আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

পাটগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে মা-মেয়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে মা ও তার শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছে তার দুই বছরের ছেলের। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলরুটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের ঘুন্টি নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামের রাশেদুজ্জামানের স্ত্রী সুমি আক্তার (৩২) ও ও তার মেয়ে তাজমিরা তাবাসসুম তাসিন (৭)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ছেলে-মেয়েকে নিয়ে রেললাইন হয়ে বুড়িমারী বন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন সুমি আক্তার। এসময় লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারীগামী একটি ট্রেনে কাটা পড়ে সুমি ও তার মেয়ে তাসিন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় আহত হয় নিহত সুমি আক্তারের ছেলে। তার নাম জানা যায়নি। পরে স্থানীয়রা আহত শিশুকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। 

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, আহত শিশুটির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। রেলওয়ে পুলিশকেও খবর পাঠানো হয়েছে।  


আরও খবর



এবার অর্থনীতিবিদকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বানাচ্ছেন পুতিন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই শোইগুকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার স্থলাভিসিক্ত হতে যাচ্ছেন উপ-প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রে বেলোসোভ, যিনি একজন অর্থনীতিবিদ। তবে তার সামান্য সামরিক অভিজ্ঞতাও রয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, রুশ প্রসিডেন্ট পুতিনের এই পদক্ষেপ ইঙ্গিত দিচ্ছে- রাশিয়ার অর্থনীতিকে তিনি তার যুদ্ধ প্রচেষ্টার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত করতে চাচ্ছেন।

এ বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, উদ্ভাবনের’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই একজন বেসামরিক ব্যক্তিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, জিডিপির একটি বড় অংশ সামরিকখাতে ব্যয় করার পর থেকে রাশিয়া অনেকটা ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি সময়ের সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো হয়ে উঠেছিল।

দিমিত্রি পেসকভ বলেন, সামরিক ব্যয়কে রাশিয়ার সামগ্রিক অর্থনীতির সঙ্গে আরও ভালোভাবে সংহত করার বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার। আর যে ব্যক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বেশি খোলামনের তিনিই যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয়ী হবেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শোইগুর স্থলে নতুন কেউ আসার বিষয়টি তেমন আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছু নয়। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে শোইগুর অবস্থান বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমনকি এটাও শোনা যাচ্ছিল যে, তাকে পদচ্যুত করানো হতে পারে।

মূলত রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানে সামরিক বিপর্যয় এবং শক্তি ও সম্পদের বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এজন্য অনেকে শোইগুকেই দায়ী করে থাকেন।

এক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে একজন অর্থনীতিবিদ থাকাটা ক্রেমলিনের পরিবর্তিত অগ্রাধিকার নীতিরই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।

রাশিয়ার অর্থনীতি এখন যুদ্ধকালীন সময় পার করছে। তাই যুদ্ধের অর্থায়নের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যথেষ্ট অর্থ থাকা অত্যাবশ্যক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রুশ সরকারের এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে স্বাধীন রুশ ওয়েবসাইট দ্য বেল জানিয়েছে, বেলোসভকে রাষ্ট্রের একজন কঠোর রক্ষক হিসেবে দেখা হয়, যিনি বিশ্বাস করেন- রাশিয়া শত্রু দিয়ে ঘেরা।

পুতিনের মতো তারও রুশ অর্থোডক্স চার্চের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এমনকি প্রেসিডেন্ট পুতিনের মতো তিনি মার্শাল আর্টের ব্যাপারেও বেশ উৎসাহী। তরুণ বয়সে বেলোসভ কারাতেসহ বিভিন্ন খেলার অনুশীলন করতেন।

উপ-প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সহযোগী হিসেবে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছেন। এর আগে অর্থনৈতিক উন্নয়নমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০১৪ সালে রাশিয়া যখন ক্রিমিয়া অধিগ্রহণ করে তখন সেটাকে সমর্থন করার জন্য পুতিন একটি অর্থনৈতিক প্রতিনিধি দল গঠন করেছিলেন। বেলোসভ ওই দলের সদস্য ছিলেন।

অপরদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন সেরগেই শোইগু। তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। পুতিনকে তিনি প্রায়ই নিজের জন্মভূমি সাইবেরিয়ায় মৎস্য শিকারে নিয়ে যেতেন।

তাদের ঘনিষ্ঠতা এমন পর্যায়ে ছিল যে, পূর্ব কোনও সামরিক অভিজ্ঞতা না থাকলেও শোইগুকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্বে দিয়েছিলেন পুতিন। পেশাগত জীবনে শোইগু ছিলেন একজন প্রকৌশলী।


