আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আমেরিকান ক্লাবে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের আমেরিকান ক্লাবে পিটার হাসের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বেলা পৌনে ১টায় শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী চলে বৈঠক। বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানো হলেও দলটির একটি সূত্র বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্রটি বলছে, পিটার হাসের সঙ্গে আজকের বৈঠকটি পূর্বনির্ধারিত ছিল না। এই বৈঠকের কারণেই এদিন পূর্বনির্ধারিত দুপুর ১২টার সংবাদ সম্মেলনও স্থগিত করা হয়। হাসের সঙ্গে বৈঠক করে একই দিন রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্র কনভেনশনে যোগ দেন মির্জা ফখরুল। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনীতি ও অর্থনীতি-বিষয়ক ডেপুটি কাউন্সিলরও উপস্থিত ছিলেন।

কিন্তু ওই বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিএনপি মহাসচিব। পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের খবরকে গুজব দাবি করে গতকাল সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো বৈঠক হয়নি। সম্পূর্ণ মিথ্যা। গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

এরপর আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এটার উত্তর দেব না। কালকে দিয়ে দিয়েছি (উত্তর)। আমি আপনাদের একটাই অনুরোধ করব সব সময়, আমরা সবাই তো এ দেশের মানুষ। আমাদের প্রত্যেকেরই এই দেশের প্রতি, মাটির প্রতি, মানুষের প্রতি দায়িত্ব আছে। আপনারা সাংবাদিক, স্বাভাবিকভাবেই স্কুপ নিউজ খুঁজবেন। বাট এট দ্য সেম টাইম সেই বিষয়টাকে আমরা ডাইভার্ট করব না, যা জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সেক্টরে শনির আছর পড়েছে বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিস্ট লুটেরা সরকার ২০০৯ সালে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার শুরুর দিকেই। যার পরিণতিতে আজ সমগ্র অর্থনীতি ভয়াবহ নৈরাজ্যকর অবস্থায় পতিত হয়েছে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতির প্রতিটি প্রধান সূচকের (মূল্যস্ফীতি, নিম্নমুখী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, নিম্নমুখী রেমিট্যান্স প্রবাহ, চলতি হিসাবের ঘাটতি, রাজস্ব ঘাটতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার দরপতন) অবস্থান এতটাই শোচনীয়, যা দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিকে এক মহাবিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। অথচ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট আগের তুলনায় অনেকটা কমেছে। বিশ্ব অর্থনীতি গতি হারালেও থমকে যায়নি। অনেক দেশ মূল্যস্ফীতি কমাতে সফল হচ্ছে। কি ভয়ংকর ও বিপর্যয়কর অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে শ্রীলঙ্কা কত দ্রুত ওভারকাম করতে শুরু করেছে। তারা বাংলাদেশের কাছ থেকে ধার নেওয়া কিছু ঋণ ইতিমধ্যে শোধও করেছে।

মূল্য স্ফিতির প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ছিল ৬৯.৮ শতাংশ, যা ২০২৩এর আগস্টে নেমে হয়েছে মাত্র ২.১ শতাংশ। অর্থাৎ ১ বছরের মাথায় ৬৭ শতাংশ পয়েন্ট কমিয়ে এনেছে শ্রীলঙ্কা। অথচ আমাদের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ছে তো পড়ছেই। যেভাবে জোড়াতালি দিয়ে অস্বচ্ছ ও সমন্বয়হীনভাবে সমস্যাগুলোর সামাল দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, তাতে অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা আরও বেড়েছে।

ফখরুল বলেন, বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দাম আরও বেড়েছে। এখন খোলাবাজারে (কার্ব মার্কেট) এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে ১১৭ থেকে ১১৮ টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ভবিষ্যতের জন্য ডলার বুকিং দিয়ে রাখলে এক বছর পর প্রতি ডলারে ১২৩ টাকা ৩৫ পয়সা পরিশোধ করতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের পতনও ঠেকানো যাচ্ছে না। রিজার্ভ পতনে বিপর্যয়ের মাস সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ এখন ২১ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। আর আইএমএফএর হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে নিট রিজার্ভ ১৭ বিলিয়ন ডলার।

দেশে প্রবাসী আয় কমছে জানিয়ে তিনি বলেন, রেমিট্যান্সের বিপর্যয় আরও গভীর হয়েছে। টানা ৩ মাস ধরে এ আয় কমেছে। ৪১ মাসের মধ্যে সেপ্টেম্বরে সর্বনিম্ন ১৩৪ কোটি ডলার। গত ৩ বছরের মধ্যে সেপ্টেম্বরে একক মাসে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এসেছে। প্রতি মাসে যেভাবে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমছে, তাতে বড় ধরনের সংকটের দিকে এগোচ্ছে দেশের অর্থনীতি। ডলারের অভাবে এলসি খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকেরা। আর অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বলছেন, রিজার্ভ নিয়ে অত চিন্তার কিছু নেই

