আজঃ বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

পেট্রোল রপ্তানি নিষিদ্ধ করল রাশিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পেট্রোল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া। আগামী সপ্তাহ থেকে দেশটির এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ৬ মাসের জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর প্রকাশ করেছে। 

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাসের বরাত দিয়ে রয়টার্সের ওই খবরে বলা হয়েছে, বিদেশে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞায় অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্টিন। আগামী ১ মার্চ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবার কথা রয়েছে। গেল বছরের শুরুর দিকেও একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল রাশিয়া।

রয়টার্স বলছে, ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী অ্যালেকজান্ডার নোভাক এক চিঠির মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করেন। ওই চিঠিতে তিনি অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদার কথা উল্লেখ করে রপ্তানী বন্ধের প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন।

তার দাবি, পেট্রলিয়াম পণ্যের চাহিদার কথা মাথায় রেখে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।


আরও খবর
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন আতিশি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সীমান্তে পিঠ প্রদর্শন করবেন না, অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.)  মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধ বিজিবির মূল দায়িত্ব।  তিনি এ সময় বিজিবিকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান। ফেলানীর মতো হত্যাকাণ্ড আর দেখতে চাই না উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে পিঠ প্রদর্শন করবেন না। নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিজিবির সদর দফতর রাজধানীর পিলখানায় সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তৃতাকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ নির্দেশনা দেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.)  মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দুর্নীতিকে কোনও অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। যারা ঘুষ ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে। তিনি বলেন, বিজিবিকে আইন অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী-সহ বিজিবি সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ভিডিও টেলি কনফারেন্সের (ভিটিসি) মাধ্যমে বিজিবির সব রিজিয়ন কমান্ডার, সেক্টর কমান্ডার, ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, তিন দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। ফলে দেশের বিভিন্ন বিভাগে আগামী তিন দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ উড়িষ্যা এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে ছত্তিশগড় এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, স্থল নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল, উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে।

সংস্থাটি জানায়, মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত আগের দিনের অনুরূপ থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত আগের দিনের অনুরূপ থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।


আরও খবর



এলসির অর্থ ছাড় না করায় বন্ধ হয়ে যেতে পারে এসএস পাওয়ার

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে এস আলমের মালিকানাধীন এসএস পাওয়ার। ইসলামী ব্যাংক কয়লা আমদানির এলসির অর্থ ছাড় না করায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমনকি কয়লাবোঝাই জাহাজ বহির্নোঙ্গরে থাকলেও এলসির অর্থ পরিশোধ না করায় খালাস করা যাচ্ছে না। এদিকে, বর্তমানে কেন্দ্রটিকে যে পরিমাণ কয়লার মজুদ রয়েছে, তা দিয়ে ১ হাজার ২২৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার কেন্দ্রটি তিন দিন চালানো যাবে। আর একটি ইউনিট থেকে উৎপাদন করলে মজুদকৃত কয়লা দিয়ে সাত দিন চলবে। আজ-কালের মধ্যে কয়লা খালাস না করলে কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে চলমান লোডশেডিং আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন পিডিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কেন্দ্রটি চালাতে দৈনিক ১২ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন হয়।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেছেন, ইসলামী ব্যাংক যে এলসির অর্থ ছাড় করছে, সেটা আমরা গত বৃহস্পতিবার দিন শেষে জেনেছি। আমাদের আগে জানানো হয়নি। আগে জানতে পারলে আমরা ব্যবস্থা নিতাম। তিনি বলেন, তারপর প্রয়োজন হলে সহযোগিতা করব। এসএস পাওয়ারের পাওনা টাকা থেকে গত বৃহস্পতিবার দেড়শ কোটি টাকা রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে বলেও জানান পিডিবি চেয়ারম্যান।

জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর এসএস পাওয়ারের এলসি খোলা নিয়ে বিরূপ আচরণ করছে ইসলামী ব্যাংক। চট্টগ্রামে বাঁশখালীর গন্ডামারা এলাকায় অবস্থিত বাঁশখালী ১ হাজার ২২৪ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপরীতে শতভাগ মার্জিন দিয়ে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৮টি এলসি খোলা হয়। এর মধ্যে ৫টি এলসির কয়লা খালাস করা হয়েছে। তবে এই ৫টি এলসির অর্থ ছাড় করেনি ইসলামী ব্যাংক। এসব এলসির মধ্যে ৩টির অর্থছাড় করার নির্ধারিত সময় ছিল যথাক্রমে গেল ৬ আগস্ট, ১১ ও ২২ আগস্ট। আগের কয়লার বিল না পাওয়ার কারণে রপ্তানিকারকরা বর্তমানে বহির্নোঙ্গরে থাকা তিনটি জাহাজের কয়লা খালাস বন্ধ রেখেছে। এই তিনটি জাহাজে মোট ১ লাখ ৬৮ হাজার টন কয়লা রয়েছে। শুধু তাই নয়, আগের বিল নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কয়লা ছাড় করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানিকারক বেনিফিশিয়ারি ব্যাংকের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংককে বারবার তাগাদা দিচ্ছে। কিন্তু ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

এসএস পাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ট্যান ঝেলিং এ প্রসঙ্গে বলেন, সমস্যা সমাধানে আমরা চেষ্টা করছি। রপ্তানিকারক, ব্যাংক ও সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি বলেন, দ্রুত কয়লা ছাড় করা না গেলে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবে না। আমরা আশা করছি, তার আগেই বিষয়গুলো সমাধান হয়ে যাবে। এলসি ছাড় না করায় একদিকে যেমন উৎপাদন বন্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে, তেমনি জাহাজ বসে থাকা দৈনিক ৬০ হাজার ডলার জরিমানা যোগ হচ্ছে। এরই মধ্যে ১ মিলিয়ন ডলারের ওপর জরিমানা হয়েছে।

তিনি জানান, এসএস পাওয়ারের নামে ইসলামী ব্যাংকের কোনো শাখায় ঋণ নেই। শুধু ইসলামী ব্যাংক কেন, বাংলাদেশের কোনো ব্যাংককেই ঋণ নেই। যা ঋণ রয়েছে সবটাই বিদেশি ব্যাংকে। ইসলামী ব্যাংক গুলশান সার্কেল-১ ব্র্যাঞ্চে চলতি হিসাব রয়েছে। সেখানে এলসির বাইরে প্রায় ১৬৫ কোটি টাকার মতো আমানত রয়েছে। সেই হিসাব থেকেও অর্থ ছাড় না করায় চীনা প্রকৌশলীদের বেতন দেওয়াসহ দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে।

ট্যান ঝেলিং আরও বলেন, ব্যাংকটির গুলশান শাখা থেকে সাড়া না পেয়ে প্রধান কার্যালয়ে লিখিত আবেদন করা হয়েছে গত ১২ আগস্ট। তারপরও কোনো সুরাহা করা হচ্ছে না, বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চলতি মাসের শুরু থেকে সারা দেশে ভয়াবহ লোডশেডিং শুরু হয়েছে, যা এখানো বিদ্যমান। গ্যাস সংকটের কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্র বসে আছে। আর খরচ বেশি হওয়ায় তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলো কম চালানো হচ্ছে। এই অবস্থা এখন কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে পূর্ণমাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এখন যদি কয়লাভিত্তিক একটি কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে লোডশেডিং অনেক বেড়ে যাবে।

বর্তমানে দেশে কয়লাভিত্তিক পাঁচটি কেন্দ্র রয়েছে। গত অর্থবছরে ৫টি কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউনিট প্রতি সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে এস এস পাওয়ারে। কেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ব্যয় ছিল ২০ টাকা ৫৩ পয়সা।


আরও খবর



সাভারে অধিকাংশ কারখানা সচল: অভিযানে আটক-১৪

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

শিল্পাঞ্চল সাভারে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। শিল্পাঞ্চলের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে শান্ত করতে এপর্যন্ত ১৪ জন দুষ্কৃতিকারীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এতে ধিরে ধিরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সাভার আশুলিয়ার শিল্পকারখানা গুলো। শ্রমিক অসন্তোষে ৮০ টির মত কারখানা সাময়িক বন্ধ থাকলেও ৫০টিরও বেশি কারখানা ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে।

আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দেখা যায় দলে দলে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিচ্ছে। কোথাও হামলা, ভাংচুর কিংবা সড়ক অবরোধের কোন খবর পাওয়া যায়নি। তবে ৩০টির মত কারখানার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রয়েছে বলে জানান, শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম। এই কারখানা গুলোর শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি পালন করেছে।

বিশৃঙ্খলা এড়াতে সাভার আশুলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এছাড়াও কিছু পোশাক কারখানায় মূল ফটকের সামনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পাহাড়া বসিয়ে কাজ চালাতে দেখা গেছে।

শনিবার রাতে যৌথ অভিযানে আটককৃতরা হলেন, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানাধীন রামহিশান্তি এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে মোতালেব হোসেন (২৫), জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানাধীন ধরইল এলাকার আব্দুল মোমেনের ছেলে সেলিম রেজা (২১), ভোলার চরফ্যাশন হালিমাবাদ এলাকার আবু তাহেরের ছেলে রাসেল (২৩) এবং নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বলরামচক এলাকাত বিমল চন্দ্র দাসের ছেলে লিটন কুমার দাস (২৩)। আটককৃতরা সকলেই আশুলিয়ার নরসিংহপুর, ঘোষবাগ ও নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো।

শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আশুলিয়ার হা-মীম গ্রুপের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে নাসা গ্রুপে অসন্তোষ চলে আসলেও আজ উৎপাদন চালু আছে। তবে নিউ এইজ ও আল মুসলিম গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কারখানায় এসে কাজে যোগদান না করায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে ডিইপিজেডসহ আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, বাইরের কারখানা গুলোতে কোথাও তেমন কোন সমস্যা নেই। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে দাবী দাওয়া নিয়ে ম্যানেজমেন্ট সমাধান করতে পারে নাই, সেখানে ঝামেলা হচ্ছে। এরকম ৩০টির মত কারখানার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রয়েছে। তবে আজ শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক আছে। গার্মেন্টস খাতকে অস্থিতিশীল করতে জড়িত সন্দেহে গতকাল আটককৃত চারজন সহ মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া শিল্পাঞ্চলের যেসব জায়গায় গণ্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা আছে সেসব জায়গায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও আমাদের শিল্প পুলিশের সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছে বলেও জানান তিনি।

নিউজ ট্যাগ: সাভার

আরও খবর



ভারী বৃষ্টির শঙ্কায় ত্রিপুরাসহ ভারতের ৯ রাজ্যে ‘রেড অ্যালার্ট’

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে লাল সতর্কতা (রেড অ্যালার্ট) জারি করেছে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)। এই তালিকায় নাম রয়েছে ত্রিপুরারও। সীমান্তবর্তী এই ভারতীয় রাজ্যটিতে সাম্প্রতিক রেকর্ড বৃষ্টিপাত এবং তার জেরে বাঁধের মুখ খোলার ঘটনায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশে।

রোববার (২৫ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আউটলুক ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কায় লাল সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। বিশেষ করে, দেশটির পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

এ অবস্থায় যেসব রাজ্যে আইএমডি রেড অ্যালার্ট জারি করেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- গুজরাট, মহারাষ্ট্র, গোয়া, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরা। এছাড়া উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক ও রাজস্থানে কমলা সতর্কতা (অরেঞ্জ অ্যালার্ট) জারি করা হয়েছে।

এদিকে, হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ত্রিপুরায় আরও বৃষ্টিপাতের শঙ্কায় দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় লাল সতর্কতা এবং ধলাই ও গোমতী জেলায় কমলা সতর্কতা বজায় রেখেছে আইএমডি।

রাজ্যটিতে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জনে পৌঁছেছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজারের বেশি মানুষ।


আরও খবর
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন আতিশি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