আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

রোজায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে মনিটরিং করবে চসিক

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

রোজায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। উচ্ছেদ অভিযানে কারণে এবারের রোজায় সড়কে যানজট কমবে বলে মনে করেন মেয়র।

বুধবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চসিক বাজার মনিটরিং কমিটির উদ্যোগে আসন্ন রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, রমজান মাসে আমাদের দুটি সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং যানজট। কেবল আইন বা শাস্তির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব নয়। এজন্য ব্যবসায়ী ভাইদের সহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি-বেসরকারি সেবা সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন। রোজার মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ রোজাদাররা যাতে কষ্ট না পান সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। কেউ সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করলে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সাথে কাজ করবে চসিক। আমরা বাজার মনিটরিং করব। প্রয়োজনে রোজা উপলক্ষে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। একারণে অসাধুদের সাবধান করছি, নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দিলে আইনি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হন।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ যানজট কমাতে সাহায্য করবে জানিয়ে মেয়র বলেন, রমজান মাসে যানজট বেড়ে যায়। তবে এবার নিউ মার্কেট ও আগ্রাবাদ মোড়ে আমরা যে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি তার কারণে যানজট কম হবে বলে মনে করি। আমরা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখব। যারা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধে হুমকি দিচ্ছে এবং নানাভাবে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে তাদের উদ্দেশ্যে বলব কোন হুমকিতে অভিযান বন্ধ হবেনা। উদ্ধারকৃত জায়গা প্রতিটি থানা মনিটরিং করলে জনগণকে মুক্ত ফুটপাত, রাস্তা দেয়ার আমার যে পরিকল্পনা তা বাস্তব রূপ নিবে।

সভায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এবং বাজারের প্রতিনিধিরা তাদের বিভিন্ন অভিযোগ ও পরামর্শ তুলে ধরেন। সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, মেয়রের উদ্যোগে নগরীর অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা অবৈধ হকারমুক্ত হওয়ায় প্রকৃত ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। তবে, দখলের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হুমকি ও চাপ দিচ্ছে।

চট্টগ্রাম অবৈধ হকারমুক্ত হলে রাষ্ট্র উপকৃত হবে৷ কারণ, প্রকৃত ব্যবসায়ীরা সরকারকে ট্যাক্স-ভ্যাট দিয়ে ব্যবসা করে৷ পক্ষান্তরে, অবৈধভাবে রাস্তা-ফুটপাত দখল করে যারা ব্যবসা করে তারা অপরাধীদের চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করে, যা শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য হুমকি৷ চসিক যেহেতু ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে সেহেতু লাইসেন্সধারী প্রকৃত ব্যবসায়ীরা যাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। 

সভায় সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসে আমাদের তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। আমরা অন্যান্য সরকারি সংস্থাকে সাথে নিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কাজ করব৷ মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানের সামনে ফুটপাত ও হাঁটার রাস্তা দখল না করার আহ্বান জানান৷

সভায় বাজারমূল্য পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, হাজী নুরুল হক, আবদুস সালাম মাসুমসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন৷ সভায় চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম,  চৈতী সর্ববিদ্যা,  জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ,

চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক নিখিল রায়সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং নগরীর বিভিন্ন মার্কেটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



রাফায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের রাফাহতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

অবশ্য রাফাহতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা আরও বেশি বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের তিনটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে সোমবার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। অবশ্য গাজার মিডিয়া আউটলেট মৃতের সংখ্যা ১৫ বলে জানিয়েছে।

অন্যদিকে গাজা উপত্যকার উত্তরে অবস্থিত গাজা শহরে ইসরায়েলি বিমান দুটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মূলত হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধ শুরু হয়। ওই সময় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা করে ১৩ লাখ মানুষ রাফাহতে এসে আশ্রয় নেন। এখন সেই রাফাহতে হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েলিরা।

এছাড়া রাফাহতে এই হামলা এমন এক সময়ে হলো যখন ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য হামাসের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিসর।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

রবিবার হামাস কর্মকর্তারা বলেছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর গাজার উপ-প্রধান খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল হামাসের পক্ষ থেকে কাতার এবং মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে হস্তান্তর করা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পাশাপাশি ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবেন।

ইসরায়েল রাফাহ আক্রমণের হুমকি দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত মধ্যস্থতাকারীরা একটি চুক্তি সম্পাদনের জন্য তাদের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করেছে।

রয়টার্সের সাথে কথা বলা হামাসের দুই কর্মকর্তা সর্বশেষ প্রস্তাবের বিষয়ে বিশদ তথ্য প্রকাশ করেননি। তবে আলোচনার বিষয়ে অবগত একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, হামাস শনিবার ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সাড়া দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।


আরও খবর



স্কুল-কলেজের সভাপতি হতে লাগবে এইচএসসি পাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বেসরকারি মাধ্যমিক ও কলেজগুলোর ম্যানেজিং কমিটির নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে গেজেট জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশোধন করা হয়েছে বর্তমান গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালাও।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তুরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০২৪ জারি করা হয়।

এতদিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ সভাপতি ও সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারিত না থাকলেও নতুন নিয়মে হতে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পাস। এছাড়া একইসঙ্গে এক ব্যক্তি পরপর দুবারের বেশি সভাপতি হতে পারবেন না বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রবিধানমালা-২০২৪ এর তৃতীয় অধ্যায়ে ম্যানেজিং কমিটি বিষয়ে বলা হয়েছে, নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্ব একটি ম্যানেজিং কমিটির উপর ন্যস্ত থাকিবে।

১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন হবে।

(ক) একজন সভাপতি।

(খ) মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, শিক্ষকের ভোটে নির্বাচিত ২ জন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি। তবে শর্ত থাকে যে, মাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত থাকলে, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি এবং প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।

(গ) নিম্নমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, নিম্নমাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষকের ভোটে নির্বাচিত ২ জন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি।

তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নমাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত থাকলে, নিম্নমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি এবং প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।

(ঘ) মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, মাধ্যমিক স্তরের কেবল মহিলা শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত একজন সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি। তবে শর্ত থাকে যে, মাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত থাকলে, মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি উভয় স্তরের মহিলা শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত হবেন।

(ঙ) নিম্নমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, নিম্নমাধ্যমিক স্তরের কেবল মহিলা শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত একজন সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি থাকবে।

ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ হবে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ২ বছর।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ কোনো ব্যক্তি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দক্ষিণী তারকা আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (১১ মে) তার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে পুলিশ।

জানা গেছে, অন্ধ্র প্রদেশের নান্দিয়ালে বন্ধু ও ওয়াইএসআরসিপি বিধায়ক রবিচন্দ্র কিশোর রেড্ডির বাড়িতে গিয়েছিলেন আল্লু। আর সেখানে প্রিয় অভিনেতাকে একনজর দেখতে ভক্তদের ভিড় জমে যায়।

পরে ব্যালকনি থেকে হাত নেড়ে ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আল্লু অর্জুন। এ সময়ে তারা জোরে জোরে পুষ্পা, পুষ্পা স্লোগান দিচ্ছিলেন।

অভিনেতা এবং ওয়াইএসআরসিপি বিধায়ক রবিচন্দ্র কিশোর রেড্ডির বিরুদ্ধে অভিযোগ, শনিবার সমাবেশের জন্য পূর্বানুমতি ছাড়াই আল্লু অর্জুনকে আমন্ত্রণ জানান বিধায়ক রেড্ডি। ফলে নির্বাচনী বিধি অমান্য করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা দয়ের করা হয়।

মামলাটি নথিভুক্ত করেন ডেপুটি তহসিলদার পি রামচন্দ্র রাও। তিনি অন্ধ্র প্রদেশের নান্দিয়াল নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনের তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত।

বিষয়টি নিয়ে আল্লু অর্জুন বলেন, আমার বন্ধুদের মধ্যে তারা যে ক্ষেত্রেই হোক না কেন, আমার সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমি এগিয়ে যাব এবং তাদের সাহায্য করব। এর মানে এই নয় যে, আমি কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করছি।


আরও খবর



পাঁচ ভারতীয় নাবিককে মুক্তি দিল ইরান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আটককৃত পাঁচ ভারতীয় নাবিককে মুক্তি দিয়েছে ইরান। প্রায় এক মাস ইরানের কাছে বন্দি ছিলেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

গত ১৩ এপ্রিল দুবাইয়ের উপকূলে একটি ইসরায়েলি কার্গো জাহাজ আটক করে ইরানের ইসলামিক রেভেলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। ওই জাহাজে ক্রুদের মধ্যে ১৭ জন ভারতীয় ছিলেন। তাদের সবাইকে আটক করে আইআরজিসি।

বন্দি নাবিকদের মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা শুরু করে ভারত। ইরানে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে ভারতে ইরানের রাষ্ট্রদূত ইরাজ এলাহি জানিয়েছেন, জাহাজটিতে থাকা বাকি ভারতীয় ক্রুদের আটক করা হয়নি। তারা যে কোনো সময় দেশে ফিরে আসতে পারেন।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ইরানে ভারতীয় দূতাবাস জানায়, আটক ভারতীয়দের মধ্যে থেকে ৫ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে ১৫০০ কোটি টাকা টোল আদায়ের মাইলফলক

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পদ্মা সেতু চালুর পর গত ২২ মাসে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি টোল আদায় করা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১২টা এ টোল আদায়ের মাইলফলক অর্জিত হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে গত ২২ মাসে ১ হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ সময়ে সেতু দিয়ে মোট ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি যান চলাচল করেছে। এর মধ্যে মাওয়া দিয়ে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩২ এবং জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৩টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে।

সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ৯ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পদ্মা সেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। ওই দিন দুই প্রান্ত দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি গাড়ি পারাপার হয়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পরদিন থেকেই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সেতুটি। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা এবং দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।


আরও খবর