আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

পাঁচ বছরে দুই হাজার ৩৭৩ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদে দুই হাজার ৩৭৩ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল হয়েছে। একই সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুন করে ১০ হাজার ৬১৭ জনের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এ সময় তিন হাজার ৮১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট সংশোধনও করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির কার্যপত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বৈঠকে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সময় পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধাবিষয়ক প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

গেজেট বাতিল ও নতুন গেজেট প্রকাশের বিষয়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাজাহান খান বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় অনেক অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনদ দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে যেসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা পাওয়া গেছে, তাদের গেজেট বাতিল হয়েছে।

বর্তমান মেয়াদে নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রায় ১১ হাজার জনের গেজেট প্রকাশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া বীরাঙ্গনা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক, মুজিবনগর সরকারের কর্মচারীদেরও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯-২৩ সময়কালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে এক লাখ ৮২ হাজার ৩৫২ ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও ৯৫ হাজার ২৪৫ স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। শহীদ বা যুদ্ধাহত খেতাবপ্রাপ্ত ও বাকি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড প্রস্তুতের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন>> ইয়েমেনে অপহৃত জাতিসংঘ কর্মকর্তা সুফিউল আনাম উদ্ধার

এদিকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জামুকা এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৮৯১ জন সাধারণ মুক্তিযোদ্ধার (বেসামরিক) গেজেটভুক্তির সুপারিশ করে এবং তিন হাজার ১৯০ জন অমুক্তিযোদ্ধা গেজেট ও সনদ বাতিলের সুপারিশ করে। কাউন্সিল মুজিবনগর সরকারের ১৪৬ জন কর্মচারী, ২৩৮ জন নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা), ২৯ জন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে অংশগ্রহণকারী ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে গঠিত সাংস্কৃতিক সংগঠনের শব্দসৈনিক, ৪৪ জন বাংলাদেশ হাসপাতাল বিশ্রামগঞ্জ নির্মাণ ও চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী মেডিক্যাল টিমের সদস্য, ৬৮৫ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৫৫ জন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্তির সুপারিশ করেছে।

এদিকে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ ও প্রয়াত যুদ্ধ বীরদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি অর্থায়নে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার লক্ষ্যে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ৩০ হাজার বাড়ি নির্মাণ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত (৩১ জুলাই ২০২৩) ২৪ হাজার ৭৫০ বীর নিবাসের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে এবং ২২ হাজার ২৮৫ বীর নিবাসের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে, যা বিভিন্ন পর্যায়ে নির্মাণকাজ চলমান আছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে ৫ হাজার বীর নিবাস উদ্বোধন করেছেন।

জানা গেছে, সংসদীয় কমিটির আগের বৈঠকে এসব বীর নিবাসে কারা বসবাস করছে বা করবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে কমিটির সদস্য মেজর (অব) রফিকুল ইসলাম (বীরউত্তম) বলেন, বীর নিবাস যাদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, সেখানে কারা বসবাস করছে তা তদারকি করা দরকার। কারণ অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা এখন নেই। সেই ঘরে যদি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা বসবাস করে, তা হলে এটার অবমাননা করা হবে। তাই বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।

জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বীর নিবাসে যারা থাকবে, তারা কেমন পর্যায়ের হতে হবে তা নিয়ে আগামী বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা যেতে পারে। যাদের নামে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হবে, তাদের একটি শর্ত দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা করা উচিত। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করলে তার উত্তরাধিকারীরা কীভাবে বীর নিবাস ব্যবহার করবে তা নির্ধারণ করতে হবে। পরে বীর নিবাস ব্যবহার নীতিমালা এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করলে তার উত্তরাধিকারীরা কীভাবে বীর নিবাস ব্যবহার করবে তা নির্ধারণ বিষয়ে আগামী বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার সুপারিশ করা হয়।

