আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

পুলিশের হাতে মাদক দেখলেই চাকরি থাকবে না: আইজিপি

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশ সদস্যদের মাদক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের প্যারেড গ্র্যাউন্ডে আইজিপিস এক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ (আইজিস ব্যাজ) ও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ইউনিটের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

আইজিপি বলেন, আমাদের কোনো সদস্য যদি মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের চেয়েও বেশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মাদকের সংশ্লিষ্টতা থাকলে শুধু মামলা দেওয়া হয়। আর পুলিশ সদস্যদের মাদক সেবনের প্রমাণ পেলেই চাকরি থাকবে না। চাকরিও যাবে মামলাও হবে। পুলিশ সদস্যদের হাতে মাদক থাকলেই চাকরি থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, নিয়োগের সময় আমরা প্রতিটি সদস্যকে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে থাকি। যারা মাদকাসক্ত তাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, মাদকাসক্ত হলে কেউ চাকরি পাবে না। 

আরও পড়ুন>> টেলিটকের এমডিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা

পুলিশপ্রধান বলেন, মাদক ও দুর্নীতি সমাজের নীরব ঘাতক। মাদকবিরোধী অভিযানে বাংলাদেশ পুলিশ জয়ী হবে। জঙ্গি-সন্ত্রাস যেভাবে নিয়ন্ত্রণে এসেছে, সেভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণেও সফল হতে হবে। সকলকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। জঙ্গি-মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি রয়েছে। যে কোনো ঘটনা ঘটলে দ্রুততম সময়ে আমরা অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।

স্মার্ট বাংলাদেশের উপযুক্ত পুলিশ গড়ে তুলতে কাজ করার কথা জানিয়ে আইজিপি বলেন, পুলিশকে জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা কাজ করছি। থানাকে প্রতিটি মানুষের আস্থা ও ভরসার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। যাতে সবাই নির্ভয়ে থানায় আসতে পারেন সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। বেশির ভাগ থানাতেই সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে, যা রেঞ্জ ডিআইজি অফিস থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। পুলিশের প্রত্যেকটি সদস্য সেবা দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজের জীবন দিয়ে পুলিশ সদস্যরা সেটি প্রমাণ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের নিয়োগ ও পদোন্নতিতে স্বচ্ছতা সর্বক্ষেত্রে প্রশংশিত হচ্ছে। আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়ার অধিকাংশ কাজ স্মার্ট পদ্ধতিতে সম্পন্ন করছি। ঘরে বসে আবেদন করতে পারছে, কোথায় পরীক্ষা সেটা জানতে পারছে, ফলাফলও ঘরে বসে পেয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে কোনো দালাল বা ফড়িয়া নেই। ইতোমধ্যে দেশবাসী এর সুফল ভোগ করছে।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই।

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের প্রযুক্তিনির্ভর, গণমুখী, সেবামুখী, জনবান্ধব তথা নারী ও শিশুবান্ধব বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।


আরও খবর



ভুয়া ও মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্সে চলছে জবির ক্যাফেটেরিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ভুয়া এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে চলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেওয়া ট্রেড লাইসেন্সটি (TRAD/DSCC/901214/2019) ভুয়া, যেখানে টেম্পারিং এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে বসানো হয়েছে।

জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে ১৯ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ইস্যু করা আসল ট্রেড লাইসেন্সে প্রতিষ্ঠানের নাম 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া' এবং মালিকের নাম মাসুদ আলম ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মাসুদ সেই লাইসেন্সের সব তথ্য ঠিক রেখে খুব চতুরতার সাথে টেম্পারিং এর মাধ্যমে শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে মাসুদ এন্ড কোং করেন। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স প্রতিবছর নবায়ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসেবে লাইসেন্সের মেয়াদ ৩০ জুন ২০২০ সালে শেষ হয়েছে। কিন্তু ৪ বছরেও নবায়ন করা হয়নি লাইসেন্স।

২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক আলতাফ হোসেনের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকায় পরিচালনার দায়িত্ব নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী শরিফুল ইসলাম। নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিরত থাকায় শরীফুল নিজের নামে কাগজপত্র করতে পারেননি। তাই তৎকালীন ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজার মাসুদ আলমের নামে সব কাগজপত্র করেন শরিফুল। তৎকালীন ক্যাফেটেরিয়ার তদারকির দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে মাসুদ আলমকে বুঝিয়ে দেন। সকল কাগজপত্র মাসুদের নামে থাকায় পরবর্তীতে মূল অংশীদার শরিফুল ইসলামকে বাদ দিয়ে এককভাবে মাসুদ আলমকে মালিকানা হস্তগত করেন।

