আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

রোজ গার্ডেনে হবে ঢাকা মহানগর জাদুঘর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের দুই বছরও পার হয়নি। তার আগেই পূর্ব পাকিস্তানের অবহেলিত মানুষ জেনে গেছে এই স্বাধীনতা তাদের অধিকার আদায়ে কোনো কাজে আসছে না। উর্দুভাষী পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক ও তাদের এদেশীয় দোসররা হরণ করেছে বাঙালির সব অধিকার। সেই অধিকার ফিরিয়ে আনতেই এক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ঢাকার রোজ গার্ডেনে প্রতিষ্ঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (বর্তমানে আওয়ামী লীগ)। দিনটি ছিল ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন। অঙ্কের হিসাবে প্রতিষ্ঠার ৭৩ বছর পূর্ণ করছে দলটি।

১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পূর্ণ হওয়ার আগেই ১৯৭১ সালে সব শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে সংগঠনটি বাঙালি জাতিকে উপহার দেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। এরপর থেকেই রোজ গার্ডেন এবং আওয়ামী লীগ হয়ে উঠল ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে রোজ গার্ডেনে হবে ঢাকা মহানগর জাদুঘর। চার বছর আগে ২০১৮ সালে ৩৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকায় ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন কিনে নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। আবার চার বছরের মাথায় এর সৌন্দর্য ফেরাতে সরকার ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৫২ হাজার টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর আগে ১৯৮৯ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর রোজ গার্ডেনকে সংরক্ষিত এলাকা (ভবন) ঘোষণা করে। আগামী জুলাইয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে এবং পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেনের প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্কার এবং ঢাকা মহানগর জাদুঘর স্থাপন প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পটি গণপূর্ত অধিদপ্তর, শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরকে নিয়ে বাস্তবায়ন করছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, রোজ গার্ডেন আবার ভরে উঠবে প্রস্ফুটিত গোলাপে। ভাস্কর্যগুলো ফিরে পাবে হারানো সৌন্দর্য। বেঙ্গল স্টুডিওকে সংস্কার করে একটি আধুনিক ফিল্ম স্টুডিওতে রূপান্তরের কাজও রয়েছে এই প্রকল্পের মধ্যে। নির্ধারিত ফি দিয়ে টিকিট কেটে দর্শনার্থীরা রোজ গার্ডেনে প্রবেশ করতে পারবেন। সরকার কিনে নেওয়ার পর এই গার্ডেনের নিরাপত্তায় পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া আরও চার কর্মচারী রয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের। বর্তমানে সেখানে সাধারণের প্রবেশাধিকার নেই।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পণ্ডিত বলেন, ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন সংস্কার করে এর ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় দুই বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী বছর ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এরপর তা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের পিডি ও ডিপিডি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসে (জুলাই) কাজ শুরু হবে।

