আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

প্রশ্নফাঁস নিয়ে প্রতারক চক্র গুজব ছড়াচ্ছে: ঢাবি উপাচার্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, তিনদিন ধরে অনলাইন মাধ্যমে একদল প্রতারক চক্র ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রতারিত করার চেষ্টা করছে। বাস্তবে কোনো প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। এই চক্রের মূল কাজ হলো আমাদের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবক যারা এ সম্পর্কে জানেন না, তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। এজন্যই তারা প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়াচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, প্রতারক চক্রটি সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতানোর চেষ্টা করছে। আপনাদের অনেক সাংবাদিকও তাদের সাথে কথা বলেছেন। সেই চক্রটি প্রশ্নের বিনিময়ে আপনাদের কাছ থেকেও অগ্রিম টাকা চাচ্ছে। এ পর্যন্ত এই চক্রের হাতে প্রতারিত হওয়ার কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। আমরা সংবাদ মাধ্যমগুলোতে সবাইকে এই প্রতারক চক্র থেকে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথেও আমাদের কথা হয়েছে। আমরা আশা করি, খুব দ্রুত চক্রটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হবে।

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের সমন্বয়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান আমার সাথে এবং দুইজন উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, পরীক্ষা উপদেষ্টা ও প্রক্টরিয়াল টিমের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। আমরা সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকছি যেন প্রতারক চক্রটি এবারের ভর্তি পরীক্ষাকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করতে না পারে।

তিনি আরও বলেন, পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। বেলা ১১টায় ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে একযোগে পরীক্ষা হয়েছে। গতকাল রাত ও আজ সকালে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ভর্তি কমিটির সংশ্লিষ্টদের সাথে আমার কথা হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




মোংলা বন্দরে এ মাসে ভিড়ল ৮টি কন্টেইনারবাহী জাহাজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

মার্কস লাইনের ১৮৬ মিটারের লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী মার্কস হাই পং কন্টেইনারবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরের ৯ নং জেটিতে আগমনের মধ্য দিয়ে করোনা মহামারি পরবর্তী মোংলা বন্দরের জেটিতে এক মাসে সর্বোচ্চ ৮ টি কন্টেইনারবাহী বাণিজ্য জাহাজ আগমনের রেকর্ড করে।

এ সময়ে জাহাজে ১৮৭৫ টিইইউজ কন্টেইনারজাত মালামাল আমদানি-রপ্তানি করা হয়।

এ সকল বাণিজ্যিক জাহাজের মাধ্যমে ফেবরিকস, মেশিনারি, আপেল, ট্রাই সাইকেলপার্টস, ইলেকট্রিক্যাল গুডস, হোয়াইট ক্লিংকার, ফার্টিলাইজার, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, কপার ক্যাথোডস ইত্যাদি আমদানি এবং জুট, জুট গুডস, সিরিমপস, কার্বস, হোয়াইট ফিস, ক্লে টাইলস, ড্রাইড ফিস, মেশিনারি, গার্মেন্টস প্রোডাক্টস, কটন ইয়ার্ন ইত্যাদি রপ্তানি করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) মোংলা বন্দরের পি.পি জেটি নং-৭ এ সিংগাপুর পতাকাবাহী কোটা টেনেগা এবং এমভি কোটা রানচাক, এমভি মার্কস ভিলাডিভসটক, এমভি মার্কস কুইনজু, এমভি মার্কস চট্টগ্রাম, এমভি মার্কস ঢাকা বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে নোঙর করে। বর্তমানে বন্দর জেটিতে গড়ে প্রতি সপ্তাহে ২ টি করে কন্টেইনার জাহাজ আগমন করছে।

শিপিং এজেন্ট, মোংলা কাস্টমস এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন, চেম্বার অব কমার্স খুলনা ও বাগেরহাট, আমদানি-রপ্তানিকারক ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে ধারাবাহিকভাবে মিটিং ও সমন্বয়সহ বন্দরে আধুনিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট সংযোজনের ফলে জেটি থেকে দ্রুততার সাথে স্বল্প সময়ের মধ্যে কন্টেইনার খালাস বোঝাই সম্ভব হচ্ছে।

একই সাথে গিয়ারলেস জাহাজ হ্যান্ডলিং এর সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কন্টেইনারবাহী সমুদ্রগামী জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে বন্দর ব্যবহারকারীদের মোংলা বন্দরের প্রতি আস্থা বাড়ার পাশাপাশি তাদের সময় এবং অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে মোংলা বন্দর বদ্ধ পরিকর। বন্দরকে আধুনিক ও বিশ্বমানের স্মার্ট বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিক-মাধ্যমিকে অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।

তবে তাপপ্রবাহ না কমায় এ ছুটি বাড়ছে নাকি ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। অভিভাবকদের একটি অংশ এবং অভিভাবক ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন অনলাইনে ক্লাস চালু রাখার দাবি তুলেছে। অনেকে আবার আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবছে শিক্ষা প্রশাসন? এমন প্রশ্নের অবশ্য সরাসরি জবাব মেলেনি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া এবং বিকল্প উপায় নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালানোর কথা জানিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারককারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা।

শিক্ষা প্রশাসন বলছে, তীব্র গরমে ছুটি বাড়ানো কিংবা অনলাইনে ক্লাস নেওয়া নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী বিদেশ সফরে থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এ নিয়ে আলোচনা করেনি। আলোচনা চললেও প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও।

তবে মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদরাসা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে অনলাইনে ক্লাস চালুর বিষয়ে জোর আলোচনা রয়েছে। হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে ক্লাস চালু করতেও মত দিচ্ছেন অনেকে। পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্টসহ ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা করতে পারেএমন কাজ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন তারা।

তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে শিশু শিক্ষার্থীরা। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা বা খোলা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াত।

তিনি বলেন, ছুটি বাড়ানো, ক্লাস কমিয়ে হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে নেওয়া কিংবা অনলাইনে ক্লাস চালু করাসব বিষয় সামনে রেখেই আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। যে সিদ্ধান্তই আসুক, তা শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক হবে। নেতিবাচক সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না।

অন্যদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি আর বাড়ছে না বলেই জানিয়েছেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাপপ্রবাহ যদি না কমে, সেক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাস চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে। শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে অ্যাকটিভ (সক্রিয়) রাখার জন্যও শিক্ষকদের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। আলাপ-আলোচনা চলছে। ক্লাস একেবারে বন্ধ রাখার চেয়ে অনলাইন ক্লাস কিংবা বাড়ির কাজ (অ্যাসাইনমেন্ট) দিয়ে শিক্ষার্থীদের কীভাবে পড়ালেখার মধ্যে রাখা যায় সেটা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তবে কোনো ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




বৃষ্টির পরও ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যে কিছুটা কমেছে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হয়। এরপর তাপমাত্রা কমলেও বায়দূষণ কমেনি।

শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। এদিন ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৮৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি; ২২০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৯৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু। এ ছাড়া ১৬২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু, রেললাইন অবরোধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার রসুলপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর প্রায় এক ঘণ্টা রেললাইন অবরোধ করে রাখে স্কুলের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১টার দিকে রসুলপুর স্টেশনের অদূরে মাজার গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। অবরোধের কারণে রসুলপুর স্টেশনে আটকে যায় চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেন।  নিহত শিক্ষার্থী মিম আক্তার রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, স্কুলে যাওয়ার সময় মাজার গেট দিয়ে রেললাইন পার হচ্ছিল শিক্ষার্থী মিম। ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ও কক্সবাজারগামী পর্যটন এক্সপ্রেস একসঙ্গে ক্রস করছিল। ওই শিক্ষার্থী একপাশের ট্রেন দেখলেও অপরপাশের ট্রেন না দেখায় কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ঘটনার পরপর রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।

কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোস্তফা কামাল বলেন, দুর্ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ ভাঙা হয়েছে। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে। মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



