আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

পুলিশ প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর দাবি চট্টগ্রামের পুলিশ সদস্যদের

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ আগস্ট ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সারাদেশে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সদস্যরা। এতে সিএমপির কয়েজন উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরে দামপাড়াস্থ সিএমপির পুলিশ লাইন্সে এক প্রতিবাদ সভায় সাধারণ কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক পদের পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে পুলিশ সদস্যরা বলেন, আপনাদের একটি নতুন বাংলাদেশে স্বাগতম। গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি, সেসব শহীদদের যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হয়েছেন। তাদের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি আন্দোলনে আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।

তারা বলেন, একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য হিসেবে এবং সরকারি আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা খুবই ক্ষীণ। তথাপিও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে শুরু থেকেই পুলিশের অধিকাংশ সদস্য মৌনভাবে একাত্মতা পোষণ করে এসেছে বলে আমরা দ্ব্যর্থ কণ্ঠে বলতে চাই।

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীসহ প্রতিটি বাহিনী একটি চেইন অব কমান্ড অনুসরণ করে চলে। চেইন অব কমান্ড অনুসরণ করেই পুলিশ বাহিনীর অধস্তনরা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে মাত্র। আর সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই পুলিশ বাহিনী আজ ছাত্র-জনতার মুখোমুখি। এছাড়াও বরাবরই পুলিশের প্রতি কিছু সংখ্যক সাধারণ জনাতার একটা ক্ষোভ কাজ করে, কিন্তু কেউ কখনো এটা ভাবে না আমরাও তাদের মতো কারো সন্তান, তাদের মতো কখনো ছাত্র ছিলাম, এখন চাকরির জন্য দায়িত্বের খাতিরে ঊর্ধ্বতনদের আদেশ মানতে আমরা বাধ্য, সেখানে আমাদের দোষটা কোথায়।

তারা দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এবং ৫ আগস্ট সরকারের পদত্যাগের পর থেকে একটি শ্রেণি কর্তৃক টার্গেট করে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে বিভিন্ন পুলিশ লাইনে, খানা, পুলিশ ফাড়ি, পুলিশ বক্স এবং যানবাহনে। আহত হয়েছে শত শত পুলিশ সদস্য। আমরা এসব ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দা জানাই। আমরা বিশ্বাস করি মুক্তিকামী সাধারণ ছাত্র-জনতা কখনোই এসব ধ্বংসযজ্ঞের পক্ষে না। একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য হিসেবে আমরা সর্বদা জনগণের জানমাল এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার্থে আইনানুযায়ী বদ্ধপরিকর।

গত ৫ আগস্ট সরকারের পদত্যাগের পর থেকেই আমরা দেখেছি, আমাদের অভিভাবকরা কোনো ধরনের নির্দেশনা ছাড়াই আত্মগোপনে চলে যান যা আমাদের নিরাপত্তাহীনতায় ফেলে দেয়। যথাযথ নির্দেশনার অভাবে আমরা অনেক পুলিশ সদস্যদের হারিয়েছি। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি কর্তৃক পুলিশ সদস্যদের বাসাবাড়িতেও হামলা চালানো হচ্ছে। জীবন রক্ষার্থে অনেকে আত্মগোপনে আছেন। এমতাবস্থায়, পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যদের নিরাপত্তা এবং নিম্নোক্ত দাবি নিশ্চিত না হওয়া অবধি আমরা পুলিশ বাহিনীর অধস্তনরা কর্মবিরতি ঘোষণা করছি। দেশের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষত অধস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সার্বিক সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে

নিম্নোক্ত দাবিগুলো পেশ করা হলো-

১. চলমান ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ হত্যাসহ সব পুলিশি স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

২. নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান, আজীবন পেনশন-রেশন প্রাপ্তি এবং পরিবারের একজন সদস্যের সরকারি চাকরি নিশ্চিত করা। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা এবং গুরুতর আহত পুলিশ সদস্যদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।

৩. পুলিশের নিয়োগ বিধিমালা বিশেষত সাব-ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট নিয়োগ পিএসসির অধীনে এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অধীনে কনস্টেবল নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