রোজ গার্ডেন প্রাসাদ সংক্ষেপে রোজ গার্ডেন নামে পরিচিত। এটি একটি ঐতিহাসিক বাগানবাড়ি, যা ঢাকার টিকাটুলি এলাকায় কেএম দাস লেনে অবস্থিত। ১৯৩১ সালের দিকে ঋষিকেশ দাস নামের এক ব্যবসায়ী ২২ বিঘা জমির ওপর একটি দ্বিতল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করেন। ভবনের বাগানে গোলাপের প্রাচুর্য থাকায় বাড়ির নাম হয় রোজ গার্ডেন। অভিনব নির্মাণশৈলীর কারণে এটি হয়ে ওঠে ঢাকার অন্যতম মনোরম ভবন। ঋষিকেশ দাস ১৯৩৬ সালের দিকে ব্যবসায়ী খান বাহাদুর কাজী আবদুর রশীদের কাছে বাড়িসহ বাগানটি বিক্রি করে দেন। এরপর কাজী আবদুর রশীদ নিজের নামে এই বাড়ির নামকরণ করেন রশীদ মঞ্জিল। কিন্তু রোজ গার্ডেন নামটি মানুষের মুখে মুখে রয়েই যায়। কাজী আবদুর রশীদ মারা যান ১৯৪৪ সালে। এরপর রোজ গার্ডেনের মালিকানা পান তার বড় ছেলে কাজী মোহাম্মদ বশীর (হুমায়ুন সাহেব)। এ কারণে সেসময় ভবনটি হুমায়ুন সাহেবের বাড়ি হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে বেঙ্গল স্টুডিও এবং মোশন পিকচার্স লিমিটেড রোজ গার্ডেন প্যালেসের ইজারা নেয়। হারানো দিন নামের জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের শুটিং হয়েছিল এই বাড়িতেই। ইজারাগ্রহীতা বেঙ্গল স্টুডিওর সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে পড়ে কাজী আবদুর রশিদের পরিবার। এ মামলায় লড়ে জয়ী হলে ১৯৯৩ সালে বাড়িসহ গার্ডেনের মালিকানা স্বত্ব ফিরে পান মৃত কাজী আবদুর রশিদের মেজো ছেলে কাজী আবদুর রকীব। তিনি মারা যাওয়ার পর স্ত্রী লায়লা রকীব পান এর মালিকানা।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (বর্তমান আওয়ামী লীগ) গঠন হয়। প্রায় ৭ হাজার বর্গফুট আয়তনের প্রাচীরবেষ্টিত পশ্চিমমুখী রশীদ মঞ্জিলের উচ্চতা প্রায় পঁয়তাল্লিশ ফুট। ভবনের মূল বারান্দার সঙ্গে রয়েছে অর্ধচন্দ্রাকৃতির ব্যালকনি। এর অবস্থান প্রবেশপথের তিনটি খিলানের ওপরে। ভবনের বিভিন্ন অংশে কাঠ, রঙিন কাচ ও লোহার সমন্বয়ে তৈরি এবং সেগুলো জটিল জ্যামিতিক নকশা, লতাপাতা ও বিভিন্ন প্রাণীর মোটিফে (সজ্জায়) অলংকৃত। মূল ভবনের দ্বিতীয় তলায় পাঁচটি কামরা আর একটি বড় নাচঘর আছে। নিচতলায় আছে আটটি কামরা।

এই ভবনের দায়িত্বে নিয়োজিত নৈশ প্রহরী মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, সরকার রোজ গার্ডেন কিনে নেওয়ার পর প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মচারী হিসাবে তাকে এখানে পাঠানো হয়। সেই থেকে তিনিসহ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আরও তিন কর্মচারী (একজন অফিস সহকারী ও দুইজন মালি) রোজ গার্ডেনে রয়েছেন। সপ্তাহে একবার রশীদ মঞ্জিলের দরজা-জানালা খোলা হয়, বাকি সময় তালাবদ্ধ থাকে।

রোজ গার্ডেন প্যালেসের পশ্চিম ও উত্তরদিকের দেওয়ালের মধ্যবর্তী অংশে আছে দুটি ফটক। পশ্চিমদিকের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করলে প্রথমেই আছে একটি বিস্তীর্ণ খোলা প্রাঙ্গণ। এখানে মঞ্চের ওপর দণ্ডায়মান নারীর ভাস্কর্য রয়েছে। পূর্বাংশের মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে একটি বড় পুকুর। পুকুরের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের মাঝামাঝি একটি করে বাঁধানো পাকা ঘাট আছে। প্রকল্পের আওতায় এই পুকুরও সংস্কার করা হবে। মূল ফটকের ডানে ও পুকুরের পাড়ে রয়েছে একটি তিনতলা ভবন। বর্তমানে এই ভবনটি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এই ভবনে স্থাপন করা হবে ঢাকা মহানগর জাদুঘর। রোজ গার্ডেনের সর্বশেষ মালিক কাজী আবদুর রকীবের পরিবার এই ভবনে বসবাস করতেন বলে জানা গেছে।

নিউজ ট্যাগ: রোজ গার্ডেন

আরও খবর



আবারও পেছাল রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অর্থ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ফের পেছালো। আগামী ৯ জুলাই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (৬ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী নতুন দিন ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়ে যায়। ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা। ১৬ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলাটিতে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪ ধারাসহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন, ২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় করা মামলায় সরাসরি কাউকে আসামি করা হয়নি।


