আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

পশ্চিমাঞ্চলের ১৪ হাজার টিকিট বিক্রি শেষ ৩ ঘণ্টায়

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে সকাল ৮টা থেকে। এসময় বিক্রি শুরু হয় পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট। আজ বিক্রি হচ্ছে ঈদ যাত্রার দ্বিতীয় দিনের (৪ এপ্রিল) টিকিট। সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলের ১৪ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি শুরু হবে দুপুর ২টায়।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার।

তিনি বলেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সকাল ১১টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের ট্রেনের ১৪ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। এই অঞ্চলের মোট আসন সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। এবার শতভাগ টিকিট অনলাইনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। কাউন্টার থেকে কোনো টিকিট প্রিন্ট করা হচ্ছে না। এবারে প্রথম ওটিপি সিস্টেম চালু করা হয়েছে টিকিট যার ভ্রমণ তার নিশ্চিত করতে।

আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখী মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গতকাল ২৪ মার্চ। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট এবার অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।

ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৬ মার্চ; ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৭ মার্চ; ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ; ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।


আরও খবর



মঙ্গলবার যে ২৭ জেলার সব স্কুল-কলেজ বন্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তাপপ্রবাহের কারণে আগামীকাল মঙ্গলবার দেশের ২৭টি জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ঢাকা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ, রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুর এবং বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে।

দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ছুটি বাড়ানো হয়। এতে আরও এক সপ্তাহ বন্ধ থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২৫ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে গতকাল রবিবার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথারীতি ক্লাস শুরুর কথা বলা হয়। সে অনুযায়ী গতকাল সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলে।

তাপপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় আজ দেশের ৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এই নির্দেশনার বাইরে ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়।


আরও খবর



বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ডালমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির বিষয়টি  নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্তারিত জানাতে পারব।

বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে নিয়ামতি ইউনিয়নের ডালমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে গৃহবধূ সোনিয়া বেগম (৩১), তার ৯ বছরের মেয়ে রেজমি আক্তার ও ৫ বছরের ছেলে সালমান মোল্লা নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



পদ্মায় গোসলে নেমে তিন কিশোরের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীতে পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহীর শ্যামপুর বালুর ঘাটে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় ওই তিন কিশোর। পরে বিকেল ৩টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তারা হলো রাজশাহী মহিতার থানা এলাকার রেন্টুর ছেলে মো. যুবরাজ (১২), মতিহার এলাকার নুর ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান (১২) ও একই এলাকার লিটনের ছেলে আরিফ (১৩)।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু শামা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দুপুর ১টার দিকে রাজশাহীর শ্যামপুর বালুর ঘাটে পদ্মায় গোসল করতে যায় বেশকিছু কিশোর। তাদের মধ্যে তিনজন পানিতে ডুবে যায়। পরে খবর পেয়ে ডুবুরিরা উদ্ধার তৎপরতা চালান। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রাজশাহী নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



মৌসুমের আগেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাধারণত বর্ষার ঠিক আগে আগে শুরু হয় ডেঙ্গুর প্রকোপ। বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে ডেঙ্গুর মৌসুম ধরা হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে সারা বছরই কম-বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২ জন। এ সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৭৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সামনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।  

ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত রোগ। এ রোগের ভাইরাসের একমাত্র বাহক স্ত্রী এডিস মশা। এ মশার মাধ্যমে ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমিত হলে ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এডিস মশা কামড়ালেও মশার মধ্যে ভাইরাস সংক্রমিত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত বাহক অন্য জায়গায় ভ্রমণের মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত ব্যক্তি যখন অন্য জায়গায় ভ্রমণ করেন, সেখানে তাকে এডিস মশা কামড়ালে সেই মশার ভেতরেও ডেঙ্গুর জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, আর সেসব মশা যাদের কামড়ায় তাদের ডেঙ্গুরোগ হতে পারে।

বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায় বলে এ সময় ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এমন ধারণা প্রচলিত থাকলেও বিগত কয়েক বছরে দেখা গেছে, উপযুক্ত পরিবেশ পেলে বছরের যেকোনও সময় এ মশার বংশবিস্তার ঘটে এবং ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৯ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে রোগী ছিল ১ হাজার ৫৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৩৯ জন এবং মার্চে ৩১১ জন। এপ্রিলের ৯ দিনে রোগী পাওয়া গেছে ৮৪ জন।

