আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

রাতে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা, ৫ জেলায় সতর্কসংকেত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ৫ জেলায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লা জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার (তিন দিন) পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে আগামী দু’দিনে দেশের চার বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনের প্রথমার্ধে দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর



১০ দিনে এলো ৮১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি মে মাসের প্রথম ১০ দিনে (১ থেকে ১০ মে) প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার; যা আগের মাসের তুলনায় বেশি।

সোমবার (১২ মে) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তথ্য অনুযায়ী, ঈদের মাস এপ্রিলে প্রতিদিনে এসেছিল ৬ কোটি ৮১ লাখ ২ লাখ ডলার। আর আগের বছরের মে মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ৫ কোটি ৬৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬৬ ডলার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মে মাসের প্রথম ১০ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।

দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম ১০দিনে একক ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। এ সময় ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ন্যাশনাল ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে আট কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার। জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ছয় কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এ ছাড়া প্রবাসী আয় সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে তিন কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের তিন কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার এসেছে।

এদিকে গত এপ্রিল মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। গত মার্চে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারের বৃদ্ধাশ্রমে ‘টর্চার সেল’ আবিষ্কার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মানুষের দানের টাকায় নির্মাণ করা বৃদ্ধাশ্রমের মধ্যেই তিন কক্ষ বিশিষ্ট টর্চার সেল গড়ে তুলেছেন মিল্টন সমাদ্দার। চাইল্ড এন্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের প্রতিষ্ঠানের ভবনের ওই টর্চার সেলে মানুষকে ধরে নিয়ে পেটানো হয় নির্মমভাবে। টর্চার সেলের মধ্যে মানুষ পেটানোর জন্য রয়েছে নানা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। সেলের মধ্যে নির্যাতনের একাধিক ঘটনা উঠে এসেছে অনুসন্ধানে। সেখানে কিভাবে নির্যাতন চালানো হয় সেই বর্ণনা দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার হওয়া একাধিক ব্যক্তি।

সর্বশেষ গত ঈদুল ফিতরের আগের দিন ১০ এপ্রিল সাভারের কমলাপুর এলাকার বাহেরটেকে নিজের কেনা জমি দেখতে গিয়ে বেধড়ক মারধরের স্বীকার হন মো. সামসুদ্দিন চৌধুরী নামের ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মেয়ে এবং মেয়ের জামাই। বাধা দিতে গিয়ে মারধরের স্বীকার হন তারাও। মারধরে মেয়ের জামাই ফয়েজ আহমেদের হাতের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায় এবং সামসুদ্দিন চৌধুরীর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। সামসুদ্দিনের মেয়ে সেলিনা বেগমও মারধর থেকে রক্ষা পাননি। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে প্রায় এক ঘণ্টা পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম জানান, আমাদের জমি সে কম দামে ক্রয় করতে চেয়েছে। জমি না বিক্রি করায় সে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। মিল্টন সরকারি রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছে। যে কারণে আমাদের গাড়ি যাচ্ছিল না। পরে সরকারি রাস্তায় বেড়া দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করে। এরপর আমার বাবা আর স্বামীকে মিল্টনের আশ্রমের ভেতরে নিয়ে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখে। ওখানে ৩টা রুম পাশাপাশি, একটা দিয়ে আরেকটায় যাওয়া যায়। রুমের মধ্যে অনেক লাঠিসোঁটা, পাইপ ও ছুরি ছিল। পাইপ দিয়ে একজনের পর একজন করে পেটাতে থাকে। মিল্টন নিজেও একটু পরপর এসে মারধর করে। আমি তখন মিল্টনের পায়ে ধরে আমার স্বামী ও বাবাকে ছেড়ে দিতে বললে আমাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে লোকজন এগিয়ে এলে আমাদের ছেড়ে দেয়।

মিল্টন সমাদ্দার নিজেকে মানবতার ফেরিওয়ালা এবং বয়স্কদের সেবা করার দাবি করলেও নিজের হাতেই বৃদ্ধদের নির্যাতন চালান তিনি। এমনকি হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকেও কোনো দয়া দেখায়নি এ কথিত মানবতার ফেরিওয়ালা।

মিল্টনের হাতে মারধরের শিকার ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ বলেন, আমার হার্টে রিং বসানো; আমার স্ত্রী এটা বারবার তাদের বলে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা আমার বুকে দফায় দফায় লাথি মারে। আমার স্ত্রী মিল্টনের হাতে-পায়ে ধরলেও কাজ হয়নি।

মানবসেবার নামে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানে মানুষকে নির্যাতনের জন্য মিল্টন সমাদ্দারের রয়েছে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী। যাদের মানুষের দানের টাকা দিয়ে পেলেপুষে রাখেন মিল্টন সমাদ্দার। জমি দখল ও নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে এই বাহিনীকেই ব্যবহার করেন তিনি।

ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ আরও জানান, মিল্টন সমাদ্দার নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। যাদের মাসিক ভাতাও দেওয়া হয়। এই সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন জমি দখল ও আধিপত্য বজায় রাখে।

আরেক ভুক্তভোগী হেমন্ত রোজারিও জানান, আমি গরিব মানুষ। মিল্টন আমার জমি কিনতে চাইছে। আমি বেচি নাই। আমার জমি জোর করে দখল করে একটা ঘর বানাইছে। বাধা দেওয়ায় আমারে ধইরা মারছে। পরে আমারে বলছে, তুই ওই জমিতে আসবি না। এলে তোরে মাইরালামু।

নন্দন রোজারিও নামের আরেক ব্যক্তি জানান, ওকে এখানে আশ্রম বানাতে আমরাই সাহায্য করেছি। আমার জায়গায় জিনিসপত্র রেখে আশ্রমের কাজ করেছে। ভালো কাজ করে বলে আমরা কিছু বলিনি। পরে দেখি এসবের আড়ালে তার অন্য উদ্দেশ্য। তিনি এখানকার খ্রিস্টানদের জমি দখলের উদ্দেশ্যে এসেছে। কেউ জমি বেচতে না চাইলেই তার ওপরে নেমে আসে নির্যাতন। ওর লোকজন তাকে মারধর করে।

মিল্টনের মারধরের হাত থেকে রক্ষা পায়নি তার জন্মদাতা পিতাও। ২০০১ সালে নিজের পিতাকে বেধড়ক মারধর করে মিল্টন। সেই ঘটনার জেরে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল বলে এলাকাবাসীরা জানান।

মিল্টন সমাদ্দারের গ্রামের শাহাদাত হোসেন পলাশ নামে একজন জানায়, মিল্টন সমাদ্দার তার বাবাকে বেধড়ক মারধর করে। এ কারণে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে সে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে ওঠে। এখন শুনতাছি, ও না কি মানবতার ফেরিওয়ালা। এটা শুনে আমরা আশ্চর্য হয়েছি।

বরিশালে চন্দ্রকোনা খ্রিস্টান মিশনারি চার্চ’ দখল চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে। দখলের উদ্দেশ্যে তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিল-স্বাক্ষর জাল করে চার্চের নতুন কমিটি গঠন করে বরিশাল জেলা প্রশাসকে একটি চিঠি দেন। ওই কমিটিতে সভাপতি করা হয় মিল্টন সমাদ্দারকে। কমিটির বাকি সদস্যদের প্রায় সবাই মিল্টনের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না চার্চের দায়িত্বরত যাজকরা। পরে তারা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে মন্ত্রণালয় থেকে তাদের জানানো হয়, এ ধরনের কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়নি। এরপর তারা কোর্টে মামলা করলে কোর্ট জালিয়াতি করে চার্চ দখল করতে চাওয়া ব্যক্তিদের ওই চার্চের সীমানায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন।

হেনসন দানিল হাজরা নামে এক সহকারী যাজক বলেন, চার্চ দখল করার জন্য আমাকে গুম করে যাজকদের নামে মামলা দিয়েছিল মিল্টন। মামলায় আমি গুম হয়ে গেছি দেখানো হয়। আসামি করা হয় আমার সহকর্মীকে। আমার বাবাকে ম্যানেজ করে মিল্টন এ কাজ করে। তারা আমাকে গুম করে ফেলতে চেয়েছিল; কিন্তু পারেনি। পরে আমি পালিয়ে এসপি অফিসে হাজির হয়ে জানাই, আমি গুম হইনি।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিল্টন ও তার বড় ভাই মোল্লা বাড়ির ব্রিজের ওপরে মসজিদের পাশে আমাকে একবার বেধড়ক মারধর করেন।

অন্য আরেক যাজক বলেন, এই চার্চ দখল করার জন্য মিল্টন সমাদ্দার আমাদের শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করেছে। মারধর করেছে। আমাদের নামে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। যদিও সব মামলাই কোর্টে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



আনোয়ারায় প্রসূতি মায়েদের ভরসার নাম ‘মরিয়ম বেগম’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের ওষখাইন গ্রামের বাসিন্দা মোছাম্মৎ মরিয়ম বেগম (৬৫) এলাকায় তার ধাত্রী হিসেবে বেশ সুনাম রয়েছে। শুধু আশপাশেই নয়, পাশের কোনো গ্রামে মহিলার সন্তান জন্মের মুহূর্ত এলেই তার ডাক পড়ে। অথচ তার ডেলিভারির বিষয়ে কোনো প্রশিক্ষণ নেই।

তিনি বলেন, আমার সহায়তায় কমপক্ষে দেড় শতাধিক মহিলার সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে। কারও মৃত্য হয়নি। অবস্থা জটিল দেখলে হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দিই। তবে আগে খুব বেশি ডাক পড়ত। এখন তেমন কেউ ডাকে না। কারণ এখন বেশিরভাগ মহিলার সিজারেই বাচ্চা হয়।

