আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

রৌমারীতে পাঁচ কেজি গাঁজাসহ দুই কারবারি গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে পাঁচ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, উপজেলার দাঁতভাঙা ইউনিয়নের চর টাপুরচর গ্রামের নুর মোহাম্মদ ওরফে ডন (৩৯) ও মধ্য বাগুয়ারচর গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম (২৬)।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল এগারোটার দিকে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপ কুমার সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

ওসি জানান, মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত একটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রৌমারী থানা পুলিশের একটি টিম উপজেলার দাঁতভাঙা ইউনিয়নের চর টাপুরচর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। অভিযানে ওই এলাকা থেকে মাদক কারবারি নুর মোহাম্মদ ওরফে ডন ও মোঃ রফিকুল ইসলামকে পাঁচ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করে।

ওসি রূপ কুমার সরকার বলেন, গ্রেফতার মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে আজ বুধবার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।


আরও খবর



ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর কোন দেশের কার্যক্রম পরিচালনা করবে: খালিদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশী বন্দর পরিচালনাকারিরা বিনিয়োগ করছে। আমি সম্ভাবনা ও স্বপ্ন দেখি, একটি সময় আসবে চট্টগ্রাম বন্দর পৃথিবীর অন্য কোন দেশের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকায় হোটেল ওয়েস্টিনে চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্পসহ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ সংক্রান্ত চট্টগ্রাম বন্দর ও আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা স্মারকপত্র (এমওইউ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলী আব্দুল্লা কাসিফ আল মৌদি, আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল অফিসের রিজিওনাল চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আহমেদ আল মুতায়া‌। সমঝোতা স্মারকপত্রে স্বাক্ষর করেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং আবুধাবী পোর্টস গ্রুপের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সাইফ আল মাজরুই।

স্মারকপত্র অনুযায়ী আরব আমিরাতের আবুধাবী পোর্টস গ্রুপ বে-টার্মিনাল প্রকল্পসহ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে বিনিয়োগ করবে। তারা অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও সংগ্রহ করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে মেরিটাইম সেক্টরে আমাদের যে যাত্রা সেটিকে পুনর্জীবিত ও উজ্জীবিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সময়ে সমুদ্র ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর গত ১৫ বছরে আন্তর্জাতিক বন্দরের সক্ষমতা অর্জন করেছে। মংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। মংলা বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের মতো সক্ষমতা অর্জন করবে। পায়রা বন্দরে নির্মাণাধীন জেটিতে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের  জাহাজ ভিড়েছে। এটা একটা নতুন অনুভূতি। আগে মাদার ভেসেলে পণ্য  পরিবহনের জন্য  আমাদের কলম্বো ও সিঙ্গাপুর বন্দরের উপর নির্ভরশীল হতে হতো। বর্তমানে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হচ্ছে। এতে করে নির্ভরশীলতা কমে যাবে। মাতারবাড়ি বন্দর আঞ্চলিক 'হাব' এ পরিণত হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সৌদি আরবের রেড সী গেটওয়ে টার্মিনালের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। খুব শীঘ্রই এটির কার্যক্রম শুরু হবে। বে-টার্মিনাল নির্মিত হলে ২৪ ঘন্টা জাহাজ আসা-যাওয়া করবে। জোয়ার ভাটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। চট্টগ্রাম বন্দর অন্য ধরনের উচ্চতায় চলে যাবে। বে টারমিনালের সাথে রোড, রেলওয়ে কানেক্টিভিটি থাকবে। পণ্য পরিবহন  সহজলভ্য হবে। শুধুমাত্র আবুধাবী বন্দরের জন্য নয়, আমাদের জানালা খোলা আছে। দেশের যেকোন বন্দরে বিনিয়োগের জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিব। বেটার্মিনাল বাংলাদেশের সমুদ্র পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই টার্মিনালের মাল্টিপারপাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু করতে চাই।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতার বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ পাশে বঙ্গোপসাগরের তীরে বে- টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বে- টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণের পর সেখানে ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্য ২০১৭ সালে কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়। কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ফিজিবিলিটি স্টাডি ও মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়। গতবছরের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক চূড়ান্ত মাস্টার প্ল্যান এর মোড়ক উন্মোচিত হয়। সমীক্ষা অনুযায়ি মাস্টার প্ল্যানের ১,২২৫ মিটার দীর্ঘ দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল এবং ১,৫০০ মিটার দীর্ঘ একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনালসহ মোট তিনটি টার্মিনাল রয়েছে।

