আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

রাজধানীতে যান চলাচল আরও বেড়েছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে সেই অবস্থা কাটিয়ে উঠছেন রাজধানীবাসী। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে মানুষের উপস্থিতিসহ যান চলাচল অনেকটা বেড়েছে। কোথাও কোথাও দেখা গেছে যানজট।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তোপের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।

ওইদিন রাত থেকে রাজধানীতে যান চলাচল করলেও তা ছিল খুবই সীমিত। সাধারণ মানুষের চলাচলও সেভাবে ছিল না। মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। সড়কে মানুষের চলাচল ও যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

গতকাল বুধবার রাজধানীতে যান চলাচল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উপস্থিতিও বেশ উল্লেখযোগ্য ছিল। আজ বৃহস্পতিবার সেই চিত্র আরও বদলেছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিও বেড়েছে। কর্মদিবস হওয়ায় সকাল থেকে দেখা গেছে অফিসগামী মানুষের ভিড়।

সরেজমিনে এদিন ভোর থেকেই সড়কে মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। বাস, সিএনজি-চালিত অটোরিকশার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি। আজও অলিগলির পাশাপাশি প্রধান সড়কে ব্যাটারি-চালিত রিকশার দৌরাত্ম্য দেখা গেছে।

এদিকে গতকালের মতো আজও ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতে বিভিন্ন সড়কে যানজট নিরসনে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের মানুষকে বিভ্রান্তের চেষ্টা করছেন: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনা ভারত বসে বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। দেশের মানুষ এখন সব বোঝে। ফলে কোনো ষড়যন্ত্রেই আর কাজ হবে না। ১৫ বছরের স্বৈরাচার সরকারকে হটিয়ে দেশের মানুষ তা প্রমাণ করেছেন। দেশকে গোছাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময় দিতে চায় বিএনপি। তাদের সব ধরনের সহায়তা করবো আমরা। 

রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে সিলেট এয়ারপোর্ট এলাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে, আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আকাশপথে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিলেটে আসেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে হযরত শাহজালাল (রহ.) এবং শাহপরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী, উপদেষ্টা ও ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।

নিউজ ট্যাগ: মির্জা ফখরুল

আরও খবর



চলমান বন্যায় ঝুঁকিতে ২০ লাখ শিশু: ইউনিসেফ

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের চলমান বন্যায় বাড়িঘর, স্কুল ও গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় ২০ লাখেরও বেশি শিশু এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ।

বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলছে, বিগত ৩৪ বছরে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এই বন্যায় ৫৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অবস্থায় খাদ্য বা জরুরি ত্রাণ সরবরাহ ছাড়া পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ ও শিশুর জন্য ইউনিসেফ জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহযোগিতা প্রয়োজন।

এতে বলা হয়, নজিরবিহীন প্রবল মৌসুমী বৃষ্টিতে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলো উপচে পড়ছে। যার ফলে এখন পর্যন্ত ৫২ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের প্রায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষ মাথা গোঁজার একটু আশ্রয় খুঁজছেন, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, রাস্তা, মাঠ-ঘাট আর ক্ষেত। লাখ লাখ শিশু ও তাদের পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছেন, তাদের কাছে নেই কোনো খাবার কিংবা জরুরি কোনো ত্রাণ সামগ্রী। সরকারি লোকজন ও স্বেচ্ছাসেবকেরা উদ্ধার-অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কিছু কিছু এলাকায় সাহায্য পৌঁছে দেওয়াটা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৌসুমী বৃষ্টি অব্যাহত থাকার কারণে আগামী দিনে আরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুর্যোগ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউনিসেফ দুর্গত এলাকায় কাজ শুরু করে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফের সঙ্গে মিলে ইউনিসেফ প্রাথমিক যাচাই পর্ব চালায়। অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে ইউনিসেফ এ পর্যন্ত এক লাখ ৩০ হাজার শিশুসহ তিন লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছেছে। এসব মানুষের মধ্যে তারা জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন উপকরণ যেমন, ৩৬ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, পানি ধরে রাখার জন্য ২৫ হাজার জেরি-ক্যান এবং দুই লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট (মুখে খাবার স্যালাইন) এর ব্যাগ বিতরণ করেছে।