তিনি বলেন, একদিকে দেশের সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে পারে না, হত দরিদ্র মানুষ পেট ভরে দুবেলা খেতে পারে না, অন্যদিকে আওয়ামী স্বৈরশাসকেরা উন্নয়নের গালগল্প করে দেশটিকে ঋণের জালে জর্জরিত করে দেউলিয়ার পথে ঠেলে দিয়েছে। উন্নয়নের নামে আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, আর ঋণ করে ঘি খাওয়ার পরিণতিতে দেশ এখন প্রায় ২০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণের চাকায় পিষ্ট। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব, ভ্রান্তনীতি গ্রহণ, নীতির সমন্বয়হীনতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব, সর্বোপরি লাগামহীন দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ সংকট থেকে বের হতে পারছে না।


আরও খবর



বড় চমক রেখে দল ঘোষণা করলো বিসিবি

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টানা তিন জয়ে ইতোমধ্যেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। প্রথম তিন ম্যাচ চট্টগ্রামে হলেও সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মিরপুরে। উক্ত সিরিজের জন্য প্রথম তিন ম্যাচের দল ঘোষণা করেছিল বিসিবি। বুধবার (৮ মে) বাকি দুই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।

নতুন ঘোষিত দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার এবং মুস্তাফিজুর রহমান। দলে নেই আফিফ হোসেন, পারভেজ হোসেন ইমন ও পেসার শরিফুল ইসলাম।

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে বাজে সময় পার করা লিটন দাসকে বাকি দুই ম্যাচের দলেও রেখেছে বিসিবি। সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাজেভাবে আউট হয়ে চরম সমালোচনার শিকার হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ধারণা করা হচ্ছিল, বাকি দুই ম্যাচের দলে হয়তো রাখা হবে না লিটনকে।

১০ মাস পর দলে ফিরেছেন তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। চোটের পুনর্বাসনের কারণে দলে ছিলেন না সৌম্য সরকার। বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে টাইগারদের সর্বশেষ সিরিজে তারা ফিরেছেন। আগামী ১০ ও ১২ মে মিরপুর শের-ই বাংলায় চতুর্থ ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, সৌম্য সরকার, তানভীর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।


আরও খবর



যে দক্ষতা থাকলে চাকরি হারানোর ভয় নেই

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স এসে চাকরির বাজারে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে। তাই নতুন প্রযুক্তির বিষয়ে আপডেট থাকাটা খুবই জরুরি। এতে করে চাকরি হারানোর সম্ভাবনা কমবে। সেই সঙ্গে নতুন চাকরি পাওয়ায় তুলনায় সহজ হয়ে যাবে।

প্রযুক্তির উদ্ভাবনে কাজের সময় আর কর্মপদ্ধতিতেও নানা পরিবর্তন আসতেই পারে। এ পরিবর্তন মেনে নেওয়া ও তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা ও মানসিকতা আপনার থাকতেই হবে। তা থাকলে কঠিন পরিস্থিতিতেও টিকে থাকতে পারবেন আপনি।

অনেক কাজই অদূর ভবিষ্যতে অটোমেটেড হয়ে যাবে, প্রযুক্তির আধুনিকায়ন ঘটবে, নিত্যনতুন প্রযুক্তির প্রয়োগও হবে। সেসব প্রযুক্তি যদি দ্রুত শিখে নেওয়া না যায়, চাকরির বাজারে টিকে থাকা ততোই কঠিন!

ধরা যাক, কেউ কোনও একটা কাজ খুব ভালো পারে। কিন্তু ওই একটা কাজের জন্য তার চাকরিতে টিকে থাকার সম্ভাবনা খুব উজ্জ্বল নয়! কিন্তু যদি অন্য আরেকজন যদি তিনরকমের তিনটি কাজ খুব ভালো পারে, তাহলে তার টিকে থাকার সম্ভাবনা খুবই বেশি। স্বাভাবিকভাবেই সংস্থার চোখে ওই মাল্টি ট্যালেন্টেড ব্যক্তির গুরুত্বও বেশি।

তাই শুধু একটা কাজেই নিজেকে বন্দি করে রাখা উচিু নয়। নতুন নতুন দক্ষতা অর্জনের দিকে মন দেওয়া উচিত।