তিনটি টার্মিনালের দৈর্ঘ্য ৪.৯৫ কিলোমিটার। মাস্টার প্ল্যানে মোট ১১টি জেটি রাখার প্রস্তাব করা হয়। চ্যানেলে যথোপযুক্ত নাব্যতা থাকায় সেখানে ১২ মিটার ড্রাফটের এবং ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়ানো সম্ভব হবে। আবহাওয়া এবং সাগরের বড় বড় ঢেউ থেকে রক্ষা করতে একটি ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার বা ঢেউনিরোধক বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বে- টার্মিনাল থেকে বহিঃনোঙ্গরের দুরত্ব এক কিলোমিটার। মাল্টিপারপাস টার্মিনালটি চট্টগ্রাম বন্দর এবং আবুধাবী পোর্টস গ্রুপ যৌথভাবে নির্মাণ করবে।

১,২২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি কন্টেইনার টার্মিনাল পিএসএ, সিঙ্গাপুর এবং অপরটি ডিপি ওয়ার্ল্ড, দুবাই অর্থায়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে। ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ব্রেক ওয়াটার ও এক্সেস চ্যানেল ড্রেজিং করবে বিশ্বব্যাংক।

বে টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ৬৬.৮৫ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ইতোমধ্যে অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৫০০.৬৯ একর সরকারি খাস জমি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।  ব্রেক ওয়াটার নির্মাণের জন্য বিশ্ব ব্যাংক এর বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে।  বছরে ৫০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২০২৬ সালে অপারেশনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর



সমুদ্রে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা, তীরে ফিরেছেন জেলেরা

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সমুদ্রে মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাছ শিকারের ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই গভীর সমুদ্রে সকল ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। ইতোমধ্যে নোয়াখালীর হাতিয়ায় তীরে ফিরেছেন জেলেরা।

হাতিয়ার সূর্যমূখী ঘাটের মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, হাতিয়ার ৪০টি ঘাটের প্রায় ৫ শতাধিক বড় বড় ফিশিং ট্রলার গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করে। নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব ট্রলার রাতেই ঘাটে ফিরে এসেছে। ইতোমধ্যে ট্রলার শনিবার ও রোববার ঘাটে ফিরে এসেছে। এ বছর ইলিশ মৌসুমের প্রথমে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলেরা। ৬৫ দিন সবাইকে তীরে থাকতে হবে। অনেকে বেকার সময় পার করবেন।’

সূর্যমূখী ঘাটের কয়েকজন জেলের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, রাত ১২টার পর থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। তাই আর সাগরে যাবেন না। আগামী কয়েক দিন জাল বোনার শ্রমিক হিসাবে ঘাটে থেকে উপার্জন করতে হবে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর তারা আবার সাগরে যাবেন।

জেলেরা আক্ষেপ করে জানান, ইলিশ মৌসুমে ৬৫ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা তাদের জন্য আর্থিক বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে।

এ বিষয়ে হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন বলেন, হাতিয়াতে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করার মতো ট্রলার রয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক। এসব ট্রলারে ২০ জন করে হলেও ১০ হাজার জেলে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন। এতে ১০ হাজার জেলে সবাই বেকার হয়ে পড়েছেন। তাদের পরিবার নিয়ে চলা অনেকটা কঠিন হবে। আবার এসব জেলের অনেকের নিবন্ধন না থাকায় সরকারি সুবিধাও পাবেন না।’

যদিও জেলেদের আগেই সতর্ক করা হয়েছে দাবি করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান বলেন, হাতিয়ার অনেক ট্রলার গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করে। এই ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ থাকবে যা আগেই জেলেদের অবহিত করা হয়েছে। গত কয়েক দিন ঘাটে গিয়ে জেলে ও ট্রলার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, হাতিয়ায় প্রায় ১ লাখ ব্যক্তি জেলে পেশার সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে নিবন্ধিত জেলে সংখ্যা প্রায় ২২ হাজার।


আরও খবর



স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

অবশেষে স্বজনদের কাছে ফিরেছেন জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক। মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নাবিকদের নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় এমভি জাহান মনি-৩।

এর আগে দুপুর ১২ টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থেকে নাবিকদের নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় জাহাজটি।

পরে ২৩ নাবিককে বরণ করে নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ সময় নাবিকদের স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন। বন্দরে পৌঁছার পর সেখানে উপস্থিত সকলের প্রতি হাত নেড়ে অভিবাদন জানান নাবিকরা। বন্দরে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে নাবিকদের রওনা দেয়ার কথা।

এর আগে, দুপুর ১২ টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থেকে নাবিকদের নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি জাহান মনি-৩। সোমবার বিকেলে নাবিকদের নিয়ে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কুতুবদিয়া বহির্নোঙরে ভিড়ে। সেখানে চলছে চুনাপাথর খালাস কার্যক্রম। এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নিয়েছে নতুন ২৩ নাবিক।

এর আগে, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা পরিবহন করে আমিরাত যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ১৪ এপ্রিল ভোরে মুক্তিপণ পাওয়ার পর জলদস্যুমুক্ত হয় জাহাজটি।

