আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন: পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখান না, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পার্বত্য তিন জেলায় ১০ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পরিকল্পনা বিভাগে আরও ১ হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। তা অনুমোদিত হলে পার্বত্য অঞ্চলের অধিকাংশ বিদ্যুৎবিহিন এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।

 

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি নির্দেশ যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে, যার প্রমাণ দেশবাসী দেখতে পাচ্ছে। সবকিছুই দৃশ্যমান। আগামি নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করে পার্বত্য তিন জেলায় উন্নয়নের ধারাকে গতিশীল রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা চান পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

 

রাঙ্গামাটি জেলার সদর উপজেলাধীন বালুখালী ইউনিয়নের মরিশ্যা বিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে দুর্গম এলাকার ৬৩৯ সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সোলার হোম প্যানেল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এসব কথা বলেন।

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান নুরুল আলম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য-প্রশাসন ইফতেখার আহমেদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য-বাস্তবায়ন ও প্রকল্প পরিচালক মো. হারুন-অর-রশিদ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা বিনতে আমীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় বসবাসরত ৪০ হাজার অনগ্রসর দরিদ্র পরিবারের মাঝে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আজ ৬৩৯ পরিবারের ঘরে সৌর বিদ্যুতের আলো পৌঁছে যাবে। গতকাল কাপ্তাই উপজেলাধীন দুর্গম ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ১১৫টি পরিবার সোলার প্যানেলের আলো ভোগ করা শুরু করেছে। পার্বত্য অঞ্চলের ছেলে মেয়েরা যাতে আলো, বাতাস পায় সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

তিনি বলেন, সোলার প্যানেল বিদ্যুৎ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এর জন্য কাউকে কোনো টাকা পয়সা দিতে হবে না। তিনি এলাকাবাসী ও উপকারভোগীদের উদ্দেশে বলেন, যদি কেউ সোলার প্যানেল নিতে টাকা পয়সা চায়, তাহলে তাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবেন না হয়, আমাকে সরাসরি ফোন দিবেন।

 

পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, প্রথম পর্যায়ে বিদ্যুতের আলো বঞ্চিত ১১ হাজার পরিবারকে সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ ও স্থাপন করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৩১ হাজার সোলার হোম প্যানেল বিতরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৯ হাজার সোলার হোম সিস্টেম চলতি বছরের মধ্যে বিতরণ ও স্থাপন প্রদান কাজ শেষ হবে। মন্ত্রী বলেন, এই সোলার প্যানেল সঠিকভাবে ব্যবহার করলে অন্তত ২০ বছর পর্যন্ত প্রত্যেকটি পরিবার বিনামূল্যে বিদ্যুতের আলো, ফ্যান ও মোবাইল চার্জারের সুবিধা পাবেন। মন্ত্রী বলেন, উপকারভোগীদের সোলার প্যানেলের ব্যবহারবিধি ভালোভাবে জানার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী প্রত্যেক উপকারভোগীকে নগদ আরো ৬৫০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানান পার্বত্য মন্ত্রী।

 

মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি পার্বত্য শান্তি চুক্তির ইস্যু টেনে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো একটি গুলি খরচ না করে, হানাহানি না ঘটিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের বিরাজমান সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক ইস্যুতে সমাধান করেছেন। তিনি বলেন, অতীতের ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনামল, ২৩ বছরের পাকিস্তানের শাসনামল এবং বাংলাদেশের ৫১ বছরের শাসনামলে কোনো সরকারই মানুষের কল্যানের কথা চিন্তা করে নাই। সেইসময়ে বয়স্ক মানুষ, বিধবা, প্রতিবন্ধী সবই ছিল কিন্তু কোনো সরকারই ঐসমস্ত অসহায়, গরিব, দুঃখী মানুষকে কোনো প্রকার ভাতা বা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে নাই। কিন্তু  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই এসমস্ত গরিব, দুঃখী, অসহায় মানুষের জন্য বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতার ব্যবস্থা করেছেন।

 

সরকারের উন্নয়ন চিত্র জনগণের কাছে তুলে ধরে মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে পার্বত্য তিন জেলায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, খিয়াম, গীর্জা, মসজিদ, রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট, বিদ্যুৎ, মানুষের জীবন মান উন্নয়ন সব কিছু হয়েছে। মন্ত্রী বীর বাহাদুর দৃঢ়তার সাথে বলেন, এ সরকারের মেয়াদকালের মধ্যেই পার্বত্য অঞ্চলের ১৪৪টি বিদ্যালয়কে সরকারীকরণের আওতায় আনা হবে।

 

মন্ত্রী বীর বাহাদুর বালুখালী সোলার প্যানেল হোম সিস্টেম বিতরণ শেষে নানিয়ারচর উপজেলাধীন বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ এর সমাধীস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বীরশ্রেষ্ঠ শহীদের সমাধীস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। স্মৃতিস্তম্ভে দাঁড়িয়ে তিনি কিছু সময় নিরবতা পালন করেন এবং বীরশ্রেষ্ঠ শহীদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।


আরও খবর



আজ ঢাকায় কখন বৃষ্টি হবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের পর স্বস্তির বৃষ্টি দেখা দিয়েছে দেশের কয়েক জেলায়। আজ সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকাতেও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।

আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের ফলে সারা দেশে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী ৫ থেকে ৬ দিন দমকা হাওয়া, ঝোড়ো বাতাস ও বজ্র ঝড়সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর আবারও আসতে পারে তাপপ্রবাহ।


