আজঃ সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে জড়িত পিএসসির এক ডজন রাঘববোয়াল

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নফাঁসে এর ভেতর এবং বাইরে এক ডজন রাঘববোয়াল জড়িত রয়েছেন। তাদের কয়েকজন গ্রেফতার হলেও অন্যরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। সন্দেহভাজন এসব রাঘববোয়ালের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং অতীত কর্মকাণ্ডের বিষয়াদি পর্যালোচনা করছে সিআইডিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক ইউনিট। তারা প্রশ্নফাঁস চক্রের মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে তদন্ত অব্যাহত রেখেছেন।

সূত্র জানিয়েছে, প্রশ্নফাঁস চক্রে জড়িতদের প্রায় প্রত্যেকেই কোটি কোটি টাকার মালিক। আলোচিত সাবেক গাড়িচালক আবেদসহ গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিআইডি।

সিআইডির একজন কর্মকর্তা বলেন, শুরু থেকেই মানুষের মাঝে একটা পারসেপশন ছিল বিসিএস এবং পিএসসির পরীক্ষাসমূহের সঙ্গে যুক্ত সবাই নীতিবান। যে কারণে এসব পরীক্ষায় কোনো দুর্নীতি হয় না, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় না। কিন্তু এক যুগ ধরে প্রশ্নফাঁসের যে অভিযোগ সামনে এসেছে-তা সত্যিই ভাবিয়ে তুলেছে। তিনি বলেন, এই চক্রকে নির্মূল করা না গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে রাষ্ট্র। তিনি জানান, পিএসসি আইনে মামলার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনেও মামলার প্রস্তুতি রয়েছে।

রেলওয়ের একটি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গত সোমবার পিএসসির ছয় কর্মকর্তা কর্মচারীসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে আলোচিত ড্রাইভার আবেদ আলীকে ১০ বছর আগে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী, ডেসপাস রাইটার খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলামসহ ছয়জন দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা গত এক যুগ ধরে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) পিএসসির আরও কয়েকটি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করার কথা স্বীকার করেন। গ্রেফতার পিএসসির কর্মকর্তাসহ যারা স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেননি তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করেছে সিআইডি। সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, তাদের আরেকবার রিমান্ডে পেলে ভেতরে বাইরে প্রশ্নফাঁস চক্রের যত রাঘববোয়াল আছে, তাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নফাঁসে জড়িত পিএসসির বিভিন্ন পর্যায়ের আরও পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম সামনে এসেছে। তারাও বিভিন্ন সময়ে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।

এদিকে মামলায় অভিযুক্ত সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়সহ ১৪ জনকে গ্রেফতারে সিআইডির অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এখনো তাদের গ্রেফতারের আওতায় আনা যায়নি। সূত্র জানিয়েছে, এই চক্রের সদস্য সংখ্যা ৬০ জনের অধিক। এর মধ্যে ডজনের অধিক রাঘববোয়াল। তাদের কেউ কেউ পিএসসিতে বহালতবিয়তে আছেন। আবার কেউ অবসরে গেছেন বা চাকরিচ্যুত হয়েছেন। আর চক্রের অন্য যারা আছেন, তারা মূলত কেউ প্রার্থী জোগাড় করেন, কেউবা দরদাম ঠিক করেন। কেউবা আবার পরীক্ষার্থীদের গোপন আস্তানায় নিয়ে পড়ান।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবিরকে রিমান্ডে পেলে প্রশ্নফাঁসে জড়িত অন্য রাঘববোয়ালদের নাম সামনে আসতে পারে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা বলেন, মামলা তদন্তাধীন। এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।

পিএসসির যুগ্ম সচিব আবদুল আলীম খান বলেন, আমরাও তদন্ত চলমান রেখেছি। সবাইকে সন্দেহের তালিকায় রেখেই আমরা কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। আশা করি তদন্ত প্রতিবেদনে ভালো কিছু দিতে পারব। তিনি বলেন, তদন্তকাজ আমরা স্বাধীনভাবেই চালিয়ে যাচ্ছি।