আরও খবর



আনোয়ারায় জমে উঠেছে ভোটের মাঠ, প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

আসন্ন ২৯মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে সরগরম হয়ে উঠছে ভোটের মাঠ। প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাড়া-মহল্লার অলিগলি ও চায়ের দোকানগুলোতে চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে গেছে গ্রাম-গঞ্জের হাটবাজার, অলিগলিসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। সমর্থকদের গণসংযোগসহ উঠান বৈঠক ও পথসভা চলছে প্রতিদিন। গানে গানে ভোট চাওয়া হচ্ছে মাইকের মাধ্যমে। জমজমাট হয়ে উঠেছে নির্বাচনের প্রচারণা।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান( পুরুষ) পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী দোয়াত কলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরী  মোটরসাইকেল ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক "আনারস প্রতীক।

ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আবু জাফর চৌধুরীটিয়া পাখি, সালাহ উদ্দিন সারো টিউবওয়েল, আবদুল মান্নান মান্না চশমা, প্রদীপ দত্ত কনক মাইক, সন্তোষ কুমার দে বই, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম পেয়েছেন ফুটবল, পারভীন আক্তার কলসি ও এডভোকেট চুমকি চৌধুরী হাঁস

নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা দিন রাত এক করে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের মন জয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ভোটারদের কাছ থেকে সারা পেয়ে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সব প্রার্থী।

অন্যদিকে, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, আলোচনা তত বাড়ছে কে হবেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সৎ, যোগ্য, পরোপকারী ও বিপদে যাকে কাছে পাবেন এমন প্রার্থীকেই বিজয়ী করবেন তারা। যে প্রার্থী আনোয়ারায় উন্নয়ন করতে পারবে, সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে কাজ করতে পারবে তাকেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করতে চান সাধারণ ভোটাররা।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু জাফর ছালেহ বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে উপজেলাজুড়ে উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত এমন সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাইনি।

প্রসঙ্গত, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৭৪টি ভোট কেন্দ্রে ২ লাখ ৩৩ হাজার ১০৯ জন ভোটার সংখ্যা রয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৮জন এবং মহিলা ১ লাখ ৯ হাজার ২২১জন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



হলফনামায় যে পরিমাণ সম্পত্তি দেখালেন কঙ্গনা রানাওয়াত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের অন্যতম অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। রিল থেকে রিয়েল লাইফে বেশ আলোচিত। ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির কড়া সমর্থক তিনি।

এবার হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন কঙ্গনা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরেই সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে ভক্তদের মাঝে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

কঙ্গনা হলফনামায় জানিয়েছে, তার বাড়ি-গাড়ি থেকে শুরু করে প্রায় ৯১ কোটি টাকা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ১৭ কোটি টাকার দেনা রয়েছে এ অভিনেত্রীর।

হলফনামা থেকে জানা যায়, মুম্বাইয়ে তিনটি বাড়িসহ প্রযোজনা সংস্থা রয়েছে। একটি বাংলো রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। কয়েক বছর আগে জন্মভূমি মানালিতে একটি বাড়ি বানিয়েছে যার বাজারমূল্যও প্রায় ১৬ কোটি টাকা। চণ্ডীগড়ে বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে।

এছাড়া কঙ্গনার প্রায় সাড়ে ৬ কেজি গয়না রয়েছে। এবং রুপো রয়েছে ৬০ কেজির মতো। যার মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। ব্যাংকে রয়েছে  ১.৩২ কোটি টাকা। অভিনেত্রীর বেশ কিছু বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে, সঙ্গে একটি স্কুটারও আছে। ২০২২-২০২৩ অর্থ-বছরে অভিনেত্রীর বার্ষিক আয় ছিল ৪ কোটি।

উল্লেখ্য, কঙ্গনা রানাওয়াত তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং চারবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। পাঁচবার ফোর্বস ইন্ডিয়ার সেরা ১০০ সেলিব্রিটির তালিকায় জায়গা পেয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কুইন ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তাকে বলিউডের রানি বলা হয়। বিভিন্ন সময় বির্তকের কারণে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন তিনি।


আরও খবর



দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, এক অদৃশ্য শক্তি, দেশ চালাচ্ছে । সেই শক্তির নির্দেশে তারা (আওয়ামী লীগ) বাংলাদেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা বিলীন করে দিয়েছে। সূক্ষ্মভাবে ভিন্ন মোড়কে দেশে পুনরায় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার এবং যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ দাবি করেন।

শনিবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে জাতীয়তাবাদী যুবদল এই সমাবেশ করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৮ বছর ধরে সন্ত্রাসী কায়দায় গণজাগরণকে নষ্ট করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ব্যাংকগুলো লুটপাটের মাধ্যমে শেষ করে দিয়েছে। নতুন আইনের মাধ্যমে ব্যাংক লুটপাট করছে সরকার। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের সহযোগী হয়েছে। বিমানবন্দরগুলোতেও হয়রানি করা হয়। এখানে জড়িত আছেন দেশের পুলিশ, প্রশাসনসহ অনেকেই। বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নেই। এখন আবার ডামি নির্বাচন শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে, আর তাদেরই লোকজন বিরোধী প্রার্থী হবে। এখানে কিছু গৃহপালিত দলও আছে। সরকার একটা তামাশা শুরু করেছে। এজন্য তো দেশ স্বাধীন করিনি। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ স্বাধীন করেছিলাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার টিকেই আছে মিথ্যা মামলা ও আদালতকে ব্যবহার করে। নির্যাতনের হাতিয়ার হিসাবে মিথ্যা মামলা ও আদালতকে ব্যবহার করছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের আন্দোলনকে নিদারুণভাবে পণ্ড করে দিয়েছে। তারা এভাবে আন্দোলন দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন ও গুম-খুন করে গণতন্ত্র ও স্বাধিকারের আন্দোলন কখনোই স্তিমিত করা যাবে না। অতীতেও যায়নি।

যুবদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে ক্ষমতায় এসে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে ৭৫ সালের মতো আবারও একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে চায়। সেটা হলো গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল। তাই তরুণ-যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। জনগণকে নিয়ে রাজপথে নামতে হবে। শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। না হলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব জলাঞ্জলি যাবে।

খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া শুধু বাংলাদেশের মজলুম নেত্রী নন। তিনি সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা, আত্মত্যাগকারী নেতাদের অন্যতম। তিনি গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা ও ফিরে পাওয়ার জন্য আজীবন লড়াই করছেন। যিনি গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী। কিন্তু দানব সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে। কারণ সরকার মনে করে খালেদা জিয়া মুক্ত হলে, তাদের মসনদ টিকবে না। জনগণের উত্তাল তরঙ্গের মধ্যে ভেসে যাবে। সেজন্য খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মী দীর্ঘদিন কারাগারে। আমি খালেদা জিয়াসহ গ্রেফতার সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর বিএনপির সিনিয়র নেতারাসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে জেলখানার  ভেতরে নির্যাতন করা হয়েছে। জেলখানা হচ্ছে বর্তমানে একটি নির্যাতনের জায়গা। সরকার ২৮ অক্টোবর বোমা ফাটিয়ে, জোরজবরদস্তি করে আমাদের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করেছে। দেশের সর্বস্ব বিলিয়ে দিলেও সরকার ক্ষমতায় থাকতে চায়।

যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মামুন হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না ও শফিকুল ইসলাম মিল্টনের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুবদল নেতা নূরুল ইসলাম নয়ন, রুহুল আমিন আকিল, জাকির হোসেন সিদ্দিকী, গোলাম মাওলা শাহিনসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠন ও যুবদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।


আরও খবর



১৫ জুলাইয়ে মধ্যে গুচ্ছ প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু: জবি উপাচার্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

আগামী পহেলা জুলাই থেকে ১৫ জুলাইয়ে মধ্যে গুচ্ছভুক্ত ২৪ সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরুর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম।

আজ শুক্রবার (১০ মে) গুচ্ছের সি ইউনিট (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

উপাচার্য বলেন, নতুন বছরের ক্লাস শুরু করা নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা আশা করছি, ১ লা জুলাই থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু করতে পারব।

এবার গুচ্ছের 'সি' ইউনিট তথা বাণিজ্য ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১২ হাজার ৫১৩ জন। এ সময় তিনি বিগত সময়ের সংকট কাটিয়ে এবার দ্রুত ক্লাস শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষা শেষে ১ আগস্ট গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ক্লাস শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। পরে আজ (শুক্রবার) সেই তারিখ পরিবর্তন করে ১ থেকে -১৫ জুলাইয়ে মধ্যে ক্লাস শুরু করার সম্ভাবনার কথা জানান।

গত বছর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস পহেলা আগস্টে শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিল তৎকালীন জবি উপাচার্য প্রয়াত ড. ইমদাদুল হক। পরে সেই ক্লাস ১ মাস পরে সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল।

উল্লেখ্য, আজ গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগ (সি ইউনিট) এর ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৪০ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।

নিউজ ট্যাগ: জবি উপাচার্য

আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