আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

পুলিশের ১৮ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বদলি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১৮ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এদের মধ্যে বিভিন্ন ইউনিটে নিয়োজিত ১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ৭ সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাও রয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাদের বদলি করা হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।

এদিকে পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিভাগীয় পদোন্নতির পরীক্ষা ২০২২ এর কেন্দ্রীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্ল্যানিং-১) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। 

তালিকায় বলা হয়- এএসআই (সশস্ত্র) থেকে এসআই (সশস্ত্র) পদে পদোন্নতি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭৩৪ জন।

এছাড়া এএসআই থেকে এসআই (নিরস্ত্র) পদে ৩২৭ জন, এটিএসআই থেকে টিএসআই পদে ১২৮ জন, কনস্টেবল থেকে এটিএসআই পদে ২২৪ জন, কনস্টেবল থেকে নায়েক পদে ৫ হাজার ৩৫২ জন, কনস্টেবল/নায়েক থেকে এএসআই (নিরস্ত্র) পদে ৭৪৬ জন এবং নায়েক থেকে এএসআই (সশস্ত্র) পদে পদোন্নতি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮২৪ জন।


আরও খবর



অবৈধ কোটি টাকার সন্ধান

দুদকের মামলা খেলেন স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত স্বামী-স্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আখতার ফারুকের বিরুদ্ধে ৩৩ লাখ ৯২ হাজার ৬২১ টাকা ও তার স্ত্রী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) শিরীন আক্তারের বিরুদ্ধে ৫৬ লাখ ৮২ হাজার ৬৮৯ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১ এপ্রিল) দুদকের উপ-পরিচালক তাহাসিন মুনাবিল হক বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। আখতার ফারুক ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।

দুদকের সমন্বিত ঠাকুরগাঁও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আখতার ফারুক ও তার স্ত্রী শিরীন আক্তারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দুইজনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ দেয় দুদক। পরে তারা তাদের সম্পত্তির প্রয়োজনীয় কাগজ দাখিল করেন দুদকের কাছে। দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে মো. আখতার ফারুকের বিরুদ্ধে ৩৩ লাখ ৯২ হাজার ৬২১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায় দুদক।

অন্যদিকে ফারু‌কের স্ত্রী শিরীন আক্তা‌রের বিরুদ্ধে ৫৬ লাখ ৮২ হাজার ৬৮৯ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তা নিজ ভোগ দখলে রাখার প্রমাণ পায় দুদক।

মামলার বিষ‌য়ে জান‌তে চা‌ইলে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আখতার ফারুক মুঠোফোনে ব‌লেন, মামলা হওয়ার বিষয়‌টি আদালত বা দুদক কেউই আমা‌কে জানায়‌নি। অভি‌যোগ‌ হা‌তে পে‌লে এ বিষ‌য়ে কথা বল‌ব।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল বাশার মো. সায়েদুজ্জামান ব‌লেন, মামলা হওয়ার বিষয়‌টি জান‌তে পেরেছি। ত‌বে অফিশিয়ালি কোনো কাগজপত্র পাইনি। চিঠিপত্র পেলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হ‌বে।

দুদকের ঠাকুরগাঁও জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক তাহা‌সিন মুনাবীল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আখতার ফারুক ও তার স্ত্রী শিরীন আক্তারের বিরু‌দ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্প‌দ অর্জনের প্রাথ‌মিক সত্যতা পাওয়ায় মামলা করা হয়েছে। আশা ক‌রি, তিন মা‌সের ম‌ধ্যে তদন্ত প্রতি‌বেদন আদাল‌তে দা‌খিল কর‌তে পার‌ব।


আরও খবর



ইন্দোনেশিয়ায় ওষুধ, পাট ও সুতা রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য সম্পাদন হয়। তবে দুই দেশের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এটি দূর করতে বাংলাদেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যালস, পাটজাত পণ্য ও রিসাইকেল সুতা রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে।

গতকাল বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে দ্য চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালকদের সঙ্গে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, পরিচালক একেএম আক্তার হোসেন,  জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, মাহবুবুল হক মিয়া, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন ও আখতার উদ্দিন মাহমুদ বক্তব্য রাখেন। অন্যদের মধ্যে দূতাবাসের অ্যাটাচে রব্বি ফিরলি হারখা ও ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স সপ্তো রুদিয়ান্তোসহ  চেম্বার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধিত হয়েছে উল্লেখ করে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণে পিছিয়ে রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া খাদ্য সংরক্ষণ ও হালাল ফুড রফতানিতে বিশ্বে নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করেছে। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার সম্পাদিত এগ্রিকালচার সমঝোতা স্মারক কার্যকর করতে গবেষণার ওপর জোর দিতে হবে।