ভবিষ্যৎ যতই প্রযুক্তিনির্ভর হোক, মনে রাখতে হবে যন্ত্র কখনও মানুষকে ছাপিয়ে যেতে পারে না! তাই সৃজনশীলতা, নতুন অভিনব ভাবনাচিন্তা কখনোই পুরোনো হওয়ার নয়। নতুনভাবে কাজ করা, নতুন আইডিয়া, এ সবই চিরন্তন।


আরও খবর



তালতলীতে হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:

বরগুনার তালতলীতে পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোকে মোঃ নয়া মিয়া ফকির (৫০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শ্রমিক মোঃ  নয়া  মিয়া ফকির একই গ্রামের আমির আলী ফকিরের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামের হাসান মিয়ার বাড়িতে পুকুর খননের কাজ করতে যান মো. নয়া মিয়া ফকির। তিনি পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোক করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

নিহতের ভাই সোবাহান ফকির বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে পুকুর খননের কাজ করতে গিয়ে হিট স্ট্রোক করেন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর



আজ খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপপ্রবাহে বন্ধ থাকার পর সারাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ রবিবার (৫ মে)। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।

শনিবার (৪ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের। তিনি বলেছেন, রবিবার (৫ মে) থেকে ক্লাস শুরু হলেও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুসরণ করতে হবে কিছু নির্দেশনা।

নির্দেশনাগুলো হলো:

১. তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখা;

২. শ্রেণিকক্ষের বাইরের শিক্ষাকার্যক্রম সীমিত করা;

৩. শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা;

৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়েও অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখা।

প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে ২০ এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৮ এপ্রিল শর্তসাপেক্ষে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়।

পরদিন সোমবার (২৯ এপ্রিল) হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধের আদেশ দেন।

পরে শুক্রবার (৩ মে) আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে ঢাকাসহ ২৫ জেলার মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার (৪ মে) বন্ধ থাকবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




অবশেষে স্কুলে গেলো পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার পর থেকেই নানান ভুল, ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। দাবি ওঠে পাঠ্যবই সংশোধনের। সমালোচনার মুখে বইয়ের ভুল চিহ্নিত করতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। কথা ছিল মার্চের মধ্যেই পাঠ্যবইয়ের ভুলের সংশোধনী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।

ঘোষিত সময়ের মধ্যে তা করতে পারেনি এনসিটিবি। বই বিতরণের প্রায় সাড়ে চার মাস পর অবশেষে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংশোধনী পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীর সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের সংশোধনীসমূহ প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষককে অবহিতকরণ ও তাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ পাঠ্যপুস্তকে সংযোজন নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

অফিস আদেশে এ চিঠির সঙ্গে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলামের সই করা একটি চিঠি ও সংশোধনীর তালিকাও যুক্ত করা হয়েছে।

অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ) বইয়ের ১২৫ নম্বর পৃষ্ঠায় ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, প্লাটিপাস মেরুদণ্ডী প্রাণী হলেও ডিম পাড়ে। এ তথ্য ভুল। প্রকৃত তথ্য হলোপ্লাটিপাস মেরুদণ্ডী নয়, স্তন্যপায়ী প্রাণী।

আবার একই বইয়ের ৯৩ পৃষ্ঠায় লেখা রয়েছে, হাইড্রোজেন ও পানির বিক্রিয়ায় পানি উৎপন্ন হয়। সঠিক হবে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় পানি উৎপন্ন হয়। এ রকম ১৪৭টি ভুল ধরা পড়েছে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১টি বইয়ে। চিহ্নিত করার পর ভুলগুলো সংশোধনের সুপারিশ করেছে এনসিটিবি গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি।

এনসিটিবি সূত্র জানায়, পাঠ্যবইয়ের ভুলত্রুটি সংশোধনের লক্ষ্যে প্রতিটি বইয়ের জন্য একজন বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা ভুলগুলো চিহ্নিত করে এনসিটিবির উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে জমা দেন। সম্প্রতি এ কমিটি ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১ বইয়ের ভুল ও সংশোধনীগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ে পাঠায়। সেখান থেকে ভুলগুলোর সংশোধনী দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

উচ্চপর্যায়ের কমিটির প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, নবম শ্রেণির ১১ বইয়ে ভুল রয়েছে ৭৭টি, অষ্টম শ্রেণির ১০টি বইয়ে ৪৯টি, সপ্তম শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১১টি, ষষ্ঠ শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১০টি ভুল রয়েছে। ভুলগুলোর মধ্যে বানান ভুলের পরিমাণই বেশি। এছাড়া কোনো কোনো বাক্য পুরোপুরি সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে।


আরও খবর