আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

রাঙ্গুনিয়ায় চার শিশুকে বলাৎকার, শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে মাদ্রাসার চার ছাত্রকে বলাৎকারের দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিত আসামির নাম নাছির উদ্দিন।

রোববার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদিন এ আদেশ দেন।

নাছির উদ্দিন রাঙ্গুনিয়ার মহত পাড়ার শান্তিনিকেতন এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে ও ওই এলাকার আহমদিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি জিকো বড়ুয়া। এদিকে আদালত পর্যবেক্ষণে দণ্ডিত আসামিকে সিরিয়াল রেপিস্ট হিসাবে উল্লেখ করেছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

নাছির উদ্দিন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রদের বলাৎকার করে আসছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ আগস্ট  বলাৎকারের শিকার চার ছাত্রের পক্ষে একজন অভিভাবক ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওইদিনই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৪ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়। মামলায় ১১ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া শেষে এ আদেশ দেন আদালত।

চট্টগ্রাম নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিশেষ পিপি জিকো বড়ুয়া বলেন, আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও চার লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



স্বরূপকাঠিতে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেফতার ১

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (৩৫) এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত ধর্ষক যগদীশ সুতারকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

যগদীশ উপজেলার জলাবাড়ি ইউনিয়নের ইদিলকাঠি গ্রামের যাদব সুতারের ছেলে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ধর্ষণের শিকার যুবতীর মা বাদী হয়ে যগদীশকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

শনিবার সকালে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন অফিসে এবং আসামীকে পিরোজপুর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা একজন চা দোকানী গত বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে মেয়েটির মা দোকানে থাকা অবস্থায় ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রতিবেশি যগদীশ প্রতিবন্ধি ওই যুবতীর ঘরে যায় এবং যুবতীকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

নেছারাবাদ থানার ওসি মো. গোলাম সরোয়ার জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন অফিসে এবং আসামীকে পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



‘চার মাসে নির্যাতনে ৩৬ শ্রমিকের মৃত্যু’

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পর্যন্ত ১২৯ জন শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৬ জন। আহত হয়েছেন ২১৩ জন।

শ্রমিক নির্যাতনের এসব ঘটনা ঘটেছে কারখানা, বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং সড়ক ও নৌপথে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এইচআরএসএসের তথ্যে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে ৯২টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১২৮ জন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ৪৪ জন শ্রমিক মারা গেছেন। এ সময়ে সাতটি গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন।

এ ছাড়া এপ্রিল মাসে ৩৭টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১১ জন শ্রমিক। এ সময়ে নির্যাতনে আহত হয়েছেন ৮৫ জন। এপ্রিল মাসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ১৭ জন শ্রমিক মারা গেছেন।


আরও খবর



ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকা। গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলা, নির্বিচারে মানুষ হত্যা এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিয়ে চরম উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিল দেশটি।

মঙ্গলবার জ্যামাইকার পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র : জ্যামাইকা অবজার্ভার এবং আলজাজিরা

জ্যামাইকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্যামাইকা। সিদ্ধান্তটি জাতিসংঘ সনদের নীতিগুলোর প্রতি জ্যামাইকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতি প্রদানকে সমর্থন করে।

জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশ সামরিক পদক্ষেপের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান’ দেখতে চায়।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১৪২তম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা।

গত মার্চের শেষ সপ্তাহে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এক বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণায় ইউরোপের চার দেশ স্পেন, আয়ারল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও মাল্টার প্রধানমন্ত্রীরা জানান, তাদের দেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত। তারা সে সময় বলেন, যুদ্ধকবলিত এ অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের একমাত্র উপায় এটি।


আরও খবর



ফায়ার সার্ভিস সদর দফতর পরিদর্শন করলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর সদর দফতর পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১২টায় ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরে পৌঁছালে অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল ফুলেল শুভেচ্ছায় তাকে স্বাগত জানান।

এরপর প্রতিমন্ত্রীকে একদল চৌকস অগ্নিসেনা সশ্রদ্ধ অভিবাদন জ্ঞাপন করেন।

এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, ফায়ার সার্ভিস-এর পরিচালকগণ, উপপরিচালকগণসহ ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