এদিকে গত মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলীসহ ছয়জন প্রশ্নফাঁস চক্রের অনেক তথ্যই ফাঁস করে দিয়েছেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে এসেছে রাঘববোয়াল অনেকের নামও। এসব তথ্য সামনে রেখে কাজ করছে সিআইডি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পিএসসিতে কর্মকর্তা পর্যায়ের কিছু লোক প্রশ্ন ফাঁস করতেন। আর তাদের সহযোগী হিসাবে কাজ করতেন কর্মচারীরা। চক্রে বাইরের যারা জড়িত তারা প্রার্থী সংগ্রহ, টাকার চুক্তিসহ বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। অডিটর প্রিয়নাথ রায় আবেদ আলীকে বিভিন্ন পরীক্ষার সাড়ে ৪০০ প্রার্থী জোগাড় করে দিয়েছেন বলে তিনি আদালতের কাছে স্বীকার করেছেন। এসব প্রার্থীর প্রত্যেকের সঙ্গে ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায় চুক্তি করেছেন প্রিয়নাথ। গ্রেফতার নোমান সিদ্দিকী লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার চর আলগি গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। ২০০৪ সালে পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন চাকরির তদবির করতেন তিনি। তখন এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয় অডিটর প্রিয়নাথ রায়ের সঙ্গে। এরপর ফাঁস হওয়া প্রশ্ন বিক্রি করে নোমান ঢাকার পাশেই একটি গার্মেন্টস কারখানার মালিক হয়েছেন। এছাড়া তার রয়েছে প্লট, ফ্ল্যাটসহ বিপুল সম্পদ।

পিএসসির অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলামের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল পানির ফিল্টার ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেনের। সাজেদুলের প্ররোচনায় সাখাওয়াত ও তার ভাই সায়েম হোসেন এই চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ৪৬ জন চাকরিপ্রত্যাশীকে সাখাওয়াতের গুদামে নিয়ে ফাঁস করা রেলওয়ের প্রশ্ন পড়ানো হয়।

আর সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী তো প্রশ্ন ফাঁস করে বনে গেছেন শতকোটি টাকার মালিক। প্রশ্নফাঁসে গ্রেফতার পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফরের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপার কলাগাছিয়ায়।

আবু জাফর বেশ কয়েক বছর ধরে স্ত্রী জ্যোতির নামে মালিবাগের চৌধুরী পাড়ায় একটি কোচিং সেন্টার চালাচ্ছেন। যেখানে সরকারি চাকরিপ্রত্যাশীরা কোচিং করতেন।

উল্লেখ্য, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গত ৮ জুলাই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আবেদ আলীসহ মোট ১৭ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ওই রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে সিআইডির এসআই নিপ্পন চন্দ্র চন্দ মামলা করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।


আরও খবর



মহানায়ক উত্তম কুমারের জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

পৃথিবীতে না থেকেও যে জনপ্রিয়তা ধরে রাখা যায়, তার বড় প্রমাণ কিংবদন্তি অভিনেতা উত্তম কুমার। দর্শকদের মনে জায়গা নিতে খুব একটা সময় লাগেনি তার। পঞ্চাশ দশক থেকে এখন পর্যন্ত নিজের অভিনয়শৈলীতে মুগ্ধ করে রেখেছেন দুই বাংলার দর্শকদের। বেঁচে না থেকেও যেন আজও সবার কাছে জীবন্ত। একের পর এক সিনেমা দিয়ে হৃদয় ছুঁয়ে গেছেন দর্শকদের। সিনেমাপ্রেমীরাও উত্তম কুমারের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে বার বার প্রেমে পড়েছেন তার।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) প্রয়াত এই মহানায়কের জন্মদিন। ১৯২৬ সালের আজকের দিনেই পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন উত্তম কুমার। বেঁচে থাকলে আজ ৯৮ বছরে পা রাখতেন তিনি।

প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা সিনেমায় কাজ করেছেন উত্তম কুমার। তিনি একাধারে অভিনেতা, চিত্রপ্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সংগীত পরিচালক ও গায়ক। অভিনয় জগতে মহানায়ক আখ্যা দেওয়া হয় তাকে। উত্তম কুমার ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল এবং জনপ্রিয় অভিনেতা। অভিনয় জীবনে অসংখ্য বাণিজ‍্যিক সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদেরও তুমুল প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।