আরও খবর



ইসরায়েলি সৈন্যদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণায় ক্ষুব্ধ নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) নেতজাহ ইহুদা ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের এমন পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েল বাহিনীর ওই সৈন্যরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এজন্য আইডিএফর এলিট বাহিনী হিসেবে পরিচিত নেতহাজ ইহুদা ব্যাটালিয়নকে কালো তালিকাভূক্তির ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

রোববার রাতে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত নয়। কারণ আমাদের সৈন্যরা দানব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। যদি আইডিএফর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তাহলে তা হবে অযৌক্তিক।

তিনি আরও বলেন, সরকার প্রধান হিসেবে এতদিন ধরে যে নির্দেশনা দিয়েছে নিষেধাজ্ঞা দিলে তা ব্যর্থতায় পরিণত হবে।

ইসরায়েলি দুই মন্ত্রী ইতামার বিন গিভির এবং বেঞ্জালেল স্মোট্রিচ যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেন, আমাদের সৈন্যদের ওপর যদি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তা হবে সীমা লঙ্ঘনের সামিল।

ইতামার বিন গিভির আরও বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের অধিক সতর্ক হওয়া উচিত এবং আমাদের নেতহাজ ইহুদা বাহিনীকে রক্ষা করা উচিত। 

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োব গ্যালান্টকে ইসরায়েলি সরকারের বাজ পাখি আখ্যায়িত করে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের কাছে মাথা নত না করার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী গিভির।

দেশটির অর্থমন্ত্রী বিজালেল স্মোট্রিচ এক্স প্লাটফর্মে এক বিবৃতিতে বলেন, প্রতিরক্ষা বাহিনীর এলিট ফোর্টের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমাদের শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপকে পাগলের কার্যকলাপের সঙ্গে তুলনা করেছেন।


আরও খবর



চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

২৫ বছর আগে নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অবশেষে সেই মামলায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বাকি ৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তীর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া অপর আসামিরা হলেন, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকী।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের এদিন ধার্য করেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, আদনান সিদ্দিকী, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর ২০০৩ সালে মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

ওই বছরই আসামি আদনান সিদ্দিকী হাইকোর্টে রিট করেন। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।

পরে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়।


আরও খবর



কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন ওরফে বাক্কা জামালকে গুলি করে হত্যার দায়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। মামলা থেকে পাঁচ আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় একজন যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ও দুজন খালাসপাপ্ত উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা সবাই পলাতক।

রোববার (১২ মে) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। নিহত জামাল উদ্দিন উপজেলার আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগে সভাপতি ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মো. জহিরুল হক সেলিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, একই ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের সালাউদ্দিন, আব্দুর রহমান, মফিজুর রহমান খন্দকার, জিয়াউদ্দিন শিমুল, জাহিদ বিন শুভ, রেজাউল করিম বাবলু, মো. রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজী ও মমতা আমির হোসেন।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুলাসার গ্রামের নুরুল আলম, কফিল উদ্দিন, নুরুন্নবী সুজন, ইকবাল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান খন্দকার, মোশারেফ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী হোসেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিনকে তৎসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে জামাল উদ্দিনের ওপর হামলা করে আহত করা হয়। এ ঘটনায় জামাল উদ্দিন নিজে বাদী হয়ে কুমিল্লার আদালতে মামলা করেন। এতে চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চু ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাত ৮টায় বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা জামাল ঢাকায় যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের পদুয়ায় সড়কের ওপর চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর নেতৃত্বে অন্য আসামিরা গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত জামালের বড় বোন জোহরা আক্তার বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

দীর্ঘ শুনানির পর রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন তিন আসামির উপস্থিতিতে ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: কুমিল্লা

আরও খবর



চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেয় দেশটির সশস্ত্র বাহিনী।

বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেকপার্কে বিনিয়োগে থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্র বন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য থাইল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন বলেও জানান শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের আহ্বানও জানিয়েছেন দেশটির প্রতি।

এর আগে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর