আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

রায়পুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর রায়পুরায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার সমর্থকদের হামলায় উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া নিহত হয়েছেন। বুধবার (২২ মে) দুপুর ১২টায় উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নের মীরেরকান্দী মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সামনে রেখে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া চর এলাকা পাড়াতলীতে গণসংযোগে যান। সেখানে অপর ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল ও সুমনের সমর্থকের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে উভয় পক্ষের বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া গুরুতর আহত হন। তিনি অন্যদের সহায়তায় স্থানীয় বাঁশগাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে পুলিশ তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে সুমন মিয়া মারা যান।

রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খান নুরউদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, সুমন মিয়াকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল, শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।


আরও খবর



বেনাপোল-মোংলা কমিউটার ট্রেনের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
খুলনা প্রতিনিধি

Image

মোংলা থেকে বেনাপোল নতুন রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বেনাপোল থেকে যাত্রী নিয়ে মোংলা কমিউটার’ ট্রেনটি মোংলার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বেনাপোল রেলস্টেশনের মাস্টার সাইদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বেতনা কমিউটার ট্রেনটির বগি ও ইঞ্জিন দিয়ে চলছে মোংলা কমিউটার ট্রেন। বেতনা কমিউটার ট্রেন আগে খুলনা থেকে বেনাপোল দুইবার চলাচল করতো। তবে আজ থেকে খুলনা-বেনাপোল রুটে একবার এবং বেনাপোল থেকে মোংলায় চলাচল করবে একবার। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বেনাপোল থেকে যাত্রী নিয়ে মোংলার উদ্দেশে ছেড়ে যায় কমিউটার ট্রেনটি। এ ট্রেনটি খুলনার ফুলতলা, মোহাম্মদনগর হয়ে যাবে মোংলায়। মোংলা থেকে যাত্রী নিয়ে আবার খুলনা হয়ে বেনাপোলে ফিরবে। বেনাপোল থেকে মোংলা রেলপথে ভাড়া নির্ধারণ হয়েছে ৮৫ টাকা। মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিন এই রুটে একই সময়ে ট্রেন চলাচল করবে। এই রুটের দূরত্ব ১৩৮ দশমিক ৬৪ কিলোমিটার।

রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, বেনাপোল থেকে ট্রেন ছাড়ার পর ট্রেনটি নাভারণে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে, ঝিকরগাছায় ৯টা ৫০ মিনিটে, যশোরে ১০টা ১১ মিনিটে, সিঙ্গিয়ায় ১০টা ৩০ মিনিটে, নোয়াপাড়ায় ১০টা ৪৬ মিনিটে, ফুলতলায় বেলা ১১টা ৪ মিনিটে, মোহাম্মদগর স্টেশনে ১১টা ৩১ মিনিটে, কাটাখালী স্টেশনে ১১টা ৫০ মিনিটে, চুলকাটি বাজারে ১২টা এবং মোংলায় পৌঁছাবে ১২টা ৩৫ মিনিটে।

ট্রেনটি মোংলা থেকে দুপুর ১টায় ছেড়ে বেনাপোল পৌঁছাবে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে। এর মধ্যে চুলকাটি বাজারে ১টা ২২ মিনিটে, কাটাখালীতে ১টা ৪০ মিনিটে, খুলনার মোহাম্মদনগরে ১টা ৫৯ মিনিটে, ফুলতলায় ২টা ২৫ মিনিটে যাত্রাবিরতি করে নোয়াপাড়ায় ২টা ৩২মিনিটে, চেঙ্গুটিয়ায় ২টা ৫২ মিনিটে, সিঙ্গিয়ায় বিকেল ৩টা ১১ মিনিটে, যশোরে ৩টা ৩০ মিনিটে, ঝিকরগাছা ৩টা ৫২ মিনিটে, নাভারণে বিকেল ৪টা ১১ মিনিটে এবং বেনাপোলে পৌঁছাবে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে।


আরও খবর



বাজেট : দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে শুল্ক ও কর হ্রাস-বৃদ্ধির প্রস্তাবনা আসতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেটের মূল স্লোগান হতে যাচ্ছে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার।

রাজস্ব আহরণ ত্বরান্বিত করতে এবং দেশীয় শিল্প সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে শুল্ক-কর বৃদ্ধির প্রস্তাব থাকতে পারে বাজেটে। যার প্রভাবে অনেক পণ্যের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

যেসব পণ্যের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে

সিগারেট: প্রতিবারের মতো আগামী বাজেটেও সিগারেট উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য স্তর বাড়ানো হচ্ছে। তাই সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়বে।

মোবাইল ফোন সিমকার্ড: মোবাইল অপারেটরদের সিমকার্ড বিক্রির ওপর কর ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা হতে পারে। ফলে বাড়তি দামে সিমকার্ড কেনা লাগতে পারে ক্রেতাদের।