১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার ভবানীপুরে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন উত্তম কুমার। তার আসল নাম ছিল অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু চলচ্চিত্র জগতে এসে নিজের নাম পাল্টে রাখেন উত্তম কুমার। তার বাবা সাতকড়ি চট্টোপাধ্যায় এবং মা চপলা দেবী। তারা তিন ভাই এক বোন ছিলেন। উত্তম কুমারের ছোটো ভাই তরুণ কুমারও বাংলা সিনেমার এক জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন। তার বাবা ছিলেন কলকাতার মেট্রো সিনেমা হলের একজন সাধারণ কর্মচারী।

পরিবারে আর্থিক সমস্যা থাকায় শিক্ষাজীবন শেষ না করেই কলকাতা পোর্টে কেরানির চাকরিতে জয়েন করে সংসারের হাল ধরেন তিনি। কিন্তু অভিনয়ের পোকাটা থেকেই গিয়েছিল এই নায়কের মাথায়। আর তাই তো নিজের স্বপ্ন পূরণে অনড় ছিলেন তিনি।

রুপালি পর্দায় উত্তম কুমারের যাত্রা শুরু হয় মায়াডোর নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। যদিও সিনেমাটি মুক্তি পায়নি। পরে ১৯৪৮ সালে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা হিসেবে দৃষ্টিদান চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেলেও আলোচনায় আসেনি সেটি। পরবর্তীতে বসু পরিবার সিনেমা দিয়ে খানিকটা পরিচিতি পান উত্তম কুমার। ১৯৫৩ সালে সাড়ে চুয়াত্তর সিনেমা দিয়ে রীতিমতো বাংলা চলচ্চিত্রে ঝড় তোলেন তিনি। এই সিনেমার মাধ্যমেই আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পান এই অভিনেতা। শুরু হয় উত্তম যুগ।

পঞ্চাশ থেকে ষাট দশকে হারানো সুর, পথে হল দেরী, সপ্তপদী, চাওয়া পাওয়া, বিপাশা, জীবন তৃষ্ণা আর সাগরিকা-এর মতো কালজয়ী সব সিনেমার পরিচিত ও কাঙ্ক্ষিত মুখ হয়ে ওঠেন উত্তম। সুচিত্রা সেনের সঙ্গে তার জুটি ছিল তুমুল জনপ্রিয়। একাধিক সিনেমার জন্য এ জুটি কালজয়ী হয়ে আছে। এই জুটির ৩০টি সিনেমার মধ্যে ২৯টিই ছিল ব্লকবাস্টার হিট।

বাংলা সিনেমা ছাড়াও বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন উত্তম কুমার। তার অভিনীত হিন্দি চলচ্চিত্রের মধ্যে ছোটিসি মুলাকাত, অমানুষ, আনন্দ আশ্রম প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। ক্যারিয়ারে অভিনয়ের জন্য ১৯৬৭ সালে অ্যান্টনি ফিরিঙ্গিচিড়িয়াখানা সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছিলেন।

১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই মাত্র ৫৪ বছর বয়সে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান উত্তম কুমার। পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেওয়ার পরেও আজও মহানায়ক হয়েই রয়ে গেছেন সিনেমাপ্রেমীদের মনে। বাংলা চলচ্চিত্র যতো দিন আছে, ততোদিন উত্তম কুমার নামটিও অমর হয়ে থাকবে সবার মাঝে।


আরও খবর
সৌদির সিনেমা হলে ছয় মাসে আয় ১৩শ কোটি

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সিলেটে সাংবাদিকদের সাথে ছাত্রশিবিরের মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে সিলেটে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ রিচমন্ড হোটেলের মিলনায়তনে মহানগর ছাত্রশিবির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য শরীফ মাহমুদের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মহানগর শাখার প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক নাঈম হোসাইনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুর রহিম।