৪. সাব-ইন্সপেক্টর/সার্জেন্ট পদে বিদ্যমান পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা। সেক্ষেত্রে পুলিশ পরিদর্শক পদ থেকে সহকারী পুলিশ কমিশনার পদে ৩০ শতাংশ সরাসরি এবং ৭০ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ এবং সেটি যথাসময়ে নিশ্চিত করা। সাব-ইন্সপেক্টর/সার্জেন্ট থেকে ইন্সপেক্টর পদে পিএল হওয়ার ১ বছরের মধ্যে পদোন্নতি দিতে হবে। এছাড়া কনস্টেবল/নায়েক/এটিএসআই/এএসআই পদোন্নতির ক্ষেত্রে পরীক্ষায় পাসকৃতদের পরবর্তী বছর পুনঃপরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা বাতিল এবং পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে পাশসকৃতদের সিনিয়রিটি অনুসরণ করা।

৫. আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, পুলিশের কর্মঘণ্টা কমিয়ে ৮ ঘণ্টা করা এবং অতিরিক্ত কর্মঘণ্টায় জন্য ওভারটাইম প্রদানের ব্যবস্থা করা অথবা বছরে ২টি বেসিকের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করা।

৬. পুলিশের ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধিকরণ, টিএ/ডিএ বিল প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে প্রদান এবং প্রযোজ্য সকল সেক্টরে সোর্স মানী ফ্রেশ মানী নিশ্চিত করতে হবে।

৭. পুলিশ সদস্যদের বাৎসরিক ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি বৃদ্ধি করে অন্যান্য বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে ৬০ দিন করতে হবে। দেশ এবং জনগণের স্বার্থে ছুটি ছাড়া সম্ভব না হলে অভোগকৃত ছুটির বিনিময়ে আর্থিক সুবিধা প্রদান করতে হবে।

৮. পুলিশ বাহিনীর প্রচলিত পুলিশ আইন এবং পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল সংস্কার করে যুগোপযোগী এবং কার্যকরী করতে হবে যার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা এবং অধস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকার নিশ্চিত হয়।

৯. পুলিশ বাহিনীকে যেন কোনো দলীয় সরকার তার রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে না পাবে সেজন্য স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে।

১০. পুলিশের সকল থানা, ফাড়ি এবং ট্র্যাফিক বক্স আধুনিকায়ন করতে হবে এবং অধস্তন অফিসারদের জন্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

১১. নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং সকল ব্যারাকে বিদ্যমান আবাসন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করে ব্যারাকগুলোকে আধুনিকায়ন করতে হবে।

প্রিয় দেশবাসী, একটি নিরপেক্ষ এবং যুগোপযোগী পুলিশ বাহিনী গড়ে উঠুক সেটি আপনাদেরও দাবি। আর সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন সংস্কার ও প্রণয়ন এবং উল্লিখিত দাবিগুলো অনতিবিলম্বে বিবেচনায় নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেই সঙ্গে দেশবাসী সবার কাছে অনুরোধ করছি আপনারা পুলিশের প্রতি এই ক্ষোভ রেখে দয়া করে আমাদের একটু বোঝার চেষ্টা করেন।

পরে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মিছিল করেন উপস্থিত সিএমপির সকল পুলিশ সদস্যরা।


আরও খবর



সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ৩৫ ও অবসরের বয়স ৬৫ করার দাবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৫ বছর করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ এবং মহাসচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স যথাক্রমে ৩০ ও ৫৯ (মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের যথাক্রমে ৩২ ও ৬০) বছর করা হয়েছিল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য মতে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ুষ্কাল বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৭২.৩ বছর। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকের চাকরির অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর এবং সুপ্রীমকোর্টের বিচারকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৭ বছর। বিগত এবং বর্তমান সময়ে যে সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের অনেকের বয়স ৬৭ বছরের বেশি।

চাকরিতে প্রবেশের বয়স নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানদণ্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বিশ্বের ১৬২টি দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর, কোনো কোনো দেশে আবার এটি উন্মুক্ত। সেই সঙ্গে অবসরের বয়সসীমা বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ভেদে ৬৫ থেকে ৬৭ বছর এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৭২ বছর। সরকারি চাকরিতে প্রবেশ এবং অবসরে যাওয়ার বয়স বাড়ানোর বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে চাকরি প্রত্যাশী এবং চাকরিরতদের পক্ষে আন্দোলন ও দাবি উত্থাপিত হয়েছে।

বিগত ১৫ বছরের সরকারের জাঁতাকলে পড়ে বিভিন্নভাবে নিপীড়িত, বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার হয়ে সৎ ও যোগ্য কর্মকর্তারা সময়মতো পদোন্নতি ও উপযুক্ত পদে পদায়ন না হওয়ায় সরকারি কাজে তারা তাদের প্রকৃত মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হননি। 

এতে আরও বলা হয়, উপযুক্ত বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে মেধাভিত্তিক নতুন প্রজন্মের চাহিদাভিত্তিক কাঙ্ক্ষিত সংস্কারমুখী পুনর্গঠিত দেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের সময়সীমা যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৫ বছর করার জন্য অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বর্তমান সরকারের প্রতি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।


আরও খবর



বাগেরহাটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাট জেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বাগেরহাট সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সাত পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও বরিশাল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আব্দুল কাইয়ুম মোল্লা।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা: খালিদ হোসেন, পুলিশ সুপার মো: তৌহিদুল আরিফসহ সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, র‌্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জিওসি বলেন, এখন থেকে সেনা, এমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ পৃথিবীতে আর একটিও নেই। যেখানে মুসলিম ধর্মের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা রাত জেগে হিন্দু ধর্মের মন্দির পাহারা দেয়। পুলিশ র‌্যাব যৌথ ভাবে পেট্রোল কার্যক্রম করবে। একটি সুন্দর দেশ গঠনে সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন। এখনই উপযুক্ত সময়, এখন প্রশাসনকে সহায়তা করলে পরবর্তিতে আমরা ভালো থাকবো।

এসময় ছাত্রদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, নিজেদের উজ্জল ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে হবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, বাগেরহাটে আন্দোলনে একটি পুলিশকে ফায়ার করতে হয়নি। বাগেরহাটে আমরা অনেক ভালো ছিলাম। এখনও ভালো আছি। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে কারো মধ্যে কোন দুরত্ব না থাকে, যেখানে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে শান্তিপূর্নভাবে বসবাস করতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: বাগেরহাট

আরও খবর



ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের নতুন পিপি এহসানুল হক সমাজী

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর এহসানুল হক সমাজী। তিনি পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবুর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সলিসিটর মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি জানা গেছে।

এহসানুল হক সমাজী ২০০৭-২০০৯ মেয়াদে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর এবং বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তার মেয়াদে তিনি রাষ্ট্র/প্রসিকিউশনের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ফৌজদারি আদালতে সমস্ত মামলা পরিচালনা করেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালের এলএলবি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালের ৩০ অক্টোবর একজন আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। ওই বছরের ৪ নভেম্বর তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৮৮ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯২ সালের ২১ জানুয়ারি তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন।

দীর্ঘ কর্মজীবনে বহু প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এহসানুল হক সমাজী। তিনি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পার্ট-টাইম ফ্যাকাল্টি ছিলেন এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত ট্রায়াল এবং অ্যাডভোকেসি দক্ষতা শেখান। এহসানুল হক সমাজী একজন স্বনামধন্য ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি বাংলাদেশের ফৌজদারি কার্যবিধির (CrPC) কোড, UNDP- Bangladesh-এর সংশোধনী সংক্রান্ত কাগজ তৈরির জন্য জাতীয় পরামর্শদাতা ছিলেন।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বিসিবির ৭ পরিচালকের সদস্য পদ বাতিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবার বোর্ড সভা ডেকেছেন ফারুক আহমেদ। তার সভাপতিত্বে হওয়া এই বোর্ড মিটিংয়ে সদস্যপদ হারাচ্ছেন ৭জন বোর্ড পরিচালক। বোর্ড মিটিংয়ের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৩টায় শুরু হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এ বোর্ড সভা। নতুন সভাপতি দায়িত্ব গ্রহণের পর বদলে যাচ্ছে বোর্ডের স্ট্যান্ডিং কমিটি। অর্থ, ক্রিকেট পরিচালনা, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, মার্কেটিং, গ্রাউন্ডস ও ফ্যাসিলিটিজ, গেম ডেভেলপমেন্ট, হাইপারফরম্যান্স ইউনিট, মিডিয়া বিভাগের কমিটিও পুনর্গঠন করা হচ্ছে।