মোবাইলে কথা হবে বাড়তি খরচে: রাজস্ব আদায়ের আওতা বৃদ্ধি করলে মোবাইলে কথা বলতে আরো বাড়তি অর্থ গুনতে হবে ভোক্তাকে। বর্তমানে একজন ভোক্তা মোবাইলে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৭৩ টাকার কথা বলতে পারেন। বাকি ২৭ টাকা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক হিসেবে কেটে নেয় মোবাইল অপারেটরগুলো। প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সেবার ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হলে ভোক্তা ৬৯.৩৫ টাকার কথা বলতে পারবেন।

গাড়ি: বর্তমানে সংসদ সদস্যরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করতে পারেন। বৈষম্য হ্রাসে বাজেটে এই সুবিধা বাতিল করে প্রস্তাবিত বাজেটে গাড়ি আমদানি করতে হলে সংসদ সদস্যদের ২৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাবনা আসতে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিলাসবহুল গাড়িতে শুল্ক ফাঁকি রোধে হাইব্রিড ও নন হাইব্রিড টাইপের গাড়ি ছাড় করতে কিছু সুনির্দিষ্ট শর্ত যোগ করা হচ্ছে প্রস্তাবিত বাজেটে। ফলে বিলাসবহুল গাড়ির দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকস: কোমল পানীয়, কার্বোনেটেড বেভারেজ, এনার্জি ড্রিংকস, আমসত্ত্বের ওপর ভ্যাট পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। এ ছাড়া কার্বোনেটেড বেভারেজের ওপর ন্যূনতম কর আরও দুই শতাংশ বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ হতে পারে। ফলে বেশি দামে কিনতে হবে এসব পণ্য।

কাজুবাদাম: দেশে কাজুবাদাম চাষকে সুরক্ষা দেওয়ার অংশ হিসাবে খোসা ছাড়ানো কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্ক পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে কাজুবাদামের দাম বাড়তে পারে।

এসি: গরমে স্বস্তি পেতে অনেকে এয়ারকন্ডিশন বা এসি কিনছেন। আগামী বাজেটে এসিকে বিলাসী পণ্য বিবেচনা করে দেশে এসি উৎপাদনে ব্যবহৃত কম্প্রেসার ও সব ধরনের উপকরণের শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। তাই এসির দাম বাড়তে পারে।

ফ্রিজ উৎপাদনে ব্যয় বাড়বে: বেশ কয়েক বছর ধরে দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্য খাতকে সরকার ভ্যাট অব্যাহতি দিয়ে আসছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ফ্রিজ উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি রয়েছে। যা আর বৃদ্ধি করা হবে না বলে জানা গেছে। ফলে নতুন অর্থবছরে পাঁচ শতাংশ ভ্যাটের হার বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশ করা হতে পারে।

পানির ফিল্টার: বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত পানির ফিল্টার আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। দেশে উৎপাদন হওয়ায় পানির ফিল্টার আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। তাই গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত পানির ফিল্টারের দাম বাড়তে পারে।

এলইডি বাল্ব: বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ে অনেকে এলইডি বাল্ব ব্যবহার করেন। নিকট-ভবিষ্যতে এলইডি বাল্বের দাম বাড়তে পারে। কারণ এলইডি বাল্ব এবং এনার্জি সেভিং বাল্ব উৎপাদনের উপকরণ আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে।

সিএনজি-এলপিজিতে কনভার্সন খরচ: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যক্তিগত সিএনজি-এলপিজিতে কনভার্সন বেড়ে যাওয়ায় রাজস্ব আদায় বাড়াতে মনোযোগ দিয়েছে এনবিআর। গাড়ি সিএনজি-এলপিজিতে কনভার্সনে ব্যবহৃত কীট, সিলিন্ডার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি এবং যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক তিন শতাংশ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ করা হচ্ছে। এ কারণে গাড়ি কনভার্সন খরচ বাড়তে পারে।

জেনারেটর: লোডশেডিং মোকাবিলায় বাসাবাড়ি বা শিল্পে জেনারেটরের ব্যবহার বাড়ছে। সেখানেও নজর দিয়েছে এনবিআর। জেনারেটর সংযোজন ও উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ বা যন্ত্রাংশ আমদানিতে এক শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। তাই দেশের বাজারে জেনারেটরের দাম বাড়তে পারে।

নিরাপত্তা সেবা: রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহরে বাসাবাড়ি, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তাসেবা প্রায় অপরিহার্য। এ ধরনের নিরাপত্তাসেবায় ১০ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট বিদ্যমান। প্রস্তাবিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

হাটবাজারের ইজারা: কর ব্যতীত প্রাপ্তি (নন-ট্যাক্স রেভিনিউ) বাড়াতে আগামী বাজেটে জেলা, উপজেলা, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের হাটবাজারের ইজারামূল্য কিছুটা বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে জমির নামজারির মাশুলও (ফি)।

হাসপাতালের সরঞ্জাম আমদানিতে ব্যয় বাড়বে: কিছু শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে রেফারেল বা বিশেষায়িত হাসপাতালের শুল্কছাড় সুবিধায় এক শতাংশ শুল্কে মেডিকেল যন্ত্র ও সরঞ্জাম আমদানির সুযোগ রয়েছে। আগামী বাজেটে ২০০টিরও বেশি মেডিকেল যন্ত্র ও সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে তা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে, যা গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা ব্যয়কে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।


আরও খবর



‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে স্মার্ট নাগরিক হতে হবে: চবি উপাচার্য

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকালে চবি ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ভার্চুয়াল ক্লাশরুমে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন চবি উপ-উপাচার্যবৃন্দ। চবি আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইকিউএসি এর অতিরিক্ত পরিচালক ড. কমল দে ও ড. তানজিনা শারমিন নিপুন। কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

চবি উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য আইকিউএসি আয়োজিত বিজ্ঞ রিসোর্স পার্সনদের মাধ্যমে প্রদত্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরী। কর্মকর্তাদের প্রতিনিয়ত কাজের মাধ্যমে শিখতে হবে এবং এ শেখার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত কলাকৌশল প্রয়োগ করে নিজেদের মেধা ও দক্ষতার সাক্ষর রেখে সেবার মানসিকতা নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রাপ্ত জ্ঞান পারস্পরিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞান ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অনুষঙ্গসমূহকে আয়ত্ত করে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে সকলকে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহবান জানান।


আরও খবর



রাজধানীতে ঠিকানাবিহীন লোকের পরিসংখ্যান নেই : সংসদে দীপু মনি

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

জাতীয় সংসদে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, সারা দেশে ১৭ হাজার ৭১০ জন ভিক্ষুককে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা শহরে আটক করা ভিক্ষুকদের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

রোববার (৯ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগমের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ সব কথা জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। রোববারের প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

ডা. দীপু মনি বলেন, ঢাকা শহরে জীবন জীবিকার জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল এরূপ ঠিকানাবিহীন কত লোক বসবাস করে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। নদী ভাঙন, অতি দারিদ্র্য, রোগ, ব্যাধি, অশিক্ষা প্রভৃতি কারণে কিছু লোক ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত হচ্ছেন যাদের প্রকৃতপক্ষে সাহায্যের দরকার আছে। তবে কিছু কিছু কর্মবিমুখ লোক সহজ আয়ের পথ হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নিয়েছেন। এর পাশাপাশি কিছু দুষ্টচক্র নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অসহায় মানুষদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করাচ্ছেন।

ভিক্ষুকমুক্ত করার লক্ষ্যে ভিক্ষাবৃত্তি সমাধানে সরকার ২০১০-১১ অর্থবছর হতে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান শীর্ষক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৭ হাজার ৭১০ জন ভিক্ষুককে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে। পুনর্বাসন করা হয়েছে।

এছাড়া, ঢাকা শহরে ভিক্ষারত অবস্থায় আটক হওয়া ভিক্ষুকদের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রশিক্ষণ শেষে প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান করে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সারাদেশে ভিক্ষুকদের ডাটাবেইজ তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সঠিক পরিসংখ্যানের মাধ্যমে প্রকৃত ভিক্ষুকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান এবং কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন করা হবে।

২০২৩-২০২৪ অর্থ-বছরে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ কর্তৃক ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন ও পুনর্বাসন উপখাতে ৬৪ জেলায় ৫০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।


আরও খবর



‘নিষেধাজ্ঞা না থাকায় বেনজীর যে কোনো জায়গায় যেতে পারেন’

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিদেশ ভ্রমণে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তাই তিনি যেকোনো দেশে যেতেই পারেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

সোমবার (৩ জুন) এন্টিগা ও নিউইয়র্ক সফর শেষে দেশে ফিরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বেনজীর আহমেদের দেশত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। তিনি যে কোনো জায়গায় যেতে পারেন। ৬ জুন তিনি দুদকে উপস্থিত হন কি না, সেটা দেখার বিষয়।

তিনি বলেন, দুদক এবং সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে বলে আজিজ আহমেদ ও বেনজীরের বিষয়গুলো সামনে আসছে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের নিয়ে জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন নিয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন কোনো তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে হয়নি। ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের শান্তিরক্ষীদের খাটো করার জন্য করা হয়েছে। মাঝেমাঝেই আমাদের দেশবিরোধী প্রতিবেদন করে ডয়চে ভেলে। সেখানে কিছু বাঙালি জড়িত।

মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা করেছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব যেখানে প্রশংসা করেছেন, সেখানে ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনের কোনো মূল্য নেই। এই প্রতিবেদন অসাড় ও অন্তঃসারশূন্য।

মালয়েশিয়ায় শ্রমিকরা যেতে না পারার পেছনে কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে জানিয়ে ড. হাছান বলেন, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার তারিখ বর্ধিত করা যায় কি না, সে বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন ও ভারত সফরসূচি এখনও ঠিক হয়নি বলে জানান তিনি।


আরও খবর