কিন্তু এসবের বাইরেও আরও অনেক কিছু করা প্রয়োজন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং শিশুদের জন্য জরুরিভাবে নগদ সহায়তা, নিরাপদ পানীয় জল, স্বাস্থ্যবিধি উপকরণ (হাইজিন কিট), জরুরি ল্যাট্রিন তৈরি, স্যানিটারি প্যাড, ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট (মুখে খাবার স্যালাইন) এবং জরুরি জীবন রক্ষাকারী ওষুধের প্রয়োজন। অসুস্থ নবজাতক ও শিশুদের চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এবং গর্ভবতী মায়েরা যেন নিরাপদে তাদের সন্তান জন্ম দিতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় সেবা কার্যক্রম অবিলম্বে চালু করা প্রয়োজন।

বন্যা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বাংলাদেশে ইউনিসেফের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ এমা ব্রিগহাম বলেন, বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের বন্যা শিশুদের ওপর চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনা ও জলবায়ু সংকটের প্রভাবের ভয়াবহতাকে তুলে ধরেছে। অনেক শিশু তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে, হারিয়েছে তাদের ঘর-বাড়ি ও বিদ্যালয়; তারা খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছে।

তিনি বলেন, শুরু থেকেই ইউনিসেফ সক্রিয়ভাবে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও মুখে খাওয়ার স্যালাইনসহ জরুরি সেবাসামগ্রী সরবরাহ করে আসছে। কিন্তু সব শিশুর কাছে পৌঁছাতে এবং শিশুদের ভবিষ্যতের ওপর চলমান এই সংকটের বিধ্বংসী প্রভাব রোধ করতে আরও তহবিলের প্রয়োজন।

ব্রিগহাম আরও বলেন, বছরের পর বছর বন্যা, তাপপ্রবাহ ও ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশের লাখ লাখ শিশুর জীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিশ্চিতভাবেই শিশুদের জীবন পরিবর্তন করছে। এই অবস্থায় বেশি দেরি হওয়ার আগেই, শিশুদের জন্য বৈশ্বিক নেতাদেরকে জরুরিভাবে কাজ করার এবং তাদের জীবনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো প্রশমিত করার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে আমরা আহ্বান জানাই।


আরও খবর
জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




১২ সিটির মেয়র অপসারণ, প্রশাসক নিয়োগ

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করা হয়েছে। তাদের অপসারণের পর প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

তারা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে আতিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে রেজাউল করিম চৌধুরী, খুলনা সিটি কর্পোরেশনে তালুকদার আব্দুল খালেক, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, রংপুর সিটি কর্পোরেশনে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সিলেট সিটি কর্পোরেশনে মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে ইকরামুল হক টিটু, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে তাহসিন বাহার সূচনা, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে জায়েদা খাতুন এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে রয়েছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।

এর আগে রোববার ৮৭৬ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এরম ধ্যে ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ৩২৩ জন পৌর মেয়র রয়েছে।

মৃত্যুজনিত কারণে নাটোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে খালি হওয়া ৬১টি জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, ৪৯৫ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপজেলা পরিষদের প্রশাসক পদে নিয়োগ দিয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এছাড়া ৭টি পৌরসভার প্রশাসককে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে।

এর আগে গত ১৬ আগস্ট স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ , স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ , জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়া অনুমোদন করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। পরদিন ১৭ আগস্ট এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।

ওই সংশোধনীর ফলে বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী এসব জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দিচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

নিউজ ট্যাগ: সিটি করপোরেশন

আরও খবর



ফেনীতে বানভাসি মানুষের বাঁচার আকুতি, উদ্ধারে সেনাবাহিনী

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজিব মাসুদ, ফেনী

Image

ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলা। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সবগুলো ভাঙনের স্থান দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করে ডুবছে একের পর এক জনপদ। এতে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ।