রাষ্ট্রদূত নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ইন্দোনেশিয়া চট্টগ্রামের মাতারবাড়ীতে ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প, ১০০ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন লাইন, ভোলা ও বরিশাল অঞ্চলে গ্যাস পাইপলাইন সম্প্রসারণে ইন্দোনেশীয় বিনিয়োগ প্রস্তাবের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি উভয় দেশের ট্যুরিজম, ম্যানুফ্যাকচারিং, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার এবং রিনিউয়েবল এনার্জি সেক্টরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার ওপর তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ভৌগোলিক সুবিধা তুলে ধরে চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, খাদ্য উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের মোট খাদ্য উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশ বা ৩ বিলিয়ন ডলার সংরক্ষণ কিংবা প্রক্রিয়াকরণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার বিশ্বব্যাপী হালাল ফুড ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সুনাম রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার। তাই বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বিশাল বাজার ধরা ও রফতানিতে ইন্দোনেশীয় ব্যবসায়ীদের একক বা যৌথ বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি করে। যার মধ্যে পামঅয়েল, কয়লা, সিমেন্ট ক্লিংকার, পেট্রোলিয়াম প্রডাক্টসহ কৃষি পণ্য আমদানি করা হয়। বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ায় তৈরি পোশাক ও পাটজাত পণ্য রফতানি করা হয়। অথচ বাংলাদেশের রয়েছে বিশ্ববিখ্যাত ওষুধ পণ্য। তিনি প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ওষুধ রফতানিতে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।


আরও খবর



মোংলা বন্দরে এ মাসে ভিড়ল ৮টি কন্টেইনারবাহী জাহাজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

মার্কস লাইনের ১৮৬ মিটারের লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী মার্কস হাই পং কন্টেইনারবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরের ৯ নং জেটিতে আগমনের মধ্য দিয়ে করোনা মহামারি পরবর্তী মোংলা বন্দরের জেটিতে এক মাসে সর্বোচ্চ ৮ টি কন্টেইনারবাহী বাণিজ্য জাহাজ আগমনের রেকর্ড করে।

এ সময়ে জাহাজে ১৮৭৫ টিইইউজ কন্টেইনারজাত মালামাল আমদানি-রপ্তানি করা হয়।

এ সকল বাণিজ্যিক জাহাজের মাধ্যমে ফেবরিকস, মেশিনারি, আপেল, ট্রাই সাইকেলপার্টস, ইলেকট্রিক্যাল গুডস, হোয়াইট ক্লিংকার, ফার্টিলাইজার, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, কপার ক্যাথোডস ইত্যাদি আমদানি এবং জুট, জুট গুডস, সিরিমপস, কার্বস, হোয়াইট ফিস, ক্লে টাইলস, ড্রাইড ফিস, মেশিনারি, গার্মেন্টস প্রোডাক্টস, কটন ইয়ার্ন ইত্যাদি রপ্তানি করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) মোংলা বন্দরের পি.পি জেটি নং-৭ এ সিংগাপুর পতাকাবাহী কোটা টেনেগা এবং এমভি কোটা রানচাক, এমভি মার্কস ভিলাডিভসটক, এমভি মার্কস কুইনজু, এমভি মার্কস চট্টগ্রাম, এমভি মার্কস ঢাকা বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে নোঙর করে। বর্তমানে বন্দর জেটিতে গড়ে প্রতি সপ্তাহে ২ টি করে কন্টেইনার জাহাজ আগমন করছে।

শিপিং এজেন্ট, মোংলা কাস্টমস এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন, চেম্বার অব কমার্স খুলনা ও বাগেরহাট, আমদানি-রপ্তানিকারক ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে ধারাবাহিকভাবে মিটিং ও সমন্বয়সহ বন্দরে আধুনিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট সংযোজনের ফলে জেটি থেকে দ্রুততার সাথে স্বল্প সময়ের মধ্যে কন্টেইনার খালাস বোঝাই সম্ভব হচ্ছে।

