আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

রাজধানীর সড়কে ছুটির দিনে ঝরল ৪ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছুটির দিনে রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) যাত্রাবাড়ী, কামরাঙ্গীরচর ও উত্তরখানে ঘটা এ দুর্ঘটনাগুলোতে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের সামনে বসে আর্তনাদ করছেন এক মেয়ে। বাবার মরদেহের অপেক্ষায় তার অঝোরে কান্না কিছুতেই শান্ত করতে পারছেন না আত্মীয়রা।

জানা গেছে, ছুটির দিনটিতে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর পূর্ব রসূলবাগ বাসার সামনে খেলা করছিল মাদ্রাসা পড়ুয়া সাত বছরের শিশু ইয়াসিন। বেপরোয়া গতির অটোরিকশার ধাক্কায় শিশুটিও না ফেরার দেশে পাড়ি জমায়।

একই দিন সকালে ওয়ারীর বাসা থেকে বের হয়েছিলেন ষাটোর্ধ্ব মতিউর রহমান। মেয়েকে কথা দিয়েছিলেন, রোজা উপলক্ষে বাজার করে বাসায় ফিরবেন। তবে সায়েদাবাদ জনপদ মোড়ে বেপরোয়া বাসের চাপায় সড়কেই লাশ হয়ে বাড়ি ফেরা হলো না তার।

যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় দুবাসের মাঝে চাপা পড়ে লাইনম্যান ইমরান মারা যান। সকালে উত্তরা থেকে কাজ শেষ করে গাজীপুরের বাসায় ফিরছিলেন আলী হোসেন। পথে উত্তরখানে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি নিহত হন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।


আরও খবর



মিরসরাইয়ে পিকআপচালক খুন, মরদেহ মিললো রেললাইনে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে তৌহিদুল ইসলাম খোকন (৩০) নামে এক পিকআপচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল লাইনের হিঙ্গুলী খান সিটি সেন্টারের পূর্বপাশে রেললাইন থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, তাকে খুন করে রেললাইনে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। নিহত খোকন হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের মৃত হাসেম ড্রাইভারের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে এক শিশু তৌহিদুল ইসলাম খোকনের মরদেহটি রেললাইনে পড়ে থাকতে দেখে খবর দেয়। এসময় পরিবারের লোকজন এসে শনাক্ত করে মরদেহটি বাড়ি নিয়ে যায়।

নিহতের স্ত্রী সানজিদা আক্তার বলেন, আমার স্বামী গতকাল (বুধবার) রাতে একই এলাকার শাহাজাহান মেম্বারের বাড়িতে তাঁর ভাতিজির গায়ে হলুদে যায়। সেখানে যাওয়ার আগে স্থানীয় বখাটে ইয়াবা সেবনকারী মোতালেব, আমজাদ, রাসেল তাদের জন্য ইয়াবা নিতে উনার মোবাইলে বার বার ফোন করে। কিন্তু তিনি রাজি হননি। রাতে গায়ে হলুদে গিয়ে আর ফেরেনি। সকালে রেললাইনে মরদেহ পাওয়া গেছে। তারা আমার স্বামীকে খুন করে রেললাইনে ফেলে যায়, যাতে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে এটা বুঝানোর জন্য। আমার স্বামীর হত্যায় জড়িতদের শাস্তি চাই।

হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়েছি খোকন মারা গেছে। কে বা কারা তাকে খুন করে রেললাইনে ফেলে গেছে। আমি পুলিশকে খবর দিয়েছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের শরীরের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে খুন করা হয়েছে। তবে মাদকের কারণে খুন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



১৫ জুলাইয়ে মধ্যে গুচ্ছ প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু: জবি উপাচার্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

আগামী পহেলা জুলাই থেকে ১৫ জুলাইয়ে মধ্যে গুচ্ছভুক্ত ২৪ সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরুর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম।

আজ শুক্রবার (১০ মে) গুচ্ছের সি ইউনিট (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

উপাচার্য বলেন, নতুন বছরের ক্লাস শুরু করা নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা আশা করছি, ১ লা জুলাই থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু করতে পারব।

এবার গুচ্ছের 'সি' ইউনিট তথা বাণিজ্য ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১২ হাজার ৫১৩ জন। এ সময় তিনি বিগত সময়ের সংকট কাটিয়ে এবার দ্রুত ক্লাস শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষা শেষে ১ আগস্ট গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ক্লাস শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। পরে আজ (শুক্রবার) সেই তারিখ পরিবর্তন করে ১ থেকে -১৫ জুলাইয়ে মধ্যে ক্লাস শুরু করার সম্ভাবনার কথা জানান।

গত বছর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস পহেলা আগস্টে শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিল তৎকালীন জবি উপাচার্য প্রয়াত ড. ইমদাদুল হক। পরে সেই ক্লাস ১ মাস পরে সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল।

উল্লেখ্য, আজ গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগ (সি ইউনিট) এর ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৪০ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।

