আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

কিশোরীকে জুতাপেটা করলেন প্রেমিকের মা-ভাই, লজ্জায় আত্মহত্যা!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শরীয়তপুরে প্রেমিকের মা ও বড়ভাইয়ের করা অপমান সহ্য করতে না পেরে শরীয়তপুরে এক স্কুলছাত্রী (১৫) আত্মহত্যা করেছে। তার নাম সুরুভী আক্তার।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। সুরুভী স্থানীয় সুবচনী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি ছিল। সে লক্ষ্মীপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর ওঝার মেয়ে।

স্থানীয় সূত্র ও সুরভীর মা ডলি বেগম জানান, সুরুভী আক্তারের সঙ্গে সোনামুখী গ্রামের মৃত মজিদ তালুকদারের ছেলে ও একই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র আল-আমিনের  প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি বিষয়টি আল-আমিনের পরিবার জানলে তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। তবে সুরুভীর পরিবার বিষয়টি জানতো না।

বৃহম্পতিবার সকালে আল-আমিনের মা পারভিন বেগম ও বড়ভাই সেনাবাহিনীর সদস্য পারভেজ তালুকদার স্কুলে গিয়ে সুরভীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জুতাপেটা করে। পরে অসুস্থতার কথা বলে ছুটি চাইলে সুরভীকে স্কুলের দপ্তরি বাড়ি পৌঁছে দেন। এরপর সুরভী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনার পর আল-আমিনের বাড়ির সবাই পলাতক রয়েছেন।

সুরভীর মা ডলি বেগম বলেন, আল-আমিনের মা পারভীন আমার মেয়েকে জুতা পেটা করেছে। ওর বড় ভাই পারভেজ তালুকদার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমার মেয়ে সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে মনের কষ্টে আত্মহত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে সুবচনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন, ওই ছাত্রী শরীর অসুস্থ বলায় আমি দপ্তরিকে দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। পরে তার মৃত্যুর খবর পাই, বিষয়টি দুঃখজনক।

আর পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনা মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।

নিউজ ট্যাগ: আত্মহত্যা

আরও খবর



মির্জা ফখরুলের এলাকায় ভোটার আনতে মরিয়া আ.লীগ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

আর মাত্র তিনদিন পরেই ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট। শেষ সময়ে রাত-দিন এক করে প্রার্থীরা ভাগ্য নির্ধারকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। দিচ্ছে উন্নয়নের নানান ফর্মুলা। তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নির্বাচনি এলাকা ঠাকুরগাঁও। কিন্তু জনপ্রিয়তায় তিনিও শীর্ষে রয়েছেন। ঘরে বসে নেই স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে ভোট বর্জন লিফলেট বিতরণসহ কেন্দ্রে আসতে মানা করছেন। শুনাচ্ছেন সরকারের নানান অনিয়মের গল্প।

গেল বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর উপজেলায় ভোট কেন্দ্রেগুলোতে তেমন একটা ভোটারের দেখা মেলেনি। একটি পৌরসভা ও ২২ ইউনিয়ন নিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা গঠিত। এ উপজেলায় বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের কোনো প্রার্থী নির্বাচনে অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগ থেকে চারজন প্রার্থী নির্বাচনি মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন।

চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো (আনারস), সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার (মোরটসাইকেলর), সহ-সভাপতি রওশনুল হক তুষার (ঘোড়া) ও সাবেক ছাত্র নেতা কামরুল হাসান (কাপ-পিরিচ) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও প্রচারণায় এগিয়ে আছেন অরুনাংশু দত্ত টিটো ও মোশারুল ইসলাম।