প্রথম ধাপে কাল যেসব উপজেলায় নির্বাচন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চার ধাপে ৪৮১ উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপে ২৫ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮১টির ভোটের তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। এতে প্রথম ধাপে ১৫৩টি, দ্বিতীয় ধাপে ১৬৫টি, তৃতীয় ধাপে ১১১টি এবং শেষ ধাপে ৫২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথম ধাপে যে ১৫৩ উপজেলায় ভোট হবে তার মধ্যে রয়েছে রাজশাহী অঞ্চলের জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, কালাই ও আক্কেলপুর; বগুড়ার সারিয়াকান্দা, সোনাতলা ও গাবতলী; চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট; নওগাঁর ধামইরহাট, পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও বদলগাছী; রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর; নাটোরের নাটোর সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া; সিরাজগঞ্জের সদর, কাজিপুর ও বেলকুচি; পাবনার সাঁথিয়া, সুজানগর ও বেড়া।

রংপুর অঞ্চল : পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোরিয়া; ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর; নীলফামারীর ডোমার ও ডিমলা; দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর ও বিরামপুর; লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা; রংপুরের কাউনিয়া ও পীরগাছা; কুড়িগ্রামের রৌমারী, চররাজিবপুর ও চিলমারী; গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি।

খুলনা অঞ্চল : মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর; কুষ্টিয়ার খোকসা, কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালী; চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও দামুড়হুদা; ঝিনাইদহের সদর ও কালীগঞ্জ; যশোরের মনিরামপুর ও কেশবপুর; মাগুরার সদর ও শ্রীপুর; নড়াইলের কালিয়া; বাগেরহাটের সদর, রামপাল ও কচুয়া; সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর।

বরিশাল অঞ্চল : বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও ভাণ্ডারিয়া।

ঢাকা অঞ্চল : ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ; গোপালগঞ্জের গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া; নারায়ণগঞ্জের সদর ও বন্দর; গাজীপুরের সদর, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া; রাজবাড়ীর কালুখালী ও পাংশা; মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও হরিরামপুর; ফরিদপুরের চরভদ্রাসন, মধুখালী ও ফরিদপুর সদর; মাদারীপুরের সদর, শিবচর ও রাজৈর; শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ; নরসিংদীর সদর ও পলাশ; টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর; মুন্সীগঞ্জের সদর ও গজারিয়া; কিশোরগঞ্জের সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া।

ময়মনসিংহ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর; জামালপুরের সদর ও সরিষাবাড়ী; শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী; নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা।

সিলেট অঞ্চল : সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা; সিলেটের সদর, বিশ্বনাথ, গোলাপগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা; মৌলভীবাজারের জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা; হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং।

কুমিল্লা অঞ্চল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, সরাইল; কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ, লাকসাম, লাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম; চাঁদপুরের মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর; ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী; নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়া; লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর।

চট্টগ্রাম অঞ্চল : চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুন্ডু ও সন্দ্বীপ; কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, কক্সবাজার সদর ও মহেশখালী; খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, রামগড়, গুইমারা, মাটিরাঙা; রাঙামাটির সদর, কাউখালী, জুরাছড়ি ও বরকল; বান্দরবানের সদর, রোয়াংছড়ি, থানচি ও আলীকদম।

এদিকে প্রথম ধাপ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটকেন্দ্র ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটদানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ১৩ জন বা ততোধিক আনসার ও ভিডিপি সদস্য সোমবার থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে একজন প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) ও দুজন সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) এর নেতৃত্বে ৬ পুরুষ ও ৪ নারী আনসার-ভিডিপি সদস্য রয়েছেন। কোনো কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৬টির বেশি হলে বুথ প্রতি অতিরিক্ত আরও একজন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পিসি ও এপিসি তিনজন অস্ত্রসহ এবং আনসার-ভিডিপি সদস্য-সদস্যরা অস্ত্রবিহীন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।


আরও খবর