নিউজ ট্যাগ: জবি উপাচার্য

আরও খবর



চোখ বলে দেবে শরীরে কতশত রোগ, জানা যাবে স্বাস্থ্যের অবস্থাও

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মাসিক সেন্ট্রাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। চোখের পরীক্ষার মাধ্যমে মানবদেহে অন্যান্য রোগ রয়েছে কি না তার পূর্বাভাস জানা এবং শরীর-স্বাস্থ্যের অবস্থা জানার বিষয়ে চিকিৎসক ও ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সেমিনারের আয়োজন করে।

রবিবার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লক অডিটোরিয়ামে সুস্বাস্থ্যের জানালা আমাদের চোখ’ বিষয়ক মাসিক সেন্ট্রাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষার মাধ্যমে চোখের সমস্যাগুলো নির্ণয়সহ এর চিকিৎসা যেমন সম্ভব, একইসঙ্গে শরীরের অন্যান্য রোগ সম্পর্কেও আগেভাগেই জানা যাবে। ফলে সেসব রোগেরও চিকিৎসা করা সম্ভব হবে। এমনকি শরীরের কী কী রোগ চোখের ক্ষতি করে সে বিষয়ে মানুষকে সচেতন করাটাও এ সেমিনার আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক চক্ষুরোগের বিভিন্ন পর্যায় ও লক্ষণগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করেন এবং এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান ও উৎসাহিত করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, চোখের নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে চোখের সমস্যা নির্ণয় ও রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। একইসঙ্গে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রোগের কারণে চোখের যে ক্ষয়ক্ষতি হয় তা নির্ণয় করাসহ এর চিকিৎসা করাও সম্ভব হবে। এ বিষয়ে চিকিৎসক ও রেসিডেন্টদের আরও সচেতন হতে হবে।

বক্ষব্যাধি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সম্প্রীতি ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সেন্ট্রাল সেমিনার সাব-কমিটির সভাপতি ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ। ব্যতিক্রমধর্মী সম্পূর্ণ নতুন এ সেমিনারে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহ-নূর হোসেন, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবেদ হোসেন খান ও রিউমাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মেজর (অব:) সৈয়দ জামিল আবদাল।

সেমিনারে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

ডা. শাহ-নূর হোসেন তার প্রবন্ধে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডারে নার্ভের পাশাপাশি চোখের কি ধরনের পরিবর্তন হয় সে বিষয়ে আলোকপাত করে নিয়মিত চক্ষুর পরীক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ডা. আবেদ হোসেন খান তার প্রবন্ধে বলেন, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ যেমন যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি রোগের লক্ষণগুলো প্রাথমিকভাবে চক্ষু পরীক্ষার মাধ্যমেই প্রথমে নির্ণয় করা যেতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার, অ্যানিমিয়া, লিউকেমিয়া, জন্মগত ক্রটি, বিশেষ ক্ষেত্রে শরীরে বিষক্রিয়ার ধারণাও চোখের মাধ্যমে পাওয়া যায়।

অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) সৈয়দ জামিল আবদাল তার প্রবন্ধে বিভিন্ন ধরনের বাতজ্বর ও বাতব্যথা চোখকে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং এর চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।


আরও খবর



‘হিটস্ট্রোকে’ এক সপ্তাহে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিটস্ট্রোকে গত এক সপ্তাহে ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনজনের মৃত্যু হয়েছে হিটস্ট্রোকে। তিনজনই পুরুষ।

এছাড়া হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও পাঁচজন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এসব তথ্য জানায়।

কন্ট্রোল রুম জানায়, এ পর্যন্ত সারা দেশে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে আটজন পুরুষ ও দুজন নারী। হিটস্ট্রোকে নতুন করে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়।

তারা জানায়, মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন মাদারীপুরের। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মারা গেছেন।

উষ্ণতাজনিত অসুস্থতার চিকিৎসায় একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ২২ এপ্রিল এই নির্দেশিকা ব্যবহারে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।


আরও খবর



ইসরায়েলের সাত শতাধিক এলাকায় বাজছে বিমান হামলার সাইরেন

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করেছে ইরান। হামলার পর পর তেল আবিব ও পশ্চিম জেরুজালেমসহ ইসরায়েলি শহরগুলোতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের ৭২০টির বেশি জায়গায় বিমান হামলার সাইরেন বাজানোর শব্দ শোনা গেছে। খবর আলজাজিরার।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে ইসরায়েলের দিকে লক্ষ্য করে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে এই পাল্টা হামলা শুরু করেছে তেহরান।

ইরানের হামলার পরপর ইসরায়েলি ভূখণ্ডের ভেতর ব্যাপক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ইরানি হামলায় সাত বছর বয়সী একটি মেয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। যদিও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ইরানের ছোড়া অধিকাংশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশসীমার বাইরেই ভূপাতিত করা হয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ক্রুজ মিসাইলসহ বেশ কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। তাদের হামলায় ২০০টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগ ইসরায়েলি সীমার বাইরে প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরানের এই সমন্বিত আক্রমণে একটি ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনার সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও দাবি করা হয়, ইসরায়েলে হামলায় ব্যবহারের জন্য শতাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। যে কোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল।


আরও খবর