মতবিনিময় সভা কুরআন তিলাওয়াত এর মাধ্যমে শুরু হয়, পরবর্তীতে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করা হয়। ইসলামী সংগীতের পর শিবিরের সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন ক্যাম্পাসের সভাপতি ও নগরীর নেতৃবৃন্দরা তাদের পরিচয় পর্ব প্রদান করেন।

অনুষ্টানে সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি শরীফ মাহমুদ বলেন, আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মান করতে চাই, যেই বাংলাদেশে কোন বৈষম্য থাকবে না। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহা মর্যাদাপূর্ণ পেশা, এবং আল্লাহ প্রদত্ত আমানত। জাতির সামনে সব সময় সুন্দর ও সত্য সংবাদ প্রচার করে আপনারা সেই আমানত রক্ষা করবেন ছাত্রশিবির সেই প্রত্যাশা করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বলেন, জাতিকে সত্য জানানোর যে সুযোগ আল্লাহ দিয়েছেন তা সৎ সাহস নিয়ে জাতির সামনে উপস্থাপন করা। তিনি তার বক্তব্য আরো বলেন, সাংবাদিকদের যদি স্বাধীন সংবাদ প্রকাশে হেনেস্তা করা হয় তাহলে ছাত্রশিবির ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে তার প্রতিরোধ করবে। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ও সাংবাদিকদের পরামর্শ গ্রহণ করেন নেতৃবৃন্দ।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির সভাপতি জহির উদ্দীন শিপন, সিলেট জেলা পূর্বের সভাপতি মারুফ আহমদ, জেলা পশ্চিম সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সিলেট মহানগর সেক্রেটারি শাহিন আহমদসহ সিলেট মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ।

উক্ত মতবিনিময়ে সিলেট প্রেসক্লাব, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব ও অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন গণ্যমান্য সাংবাদিক ব্যক্তিত্বসহ প্রায় শতাধিক সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সাবেক সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাঁদাবাজি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১।

র‍্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাজহারুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-এমপি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ দেশ ছাড়তে পারলেও অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন।

হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর গত ১৩ আগস্ট সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর একে একে সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, ১৪-দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক সংসদ সদস্য টিপু মুনশি, হাজী সেলিমসহ আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


আরও খবর



তৌফিক-ই-ইলাহী ৪ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে মো. সুমন শিকদারকে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহীর ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসএম) রেজাউল আলম তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, গ্রেপ্তার আসামি ড. তৌফিক- ই-ইলাহী চৌধুরী ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার তথ্য পাওয়ায় ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণও পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে আরো ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও পলাতক আসামিদের পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তাকে ১০ দিনের পুলিশি রিমান্ড একান্ত প্রয়োজন।

এর আগে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর গুলশান থেকে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৭ জুলাই বাড্ডার প্রগতি স্মরণীতে গুলিতে নিহত হন সুমন সিকদার। এ ঘটনায় সুমনের মা মোসাম্মত মাছুমা ২০ আগস্ট বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান করে ১৭৯ জনকে আসামি করেন। ওই মামলায় ড. তৌফিক- ই-ইলাহী চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।


আরও খবর
আদালতে আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী

সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. ইলিয়াস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

চট্টগ্রামের সদ্য সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের উপপরিচালক হিসেবে পদায়ন দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বদলির আদেশে তাকে ওএসডি করে সংযুক্ত করা হয় শ্রীনগরের ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে (আইএইচটি)।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু রায়হান দোলনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে নতুন আদেশ দেওয়া হয়। এতে চমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমাকে চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

একই আদেশে চট্টগ্রামের সদ্য সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের উপপরিচালক হিসেবে পদায়ন দেওয়া হয়েছে।

গত ৩ সেপ্টেম্বরের প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রামের নতুন সিভিল সার্জন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) সহকারী পরিচালক ডা. জাহাঙ্গীর আলম।

উল্লেখ্য, ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন হিসেবে নিয়োগ পান। প্রায় ৩ বছর এ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এর আগে তিনি ঢাকার বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিকের সিভিল সার্জন পদে দায়িত্ব পালন করেন।

আরও খবর