ভোট নিয়ে কথা হয় কৃষক মকবুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, উপজেলার ভোট হবে মঙ্গলবার (২১ মে)। এবার ভোট দিবা যাবার আগ্রহই নাই। আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ ভোট করছে, এখানে তো বিএনপি নাই। ওরা ওরাই তো, ভোট দিলেও চেয়ারম্যান হবে, না দিলেও চেয়ারম্যান হবে। কাজ কাম ফালায় তাই ভোট দিতে যাব না। পাশ থেকে আরেক ভোটার বলেন, আগে ভোট আসলে এলাকায় পোস্টার আর মিটিং মিছিলে থাকা যাইত না। এখন শুধু মাঝে মাঝে প্রার্থীদের হালকা মাইকিং শুনি। তেমন মিটিং নাই। এইভাবে মানুষের মধ্যে ভোটের আগ্রহ হারায় গেছে। চারজন প্রার্থী সব এক দলের তারাই তো হবে।

ভোটার কালাম, হাসান, আবুল ও মুনসুর বলেন, দুজন ভোটার কয়েকদিন আগে আসে ভোট চাইছে। ফের দুই দিন আগে বিএনপির কয়েকজন আসে ভোট বর্জনের কাগজ দিয়ে গেছে। আগের মতো আর ভোটা দেওয়ার আগ্রহ নাই। বিরোধী দল থাকলে খেলা জমত। এক দলের লোক তাই ভোটের খেলা জমে না।

ভোটার আসা নিয়ে কথা হয় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে। আনারস মার্কার প্রার্থী অরুণাংশ দত্ত টিটো বলেন, আমি প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছি। সরকার উন্নয়নের কথা তুলে ধরছি। যাতে তারা এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ভোট দিতে আসে এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে।

মোটরসাইকেল মার্কার প্রার্থী মোশারুল ইসলাম সরকার বলেন, গণতন্ত্র মেনে ভোট হচ্ছে। সরকারে উন্নয়ন তুলে ধরছি এবং উন্নয়নের ধারা যাতে অব্যাহত থাকে তাই তাদের ভোট দিতে আসতে বলছি। আমার বিশ্বাস ভোটাররা আসবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করবে।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে সদর উপজেলা রুহিয়ায় এক নির্বাচনি প্রচারণায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল হাসান খোকন ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি অনেক কম, সাড়া নেই। মানুষকে টেনে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যায় না। কারণ ভোটের উপর যে মানুষের বিশ্বাস তা উঠে গেছে। আজ ভোটের প্রতি মানুষের বিশ্বাস নেই। সারাদিনে ভোট পড়ছে ২০০, অথচ গণনার সময় দেখা যাচ্ছে ভোট পড়ছে ৩ হাজার। প্রিজাইডিং অফিসাররা রাতেই ব্যালট দিয়ে বাক্স ভরায় রাখে।

তার মন্তব্যে আলোচনাও সমালোচনার ঝড় বইছে দলও দলের বাইরে। অপরদিকে ভোটের মাঠে বাড়াবাড়ি করলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনকে বিতাড়িত করার হুমকি দেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। এনিয়ে নির্বাচনি মাঠ আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

কথা হয় জেলা বিএনপি মহিলা দলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্যারিস এর সঙ্গে। তিনি জানান, ঠাকুরগাঁও হলো বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বাড়ি। এ জেলার মহাসচিবের জনপ্রিয়তা আকশচুম্বী। জনগণ একতরফা ভোট বর্জন করছে এবং দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনায় মহিলাদলের নেত্রীরা ভোট বর্জন ও ভোটারদের আসতে মানা করছে। মানুষের এখন ভোটের প্রতি তেমন কোনো আগ্রহ নেই।

এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৭৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯০৩, নারী ২ লাখ ৪২ হাজার ২৬৮ ও তৃতীয় লিঙ্গের ৪ জন। ১৮৫টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (২১ মে) এ উপজেলায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



নীতি সুদহার বাড়িয়ে ৮.৫ শতাংশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতি সুদহার (পলিসি রেট) ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আগামীকাল থেকে নতুন সুদের হার কার্যকর হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক নীতি অনুসরণ করছে। এ নিয়ে ২০২২ সালের মে মাস থেকে বেশ কয়েকবার নীতি সুদহার বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এছাড়া স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।

আজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

চাকুরীবিধি বৈষম্য, সাময়িক বহিস্কৃত কর্মকর্তাদের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার, চাকরি নিয়মিতকরণসহ কয়েক দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রোববার সকালে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে তারা কর্মবিরতি শুরু করেন।