অভিবাদন গ্রহণ শেষে তিনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার সাজ-সরঞ্জাম ও গাড়ি-পাম্প পরিদর্শন করেন। এ সময় আগ্রহ সহকারে বিভিন্ন সরঞ্জামের কার্যপরিধি ও সুবিধাসমূহের বর্ণনা শোনেন। এরপর তিনি অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের ওপর ঢাকা বিভাগ আয়োজিত মহড়া প্রদর্শনী উপভোগ করেন।

মহড়া শেষে অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রমের ওপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। প্রেজেন্টেশনটি উপস্থাপন করেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম, পিএসসি।

এরপর অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রতিমন্ত্রীকে অধিদফতরের সাম্প্রতিক সময়ে পেশাগত বিষয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন বই প্রদর্শন করেন। এসময় তিনি অধিদফতরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষ থেকে প্রতিমন্ত্রীর হাতে স্মৃতির নিদর্শন হিসেবে শুভেচ্ছা ক্রেস্ট হস্তান্তর করেন।

কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কাল প্রতিমন্ত্রী অধিদফতরের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রেজেন্টেশনে উপস্থাপিত বিষয়ে অধিদফতরের প্রত্যাশা পূরণে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে সকলকে আশ্বস্ত করেন।

প্রতিমন্ত্রী সদর দফতর পরিদর্শনে ফায়ার সার্ভিসের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অণুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত হয়েছেন বলে তারা অভিমত প্রকাশ করেন।

এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক, উপপরিচালকসহ ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর নববর্ষ উদ্‌যাপন, যা বলল ডিএমপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যে নির্দেশনা জারি করেছিল তা উপেক্ষা করে নববর্ষ উদ্‌যাপন করেছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টিকে অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ডিএমপি বলেছে, পহেলা বৈশাখ বাংলা ও বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। সব ধর্মের মানুষের কাছে এটি একটি সর্বজনীন উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই উৎসব উদ্‌যাপনে থাকে বিশেষ প্রস্তুতি। বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক যেন এই দিনটি। বিশেষত দিনটি রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালি পোশাকে-আশাকে, আয়োজনে এবং আপ্যায়নে। কিন্তু ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে বাঙালি সংস্কৃতির ধারক এই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের ওপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বারবার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতি যাত্রাকে ব্যাহত করার।

এতে বলা হয়, উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে ,আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের। উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা এবং রুচিশীল ব্যক্তিত্ব। সর্বোপরি, জঙ্গি সংগঠনগুলোর টার্গেট হলো বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে দেশের মধ্যে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যা তাদের কার্যক্রমে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়।

ডিএমপি বলছে, এদেশে প্রথম জঙ্গি হামলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার পর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। এ সব হামলায় অনেক মানুষের মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। হামলা প্রতিরোধ করতে ও জনগণের জীবন বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বহুজন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত সময়ে ১৯৯৩ সালে (১৪০০ বঙ্গাব্দ) বাংলা শতবর্ষ উদ্‌যাপনে সরকার কর্তৃক বাঙালির এই আয়োজনে বাধাও প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু উগ্রবাদ দমনে বর্তমান সরকারের গৃহীত জিরো টলারেন্স নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করায় সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা রোধে পুলিশ সবসময়ই তৎপর। প্রতিটি অনুষ্ঠানে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সদা সতর্ক থাকায় পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারে নাই। বর্তমান সরকার সবসময়ে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সংস্কৃতিকে তার নিজস্ব আমেজে উদ্‌দযাপন করার ক্ষেত্রে আন্তরিক ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে।

ডিএমপি বলছে, উদীচীর মতো বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনগুলো সারা বছর যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করে থাকে তার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তথা সরকার নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ও পেশাদারত্বের সঙ্গে সেগুলো বিবেচনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতার ব্যবস্থাও করা হয়েছে যাতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলিত হয়ে আনন্দের সঙ্গে এই অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন করতে পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়, খুব স্বাভাবিকভাবেই নববর্ষ উদ্‌যাপনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের এই নিরাপত্তা কার্যক্রমে সব জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই কাম্য যেন আনন্দের এই অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়।

এতে বলা হয়, নিরাপত্তা বিধানে প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধিতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক এবং উদীচীর মতো প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছ থেকে যা কখনো কাম্য নয়।

ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান আয়োজন ও সেখানে প্রদত্ত বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের এহেন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। অতীতেও ঊদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে বিধায় উদীচী তাদের নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা।


আরও খবর