আব্দুল্লাহ আল মামুন:
পটুয়াখালী জেলায় গলাচিপা থানার চরকাজল ইউনিয়নের বাসিন্দা আইরিন
আক্তার। পেটের দায়ে কর্মের খোঁজে ২০১৫ সালে নারায়ণগঞ্জ এসে কর্মরত হন গার্মেন্টস কর্মী
হিসেবে। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস বিগত ১২/০৮/২০১৬, তারিখ গার্মেন্টস কর্মী
আইরিন আক্তার (১৮) নারায়ণগঞ্জ বিসিক মুসলিম নগর এলাকা থেকে, গাজীপুরের কোনাবাড়ি চাচার
বাসায় যাবার কথা বলে ৫ বছরেও ফিরে আসেনি তার কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জে।
আইরিন আক্তারের মা সালমা জানান, তার মেয়ের এক বান্দবীর কাছে বলেগিয়েছিল আইরিন আক্তার গাজীপুর যাবেন চাচার বাসায়, একদিন থেকে পরের দিন সকালে এসে তার কর্মস্থলে উপস্থিত হবেন। কিন্তু তার পর থেকে আইরিনের আর কোন খোজ নেই। আইরিনের মা সালমা বেগম তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন দেখায়। পরে আইরিনের চাচার বাসায় যোগাযোগ করলে সেখানেও মেলেনি তার কোন সন্ধান।
এ বিষয় আইরিন আক্তারের বাবা আব্দুল আলী বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায়
একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে ওইদিন
আইরিনের মুঠো ফোনে আরিফ নামের একজনের সাথে কয়েক বার কথা হয়েছে। এবিষয়ে
আইরিন আক্তারের মা জানান, আরিফ আইরিনের দূরসম্পর্কের এক ফুফাতো ভাই, তিনি গাজীপুর এক
গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
প্রশাসনের চাপে আরিফ তার নিজ মুখে শিকার করেন আইরিন সেদিন গাজীপুর এসে
তার সাথে দুই দিন ছিল, পরে আরিফ নিজে আইরিন কে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে তারপর থেকে আরিফ
আর জানেন না যে আইরিন আক্তার কোথায় আছে।
আইরিনের ভাই ইমরান মাহমুদ আজকের দর্পণকে বলেন, এখনও তার বোনকে জীবিত
ফেরত চান। ৫ বছরেও এখনও তার বোনকে খুজতেছেন।
আইরিনের বাবা আব্দুল আলী, আরিফের কাছে তার মেয়ে কোথায় আছেন তা জানতে চাইলে আরিফ বিষয়টি এড়িয়ে যান। ভুক্তভোগী অসহায় বাবা-মার এখন প্রশাসনের কাছে একটাই দাবি, তার মেয়ে আইরিন আক্তার কে জীবিত ফেরত চান।