গত বছর এযাবৎকালের সর্বাধিক ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়। তবে তখন রোগী বেশি ছিল মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ বছর জানুয়ারিতেই হাজারের বেশি রোগী পাওয়া গেছে, যা আগে কখনও পাওয়া যায়নি। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে রোগী পাওয়া যায় ১২৬ জন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে রোগী ছিল ৩২ জন।

বিগত দিনগুলোর তুলনায় এ বছর মৃত্যুও বেড়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে মারা গেছেন ১৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে ৫ জন। গত বছরের জানুয়ারিতে মারা যান ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে কোনও মৃত্যু ছিল না। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কেউ মারা যায়নি। তার আগে ২০২১ সালেও এই সময়ের মধ্যে এই রোগে মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, কীটতত্ত্ববিদ ও চিকিৎসকরা বলছেন, এবারে পরিস্থিতি গতবারের চেয়ে নাজুক হতে পারে। সংক্রমণ ও মৃত্যু সেই পূর্বাভাস দিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, বিভাগীয় ও জেলা শহরে স্বাস্থ্য অবকাঠামো যথেষ্ট আছে। কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ে বেশি রোগী হলে তা সামলানো কঠিন হয়ে যাবে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক কীটতত্ত্ববিদ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বছরজুড়ে চালাতে হবে। গত বছর আমরা গ্রামাঞ্চলে রোগী পেতে শুরু করেছি। এ বছর এই পরিমাণটা আরও বাড়তে পারে। বাড়লে আমাদের চিকিৎসা সক্ষমতার ওপর অনেক চাপ পড়বে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. জি এম সাইফুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত আমরা দেখেছি, মার্চ-এপ্রিলে ডেঙ্গুরোগী পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের পর থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দুই-এক মাস বাদ দিয়ে প্রায় সব মাসেই ডেঙ্গুরোগী পাওয়া গেছে। ২০১৬ থেকে আজ পর্যন্ত প্রতি মাসেই একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী পাওয়া যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এডিস মশার উপদ্রব বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসা পরের কথা। চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার সেটা নিয়ে আমরা এরইমধ্যে একটা মিটিং করেছি। এখন আবার বসবো যেন চিকিৎসায় কোনও ঘাটতি না হয়।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখ : পথের বাঁকে বাঁকে নিরাপত্তার আঁচ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতেই শুরু হয়েছে বর্ষবরণ। এদিন ভোর থেকে রমনার বটমূল থেকে গান, কবিতায় বরণ করা শুরু হয় বাংলা নতুন বছর ১৪৩১।

এদিকে সকালে সোয়া ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে বেরোয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পথের বাঁকে বাঁকে নিরাপত্তার আঁচ তৈরি করেছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের প্রথম দিন সকালে রাজধানী শাহবাগ মোড়কে কেন্দ্র করে বাংলামোটর, মৎস ভবন মোড়, টিএসসি রোড এবং কাটাবনের দিকে যাওয়ার প্রতিটি প্রধান সড়কের বাইরে পাশের রোডগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ রোডগুলোতে দৃশ্যমান আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা দিতে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন। র‍্যাবকেও দৃশ্যমান টহল দিতে দেখা গেছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ শাহবাগ মোড়ে প্রায় শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তৈরি করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য বলেন, সার্বিক বিষয় নিরাপত্তা দিতেই বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার (১৩ এপ্রিল) রমনা বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতিসত্তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রকাশ। এ কারণে বার বার এ আয়োজনে আঘাত হানা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। তাই সবকিছু মাথায় রেখেই আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো হামলার শঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দিনটি সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় পালিত হবে। প্রধান অনুষ্ঠান ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা বটমূল, সংসদ ভবন এলাকা, হাতিরঝিল, রবীন্দ্র সরোবরসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ডিএমপির পক্ষ থেকে সব অনুষ্ঠান ঘিরেই ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

যেসব জায়গায় অনুষ্ঠান হবে সিসিটিভি দিয়ে পুরো এলাকার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া, ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোনের মাধ্যমে আশে-পাশের এলাকায় নজরদারি করা হবে। পুরো এলাকা এসবির ইক্যুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে, এরইমধ্যে এসব কাজ শুরু হয়েছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে।


আরও খবর