তবে এই বোর্ড সভা থেকে সদস্যপদ হারাচ্ছেন ২ জুলাইয়ের বৈঠকে না থাকা ৭ পরিচালক। জানা গেছে, এনায়েত হোসেন সিরাজ, তানভীর আহমেদ টিটু, আনোয়ারুল ইসলাম, গাজী গোলাম মর্তুজা, মনজুর কাদের, নাজিব আহমেদ পর পর তিন মিটিংয়ে অংশ না নিয়ে বাদ পড়তেছেন। বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরপর তিনটি বৈঠকে না থাকায় বাদ পড়ছেন তারা।


আরও খবর
ভারত সফরের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি : বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত ‌অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত রয়েছে এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

রিটে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ কেন অসাংবিধানিক হবে না, এ মর্মে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে। অধস্তন আদালতের দায়িত্বপালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব হয়, এ কারণে এই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। রোববার সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারীরা হলেন, আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. আসাদ উদ্দিন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জহিরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শাইখ মাহাদী, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল এবং যায়েদ বিন আমজাদ।

রিটে আইন মন্ত্রণালায়ের লেজিসলেটিভ ও পার্লামেন্টারি এফেয়ার্স বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়।

আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির রিট মামলাটি দায়ের করেন। রিটে  ২০১৭ সালে প্রণীত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (ডিসিপ্লিনারি) রুলসের সাংবিধানিক বৈধতাকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়। আবেদনে একটি পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করতে আদালতের নির্দেশনা এবং মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পূর্বে সুপ্রিম কোর্টের ২০১২ সালের আদেশ প্রতিপালনে অগ্রগতি রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়।

রিট আবেদনে আরও বলা হয়, ১১৬ অনুচ্ছেদে অনুযায়ী অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির উপর ন্যন্ত রয়েছে। একই অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতি উক্ত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করবেন বলে উল্লেখ রয়েছে। মূলত রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের সরাসরি হস্তক্ষেপ দেখা যায়, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করে।

১৯৭২ সালের সংবিধানে অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলাবিধানের এই দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত ছিল। ১৯৭৪ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) শৃঙ্খলাবিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত করা হয়। পরবর্তীতে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে এবং সুপ্রিমকোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাহা প্রযুক্ত হইবে শব্দগুলো সন্নিবেশিত করা হয়। পরবর্তীতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ পঞ্চম সংশোধনী আইন অসাংবিধানিক মর্মে ঘোষণা করলে পঞ্চদশ সংশোধন আইন, ২০১১ এর মাধ্যমে ১১৬ অনুচ্ছেদের বর্তমান একই বিধানটি প্রতিস্থাপন করা হয়। বর্তমানে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে এই বিধানটিই বিদ্যমান রয়েছে।

রিট আবেদনে যেসব যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে

১. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। ১১৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে এই মৌলিক কাঠামো বিনষ্ট করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির বাস্তবায়ন কার্যত আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।

২. সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়েছে। পঞ্চম সংশোধনী অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীতে ১১৬ এর বিধান বহাল রাখা হয়েছে, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের পরিপন্থি।

৩. পৃথক সচিবালয় না থাকায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। অধস্তন আদালতের ওপর আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণের কারণে বিচার বিভাগের কর্মকর্তাগণ স্বাধীনভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারছেন না।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