পরে জাহাজটি ২২ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে কয়লা খালাসের পর আরেকটি বন্দর থেকে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর লোড করার পরে জাহাজটি ৩০ এপ্রিল ভোরে আরব আমিরাত ত্যাগ করে।


আরও খবর



রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : চেয়ার দখলের ত্রিমুখী লড়াই

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

শেষ সময়ে জমে উঠেছে ভোটের মাঠ। আগামী মঙ্গলবার (২১মে) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তবে ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপিও অংশ নিয়ে নির্বাচনী মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও ভাগ্য নির্ধারণের দিন হানাহানি শঙ্কা করছেন ভোটাররা। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান মিলে ১২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সইদুল হক (আনারস), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ হোসেন বিপ্লব (ঘোড়া) ও আওয়ামী লীগ সদস্য আব্দুল কাদের (মোটরসাইকেল) প্রতীকে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। তবে তিনজনের এগিয়ে রয়েছেন।

আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে রানীশংকৈল পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী (টিয়া পাখি), সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা (টিউবওয়েল), কৃষক লীগের সভাপতি বাবর আলী (চশমা), যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী (বৈদ্যুতিক বাল্ব), কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক দিগেন্দ্র নাথ রায় (তালা) প্রতীক ও শেফালী বেগম (পদ্ম ফুল), সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম পুতুল (কলস), উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন (ফুটবল) ও শারমিন আক্তার (হাস) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় হাইকমান্ডের নির্দেশে জেলা কমিটি তাকে বহিষ্কার করেছেন।

এব্যাপারে হযরত আলী সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। আর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন বলেন, দলীয় সিন্ধান্ত অমান্য করার অপরাধে হযরত আলীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা, প্রচারণা-সহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। এছাড়া বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে নির্বাচনী গান পরিবেশন ও মাইকিং করছেন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা।

ভোটাররা মনে করছেন রানীশংকৈল উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মূল লড়াই হবে ঘোড়া প্রতীকের আহম্মদ হোসেন বিপ্লব ও মোটরসাইকেল প্রতীকের আব্দুল কাদের। তবে কিছু কিছু ভোট কেন্দ্রে আশঙ্কার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে যেতে পারে সেজন্যে প্রশাসনের আহব্বান জানান তাঁরা।

এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩ ৯১ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ৯৪ হাজার ২৮১ ও মহিলা ৮৯ হাজার ১১০ জন। আর ভোট কেন্দ্রে ৬৬ টি।

এদিকে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠ রাখতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: সোলেমান আলী। তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিস্থিতি যেভাবে ভাল থাকে সে অনুযায়ী আইনশৃংখলা বাহিনী কাজ করবে। প্রশাসন পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।


আরও খবর



তিনদিন বেনাপোল দিয়ে ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনদিন বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে

শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৯টায় ভারতীয় ইমিগ্রেশনের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আযহারুল ইসলাম।

জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী সোমবার (২০ মে) ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবেন। এ সময় বন্ধ থাকবে ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতায়াত। ২১ মে থেকে এ বন্দর দিয়ে স্বাভাবিক হবে সব ধরনের যাত্রী যাতায়াত।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা নির্বাচন অফিসার সাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সব ধরনের আন্তর্জাতিক রুট সিল করা প্রয়োজন। এজন্য ১৭ মে সন্ধ্যা থেকে ২০ মে ভোটগণণা শেষ না হওয়া পর্যন্ত লোক ও যানবাহন যাতায়াত সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। শুধু মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবে। তিনদিন বন্ধ থাকবে ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতায়াত।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, ওপারে নির্বাচনে তিনদিন ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তিনি অবগত। ইমিগ্রেশন থেকে এ বার্তা পেয়েছেন। তবে ট্যুরিস্ট, স্টুডেন্ট ও বিজনেস ভিসায় যাত্রী যাতায়াত বন্ধ থাকলেও জরুরি মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা যাতায়াতে বাধা নেই জানান।

জানা যায়, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করে মেডিকেল, বিজনেস, ভ্রমণ ও স্টুডেন্ট ভিসায় প্রতিদিন ভারত-বাংলাদেশে মধ্যে প্রায় ৭ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে। ভারত ভ্রমণে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে যাত্রীদের ভ্রমণ কর ১০৫৫  টাকা এবং ৫ বছর থেকে ১২ বছর পর্যন্ত যাত্রীদের ৫৫৫ টাকা পরিশোধ করতে হয়।  আর ০ থেকে ৫ বছরের যাত্রীদের বন্দর কর ৫৫ টাকা।

এদিকে চেকপোস্টের পাশাপাশি সীমান্ত পথে যাতে কোন অবৈধ অনুপ্রবেশ না ঘটে সেখানে সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের টহল জোরদার করা হয়েছে।


আরও খবর