আরও খবর



শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

জুমার দিন বা শুক্রবার মুসলমানদের কাছে পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ দিন, সপ্তাহের ঈদের দিন। ইসলামে বিশেষ মর্যাদা রয়েছে এ দিনের। সব দিনের মধ্যে জুমাবারকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। কোরআন ও হাদিসে এ দিনের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার কথা উল্লেখ রয়েছে। জুমার দিনে অনেকেই বিভিন্ন আমল করার চেষ্টা করেন, শুধু আল্লাহকে খুশি করার জন্য।

রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন অন্য দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে মহান দিন। এমনকি এ দিন আল্লাহ তাআলার কাছে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর তথা ইসলামের দুই ঈদের দিন থেকেও মহান। (সুনানে ইবনে মাজা)

আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা)

জুমার দিন একজন মুসলমান বিশেষ চারটি আমলে ‍গুরুত্ব দিতে পারেন। আমলগুলো হলো

সূরা কাহাফ তিলাওয়াত:

জুমার দিনে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)।

হজরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম : ৮০৯, আবু দাউদ : ৪৩২৩)

হজরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে ৮ দিন পর্যন্ত সব ধরনের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকেও নিরাপদ থাকবে।

বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা:

জুমার দিনের ফজিলতপূর্ণ আরেকটি আমল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। রাসুল (সা.) বলেন, দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এ দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এ দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এ দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব তোমরা এ দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা, তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

তাড়াতাড়ি মসজিদে আগমন:

হজরত আউস ইবনে আউস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সা.-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করাবে (জুমার নামাজের পূর্বে স্ত্রী-সহবাস করে তাকেও গোসল করাবে) এবং নিজেও গোসল করবে অথবা উত্তমরূপে গোসল করবে। এরপর ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং (খুতবার সময়) কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপে একবছর নফল রোজা ও একবছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৫)

দোয়া করা:

জুমার দিনের দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। তাই এদিন আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করা জরুরি। হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুমার দিনে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর ক‍াছে যা চাই আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস : ১৩৮৯)


আরও খবর



ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ১১

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ১১ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে ঝালকাঠির গাবখান সেতুর ঢালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সিমেন্টবাহী একটি ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে চলে যায়। এতে ইজিবাইকের ৭ আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া ওই ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে একটি প্রাইভেট কার। যাতে শিশুসহ ৬ জন আরোহী ছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।

এ ঘটনায় হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরওএমও) ডা. মেহেদী হাসান সানি জানিয়েছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৬ জনের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, টোল প্লাজায় টাকা দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল ইজিবাইক, প্রাইভেট কারসহ একাধিক গাড়ি। সিমেন্টবাহী ট্রাকটি সামনে থাকা সব গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে প্রতিবন্ধক ভেঙে রাস্তার পাশে চলে যায়।


আরও খবর



৯ মাসে মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা

দৃঢ় নেতৃত্বে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে বিগত বছরগুলোর প্রতিকূলতা কাটিয়ে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। চলতি বছর ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যার প্রেক্ষিতে চলতি হিসাববছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটন হাই-টেকের মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা বা ২০৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ব্যাপক বৃদ্ধিসহ আর্থিক প্রায় সব সূচকেই উন্নতি হয়েছে।  

ওয়ালটন হাই-টেকের চলতি হিসাববছরের জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৮তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাববছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬২.৩৪ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৪৯.৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০৫ শতাংশ।

এদিকে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৪) ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ৪২১.৯৮ কোটি টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৩৫.৫৫ কোটি টাকা।

বিক্রয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কস্ট অব গুড্স সোল্ড উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির মোট মুনাফার শতকরা হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেকের। তাছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.১৭ টাকা; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮.২৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির এনএভিপিএস পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত দাঁড়িয়েছে ২৫৮.২২ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫৯.৬৮ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২২.৮৮ টাকা।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। প্রথম নয় মাসে বিক্রয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৬.১৪ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪.৭৯ শতাংশ।

এ ছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি ৩৯২.৭৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়ে মাত্র ৪১.৬০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এদিকে জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৩.০৭ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬০৪.৭৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া, শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন ২০২৪) কোম্পানির মুনাফা আরো দৃঢ় অবস্থানে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওয়ালটন ম্যানেজমেন্ট। 


আরও খবর



ইসরায়েল ‘সংশ্লিষ্ট’ জাহাজ জব্দ করল ইরান

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে হরমুজ প্রণালীর কাছে একটি কন্টেইনার জাহাজ জব্দ করেছে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, সিরিয়ার বিমান হামলায় দুই জেনারেলসহ সাত সদস্যকে হারানো এলিট ফোর্স ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জাহাজটি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা বলছে, জাহাজটিকে এখন আমাদের দেশের জলসীমার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পর্তুগালের পতাকাবাহী এমএসসি অ্যারিজ জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি বন্দর থেকে ভারতে রওনা হয়েছিল বলে জানা গেছে। জাহাজটি জোডিয়াক ম্যারিটাইম নামক প্রতিষ্ঠানের এমএসসি অ্যারিস। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইসরায়েলি ধনকুবের ইয়াল ওফার।

আজ বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) হাতে আসা জাহাজের ডেকের একটি ফুটেজে দেখা যায়, সেনারা হেলিকপ্টার থেকে জাহাজে নেমে আসছেন।

হেলিকপ্টারটি সোভিয়েতের নকশা করা এমআইএল এমআই-১৭ বলে মনে করা হচ্ছে, যা আইআরজিসির নৌবাহিনী পরিচালনা করে থাকে।

যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ থেকে ৯২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি নৌপথ থেকে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জাহাজটি জব্দ করেছে।

গত নভেম্বরের শেষের দিকে ভারত মহাসাগরে ড্রোন হামলায় ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট আরেকটি কন্টেইনার জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জন্য ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র।


আরও খবর