পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ফল ঘোষণায় অস্বাভাবিক বিলম্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এতে নির্বাচনের ফল নিয়ে কারচুপির অভিযোগ করছেন ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, পাকিস্তানের অতীতের নির্বাচনগুলো বিবেচনায় নিলে এবার ফল ঘোষণায় এমন বিলম্ব অস্বাভাবিক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে- দেশটিতে এর আগের নির্বাচনের দিন স্থানীয় সময় মধ্যরাতের মধ্যে কোন দল এগিয়ে ছিল সে সম্পর্কে একটি পরিষ্কার চিত্র পাওয়া গিয়েছিল। আর এবার ভোট গ্রহণের ২০ ঘণ্টার পর শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত ২৬৫ আসনের মধ্যে মাত্র ১০টি আসনের ফল পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডন পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে বলা হয়েছে, এই ১০ আসনের ৪টিতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত প্রার্থী, ৪টিতে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন), ২টিতে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভোট গ্রহণ শেষে খুবই ধীরগতিতে ভোট গণনার কাজ করা হচ্ছে। মোবাইল ফোন সংযোগ স্থগিত ও সহিংসতার কারণে নির্বাচন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। এরপর ফল ঘোষণায়ও ধীরগতি দেখা যায়। এ অবস্থায় কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই বলছে, ফল প্রকাশে এই বিলম্ব ভোট কারচুপির লক্ষণ।
যদিও দেশটির টিভি চ্যানেলের অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে কিছুটা ইঙ্গিত করা হচ্ছে যে, ইমরান খানের দলের প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছে। গত বছর দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে বন্দী ইমরান খানকে এই নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা হয় এবং তার দল পিটিআইকে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী দিতে হয়েছে।