সে সময় ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম মোস্তাক আহম্মেদ, হাবিবুর রহমান, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম, লাইন ক্রু লেভেল ওয়ান জামিরুল ইসলামহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

কর্মবিরতি চলাকালে বক্তারা বলেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুই রকম নীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবী, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই তাদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়নের চেষ্টা করে আসছেন।

কিন্তু সমিতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) তাদের দাবি না মেনে বরং উল্টো প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত ভোলা পবিসের দু'জন এজিএমকে সাময়িক বরখাস্ত, দু'জন এজিএমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে অন্য পিবিএসে বদলী এবং সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর একজন ডিজিএম এবং একজন এজিএমকে বোর্ডে সংযুক্ত করে। এতে ৮০টি পবিসের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী ক্ষুব্ধ হয়। তবে আজ থেকে আন্দোলনে গেলেও জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে একজন করে জনবল কাজ করছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।


আরও খবর



দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে ফের ইলিশ ধরতে নদীতে নেমেছেন জেলেরা। এদিন মধ্যরাতে চাঁদপুরের চরভৈরবী থেকে ষাটনল পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় বিচরণ করছেন প্রায় অর্ধলক্ষাধিক জেলে। যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় এবার ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য অফিস।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই জেলেরা জাল, নৌকা ও ট্রলার নিয়ে ইলিশসহ অন্য মাছ শিকারে প্রস্তুতি নেন।

জেলা মৎস্য অফিস জানিয়েছে, এবার ৫৭৫টি অভিযান, ১২৮টি মোবাইল কোর্ট, ৩৩৪ জন জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রায় ৫৩ দশমিক ৯১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। এদিকে, ৩ দশমিক ৪১৬ মেট্রিক টন জাটকা আটক করে দুস্থ ও এতিমদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে। আর জরিমানা আদায় করা হয়েছে ছয় লাখ ৫০৫ টাকা।

নৌ পুলিশ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার সময় ১ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশ অভয়াশ্রমে অভিযান চালিয়ে ১৯ কোটি ১৩ লাখ মিটার অবৈধ জাল, ১৭ হাজার ৮১৯ কেজি মাছ, ২৪৪টি নৌকাসহ এক হাজার ১১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁদপুর জেলার নৌ থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ১৭০টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ২২৬ আসামিকে ৪৮টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ২১৩ জনকে ছয় লাখ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৫২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ৪০ কেজি করে চার কিস্তিতে মোট ১৬০ কেজি চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ফলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও জেলা টাস্কফোর্সের যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। তাছাড়া অসাধু জেলেদের আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এই নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ২০০৬ সাল থেকে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের বিস্তীর্ণ নদী সীমাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।


আরও খবর



রাঙ্গামাটিতে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের উদয়পুর ৯০ ডিগ্রি এলাকায় সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়োজিত একটি ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে ছয় শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আটজন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হতাহত শ্রমিকদের বাড়ি রংপুর অঞ্চলে। তারা উদয়পুর বাঘাইছড়ি সীমান্ত সড়কের ১৭ কিলোমিটার নামক স্থানে হারিজাপাড়া সেতু নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। কাজ শেষ হওয়ার কারণে বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কর্মস্থল থেকে ফিরছিলেন তারা।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা জানান, স্থানীয়ভাবে খবর নিয়ে যেটা জেনেছি যারা গাড়িতে ছিলেন সবাই সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়জিত শ্রমিক। এই সড়কে অনেক স্থানে উঁচু নিচু পাহাড় আছে। উদয়পুর সড়কের ৯০ ডিগ্রি নামক স্থানে গাড়ি নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কের কাজ শেষে খাগড়াছড়ির দিকে ফেরার পথে একটি ডাম্প ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। গাড়িটিতে মোট ১৭ জন শ্রমিক ছিলেন। যার মধ্যে ৬ শ্রমিক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। দুর্গম এলাকা হওয়ায় উদ্ধার কাজ কঠিন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।


আরও খবর