আরও পড়ুন>> বন্যা ও ভূমিধস মোকাবেলায় চট্টগ্রাম-বান্দরবানে সেনা মোতায়েন

জানা গেছে, মঙ্গলবারের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। সত্যি যদি কোনো বীর নিবাসে স্বাধীনতাবিরোধীরা বসবাস করেন, সেটি মহান মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মান করা হবে। এ জন্য আমরা একটি নীতিমালা করতে বলেছি।

কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মেজর (অব) রফিকুল ইসলাম (বীরউত্তম) এবং এ বি তাজুল ইসলাম অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন বা এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছেন শিল্পীরা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ২৭ এর বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, এ হামলার মূল হোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এর পর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরাও হামলায় অংশ নেন।

তবে ঠিক কী কারণে সাংবাদিকদের ওপর শিল্পীরা হামলা চালান, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

এদিন বিকেলে ২০২৪-২৬ এর শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটি শপথ গ্রহণ করে। সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এরপর বাকি সদস্যরা মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেন।

শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে মিশা-ডিপজল পরিষদ। সভাপতি পদে মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট। নিকটতম প্রার্থী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। একই পদে ২০৯ ভোট পেয়েছেন নিপুণ আক্তার। মাত্র ১৭ ভোটে পরাজিত হয়েছেন গতবারের এই সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর



বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্দোলনে বাধা দেওয়া, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অক্ষমতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে গুরুতর ও অযৌক্তিক বাধাসহ বাংলাদেশে সরকারে আছে মারাত্মক দুর্নীতি। এছাড়া দেশের ভিতরে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর ওপর আছে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। সরকারের তরফ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, নিষ্ঠুর নির্যাতন, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ ও শাস্তি দেওয়া হয়। আছে জীবনের প্রতি হুমকি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক বন্দি ও আটক। জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি এমন অজুহাতে মিথ্যা অভিযোগসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে এসব পরিস্থিতি তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে ওই বছরে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা পুনঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের সময় গত রাতে এই রিপোর্ট প্রকাশ পায়।

এতে বলা হয়েছে, ওই বছরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বাংলাদেশের হাসপাতালে।

খালেদা জিয়া সম্পর্কে এতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে ২০০৮ সালের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে তাকে জেলখানা থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করে গৃহবন্দি করা হয়। রাজনৈতিক বন্দি ও আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ও দেশের ভিতরকার আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার তথ্যপ্রমাণে ঘাটতি আছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, তাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক ছক সাজানো হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রসিকিউটররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করেছেন।

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংবিধান সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়ার সদস্যসহ সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু সরকার এই অধিকারে ঘন ঘন হস্তক্ষেপ করেছে। এক্ষত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সীমাবদ্ধতা আছে। সরকারের হয়রানি অথবা প্রতিশোধ নেওয়ার ভয়ে সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্র মিডিয়ার সদস্যরা ও ব্লগাররা নিজেরাই সেন্সর করেছেন। এতে তুলে ধরা হয়েছে সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র, বিচারের ক্ষেত্রে হয়রানি, খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তারসহ নানা রকম নিষ্পেষণের কথা।

রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে তার বিচার করার জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। সেই আদালত শাস্তি দিয়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে মৃত্যুদণ্ড। এ প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, আদালত বিশেষত বাছাই করে অভিযুক্ত করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের। এতে খেয়ালখুশিমতো ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ বেআইনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তার তদন্ত নিজেরাই করেছে। তারা এমন সব ঘটনা ঘটিয়েছে যেখানে তাদের শারীরিক মারাত্মক প্রহারে মানুষ আহত হয়েছে অথবা মারা গেছেন। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে কতজন মানুষ মারা গেছেন তার মোট কোনো সংখ্যা সরকার প্রকাশ করেনি। এমনকি এসব ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তও করেনি। এই তদন্ত যারা করেছেন তাদের স্বাধীনতা ও পেশাগত মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা বছরেই আইন প্রয়োগকারীরা তল্লাশি বা রেইড দিয়েছে কথিত সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকাণ্ড, মাদক ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে। কোনো কোনো ঘেরাওয়ের কালে, গ্রেপ্তারকালে সন্দেজজনক কিছু মৃত্যু ঘটেছে। একই ঘটনা ঘটেছে অন্য আইন প্রয়োগকারীদের অপারেশনেও। রিপোর্টে আরও বলা হয়, আগের বছরের তুলনায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যায় গত বছর। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন আইন ও শালিশ কেন্দ্র রিপোর্ট করেছে যে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অথবা হেফাজতে থাকা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন আটজন। এর মধ্যে দুজন আইন প্রয়োগকারী এজেন্সির গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনজন নিহত হয়েছেন নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার আগে বা হেফাজতে নেওয়ার পর শারীরিক নির্যাতনে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতীয় সঙ্গীত বা জাতীয় পতাকার  বিরুদ্ধে প্রাপাগাণ্ডা ছড়ানোর কারণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। সরকারের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে সারাবছরই সরকার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। আইনমন্ত্রী রিপোর্ট করেছেন যে, সারাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কমপক্ষে ৭০০০ মামলা মুলতবি আছে।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে শেষ মুহূর্তে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা ও স্বজনেরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে নির্বাচনে আর মাত্র এক দিন বাকি। শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। প্রথম ধাপের ৮ই মে নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের কাছে ছুটছেন প্রার্থীরা। সভা-সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়।

ভোটারদের মন জয় করতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রতিদিন ব্যবহার করছেন নতুন নতুন কৌশল। চলছে পোস্টার, ফেস্টুন ও লিফলেট বিতরণ। সেই সঙ্গে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।

বিগত নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে কে কি করেছেন, নতুন রা জয়ী হলে কি করবেন, সেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তাদের বিরামহীন প্রচারণায় ইতোমধ্যে জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটারদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে বেশ আগ্রহ। তারাও হিসাবনিকাশ করতে শুরু করছেন-কার হাত ধরে হবে উপজেলা বাসীর ভাগ্য উন্নয়ন। যোগ্য প্রার্থী বেছে নেয়ার পাশাপাশি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চান ভোটাররা। ৮ই মে ভোটাররা ভোট দিয়ে আগামী পাঁচ বছরে জন্য যোগ্য চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।

সাধারণ ভোটাররা জানান, জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিপদে-আপদে পাশে পাওয়া যাবে এমন প্রার্থীকেই ভোট দেবেন তারা। জনবিচ্ছিন্ন কোনো প্রার্থীকে তারা চান না। আগামী ৮ই মে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনবান্ধব ও পছন্দের প্রার্থীর পক্ষেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চান।

জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১২ জন প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। গত ২৩ শে এপ্রিল প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নির্বাচনের মাঠ সরব হয়ে উঠেছে এ উপজেলায়। এর আগে এই উপজেলায় মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় মোট ১০টি ইউনিয়ন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭১ টি। কক্ষের সংখ্যা ১৪২৪, মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ২২২জন।

প্রতিটা কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে ভোটাররা যেন বাড়ি ফিরতে পারে এমন প্রস্তুতি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।


আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিকে অ্যাসেম্বলি বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে বইছে তীব্র থেকে মাঝারি তাপদাহ। সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

শনিবার (২০ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এদিকে শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপ প্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



৪৫ টাকা দরে চাল, ৩২ টাকা দরে ধান কিনবে সরকার

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আজ রবিবার মন্ত্রীপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায় এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সভায় আসন্ন বোরো সংগ্রহ ২০২৪ মৌসুমে ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, আতপ চাল ১ লাখটন এবং ৫০ হাজার টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা, আতপ চাল ৪৪ টাকা এবং গম ৩৪ টাকা। ২০২৩ সালে ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য ছিল যথাক্রমে ধান ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং গম ৩৫ টাকা।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বেগম রোকেয়া সুলতানা অংশ নেন।


আরও খবর