আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

পদত্যাগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে কথা বলে পদত্যাগের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলে আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নিবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।

এর আগে, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের দুপুর ১টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বেলা ১১টায় হাইকোর্ট চত্বরে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এ আল্টিমেটাম দেন।

সকাল সাড়ে ১০টার পর হাইকোর্টের ভেতরে ঢুকে পড়েন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এর আগে, হাইকোট ঘেরাও কর্মসূচি দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম থেকে এক বার্তায় এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সবাই দ্রুত ১০টার মধ্যে কার্জন হলের গেটে আসুন, হাইকোর্ট ঘেরাও করা হবে। ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট ও নানা অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা না করে ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছেন। পরাজিত শক্তির যেকোনো প্রকার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না।আইনজীবীরা ইতোমধ্যেই এর প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন। আমরা আগেই প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলাম। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে উসকানি দিলে এর ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে। অবিলম্বে বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করুন এবং ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করুন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা দেখেছি শত শহীদের রক্তে কেনা স্বাধীনতাকে বানচাল করার জন্য অপশক্তি, পরাজিত শক্তি চেষ্টা করছে। আমরা তাদের প্রতিহত করব, প্রতিরোধ করব। এজন্য সবাই রাজপথে নেমে আসুন।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সায়েন্সল্যাবে আইডিয়াল ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় আইডিয়াল কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শুরু হওয়া সংঘর্ষে মিরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পথচারী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা যায়, পাভেল নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে দুপুর একটার দিকে সংঘর্ষে জড়ায় প্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষের দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অনেকের হাতে লাঠিসোটা দেখা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছে।

সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিউমার্কেট জোনের এসি তারিক লতিফ বলেন, পাভেল নামে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এমন অভিযোগে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা লাঠিসোটা নিয়ে বের হয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।

সংঘর্ষের পর ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এখনো প্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।


আরও খবর



বঙ্গবাজারে দুই সাংবাদিককে পেটাল কাউন্সিলর-বিএনপি নেতার অনুসারীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

রাজধানীর বঙ্গবাজারে কাপড় দেখতে গিয়ে সিন্ডিকেটের প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতিসহ দুই সাংবাদিক। তাদের দোকানে ডেকে নিয়ে কাউন্সিলর চামেলির অনুসারীরা হাতুড়ি, রড, জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এক শিক্ষার্থীর আঙুল কেটে ফেলা হয়েছে এবং এক ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর বঙ্গমার্কেটের বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেটের দোতলায় এমন ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। ঘটনাস্থলে তাদের নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন শাহবাগ থানার ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলির স্বামী আবুল হোসেন টাবু ও বিএনপির পদ প্রত্যাশী নেতা রফিকুল ইসলাম স্বপন এবং শাহবাগ থানার ২০ নং ওয়ার্ডের বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ ইউসুফ।

সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়াকে কক্ষের মেঝেতে ফেলে মাথায়, পিঠে, কোমরে, পায়ে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়। তার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অন্যদিকে জাগো নিউজের স্টাফ রিপোর্টার নাহিদকে দোতলায় মারার পর ভবনের ছাদে তুলে পেটানো হয়। তিনি বাম পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। এছাড়া এক শিক্ষার্থীর ডান হাতের একটি আঙুলের অগ্রভাগ কেটে ফেলা হয়।

মারধরের একপর্যায়ে আল সাদীর মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায় আক্রমণকারীরা। অন্যদিকে নাহিদের মোবাইল, মানিব্যাগ, বাইকের চাবি, প্রেস আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয় তারা।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভুঁইয়া বলেন,  আমরা সিন্ডিকেটের প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর তারা হামলা করে। এমনকি আমরা সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর আরও বেশি হামলা করে। বের হয়ে আমরা পুলিশ নিয়ে আসি। পুলিশের সামনেও তারা আমাদের মারার চেষ্টা করে কিন্তু পুলিশ আমাদের কোনো সাহায্য করেনি।

জাগো নিউজের স্টাফ রিপোর্টার নাহিদ বলেন, আমাদের মার্কেটের গেট ভেঙে হামলা করেছে। এসময় সেনাবাহিনীকে ফোন দিয়েও কোনো রেসপন্স পাইনি। সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছিলাম, তবুও ছাত্রলীগ বলে পিটিয়েছে আমাদের। আমার ফোন মানিব্যাগ এবং আইডি কার্ড সব নিয়ে গেছে তারা।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে রুম থেকে বের করে এনে ছাদে নিয়ে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও জিআই পাইপ দিয়ে আবার মেরেছে। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। তাদের কাছে পানি চেয়েছি কিন্তু পানি পর্যন্ত দেয়নি তারা। তারা বলছিল, আমাকে পানি খাওয়ালে আমি নাকি আবার সুস্থ হয়ে যাব। আমার সমস্ত শরীরে আঘাত করেছে তারা। 

দুর্বৃত্তদের মধ্যে একজন বলছিল, এই ছেলে জ্ঞান হারানোর অভিনয় করছে, একে আবার মারা হোক- এই বলে তৃতীয় ধাপে আবার মারপিট করেছে। তারা আমার ম্যানিব্যাগ, প্রেসের কার্ড, আইডিকার্ড নিয়ে যাওয়ার সময় বলছিল, এগুলো স্বপন ভাইয়ের কাছে জমা দেবো। স্বপন হলো বিএনপির নেতা।

মার্কেটের ব্যবসায়ী বাঁধন বলেন, এই মার্কেটে আমার দোকান আছে। আমি মালিকের (সজলের) সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তখন মালিকের আরেক পক্ষ যারা আওয়ামী লীগ করত, তারা দরজা ভেঙে আমাদের ওপর হামলা করে। প্রাণ বাঁচাতে আমরা কয়েকজন বাথরুমে অবস্থান নিলে তারা দরজা ভেঙে হাতুড়ি, রড, জিআই পাইপ দিয়ে হামলা করে।

ঘটনার একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। তারা সেখানে সাংবাদিকদের রক্ষা করতে পুলিশকে আহ্বান জানান।

সারজিস আলম বলেন, আমরা সাংবাদিকসহ অন্যদের উপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এই সিন্ডিকেট যারা আজ সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী ব্যবসায়ীদের উপর হামলা করেছে তাদের আমরা ছাড় দেবো না। আজকের পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ ছাত্র-জনতা তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।

নিউজ ট্যাগ: বঙ্গবাজার

আরও খবর



এক মাসে কী অর্জন, সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ অন্তর্বর্তী সরকারের

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জুলাই অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক মাস পূর্ণ হলো আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর)। দিনের হিসাবে মাত্র ৩০ দিন। কিন্তু এই মাসে রাষ্ট্রনীতিতে কী কী সংস্কার আনতে পরলো ছাত্র-জনতার সরকার? সরকারের সামনে জরুরি চ্যালেঞ্জগুলোই বা কী কী?

অহিংস কোটা সংস্কার আন্দোলনকে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের দিকে নিয়ে যায় বিগত সরকার। গোটা দেশে ছাত্র-জনতার রক্ত ঝরিয়ে গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

মুক্তির মন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে তিন দিন পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ছাত্র-জনতার মূল দাবি, রাষ্ট্র সংস্কারই হয়ে ওঠে সরকারের লক্ষ্য।

দায়িত্ব গ্রহণের আগের তিন দিন দেশে কোনো সরকার ছিল না। অচল হয়ে পড়ে মনোবল ভেঙে যাওয়া পুলিশ বাহিনী। ফলে বেড়ে যায় ছিনতাই-ডাকাতি। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দেয় সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা। নতুন সরকারের প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল এই নৈরাজ্য ঠেকানো। সরকারের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর ১১ আগস্ট থানায় ফেরা শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা। বিগত সরকারের আইজিপি থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের অবসরে পাঠিয়ে নতুন নিয়োগ দেয়া হয়।

প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়েও শুরু হয় ব্যাপক রদবদল। স্বৈরাচারী সরকারের নিয়োগকৃত চুক্তিভিত্তিক সব সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় ড. ইউনূসের সরকার। সংস্কারের উদ্যোগ হিসেবে বেশিরভাগ মন্ত্রণালয়, দফতর ও অধিদফতরের দায়িত্বে আসে নতুন মুখ।

১০ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের নিয়োগকৃত প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। পদত্যাগের মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগেও বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। আগের নিয়োগ বাতিল করে সারা দেশে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে ২২৭ জন আইনজীবীকে নতুন নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে গত এক মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ শীর্ষ পদের ব্যক্তিরা দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। খালি রয়েছে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ।

কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও পাল্টেছে অবস্থান। এখন যেন একটু ফ্রন্ট ফুটে বাংলাদেশ। বিএসএফের গুলিতে মৌলভীবাজারে স্বর্ণা দাস নামে এক কিশোরী হত্যায় দিল্লিকে কড়া প্রতিবাদ জানায় ঢাকা। ফেনীর আকস্মিক বন্যার কারণও জানতে চাওয়া হয় ভারতের রাষ্ট্রদূতের কাছে। এছাড়া জাতিসংঘের গুমবিরোধী যে সনদে শেখ হাসিনা সরকার দীর্ঘদিন স্বাক্ষর করেনি তাতে সই করে অন্তর্বর্তী সরকার। আর জুলাই আন্দোলনের সময় বিক্ষোভ করে আরব আমিরাতে সাজাপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশিকে মুক্তির বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলে ক্ষমার ব্যবস্থা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা নতুন সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে বেশিরভাগ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের সরিয়ে নতুন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ভোক্তাদের কষ্ট কমাতে নিত্যপণ্যের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে সরকার।

অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, খেলাপি ঋণের ব্যাপারে অ্যাকশন নেয়া হচ্ছে। যেসব ব্যাংকে সমস্যা আছে, সেগুলো পুনর্গঠন করা হচ্ছে। তারল্য সংকট সমাধান করা হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যেই বলে দিয়েছি, অর্থ আনার জন্য একটা টাস্কফোর্স হবে। তারপরে সংস্কারের ব্যাপারে কথা বলছি।