একই সাথে গিয়ারলেস জাহাজ হ্যান্ডলিং এর সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কন্টেইনারবাহী সমুদ্রগামী জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে বন্দর ব্যবহারকারীদের মোংলা বন্দরের প্রতি আস্থা বাড়ার পাশাপাশি তাদের সময় এবং অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে মোংলা বন্দর বদ্ধ পরিকর। বন্দরকে আধুনিক ও বিশ্বমানের স্মার্ট বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: শর্ত মানলে কারাভোগ করতে হবে না তিথির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (সাময়িক বহিষ্কৃত) তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।

একই সঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য প্রবেশনে পাঠানো হয়েছে। তবে এরই মধ্যে এ মামলায় আসামি ২১ মাস কারাভোগ করেছেন। রায়ে বিচারক উল্লেখ করেছেন, পাঁচ বছরের সাজা থেকে আসামির ২১ মাসের কারাভোগের সময় বাদ যাবে। অর্থাৎ এই ২১ মাস সময়কে পাঁচ বছরের সাজা আওতায় ধরা হবে।

এদিকে, রায়ের পর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিথিকে সংশোধন হতে এবং তার বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করাসহ আট শর্তে তাকে এক বছরের প্রবেশনে মুক্তি দেন আদালত। এ সময়ে তিনি প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন। আদালত জানিয়েছেন, আসামি তিথি প্রবেশনের শর্তসমূহ যথাযথভাবে পূরণ করলে তাকে আর সাজা না-ও খাটতে হতে পারে।

আসামি তিথি সরকারকে অপরাধী প্রবেশন অধ্যাদেশ, ১৯৬০ (১৯৬০ সালের ৪৫ নম্বর অধ্যাদেশ) এর ৫ ধারা মোতাবেক, আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়কালের জন্য প্রবেশন আদেশের নিম্নোক্ত শর্তাবলিযুক্ত মুচলেকা সই করার শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেওয়ার আদেশ জারি করা হয়েছে। তিনি আট শর্তে মুচলেকায় সই করে মুক্তি পান।

শর্তসমূহ হলো-

১. আসামি-প্রবেশনার আগামী এক বছর সময়ের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন এবং ওই কর্মকর্তার নিদের্শনাসমূহ মেনে চলবেন।

২. ওই সময়সহ আসামি-প্রবেশনার ভবিষ্যতেও আর কোনো অপরাধে জড়াবেন না, শান্তি বজায় রাখবেন ও সদাচরণ করবেন।

৩. বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করতে হবে।

৪. আদালত, প্রবেশন কর্মকর্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তলবমতে আসামি-প্রবেশনার যথাসময়ে হাজির হবেন।

৫. শহর এলাকায় বসবাসের ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন মেনে চলাসহ আইনবহির্ভূতভাবে রাস্তা পারাপার করা যাবে না, সামাজিক নিয়ম-কানুন, প্রথা, রীতিনীতি প্রভৃতি মেনে চলবেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো কাজ করবেন না; প্রবেশন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত নিজস্ব কর্মস্থল বা বাসস্থান ত্যাগ করবেন না; এবং প্রবেশন কর্মকর্তার যে কোনো সময় আসামির গৃহ পরিদর্শন করতে আসামি-প্রবেশনার বা তার পরিবারের সদস্যদের কোনো আপত্তি থাকবে না।

৬. আসামি-প্রবেশনার অযথা রাতের বেলা ঘরের বাইরে অবস্থান করবেন না; মাদকদ্রব্য গ্রহণ, বিশেষত মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সরবরাহ করা হয় এমন স্থানে যাতায়াত করবেন না; ধূমপান থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন; এবং জুয়া, অনলাইন জুয়া, তাস, ক্যাসিনো, বাজি ইত্যাদি থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন।

৭. আসামি-প্রবেশনার প্রবেশনকালীন কোনো ধরনের স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না; প্রয়োজন হলে নন-স্মার্ট মোবাইল ফোন বা বাটন ফোন ব্যবহার করবেন। তবে শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে স্মার্ট ফোন ব্যবহারের আবশ্যকতা দেখা দিলে আসামি-প্রবেশনার তার মা-বাবা অথবা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক আত্মীয়, অথবা ক্ষেত্রমতে শিক্ষকের উপস্থিতিতে শুধু স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।

৮. উপর্যুক্ত যে কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে বা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামি-প্রবেশনার নিজেকে সংশোধন না করলে আসামির প্রবেশন আদেশ বাতিল হবে এবং প্রমাণিত অপরাধের দায়ে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৮ (২) ধারায় পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হবে।

সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নজরুল ইসলাম শামীম জানান, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তিথির আইনজীবী প্রবেশন চেয়ে আবেদন করলে আদালত এক বছরের জন্য কিছু শর্তে তাকে প্রবেশনে মুক্তির আদেশ দেন। এই এক বছরে তাকে শর্তসমূহ মেনে চলতে হবে। শর্ত মানলে আদালত বিবেচনা করবেন তাকে আর সাজা খাটতে হবে কি না। আর শর্ত না মানলে তাকে সাজা খাটতে হবে।

আইন অনুযায়ী, প্রবেশন হলো অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তি স্থগিত রেখে এবং কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে শুধরানোর সুযোগ দেওয়া। প্রবেশন আইনে প্রথম ও লঘু অপরাধে দণ্ডিত শিশু-কিশোর বা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কারাগারে না পাঠিয়ে আদালতের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে নিজ বাসায় বা পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন প্রবেশন কর্মকর্তা হিসেবে থাকেন।

তবে প্রবেশনের মেয়াদ শেষে প্রবেশন কর্মকর্তা যদি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির আচরণ সন্তোষজনক মর্মে প্রতিবেদন দেন, তবে আসামির কারাদণ্ড মওকুফ হবে। আর যদি আসামির আচরণ অসন্তোষজনক মর্মে প্রতিবেদন দেন, তবে প্রবেশন বাতিল ও আদালতের দেওয়া দণ্ড আসামিকে ভোগ করতে হবে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৩১ অক্টোবর সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম দেখতে পায়, সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের চারতলা থেকে তিথি সরকারকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে একটি মিথ্যা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হয়। এটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রকৃতপক্ষে সিআইডিতে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ ঘটনার তদন্তে নেমে গুজব রটনাকারী নিরঞ্জন বড়াল নামের একজনকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নিরঞ্জনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গত ২ নভেম্বর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়। চলতি বছরের ১৯ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২৫ অক্টোবর সকাল ৯টায় পল্লবীর নিজ বাসা থেকে থানার উদ্দেশে বের হয়েছিলেন তিথি সরকার। এরপর ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ফেসবুকে ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করে আসছিলেন তিথি সরকার। পরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তিথি সরকারের বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তিথি সরকারকে সাময়িক বহিষ্কার করে। এরপর তার পরিবার থেকে অভিযোগ আসে তিথি নিখোঁজ।


আরও খবর



বাংলাদেশ বিনিমার্ণে এগিয়ে আসতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে নিজেদের মেধা ও মননকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের (৫২ ব্যাচ) প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতেই সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং-২০২৪ বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করায় শুভেচ্ছা জানান।

এসময় নবাগত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতি তোমাদের মতো এই মেধাবীদের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যত, জাতির কান্ডারি। তোমরাই বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত তথা সব কিছুতে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। আজ দুর্গম চরাঞ্চলের জনগণও ল্যাপটপে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সর্বত্রই পৌছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন বলেও জানান তিনি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য হয়েছে এবং আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে ২০২৪-এ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মধ্যে ১ম স্থান লাভ করেছে। এছাড়াও বিশ্ব সেরা টু পার্সেন্ট বিজ্ঞানীর তালিকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযাগ্য সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী স্থান লাভ করেছে। বিভাগ ভিত্তিক র্যাঙ্কিংয়ে -এ দর্শন, ইতিহাস, ভগোল ও পরিবেশ বিভাগ শিক্ষা-গবেষণায় দেশ সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

অনুষ্ঠানে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রবেশিকা বক্তা হিসেবে তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের মানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার আহ্বান জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খ্যাতিমান মানুষ হয়ে বের হওয়ার জন্য বলেন, যাতে সবাই তাকে খুঁজে নেয়। তাহলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় তথা সবার জন্য হবে গৌরবের। সবার চিন্তা-মতামতকে শ্রদ্ধা জানানোসহ পিতা-মাতার অবদান মনে রাখার কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের অতিরিক্ত পরিচালক ড. আফসানা হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির। অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার আবু হাসান ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের পাঠ দানের জন্য ডিন এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের নিকট উপস্থাপন করেন এবং সংশ্লিষ্ট ডিন এবং পরিচালক পাঠ দানের জন্য শিক্ষার্থীদের বরণ করেন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