এদিকে প্রতারণা ও ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে ভুয়া ট্রেড লাইসেন্সের মাধ্যমে মাসুদ আলম দাপটের সাথে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ করেন শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রভাবশালী ও কর্তাব্যক্তিকে ম্যানেজ করে আমাকে বাদ দিয়ে মাসুদ ক্যাফেটেরিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেন।

বর্তমান ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মাসুদ আলম বলেন, এখন ট্রেড লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স নবায়নের কাজ চলমান আছে, কয়েকদিনের মধ্যে পেয়ে যাবো। আমি মাসুদ এন্ড কোং নামে ট্রেড লাইসেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেইনি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া নামে জমা দিছি। শরীফুলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদ বলেন, ওনার কথা সত্য নই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক জিএল আল আমিন বলেন, ২০২৩ সালে আগস্টে ৩ বছরের জন্য ক্যাফেটেরিয়ার নতুন ইজারা নিয়েছে মাসুদ আলম। যেহেতু আমি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ছাত্রকল্যাণের দায়িত্ব পেয়েছি, তাই ট্রেড লাইসেন্সসহ এর আগের কোন বিষয়ে আমার জানা নেই।


আরও খবর



সুন্দরবনের গহিনে এখনও জ্বলছে আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা পরও সুন্দরবনে লাগা ভয়াবহ আগুন নেভেনি। বাগেরহাটের শরণখোলায় পূর্ব সুন্দরবনের গহিনে এ আগুন এখনও জ্বলছে দাউ দাউ করে। তবে দুঘণ্টা আগে থেকে নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী।

রবিবার (৫ মে) সকাল ৬টা থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে তারা। তবে এখনও ভয়াবহ আগুন জ্বলছে। সুন্দরবনের মাটির ওপরে থাকা বিভিন্ন গাছের পাতার স্তূপের মধ্যে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। ৫০টি জায়গায় আগুন জ্বলছে; এর ব্যাপ্তি হবে দেড় কিলোমিটারজুড়ে।

এর আগে, শনিবার (৪ মে) দুপুর ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া এলাকায় এ আগুন লাগে। এরপর সন্ধ্যায়ও মেশিন ও যন্ত্রপাতি নিয়ে বনের গহিনে ঘটনাস্থল পৌঁছাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। তাই আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিতে একটু সময় লেগেছে বলে জানান সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম।

তিনি বলেন, সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের কথা শোনার পর বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা সেখানে যায়। এখনও সেখানে আগুন জ্বলছে। সকাল ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ সময় ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করছেন কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।

বনের মধ্যে কীভাবে আগুন লেগেছে বা কী পরিমাণ জায়গায় আগুন লেগেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আগুন লাগার কারণ এখন পর্যন্ত আমরা জানতে পারিনি। তবে এ বিষয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

বেল্লাল ফকির নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, লোকালয় থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে আগুন ধরেছে। পাতার মধ্য থেকে আগুন ওপরে উঠছে। বড় বড় গাছ পুড়ছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন মোংলার স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়মুজ্জামান বলেন, বন বিভাগের মাধ্যমে খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ ও মোংলা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট আমরবুনিয়া এলাকায় পৌঁছায়। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যেখানে আগুন লেগেছে, সেখান থেকে পানির দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। যার কারণে আগুন নির্বাপণের কাজ শুরু করতে সময় লেগেছে।’

আগুনের বর্তমান পরিস্থিতি কেমন সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বনের ভেতর প্রচুর পরিমাণ শুকনো পাতা রয়েছে; যার কারণে আগুনটা বাতাসে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় কালো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। তবে আগুন নতুন এলাকায় যেন ছড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হচ্ছে।’

আগুন নেভাতে যাওয়া সিপিজি সদস্য মণিময় মণ্ডল বলেন, বনভূমির বিভিন্ন স্থানে এখনো আগুন জ্বলছে। আগুনের প্রচণ্ড তাপে ভেতরে প্রবেশ করতে কষ্ট হচ্ছে। কাছাকাছি কয়েকটি জায়গার আগুন আমরা নেভাতে পারলেও এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন যাতে নতুন এলাকায় ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে আমরা শুকনো গাছ অপসারণ করেছি। বিভিন্ন স্থানে ছোট ফায়ার লাইন কেটে রেখেছি।’


আরও খবর



দেশের সর্বোচ্চ আকারের বাজেট ঘোষণা হবে ৬ জুন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আগামী ৬ জুন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় বাজেট উত্থাপন করবেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, আগামী ৬ জুন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে।

অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার, যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট।

এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।


আরও খবর



রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীর পবায় ট্রাকচাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, আসিফ ইকবাল (১৯), সুইট (৩১) ও তাজুল ইসলাম (২৫)। এদের মধ্যে আসিফ দামকুড়া উপজেলার নতুন কশবা এলাকার লাল মোহাম্মদের ছেলে, সুইট সুত্রাবন এলাকার আলমগীরের ছেলে ও তাজুল ইসলাম তাজুল লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি এলাকার মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে।

অপরদিকে আহতরা হলেন, মো. জুলহাস উদ্দিন (৩২) ও মো. রিমন হোসেন (৩৫)। জুলহাস জেলার দামকুড় উপজেলার আলীগঞ্জ এলাকার মো. রবিউল ইসলামের ছেলে ও রিমন একই উপজেলার নতুন কশবা এলাকার মো. মানিক মিয়ার ছেলে।

দামকুড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর বলেন, বিকেলে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় বালুবাহী একটি ডাম্পট্রাক দুটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এসময় পাঁচ আরোহীর মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



ননস্টিক পাত্র কী স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বর্তমান সময়ে অধিকাংশ রান্নাঘরেই ননস্টিক পাত্রে রান্না করা হয়। মূলত রান্নার কাজকে সহজ করার জন্যই রাঁধুনিদের পছন্দ এটি। তবে এসব পাত্রের ভুল ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এর কারণ মূলত প্রচলিত ননস্টিক পাত্র তৈরি করার সময় এমনকিছু উপকরণ ব্যবহার করা হয় যেটার বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট ধারণা না থাকলেই বিপদ। তাই প্রচলিত ননস্টিক পাত্র ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো। মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েব সাইটহেলথলাইনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ননস্টিক পাত্রের বিভিন্ন তথ্য। 

প্রচলিত ননস্টিক পাত্রে পার অ্যান্ড পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল সাবস্ট্যান্সেস (পিএফএএস) ব্যবহার করা হয়। কিছু বিশেষ রাসায়নিক উপাদানকে সংক্ষেপে পিএফএএস বলা হয়। আর ইংরেজিতে বলা হয় ফরএভার কেমিক্যাল

কয়েক বছর আগে ননস্টিক পাত্রে যে ধরনের পিএফএএস ব্যবহার করা হতো, তার নাম ছিল পার ফ্লুরো অক্টানয়িক অ্যাসিড। সংক্ষেপে এর নাম পিএফওএ। ২০১৫ সালের আগে ননস্টিক পাত্র তৈরি করা হতো পিএফওএ দিয়ে। তবে স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি (ইপিএ)-এর হস্তক্ষেপে সেই উপকরণ বদলে ফেলা হয়। কিন্তু এখনো ভিন্ন ধরনের পিএফএএস ব্যবহার করা হচ্ছে আর তাতেও কাছাকাছি ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্ভাবনা থেকে যায়।

পিএফএএস-এর কারণে কিডনির ক্যানসার, রক্তে চর্বির মাত্রাধিক্যসহ কিছু রোগের ঝুঁকি আছে বলে জানা যায়। আগেকার দিনের সেই পিএফওএ ব্যবহারে এসবের পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ আর থাইরয়েডের সমস্যার ঝুঁকিও ছিল। অন্যদিকে পরিবেশের নানা জায়গাতেই পিএফএএস ছড়িয়ে আছে তাই যদি কেউ এ ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পরেন তবে কেবল ননস্টিক পাত্রকে সরাসরি দায়ী করতে পারবেন না।

রান্নার পাত্রের কারণে বাড়তি কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে কয়েকটি বিষয়ে নজর দিতে হবে। এবারে সে বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক: 

পাত্রের ননস্টিক স্তরটা ক্ষয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে ওই পাত্র আর ব্যবহার করা যাবে না।

অত্যধিক উত্তাপ সৃষ্টি হয়, এমন চুলায় ননস্টিক পাত্র ব্যবহার করবেন না।

ননস্টিক পাত্র খালি থাকা অবস্থায় তা গরম করবেন না।

যদি আপনি রান্নাঘর থেকে ননস্টিক পাত্র বিদায় করতে চান আর রান্নাও সহজে করার পথ খুঁজেন তবে বিকল্প হিসেবে সিরামিক বা স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। এসব পাত্রে  বাড়তি কোনো কোটিং বা স্তর থাকে না তাই যেভাবে ইচ্ছা রান্না করতে পারবেন। 


আরও খবর