সারা দেশের স্থানীয় জনপ্রতিধিদের সরিয়ে বসানো হয়েছে নতুন প্রশাসক। সরকারের উপদেষ্টারা বলছেন, দীর্ঘদিনের অচলায়তন কাটাতে কিছুটা সময় লাগবে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, জনগণ আমাদেরকে দিয়ে কোন কোন সংস্কার করাতে চায়, সেই জায়গা থেকেই সময়টা নির্ধারণ হবে। এর জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন, ততটুকু সময় আমরা নেব।

আন্দোলনের ফলস্বরূপ গঠিত নতুন সরকার নিজেরা গত মাসে অনেকগুলো আন্দোলনের মুখোমুখি হয়েছে। সংখ্যালঘু নিরাপত্তা আন্দোলন, এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল, পোশাক শ্রমিক আন্দোলন, রিকশাওয়ালা ও ডাক্তাররা নানা দাবিতে নেমেছিল আন্দোলনে। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় সেগুলো সুরাহা হয়। তবে বেগতিক দিকে মোড় নেয় আনসার আন্দোলন। শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি হয়ে সে আন্দোলন প্রতিহত করে। তবে আন্দোলনের মাঠ থেকে উপদেষ্টা হওয়া আসিফ মাহমুদ বলছেন, আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা করাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।

তিনি বলেন, ১৬ বছর ধরে দেশের মানুষ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে ছিল। কেউ কোনো কথা বলতে পারেনি। এখন একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে; জনগণের সরকার গঠন হয়েছে। তাই মানুষ তাদের আকাঙ্ক্ষা এবং বঞ্চনার জায়গা থেকে কথা বলছেন। সেটাকে আমরা অবশ্যই সাধুবাদ জানাই। সরকারের সব সময় প্রথম অগ্রাধিকার হবে আলোচনা করা। সংবিধান থেকে শুরু করে প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের কাজ করা হবে।

সামনের দিনে সংবিধান সংস্কারসহ বেশ কয়েকটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে এই সরকারের কাছে। অচিরেই রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা দেয়া হবে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে।


আরও খবর



এনটিআরসিএ : পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগের পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত সুপারিশের ফল প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ। আজ বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

নির্ধারিত লিংকে প্রবেশ করে প্রার্থীরা চূড়ান্ত সুপারিশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। (http://103.230.104.210:8088/ntrca/c5/app/login.php?type=19&sfnsn=wa) প্রবেশ করে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রার্থীরা চূড়ান্ত সুপারিশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।

জানা যায়, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থীকে পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যক্রম চলমান অবস্থায় নিয়োগের জন্য গতকাল মঙ্গলবার সম্মতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকসংকট দূরীকরণ ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থীকে পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যক্রম চলমান অবস্থায় কয়েকটি শর্তে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য সম্মতি দেওয়া হলো।

শর্তগুলো হলো

১. নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষক সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির ভেরিফিকেশনে কোনো বিরূপ মন্তব্য বা আপত্তি উত্থাপিত হলে অবিলম্বে সুপারিশপত্র বাতিল হবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

২. প্রার্থীর পুলিশ অথবা নিরাপত্তা ভেরিফিকেশনে বিরূপ মন্তব্য পাওয়া গেলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) মন্ত্রণালয়ে জানাতে হবে।

৩. বিরূপ মন্তব্যসম্পন্ন শিক্ষককে অব্যাহতি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রার্থীকে জানাতে হবে।


আরও খবর
ইউজিসিতে দুই সদস্য নিয়োগ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের নামে আরও এক হত্যা মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মো. মিলন নামে এক মাছ ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনায় ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহণ সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ মোট ৬২ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জে।

গতকাল (রোববার) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিহত মিলনের স্ত্রী শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ হত্যা মামলাটি করেছেন।

মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ নিজাম প্রমুখ। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও অনেককে।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আমীর খসরু বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বাদী শাহনাজ বেগম উল্লেখ করেন, গত ২১ জুলাই ছাত্র আন্দোলনকে পণ্ড করতে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের সমর্থিত নেতাকর্মীরা একজোট হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, শটগান, ককটেল, লাঠিসোঁটাসহ নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে এবং জনমনে আতঙ্ক তৈরি করে। শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খান ছাত্র-জনতার উদ্দেশে এলোপাতাড়ি গুলি ও আক্রমণ করার নির্দেশ দেন। আসামিরা রাস্তায় অবস্থানরত ছাত্র-জনতার ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতির সৃষ্টি করে তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ও মারধর করেন। ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে মিলন মাছের আড়ত থেকে বাড়ি ফেরার পথে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থিত প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে, গত শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও শামীম ওসমানসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায়। বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জে আবুল হাসান (২০) নামের এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়।


আরও খবর