয়ে বেশি কিছু বলতেও পারি না যদি কোনো ঝামেলা করে।

নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের বিষয় জানতে চাইলে আরএমও ডা.সুলতান আহম্মেদ বলেন, আমি দায়িত্বে থাকলেও বিষয়টি সম্পূর্ণ দেখভাল কারেন স্যার(টিএইচও)। তারপরও তিনি খোজ খবর নিয়ে দেখবেন বলে জনান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদ বিন হেদায়েত বলেন, প্রতিদিন খাবারের মান ও পরিমাপ পরীক্ষা করা হয়। নিম্নমানের খাবার দেওয়া তো প্রশ্নই ওঠে না।


আরও খবর



ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাক ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- কাশেম শিকদার (৪০), তার ছেলে মোরসালিন (৮) ও তার আপন ভাই নাজমুল শিকদার (৩৭)। তারা গোপালগঞ্জের মোকসুদপুর উপজেলার কোয়ালদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই আব্দুল বাকি দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এলাকাবাসী জানান, বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গা থেকে মোটরসাইকেল যোগে ফরিদপুর যাচ্ছিলেন কাশেম শিকদার। তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে মোরসালিন ও ভাই নাজমুল শিকদার। পথিমধ্যে উপজেলার হামিরদী নামক স্থানে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তখন ঘটনাস্থলে মোরসালিন মারা যান। এ সময় গুরুতর আহত হন নাজমুল। দুই ভাইকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।


আরও খবর