শুধু এই ধাত্রী নন, তার মতো অসংখ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এমন অপ্রশিক্ষিত অনেক ধাত্রী। ফলে কমছে না নরমাল ডেলিভারি এবং মাতৃ ও নবজাতকের মৃত্যুর সংখ্যা। একই সঙ্গে বাড়ছে সিজার বা অস্ত্রোপচারে বাচ্চা জন্মদানের প্রবণতা।

ধাত্রী শব্দটি সবারই পরিচিত। প্রসবের দিন যত এগিয়ে আসে, ততই দুশ্চিন্তা বাড়ে প্রসূতি নারীদের। অনেকে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দিতে চাইলেও বহু নারী ধাত্রীকেই একমাত্র ভরসা হিসেবে মনে করেন। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের বেশির ভাগ প্রসূতি নারী স্বাভাবিক প্রসবে বাচ্চা জন্ম দিচ্ছেন। এতে সুনাম কুড়াচ্ছেন এসব ধাত্রীরা। তবে প্রশিক্ষিত ধাত্রীর অভাবে প্রসূতি নারীসহ বাচ্চা ঝুঁকিতে থাকছেন বলে মনে করেন সচেতন মহল।

স্থানীয় বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহজাদা সাইমুম ইফতেখার কাজিম উদ্দীন বলেন, আমাদের সমাজে ধাত্রীদের অনেক অবদান রয়েছে। এ ধরনের মানুষ সমাজের নিঃস্বার্থ উদাহরণ। তাদেরকে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণের আওতায় আনলে মানুষ উপকৃত হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রশিদ বলেন, গত ২বছরে আনোয়ারায় কোনো ধাত্রী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। তবে আনোয়ারায় কিছু প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ধাত্রী রয়েছে, তাদেরকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। তারা যদি প্রশিক্ষণ নিতে চান, তাহলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



বিশ্ব গণমাধ্যম সূচকে দুই ধাপ পিছিয়ে ১৬৫তম বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ২৭ দশমিক ৬৪ স্কোর নিয়ে ২ ধাপ পিছিয়ে ১৬৫তম অবস্থানে বাংলাদেশ। এ বছর ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) শুক্রবার (৩ মে) এই সূচক প্রকাশ করেছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দিক দিয়ে এবার শীর্ষস্থান দখল করেছে নেপাল; ৬০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ৭৪তম অবস্থান দখল করেছে। এর পরের অবস্থানে আছে মালদ্বীপ। ৫২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১০৬তম অবস্থানে। এবারের তালিকায় প্রথম অবস্থান থেকে ছিটকে তৃতীয় স্থান পেয়েছে ভুটান। ৩৭ দশমিক ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১৪৭তম অবস্থানে রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটানের পেছনে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ।

দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারত। এই তিন দেশের বৈশ্বিক অবস্থান যথাক্রমে ১৫০, ১৫২ ও ১৫৯তম।

গত বছরের ১৬১ থেকে দুই ধাপ এগিয়ে এবার ১৫৯তম অবস্থান পেয়েছে ভারত। আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বশেষ স্থান পেয়েছে। ২৬ ধাপ পিছিয়ে দেশটির বৈশ্বিক অবস্থান ১৭৮তম, পয়েন্ট মাত্র ১৯ দশমিক ০৯।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জের দিক দিয়ে গোটা বিশ্বে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এই প্রতিবেদনে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক কর্মস্থল হিসেবে মিয়ানমার, চীন, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও আফগানিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বৈশ্বিক সূচকে শীর্ষস্থান অটুট রেখেছে নরওয়ে। তাদের পয়েন্ট ৯১ দশমিক ৮৯। শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলো হলো ডেনমার্ক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানি।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সাংবাদিকরা কতটুকু স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন, তা যাচাই করা হয়। এই সূচকে পাঁচটি বিষয় আমলে নেয়া হয়। এগুলো হলো-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, আইনি অবকাঠামো, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও নিরাপত্তা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সারা বিশ্বের মুক্ত গণমাধ্যম রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে, যাতে রাজনৈতিক সূচকের উল্লেখযোগ্য হ্রাস থেকে নিশ্চিত হয়েছে। এ বছর এই সূচকের বৈশ্বিক গড় সাত দশমিক ছয় শতাংশ কমেছে।


আরও খবর



বিএনপির আরও ৬১ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি থেকে আরও ৬১ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য ২য় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যে সব নেতৃবৃন্দ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদেরকে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া ৬১ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন লড়ছেন।

১. রংপুর বিভাগে ১১ জন

২. রাজশাহী বিভাগে ৫ জন

৩. বরিশাল বিভাগে ৩ জন

৪. ঢাকা বিভাগে ৬ জন

৫. ফরিদপুর বিভাগে ২ জন

৬. ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জন

৭. সিলেট বিভাগে ১৫ জন

৮. চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন

৯. কুমিল্লা বিভাগে ২ জন

১০. খুলনা বিভাগে ৬ জন


আরও খবর