ভয়াবহ এই বন্যায় বানভাসি মানুষদের উদ্ধারে বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুর আড়াইটা থেকে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সহযোগিতা চাওয়া হয়। এরপর স্পিডবোট নিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে তারা। একইসঙ্গে বিজিবি সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক পরিবারের শত শত স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধার ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করছেন।

পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া এলাকার বয়োবৃদ্ধ আবদুর রহমান বলেন, বিগত জীবনে এমন ভয়াবহ বন্যা কখনো দেখিনি। সময় বাড়ার সঙ্গে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। টানা বৃষ্টি পড়তে থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

রাসেল নামে এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে সহায়তা নিয়ে আসছে। কিন্তু পানির তীব্র স্রোতের কারণে পরশুরামে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও আমাদের সদস্যরা বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করার চেষ্টা করছে। টানা বৃষ্টিতে চারদিকে পানি থই থই।

ফেনী আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ফেনীতে টানা তিন দিন মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। জেলায় বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী স্পিডবোট নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তাদের সঙ্গে কোস্টগার্ডের একটি টিম শিগগিরই যোগ দেবে। এ ছাড়া বিজিবি ও স্বেচ্ছাসেবকরা সকাল থেকে আটকে পড়া মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে কাজ করছে।


আরও খবর



‘বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেওয়া যাবে না’

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেওয়া যাবে না। আমরা তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। তার জন্য একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ব্যক্তিগত সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবীর বলেন, শেখ হাসিনা যতক্ষণ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে থাকবেন, ততক্ষণ আমিও তার সঙ্গে থাকবো। আমি একজন মুসলমান হিসেবে আল্লাহ ও রাসুল ছাড়া আর কাউকে পরোয়া করি না। আল্লাহ ও তার রাসুলকে ভালোবাসার পরে আমার প্রেম ও ভালোবাসা সমস্তটাই বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে। বঙ্গবন্ধুকে না পেলে আমি একজন রিকশাওয়ালা হতাম, না হয় একজন রাখাল হতাম। বঙ্গবন্ধুকে পেয়ে আমি দেশকে ভালোবাসতে শিখেছি। অনেকেই দেশপ্রেমের কথা বলে কিন্তু দেশপ্রেম এত সহজ নয়। অনেক প্রতিঘাত সহ্য করে দেশপ্রেম অর্জন করতে হয়।

এ সময় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ঝড় তুফান আসে আবার কেটেও যায়। কোনো অন্ধকারই চিরস্থায়ী নয়। আকাশ আবার পরিষ্কার হবে।

টুঙ্গিপাড়াবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আর জীবনে এখানে আসতে পারবো কিনা জানিনা। আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি যে এই দুর্যোগপূর্ণ সময়েও বঙ্গবন্ধুর সমাধিকে এতো সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

ভবিষ্যতে তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতি করবেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি খাওয়ার সময় খাই, নামাজের সময় নামাজ পড়ি। আমি আজ টুঙ্গিপাড়া এসেছি আমার রাজনৈতিক পিতা বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনা করার জন্য। যখন বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার চেয়েছি তখন সকলেই গর্তে ছিল। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল। বিনিময়ে আমি মানুষের কাছে সম্মান পেলেও যাদের কাছে সম্মান পাওয়ার কথা ছিল, তাদের কাছে পায়নি। বরং আমাদেরকে অপমান করা হয়েছে। এই আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ নয়। এটা মাওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ, শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ, গরিব-দুঃখীর আওয়ামী লীগ। সেই আওয়ামী লীগ আর এই আওয়ামী লীগ এক নয়। আমি আগেও বঙ্গবন্ধুর ছিলাম, এখনো বঙ্গবন্ধুর আছি এবং বাকি জীবন তার আদর্শ নিয়েই বেঁচে থাকবো। 

এর আগে দুপুরে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সফরসঙ্গী হিসেবে জাতীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ এবং গোপালগঞ্জ জেলা ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর